< Βασιλειῶν Γʹ 18 >
1 Και μετά πολλάς ημέρας ήλθεν ο λόγος του Κυρίου προς τον Ηλίαν κατά το τρίτον έτος, λέγων, Ύπαγε, φανερώθητι εις τον Αχαάβ· και θέλω δώσει βροχήν επί το πρόσωπον της γης.
বেশ কিছু সময় পার হয়ে যাওয়ার পর, তৃতীয় বছরে সদাপ্রভুর এই বাক্য এলিয়ের কাছে এসেছিল: “যাও, নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করো, আর আমি দেশে বৃষ্টি পাঠাব।”
2 Και υπήγεν ο Ηλίας να φανερωθή εις τον Αχαάβ. Η δε πείνα επεβάρυνεν εις την Σαμάρειαν.
অতএব এলিয় নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করতে গেলেন। ইত্যবসরে শমরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করল,
3 Και εκάλεσεν ο Αχαάβ τον Οβαδία τον οικονόμον. Ο δε Οβαδία εφοβείτο τον Κύριον σφόδρα·
এবং আহাব তাঁর প্রাসাদের প্রশাসক ওবদিয়কে ডেকে পাঠালেন। (ওবদিয় সদাপ্রভুর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক বিশ্বাসী ছিলেন।
4 διότι, ότε η Ιεζάβελ εξωλόθρευε τους προφήτας του Κυρίου, ο Οβαδία έλαβεν εκατόν προφήτας και έκρυψεν αυτούς ανά πεντήκοντα εις σπήλαιον, και διέτρεφεν αυτούς εν άρτω και ύδατι.
ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মেরে ফেলছিল, ওবদিয় তখন একশো জন ভাববাদীকে নিয়ে গিয়ে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখেছিলেন, এবং তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করেছিলেন)।
5 Και είπεν ο Αχαάβ προς τον Οβαδία, Περίελθε εις την γην, εις πάσας τας πηγάς των υδάτων και εις πάντας τους χειμάρρους· ίσως εύρωμεν χόρτον, διά να σώσωμεν την ζωήν των ίππων και των ημιόνων και να μη στερηθώμεν τα κτήνη.
আহাব ওবদিয়কে বললেন, “দেশে যত জলের উৎস ও উপত্যকা আছে, তুমি সেসব স্থানে যাও। হয়তো আমাদের ঘোড়া ও খচ্চরগুলি বাঁচিয়ে রাখার উপযোগী কিছু ঘাসপাতা আমরা পেয়েও যেতে পারি, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও পশু আর হয়তো আমাদের মারতে হবে না।”
6 Εμέρισαν λοιπόν την γην εις εαυτούς, διά να διέλθωσιν αυτήν· ο μεν Αχαάβ απήλθε διά μιας οδού κατά μόνας, ο δε Οβαδία απήλθε δι' άλλης οδού κατά μόνας.
অতএব দেশের যে এলাকাগুলিতে তাদের যেতে হত, সেগুলি তারা দুই ভাগে বিভক্ত করে নিয়েছিলেন। আহাব একদিকে গেলেন ও ওবদিয় অন্যদিকে গেলেন।
7 Και ενώ ήτο ο Οβαδία καθ' οδόν ιδού, ο Ηλίας συνήντησεν αυτόν· και εκείνος εγνώρισεν αυτόν και έπεσε κατά πρόσωπον αυτού και είπε, Συ είσαι, κύριέ μου Ηλία;
ওবদিয় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তাঁর সঙ্গে এলিয়ের দেখা হল। ওবদিয় তাঁকে চিনতে পেরে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বললেন, “হে আমার প্রভু এলিয়, এ কি সত্যিই আপনি?”
8 Ο δε είπε προς αυτόν, Εγώ· ύπαγε, ειπέ προς τον κύριόν σου, Ιδού, ο Ηλίας.
“হ্যাঁ, আমিই,” তিনি উত্তর দিলেন। “যাও, গিয়ে তোমার মনিবকে বলো, ‘এলিয় এখানেই আছেন।’”
9 Και εκείνος είπε, Τι ημάρτησα, ώστε θέλεις να παραδώσης τον δούλον σου εις την χείρα του Αχαάβ, διά να με θανατώση;
“আমি কী দোষ করেছি,” ওবদিয় জিজ্ঞাসা করলেন, “যে আপনি আপনার এই দাসকে মেরে ফেলার জন্য আহাবের হাতে তুলে দিচ্ছেন?
10 Ζη Κύριος ο Θεός σου, δεν είναι έθνος ή βασίλειον, όπου δεν έστειλεν ο κύριός μου να σε ζητώσι και ότε έλεγον, Δεν είναι, αυτός ώρκιζε το βασίλειον και το έθνος, ότι δεν σε εύρηκαν.
আপনার ঈশ্বর জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, এমন কোনও দেশ বা রাজ্য বাকি নেই, যেখানে আমার মনিব আপনার খোঁজে লোক পাঠাননি। আর যখনই কোনও দেশ বা রাজ্য দাবি করেছে আপনি সেখানে নেই, তখনই তিনি তাদের দিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন, যে সত্যিই তারা আপনাকে খুঁজে পায়নি।
11 Και τώρα συ λέγεις, Ύπαγε, ειπέ προς τον κύριόν σου, Ιδού, ο Ηλίας.
কিন্তু এখন আপনি আমায় বলছেন, আমি যেন গিয়ে আমার মনিবকে বলি, ‘এলিয় এখানে আছেন।’
12 Και καθώς εγώ αναχωρήσω από σου, το πνεύμα του Κυρίου θέλει σε φέρει όπου δεν εξεύρω· και όταν υπάγω και αναγγείλω τούτο προς τον Αχαάβ, και δεν σε εύρη, θέλει με θανατώσει. Αλλ' ο δούλός σου φοβούμαι τον Κύριον εκ νεότητός μου.
আমি জানি না, আপনার কাছ থেকে আমি চলে যাওয়ার পর সদাপ্রভুর আত্মা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে। আমি যদি আহাবকে গিয়ে বলি এবং তিনি আপনাকে খুঁজে না পান, তবে তিনি আমাকেই হত্যা করবেন। অথচ আপনার এই দাস আমি আমার যৌবনকাল থেকেই সদাপ্রভুর আরাধনা করে আসছি।
13 Δεν απηγγέλθη προς τον κύριόν μου τι έκαμα, ότε η Ιεζάβελ εθανάτονε τους προφήτας του Κυρίου, τίνι τρόπω έκρυψα εκατόν άνδρας εκ των προφητών του Κυρίου ανά πεντήκοντα εις σπήλαιον, και διέθρεψα αυτούς εν άρτω και ύδατι;
হে আমার প্রভু, আপনি কি শোনেননি ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের হত্যা করছিল তখন আমি কী করেছিলাম? আমি সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে একশো জনকে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখে তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।
14 Και τώρα συ λέγεις, Ύπαγε, ειπέ προς τον κύριόν σου, Ιδού, ο Ηλίας· αλλ' αυτός θέλει με θανατώσει.
আর এখন কি না আপনি আমাকে আমার মনিবের কাছে গিয়ে একথা বলতে বলছেন, ‘এলিয় এখানে আছেন।’ তিনি তো আমায় মেরে ফেলবেন!”
15 Και είπεν Ηλίας, Ζη ο Κύριος των δυνάμεων, έμπροσθεν του οποίου παρίσταμαι, ότι σήμερον θέλω εμφανισθή εις αυτόν.
এলিয় বললেন, “আমি যাঁর সেবা করি, সেই সর্বশক্তিমান জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি অবশ্যই আজ আহাবের সামনে নিজেকে উপস্থিত করব।”
16 Υπήγε λοιπόν ο Οβαδία εις συνάντησιν του Αχαάβ και απήγγειλε προς αυτόν. Και ο Αχαάβ υπήγεν εις συνάντησιν του Ηλία.
অতএব ওবদিয় গিয়ে আহাবের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব কথা বললেন, এবং আহাবও এলিয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
17 Και ως είδεν ο Αχαάβ τον Ηλίαν, είπε προς αυτόν ο Αχαάβ, Συ είσαι ο διαταράττων τον Ισραήλ;
এলিয়ের দেখা পেয়ে আহাব তাঁকে বললেন, “ওহে ইস্রায়েলের অসুবিধা সৃষ্টিকারী লোক, এ কি তুমি?”
18 Ο δε είπε, Δεν διαταράττω εγώ τον Ισραήλ, αλλά συ και ο οίκος του πατρός σου· διότι σεις εγκατελίπετε τας εντολάς του Κυρίου και υπήγες κατόπιν των Βααλείμ·
“আমি ইস্রায়েলে অসুবিধা সৃষ্টি করিনি,” এলিয় উত্তর দিলেন। “কিন্তু আপনি ও আপনার বাবার কুলই তা করেছেন। আপনারা সদাপ্রভুর আদেশ পরিত্যাগ করে বায়াল-দেবদের অনুগামী হয়েছেন।
19 τώρα λοιπόν απόστειλον, συνάθροισον προς εμέ πάντα τον Ισραήλ εις το όρος τον Κάρμηλον, και τους προφήτας του Βάαλ τους τετρακοσίους πεντήκοντα, και τους τετρακοσίους προφήτας των αλσών, οίτινες τρώγουσιν εις την τράπεζαν της Ιεζάβελ.
এখন ইস্রায়েলের সর্বত্র খবর পাঠিয়ে লোকদের ডেকে আনুন, যেন তারা কর্মিল পাহাড়ে আমার সাথে দেখা করে। আর বায়ালের সেই 450 জন ও আশেরার সেই 400 জন ভাববাদীকেও নিয়ে আসুন, যারা ঈষেবলের টেবিলে বসে ভোজনপান করে।”
20 Και απέστειλεν ο Αχαάβ προς πάντας τους υιούς Ισραήλ και συνήθροισε τους προφήτας εις το όρος τον Κάρμηλον.
অতএব আহাব সমস্ত ইস্রায়েলে খবর পাঠিয়ে ভাববাদীদের কর্মিল পাহাড়ে সমবেত করলেন।
21 Και προσήλθεν ο Ηλίας προς πάντα τον λαόν και είπεν, Έως πότε χωλαίνετε μεταξύ δύο φρονημάτων; εάν ο Κύριος ήναι Θεός, ακολουθείτε αυτόν· αλλ' εάν ο Βάαλ, ακολουθείτε τούτον. Και ο λαός δεν απεκρίθη προς αυτόν λόγον.
এলিয় লোকদের সামনে গিয়ে বললেন, “আর কত দিন তোমরা দুটি অভিমতের মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থাকবে? সদাপ্রভু যদি ঈশ্বর হন, তবে তাঁর অনুগামী হও; কিন্তু বায়াল যদি ঈশ্বর হয়, তবে তারই অনুগামী হও।” কিন্তু লোকেরা কিছুই বলেনি।
22 Τότε είπεν ο Ηλίας προς τον λαόν, Εγώ μόνος έμεινα προφήτης του Κυρίου· οι δε προφήται του Βάαλ είναι τετρακόσιοι πεντήκοντα άνδρες·
তখন এলিয় তাদের বললেন, “সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে এখানে একমাত্র আমিই আছি, কিন্তু বায়ালের ভাববাদীরা সংখ্যায় 450 জন।
23 ας δώσωσι λοιπόν εις ημάς δύο μόσχους· και ας εκλέξωσι τον ένα μόσχον δι' εαυτούς, και ας διαμελίσωσιν αυτόν και ας επιθέσωσιν αυτόν επί των ξύλων και πυρ ας μη βάλωσι και εγώ θέλω ετοιμάσει τον άλλον μόσχον και επιθέσει επί των ξύλων και πυρ δεν θέλω βάλει,
আমাদের জন্য দুটি বলদ নিয়ে এসো। বায়ালের ভাববাদীরা নিজেদের জন্য একটি বলদ বেছে নিক, ও সেটি কেটে টুকরো টুকরো করে কাঠের উপর সাজিয়ে রাখুক কিন্তু তাতে যেন তারা আগুন না ধরায়। আমিও অন্য বলদটি প্রস্তুত করে সেটি কাঠের উপর সাজিয়ে রাখব কিন্তু তাতে আগুন দেব না।
24 και επικαλέσθητε το όνομα των θεών σας, και εγώ θέλω επικαλεσθή το όνομα του Κυρίου· και ο Θεός, όστις εισακούση διά πυρός, ούτος ας ήναι ο Θεός. Και αποκριθείς πας ο λαός, είπε, Καλός ο λόγος.
পরে তোমরা নিজেদের দেবতার নাম ধরে ডেকো, ও আমিও সদাপ্রভুর নাম ধরে ডাকব। যিনি আগুনের দ্বারা উত্তর দেবেন, তিনিই ঈশ্বর।” তখন সব লোকজন বলে উঠেছিল, “আপনি ভালো কথাই বলেছেন।”
25 Και είπεν ο Ηλίας προς τους προφήτας του Βάαλ, Εκλέξατε εις εαυτούς τον ένα μόσχον και ετοιμάσατε αυτόν πρώτοι διότι είσθε πολλοί· και επικαλέσθητε το όνομα των θεών σας, πυρ όμως μη βάλητε.
এলিয় বায়ালের ভাববাদীদের বললেন, “একটি বলদ বেছে নিয়ে তোমরা প্রথমে সেটি প্রস্তুত করো, যেহেতু সংখ্যায় তোমরাই বেশি। তোমাদের দেবতার নাম ধরে ডাকো, কিন্তু আগুন জ্বালিয়ো না।”
26 Και έλαβον τον μόσχον τον δοθέντα εις αυτούς και ητοίμασαν αυτόν, και επεκαλούντο το όνομα του Βάαλ από πρωΐας μέχρι μεσημβρίας, λέγοντες, Επάκουσον ημών, Βάαλ· και ουκ ην φωνή και ουκ ην ακρόασις· και επήδων περί το θυσιαστήριον, το οποίον ωκοδόμησαν.
অতএব যে বলদটি তাদের দেওয়া হল, সেটি তারা প্রস্তুত করে রেখেছিল। পরে তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বায়ালের নাম ধরে ডেকেছিল। “হে বায়ালদেব, আমাদের উত্তর দাও!” এই বলে তারা চিৎকার করছিল। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি; কেউ উত্তর দেয়নি। তারা আবার তাদের তৈরি করা যজ্ঞবেদি ঘিরে নাচতেও লাগল।
27 Και περί την μεσημβρίαν ο Ηλίας μυκτηρίζων αυτούς έλεγεν, Επικαλείσθε μετά φωνής μεγάλης· διότι θεός είναι ή συνομιλεί ή ασχολείται ή είναι εις οδοιπορίαν ή ίσως κοιμάται και θέλει εξυπνήσει.
দুপুর হতে না হতেই এলিয় তাদের বিদ্রুপের খোঁচা দিতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, “আরও জোরে চিৎকার করো! সে তো অবশ্যই একজন দেবতা! হয়তো সে গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে আছে, হয়তো বা সে খুব ব্যস্ত, বা কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। হতে পারে সে হয়তো ঘুমাচ্ছে আর তাকে জাগাতে হবে।”
28 Και επεκαλούντο μετά φωνής μεγάλης και κατετέμνοντο κατά την συνήθειαν αυτών με μαχαίρας και με λόγχας, εωσού αίμα εξεχύθη επ' αυτούς.
তাই তারা আরও জোরে চিৎকার করতে শুরু করল এবং তাদের লোকাচার অনুসারে, রক্তের ধারা প্রবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তরোয়াল ও বর্শা দিয়ে নিজেদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছিল।
29 Και αφού παρήλθεν η μεσημβρία, και αυτοί προεφήτευον μέχρι της ώρας της προσφοράς, και ουκ ην φωνή και ουκ ην ακρόασις και ουκ ην προσοχή,
দুপুর গড়িয়ে গেল, তবু তারা সন্ধ্যাকালীন বলিদানের সময় পর্যন্ত তাদের ক্ষিপ্ত ভাববাণী আউড়ে গেল। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি, কেউ উত্তর দেয়নি, কেউ তাতে মনোযোগ দেয়নি।
30 τότε είπεν ο Ηλίας προς πάντα τον λαόν, Πλησιάσατε προς εμέ. Και πας ο λαός επλησίασε προς αυτόν. Και επιδιώρθωσε το θυσιαστήριον του Κυρίου, το κεκρημνισμένον.
তখন এলিয় সব লোকজনকে বললেন, “এখানে আমার কাছে এসো।” তারা তাঁর কাছে এসেছিল, ও তিনি ভেঙে পড়ে থাকা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি মেরামত করলেন।
31 Και έλαβεν ο Ηλίας δώδεκα λίθους, κατά τον αριθμόν των φυλών των υιών Ιακώβ, προς τον οποίον ήλθεν ο λόγος του Κυρίου, λέγων, Ισραήλ θέλει είσθαι το όνομά σου·
সেই যাকোব থেকে উৎপন্ন বংশের সংখ্যানুসারে এলিয় বারোটি পাথর হাতে তুলে নিয়েছিলেন, যাঁর কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল, “তোমার নাম হবে ইস্রায়েল।”
32 και ωκοδόμησε τους λίθους θυσιαστήριον εις το όνομα του Κυρίου· και έκαμεν αύλακα περί το θυσιαστήριον, χωρούσαν δύο μέτρα σπόρου.
সেই পাথরগুলি দিয়ে তিনি সদাপ্রভুর নামে একটি যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন, এবং সেটির চারপাশে দুই কাঠা বীজ ধারণ করতে পারে, এত বড়ো একটি নালা কেটে দিলেন।
33 Και εστοίβασε τα ξύλα και διεμέλισε τον μόσχον και επέθεσεν αυτόν επί των ξύλων.
তিনি কাঠ সাজিয়ে, বলদটি টুকরো টুকরো করে কেটে কাঠের উপর সাজিয়ে রেখেছিলেন। পরে তিনি তাদের বললেন, “চারটি বড়ো বড়ো বয়ামে জল ভরে সেই জল বলির পশু ও কাঠের উপর ঢেলে দাও।”
34 Και είπε, Γεμίσατε ύδατος τέσσαρας υδρίας και χύσατε επί το ολοκαύτωμα και επί τα ξύλα. Και είπε, Δευτερώσατε· και εδευτέρωσαν. Και είπε, Τριττώσατε· και ετρίττωσαν.
“আবার এরকম করো,” তিনি বললেন, ও তারা আবার তা করল। “তৃতীয়বারও এরকম করো,” তিনি আদেশ দিলেন, ও তারা তৃতীয়বার তা করল।
35 Και περιέτρεχε το ύδωρ πέριξ του θυσιαστηρίου· και η αύλαξ έτι εγέμισεν ύδατος.
বেদি উপচে জল গড়িয়ে পড়েছিল ও এমনকি নালাও ভরিয়ে তুলেছিল।
36 Και την ώραν της προσφοράς επλησίασεν Ηλίας ο προφήτης και είπε, Κύριε, Θεέ του Αβραάμ, του Ισαάκ και του Ισραήλ, ας γείνη γνωστόν σήμερον, ότι συ είσαι Θεός εν τω Ισραήλ και εγώ δούλός σου, και κατά τον λόγον σου έκαμα πάντα ταύτα τα πράγματα·
বলিদান উৎসর্গ করার সময় ভাববাদী এলিয় এগিয়ে এসে প্রার্থনা করলেন: “হে সদাপ্রভু, অব্রাহাম, ইস্হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, লোকেরা আজ জানুক যে ইস্রায়েলে তুমিই ঈশ্বর এবং আমি তোমার দাস ও আমি তোমার আদেশেই এসব কাজ করেছি।
37 επάκουσόν μου, Κύριε, επάκουσόν μου, διά να γνωρίση ο λαός ούτος ότι συ Κύριος είσαι ο Θεός, και συ επέστρεψας την καρδίαν αυτών οπίσω.
আমায় উত্তর দাও, হে সদাপ্রভু, আমায় উত্তর দাও, যেন এইসব লোক জানতে পারে যে তুমি তাদের অন্তর আবার ফিরাতে চলেছ।”
38 Τότε έπεσε πυρ παρά Κυρίου και κατέφαγε το ολοκαύτωμα και τα ξύλα και τους λίθους και το χώμα, και έγλειψε το ύδωρ το εν τη αύλακι.
তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন নেমে এসেছিল এবং বলির পশু, কাঠ, পাথর ও মাটি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল, এবং নালার জলও নিকেশ করে ফেলেছিল।
39 Και ότε είδε πας ο λαός, έπεσον κατά πρόσωπον αυτών και είπον, Ο Κύριος, αυτός είναι ο Θεός· ο Κύριος, αυτός είναι ο Θεός.
সব লোকজন যখন এই দৃশ্য দেখেছিল, তারা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে চিৎকার করে উঠেছিল, “সদাপ্রভুই ঈশ্বর! সদাপ্রভুই ঈশ্বর!”
40 Και είπε προς αυτούς ο Ηλίας, Πιάσατε τους προφήτας του Βάαλ· μηδείς εξ αυτών ας μη διασωθή. Και επίασαν αυτούς· και κατεβίβασεν αυτούς ο Ηλίας εις τον χείμαρρον Κεισών και έσφαξεν αυτούς εκεί.
তখন এলিয় তাদের আদেশ দিলেন, “বায়ালের ভাববাদীদের ধরে ফেলো। কেউ যেন পালাতে না পারে!” তারা তাদের ধরে ফেলেছিল, ও এলিয় তাদের কীশোন উপত্যকায় নামিয়ে এনে সেখানে তাদের হত্যা করলেন।
41 Και είπεν ο Ηλίας προς τον Αχαάβ, Ανάβα, φάγε και πίε. διότι είναι φωνή πλήθους βροχής.
আর এলিয় আহাবকে বললেন, “যান, ভোজনপান করুন, কারণ প্রবল বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।”
42 Και ανέβη ο Αχαάβ διά να φάγη και να πίη. Ο δε Ηλίας ανέβη εις την κορυφήν του Καρμήλου και έκυψεν εις την γην και έβαλε το πρόσωπον αυτού αναμέσον των γονάτων αυτού,
অতএব আহাব ভোজনপান করতে চলে গেলেন, কিন্তু এলিয় কর্মিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গিয়ে, মাটিতে হাঁটু মুড়ে, নিজের মুখটি দুই হাঁটুর মাঝখানে রেখে বসেছিলেন।
43 και είπε προς τον υπηρέτην αυτού, Ανάβα τώρα, βλέψον προς την θάλασσαν. Και ανέβη και έβλεψε και είπε, Δεν είναι ουδέν. Ο δε είπεν, Ύπαγε πάλιν, έως επτάκις.
“যাও, সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকো,” তিনি তাঁর দাসকে বললেন। আর সে গিয়ে তাকিয়ে থেকেছিল। “সেখানে কিছুই নেই,” সে বলল। সাতবার এলিয় বললেন, “তুমি ফিরে যাও।”
44 Και την εβδόμην φοράν είπεν, Ιδού, νέφος μικρόν, ως παλάμη ανθρώπου, αναβαίνει εκ της θαλάσσης. Και είπεν, Ανάβα, ειπέ προς τον Αχαάβ, Ζεύξον την άμαξάν σου, και κατάβα, διά να μη σε εμποδίση η βροχή.
সপ্তমবারে সেই দাস এসে খবর দিয়েছিল, “মানুষের হাতের মতো ছোটো একখণ্ড মেঘ সমুদ্র থেকে উঠে আসছে।” অতএব এলিয় বললেন, “যাও, আহাবকে গিয়ে বলো, ‘হ্যাঁচকা টান মেরে আপনার রথটি ওঠান ও বৃষ্টি বাধ সাধার আগেই আপনি চলে যান।’”
45 Και εν τω μεταξύ ο ουρανός συνεσκότασεν εκ νεφών και ανέμου, και έγεινε βροχή μεγάλη. Και ανέβη ο Αχαάβ εις την άμαξαν αυτού και υπήγεν εις Ιεζραέλ.
এদিকে, আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল, বাতাস উঠেছিল, প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হল এবং আহাব রথে চড়ে যিষ্রিয়েলে চলে গেলেন।
46 Και χειρ Κυρίου εστάθη επί τον Ηλίαν· και συνέσφιγξε την οσφύν αυτού και έτρεχεν έμπροσθεν του Αχαάβ έως της εισόδου της Ιεζραέλ.
সদাপ্রভুর শক্তি এলিয়ের উপর নেমে এসেছিল, এবং নিজের আলখাল্লাটি কোমরবন্ধে গুঁজে নিয়ে তিনি আহাবের আগেই দৌড়ে যিষ্রিয়েলে পৌঁছে গেলেন।