Γένεσις 21
1 Και επεσκέφθη ο Κύριος την Σάρραν, ως είπε· και έκαμεν ο Κύριος εις την Σάρραν, ως ελάλησε.
সদাপ্রভু তাঁর বলা কথানুসারে সারার প্রতি অনুগ্রহকারী হলেন, এবং সদাপ্রভু যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সারার প্রতি তাই করলেন।
2 Και συνέλαβεν η Σάρρα, και εγέννησεν εις τον Αβραάμ υιόν εν τω γήρατι αυτού· κατά τον καιρόν, τον οποίον είπε προς αυτόν ο Θεός.
সারা গর্ভবতী হলেন এবং অব্রাহামের বৃদ্ধাবস্থায়, ঈশ্বর যে সময়ের প্রতিজ্ঞা তাঁর কাছে করেছিলেন, ঠিক সেই সময়ে অব্রাহামের জন্য এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন।
3 Και εκάλεσεν ο Αβραάμ το όνομα του υιού αυτού, του γεννηθέντος εις αυτόν, τον οποίον η Σάρρα εγέννησεν εις αυτόν, Ισαάκ.
অব্রাহামের জন্য সারা যে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন, অব্রাহাম তার নাম দিলেন ইস্হাক।
4 Περιέτεμε δε ο Αβραάμ τον υιόν αυτού Ισαάκ την ογδόην ημέραν, ως προσέταξεν εις αυτόν ο Θεός.
তাঁর ছেলে ইস্হাকের বয়স যখন আট দিন, তখন ঈশ্বরের আদেশানুসারে অব্রাহাম তার সুন্নত করালেন।
5 Ήτο δε ο Αβραάμ εκατόν ετών, ότε εγεννήθη εις αυτόν Ισαάκ ο υιός αυτού.
অব্রাহামের ছেলে ইস্হাকের যখন জন্ম হয় তখন তাঁর বয়স একশো বছর।
6 Και είπεν η Σάρρα, Ο Θεός με έκαμε να γελώ· όστις ακούση, θέλει γελά μετ' εμού.
সারা বললেন, “ঈশ্বর আমাকে হাসির পাত্রী করে তুলেছেন, আর যে কেউ একথা শুনবে সেও আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।”
7 Και είπε, Τις ήθελεν ειπεί προς τον Αβραάμ, ότι ήθελε θηλάσει τέκνα η Σάρρα; επειδή εγέννησα υιόν εν τω γήρατι αυτού.
পরে তিনি এও বললেন, “কে অব্রাহামকে বলতে পেরেছিল যে সারা শিশুসন্তানকে স্তন্যদান করবে? তা সত্ত্বেও তাঁর বৃদ্ধাবস্থায় আমি তাঁর জন্য এক ছেলের জন্ম দিয়েছি।”
8 Το δε παιδίον ηύξησε και απεγαλακτίσθη· και έκαμεν ο Αβραάμ μέγα συμπόσιον, καθ' ην ημέραν απεγαλακτίσθη ο Ισαάκ.
শিশুটি বেড়ে উঠল ও তার স্তন্য-ত্যাগ করানো হল, এবং যেদিন ইস্হাকের স্তন্য-ত্যাগ করানো হল, সেদিন অব্রাহাম এক মহাভোজের আয়োজন করলেন।
9 Και είδεν η Σάρρα τον υιόν της Άγαρ της Αιγυπτίας, τον οποίον εγέννησεν εις τον Αβραάμ, περιγελώντα τον Ισαάκ.
কিন্তু সারা দেখতে পেলেন যে, যে ছেলেটিকে মিশরীয় হাগার অব্রাহামের জন্য জন্ম দিয়েছিল, সে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে,
10 Και είπε προς τον Αβραάμ, Δίωξον την δούλην ταύτην και τον υιόν αυτής· διότι δεν θέλει κληρονομήσει ο υιός της δούλης ταύτης μετά του υιού μου, του Ισαάκ.
আর তাই তিনি অব্রাহামকে বললেন, “ওই ক্রীতদাসী ও তার ছেলেকে তাড়িয়ে দাও, কারণ আমার ছেলে ইস্হাকের সম্পত্তির অধিকারে ওই মহিলার ছেলে কখনোই ভাগ বসাবে না।”
11 Εφάνη δε σκληρόν σφόδρα το πράγμα εις τους οφθαλμούς του Αβραάμ περί του υιού αυτού.
বিষয়টি অব্রাহামকে খুবই ব্যথিত করে তুলেছিল, কারণ এতে তাঁর ছেলের স্বার্থ জড়িত ছিল।
12 Και είπεν ο Θεός προς τον Αβραάμ, Ας μη φανή σκληρόν εις τους οφθαλμούς σου περί του παιδίου και περί της δούλης σου· κατά πάντα όσα είπη προς σε η Σάρρα, άκουε τους λόγους αυτής· διότι εν τω Ισαάκ θέλει κληθή εις σε σπέρμα·
কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “ছেলেটির ও তোমার ক্রীতদাসীর বিষয়ে তুমি এত ব্যথিত হোয়ো না। সারা তোমাকে যা বলছে, তা শোনো, কারণ ইস্হাকের মাধ্যমেই তোমার সন্তানসন্ততি পরিচিত হবে।
13 και τον υιόν δε της δούλης εις έθνος θέλω καταστήσει αυτόν· διότι είναι σπέρμα σου.
আমি ওই ক্রীতদাসীর ছেলেকেও এক জাতিতে পরিণত করব, কারণ সেও তোমার সন্তান।”
14 Σηκωθείς δε ο Αβραάμ ενωρίς το πρωΐ, έλαβεν άρτους και ασκόν ύδατος και έδωκεν εις την Άγαρ, επιθέσας αυτά επί τον ώμον αυτής, και το παιδίον, και απέπεμψεν αυτήν. Η δε αναχωρήσασα περιεπλανάτο εν τη ερήμω Βηρ-σαβεέ.
পরদিন ভোরবেলায় অব্রাহাম কিছু খাবার ও এক মশক জল নিয়ে সেগুলি হাগারকে দিলেন। তিনি সেগুলি হাগারের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে তাকে সেই ছেলেটি সমেত বিদায় করে দিলেন। হাগার প্রস্থান করল এবং বের-শেবার মরুভূমিতে ইতস্তত ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছিল।
15 Και αφού ετελείωσε το ύδωρ από του ασκού, έρριψε το παιδίον υποκάτω ενός θάμνου·
মশকের জল যখন শেষ হয়ে গেল, তখন সে ছেলেটিকে একটি ঝোপের তলায় নিয়ে গিয়ে রাখল।
16 και ελθούσα εκάθισεν απέναντι, μακράν έως τόξου βολής· διότι είπε, να μη ίδω τον θάνατον του παιδίου. Και εκάθισεν απέναντι και ύψωσε την φωνήν αυτής και έκλαυσεν.
পরে সে একটু দূরে, প্রায় 100 মিটার দূরে গিয়ে বসে পড়ল, কারণ সে ভাবল, “আমি নিজের চোখে ছেলেটির মৃত্যুদৃশ্য দেখতে পারব না।” আর সেখানে বসে সে ফোঁপাতে শুরু করল।
17 Εισήκουσε δε ο Θεός την φωνήν του παιδίου· και εφώνησεν άγγελος Θεού προς την Άγαρ εκ του ουρανού, και είπε προς αυτήν, Τι έχεις, Άγαρ; μη φοβού· διότι ήκουσεν ο Θεός την φωνήν του παιδίου εκ του τόπου ένθα κείται·
ঈশ্বর সেই ছেলেটির কান্না শুনতে পেলেন, এবং ঈশ্বরের দূত স্বর্গ থেকে হাগারকে ডেকে বললেন, “কী হল, হাগার? ভয় পেয়ো না; সেখানে শুয়ে ছেলেটি যখন কাঁদছে, তখন তার কান্না ঈশ্বর শুনেছেন।
18 σηκώθητι, λάβε το παιδίον, και κράτει αυτό με την χείρα σου· διότι θέλω καταστήσει αυτό εις έθνος μέγα.
ছেলেটিকে তুলে তার হাত ধরো, কারণ আমি তাকে এক মহাজাতিরূপে গড়ে তুলব।”
19 Και ήνοιξεν ο Θεός τους οφθαλμούς αυτής, και ιδούσα φρέαρ ύδατος υπήγε και εγέμισε τον ασκόν ύδωρ και επότισε το παιδίον.
তখন ঈশ্বর হাগারের চোখ খুলে দিলেন আর সে জলের এক কুয়ো দেখতে পেল। তাই সে গিয়ে মশকে জল ভরে ছেলেটিকে পানীয় জল এনে দিল।
20 Και ήτο ο Θεός μετά του παιδίου, και ηύξησε, και κατώκησεν εν τη ερήμω και έγεινε τοξότης.
ছেলেটি যখন বেড়ে উঠছিল তখন ঈশ্বর তার সাথেই ছিলেন। সে মরুভূমিতে বসবাস করছিল ও এক তিরন্দাজ হয়ে উঠল।
21 Και κατώκησεν εν τη ερήμω Φαράν· και η μήτηρ αυτού έλαβεν εις αυτόν γυναίκα εκ γης Αιγύπτου.
সে যখন পারণ মরুভূমিতে বসবাস করছিল তখন তার মা, মিশর থেকে এক মহিলাকে তার স্ত্রী হওয়ার জন্য নিয়ে এল।
22 Κατ' εκείνον δε τον καιρόν ο Αβιμέλεχ, μετά του Φιχόλ αρχιστρατήγου της δυνάμεως αυτού, είπε προς τον Αβραάμ, λέγων, Ο Θεός είναι μετά σου εις πάντα όσα πράττεις·
সেই সময় অবীমেলক তাঁর সৈন্যদলের সেনাপতি ফীকোলকে সাথে নিয়ে অব্রাহামের কাছে এসে বললেন, “আপনি যা যা করেন, সবেতেই ঈশ্বর আপনার সহায় হন।
23 τώρα λοιπόν όμοσον προς εμέ εδώ εις τον Θεόν, ότι δεν θέλεις ψευσθή προς εμέ, ούτε προς τον υιόν μου, ούτε προς τους εγγόνους μου· αλλά κατά το έλεος, το οποίον έκαμα εις σε, θέλεις κάμει εις εμέ, και εις την γην όπου παρώκησας.
এখন ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে আমার কাছে শপথ করুন যে আপনি আমার বা আমার সন্তানসন্ততির বা আমার বংশধরদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না। আমি আপনার প্রতি যে দয়া দেখিয়েছিলাম, সেই একইরকম দয়া আপনি আমার প্রতি ও যে দেশে এখন আপনি এক বিদেশিরূপে বসবাস করছেন, সেই দেশের প্রতিও দেখান।”
24 Και είπεν ο Αβραάμ, Εγώ θέλω ομόσει.
অব্রাহাম বললেন, “আমি শপথ করছি।”
25 Και έλεγξεν ο Αβραάμ τον Αβιμέλεχ διά το φρέαρ του ύδατος, το οποίον αφήρπασαν οι δούλοι του Αβιμέλεχ.
তখন অব্রাহাম অবীমেলকের কাছে সেই সজল কুয়োটির বিষয়ে অভিযোগ জানালেন, যেটি অবীমেলকের দাসেরা জোর করে দখল করে নিয়েছিল।
26 Και είπεν ο Αβιμέλεχ, Δεν εξεύρω τις έπραξε το πράγμα τούτο· και ούτε συ με εφανέρωσας και ούτε εγώ ήκουσα, ειμή σήμερον.
কিন্তু অবীমেলক বললেন, “আমি জানি না কে এই কাজটি করেছে। আপনিও আমাকে কিছু বলেননি, আর আজই আমি এই বিষয়ে শুনলাম।”
27 Και λαβών ο Αβραάμ πρόβατα και βόας, έδωκεν εις τον Αβιμέλεχ· και έκαμον αμφότεροι συνθήκην.
অতএব অব্রাহাম মেষ ও গবাদি পশুপাল আনিয়ে সেগুলি অবীমেলককে দিলেন এবং দুজনে এক সন্ধিচুক্তি করলেন।
28 Και έβαλεν ο Αβραάμ κατά μέρος επτά θηλυκά αρνία του ποιμνίου.
অব্রাহাম তাঁর মেষপাল থেকে মেষের সাতটি মাদি শাবক পৃথক করলেন,
29 Και είπεν ο Αβιμέλεχ προς τον Αβραάμ, Τι είναι ταύτα τα επτά θηλυκά αρνία, τα οποία έβαλες κατά μέρος;
এবং অবীমেলক অব্রাহামকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি যে মেষের এই সাতটি মাদি শাবক পৃথক করলেন, এর অর্থ কী?”
30 Ο δε είπεν, Ότι ταύτα τα επτά θηλυκά αρνία θέλεις λάβει εκ της χειρός μου, διά να ήναι εις εμέ εις μαρτύριον ότι εγώ έσκαψα το φρέαρ τούτο.
তিনি উত্তর দিলেন, “আমিই যে এই কুয়োটি খুঁড়েছি, তার প্রমাণস্বরূপ আপনি আমার হাত থেকে মেষের এই সাতটি শাবক গ্রহণ করুন।”
31 διά τούτο ωνόμασε τον τόπον εκείνον, Βηρ-σαβεέ· διότι εκεί ώμοσαν αμφότεροι.
অতএব সেই স্থানটির নাম হল বের-শেবা, কারণ সেই দুজন লোক সেখানে এক শপথ নিয়েছিলেন।
32 Και έκαμον συνθήκην εν Βηρ-σαβεέ. Εσηκώθη δε ο Αβιμέλεχ και Φιχόλ ο αρχιστράτηγος της δυνάμεως αυτού, και επέστρεψαν εις την γην των Φιλισταίων.
বের-শেবায় সন্ধিচুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর অবীমেলক ও তাঁর সৈন্যদলের সেনাপতি ফীকোল ফিলিস্তিনীদের দেশে ফিরে গেলেন।
33 Και εφύτευσεν ο Αβραάμ δρυμόν εν Βηρ-σαβεέ· και επεκαλέσθη εκεί το όνομα του Κυρίου, του αιωνίου Θεού.
অব্রাহাম বের-শেবায় একটি ঝাউ গাছ লাগালেন, ও সেখানে তিনি অনন্তজীবী ঈশ্বর সদাপ্রভুর আরাধনা করলেন।
34 Παρώκησε δε ο Αβραάμ εν τη γη των Φιλισταίων ημέρας πολλάς.
আর অব্রাহাম দীর্ঘকাল ফিলিস্তিনীদের দেশে থেকে গেলেন।
