Βασιλειῶν Γʹ 11
1 Ηγάπησε δε ο βασιλεύς Σολομών πολλάς ξένας γυναίκας, εκτός της θυγατρός του Φαραώ, Μωαβίτιδας, Αμμωνίτιδας, Ιδουμαίας, Σιδωνίας, Χετταίας·
১রাজা শলোমন ফরৌণের মেয়েকে ছাড়া আরও অনেক বিদেশী স্ত্রীলোকদের ভালবাসতেন। তারা জাতিতে ছিল মোয়াবীয়, অম্মোনীয়, ইদোমীয়, সীদোনীয় ও হিত্তীয়।
2 εκ των εθνών περί των οποίων ο Κύριος είπε προς τους υιούς Ισραήλ, Δεν θέλετε εισέλθει προς αυτά, ουδέ αυτά θέλουσιν εισέλθει προς εσάς, μήποτε εκκλίνωσι τας καρδίας σας κατόπιν των θεών αυτών· εις αυτά ο Σολομών προσεκολλήθη με έρωτα.
২তারা সেই সব জাতি থেকে এসেছিল যাদের সম্বন্ধে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের বলেছিলেন, “তোমরা তাদের বিয়ে করবে না, কারণ তারা নিশ্চয়ই তোমাদের মন তাদের দেব দেবতাদের দিকে আকর্ষিত করবে।” কিন্তু শলোমন এইসব স্ত্রীলোকদের ভালবাসতেন।
3 Και είχε γυναίκας βασιλίδας επτακοσίας και παλλακάς τριακοσίας· και αι γυναίκες αυτού εξέκλιναν την καρδίαν αυτού.
৩তাঁর সাতশো স্ত্রী ছিল, যারা ছিল রাজপরিবারের মেয়ে; এছাড়া তাঁর তিনশো উপস্ত্রী ছিল। তাঁর স্ত্রীরা তাঁকে বিপথে নিয়ে গিয়েছিল।
4 Διότι ότε εγήρασεν ο Σολομών, αι γυναίκες αυτού εξέκλιναν την καρδίαν αυτού κατόπιν άλλων θεών· και η καρδία αυτού δεν ήτο τελεία μετά του Κυρίου του Θεού αυτού, ως η καρδία Δαβίδ του πατρός αυτού.
৪শলোমনের বুড়ো বয়সে তাঁর স্ত্রীরা তাঁর মন অন্য দেব দেবতাদের দিকে আকর্ষিত করেছিল। তার ফলে তাঁর বাবা দায়ূদের মত তাঁর হৃদয় তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি ভক্তিতে পূর্ণ ছিল না।
5 Και επορεύθη ο Σολομών κατόπιν της Αστάρτης, της θεάς των Σιδωνίων, και κατόπιν του Μελχώμ, του βδελύγματος των Αμμωνιτών.
৫তিনি সীদোনীয়দের দেবী অষ্টোরতের ও অম্মোনীয়দের জঘন্য দেবতা মিল্কমের সেবা করতে লাগলেন।
6 Και έπραξεν ο Σολομών πονηρά ενώπιον του Κυρίου και δεν επορεύθη εντελώς κατόπιν του Κυρίου, ως Δαβίδ ο πατήρ αυτού.
৬সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ শলোমন তাই করলেন। তাঁর বাবা দায়ূদ যেমন সদাপ্রভুকে সম্পূর্ণভাবে ভক্তি করতেন তিনি তেমন করতেন না।
7 Τότε ωκοδόμησεν ο Σολομών υψηλόν τόπον εις τον Χεμώς, το βδέλυγμα του Μωάβ, εν τω όρει τω απέναντι της Ιερουσαλήμ, και εις τον Μολόχ, το βδέλυγμα των υιών Αμμών.
৭সেই দিন শলোমন যিরূশালেমের পূর্ব দিকের পাহাড়ের উপরে তিনি মোয়াবের জঘন্য দেবতা কমোশ ও অম্মোনীয়দের জঘন্য দেবতা মোলকের উদ্দেশ্যে উঁচু জায়গা তৈরী করলেন।
8 Και ούτως έκαμε δι' όλας τας γυναίκας αυτού τας ξένας, αίτινες εθυμίαζον και εθυσίαζον εις τους θεούς αυτών.
৮তাঁর সমস্ত বিদেশী স্ত্রী যারা নিজের নিজের দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাত ও পশু বলি দিত তাদের সকলের জন্য তিনি তাই করলেন।
9 Και ωργίσθη ο Κύριος κατά του Σολομώντος επειδή η καρδία αυτού εξέκλινεν από του Κυρίου του Θεού του Ισραήλ, όστις εφανερώθη δις εις αυτόν,
৯এতে সদাপ্রভু শলোমনের উপরে ভীষণ অসন্তুষ্ট হলেন, কারণ যিনি তাঁর কাছে দুবার নিজেকে প্রকাশ করেছিলেন সেই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিক থেকে তাঁর মন ফিরে গিয়েছিল।
10 και προσέταξεν εις αυτόν περί του πράγματος τούτου, να μη υπάγη κατόπιν άλλων θεών· δεν εφύλαξεν όμως εκείνο, το οποίον ο Κύριος προσέταξε.
১০তিনি অন্য দেব দেবতাদের পিছনে যেতে তাঁকে মানা করেছিলেন কিন্তু শলোমন সদাপ্রভুর আদেশ পালন করেননি।
11 Διά τούτο είπεν ο Κύριος εις τον Σολομώντα, Επειδή τούτο ευρέθη εν σοι, και δεν εφύλαξας την διαθήκην μου και τα διατάγματά μου, τα οποία προσέταξα εις σε, θέλω εξάπαντος διαρρήξει την βασιλείαν από σου και δώσει αυτήν εις τον δούλον σου·
১১কাজেই সদাপ্রভু শলোমনকে বললেন, “তোমার এই ব্যবহারের জন্য এবং আমার দেওয়া ব্যবস্থা ও নিয়ম অমান্য করবার জন্য আমি অবশ্যই তোমার কাছ থেকে রাজ্য ছিঁড়ে নিয়ে তোমার কর্মচারীকে দেব।
12 πλην εν ταις ημέραις σου δεν θέλω κάμει τούτο, χάριν Δαβίδ του πατρός σου· εκ της χειρός του υιού σου θέλω διαρρήξει αυτήν·
১২তবে তোমার বাবা দায়ূদের কথা মনে করে তোমার জীবনকালে আমি তা করব না, কিন্তু তোমার ছেলের হাত থেকে আমি তা ছিঁড়ে নেব।
13 δεν θέλω όμως διαρρήξει πάσαν την βασιλείαν· μίαν φυλήν θέλω δώσει εις τον υιόν σου, χάριν Δαβίδ του δούλου μου, και χάριν της Ιερουσαλήμ, την οποίαν εξέλεξα.
১৩অবশ্য রাজ্যের সবটা আমি তার কাছ থেকে ছিঁড়ে নেব না, কিন্তু আমার দাস দায়ূদের কথা এবং আমার বেছে নেওয়া যিরূশালেমের কথা মনে করে একটা গোষ্ঠী আমি তোমার ছেলেকে দেব।”
14 Και εσήκωσεν ο Κύριος αντίπαλον εις τον Σολομώντα, τον Αδάδ τον Ιδουμαίον· ούτος ήτο εκ του σπέρματος των βασιλέων της Ιδουμαίας.
১৪এর পর সদাপ্রভু শলোমনের বিরুদ্ধে ইদোমীয় হদদকে শত্রু হিসাবে দাঁড় করালেন। ইদোমের রাজবংশে তার জন্ম হয়েছিল।
15 Διότι, ότε ήτο ο Δαβίδ εν τη Ιδουμαία και Ιωάβ ο αρχιστράτηγος ανέβη να θάψη τους θανατωθέντας και επάταξε παν αρσενικόν εν τη Ιδουμαία,
১৫দায়ূদ যখন ইদোম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন তখন তাঁর সেনাপতি যোয়াব মৃত লোকদের কবর দেবার জন্য ইদোমে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকবার দিন তিনি ইদোমীয় সব পুরুষ লোককে মেরে ফেলেছিলেন।
16 επειδή εξ μήνας εκάθησεν εκεί ο Ιωάβ μετά παντός του Ισραήλ, εωσού εξωλόθρευσε παν αρσενικόν εκ της Ιδουμαίας,
১৬যোয়াব ও ইস্রায়েলের সব সৈন্যেরা ছয় মাস ইদোমে ছিলেন এবং সেখানকার সব পুরুষ লোককে মেরে ফেলেছিলেন।
17 τότε ο Αδάδ έφυγεν, αυτός και μετ' αυτού τινές Ιδουμαίοι εκ των δούλων του πατρός αυτού, διά να υπάγωσιν εις την Αίγυπτον· ήτο δε ο Αδάδ μικρόν παιδίον.
১৭কিন্তু হদদ তার বাবার কয়েকজন ইদোমীয় কর্মচারীর সঙ্গে মিশরে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই দিন সে ছোট ছিল।
18 Και εσηκώθησαν εκ της Μαδιάμ και ήλθον εις Φαράν· και έλαβον μεθ' εαυτών άνδρας εκ Φαράν και ήλθον εις Αίγυπτον προς τον Φαραώ βασιλέα της Αιγύπτου· όστις έδωκεν εις αυτόν οικίαν και διέταξεν εις αυτόν τροφάς και γην έδωκεν εις αυτόν.
১৮তারা মিদিয়ন থেকে রওনা হয়ে পারণে গিয়েছিল এবং পরে সেখান থেকে কিছু লোক নিয়ে তারা মিশরের রাজা ফরৌণের কাছে গিয়েছিল। ফরৌণ হদদকে বাড়ি, জায়গা জমি ও খাবার দিয়েছিলেন।
19 Και εύρηκεν ο Αδάδ μεγάλην χάριν ενώπιον του Φαραώ, ώστε έδωκεν εις αυτόν γυναίκα την αδελφήν της γυναικός αυτού, την αδελφήν της Ταχπενές της βασιλίσσης.
১৯ফরৌণ হদদের উপর এত সন্তুষ্ট হয়েছিলেন যে, ফরৌণের স্ত্রী রাণী তহ্পনেষের বোনের সঙ্গে তার বিয়ে দিয়েছিলেন।
20 Και εγέννησεν εις αυτόν η αδελφή της Ταχπενές τον Γενουβάθ τον υιόν αυτού, τον οποίον η Ταχπενές απεγαλάκτισεν εντός του οίκου του Φαραώ· και ήτο ο Γενουβάθ εν τω οίκω του Φαραώ, μεταξύ των υιών του Φαραώ.
২০তহ্পনেষের বোনের গর্ভে হদদের একটি ছেলের জন্ম হয়েছিল; সেই ছেলের নাম ছিল গনুবৎ। তহ্পনেষ ছেলেটিকে রাজবাড়ীতে রাখলেন এবং সেখানেই সে মায়ের দুধ খাওয়া ছাড়ল। গনুবৎ সেখানে ফরৌণের ছেলে মেয়েদের সঙ্গেই থাকত।
21 Και ότε ήκουσεν ο Αδάδ εν Αιγύπτω ότι εκοιμήθη ο Δαβίδ μετά των πατέρων αυτού και ότι απέθανεν Ιωάβ ο αρχιστράτηγος, είπεν ο Αδάδ προς τον Φαραώ, Εξαπόστειλόν με, διά να απέλθω εις την γην μου.
২১মিশরে থাকতেই হদদ শুনল যে, দায়ূদকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছে এবং সেনাপতি যোয়াবও মারা গেছেন। তখন হদদ ফরৌণকে বলল, “এবার আমাকে যেতে দিন যাতে আমি আমার নিজের দেশে ফিরে যেতে পারি।”
22 Και είπε προς αυτόν ο Φαραώ, Αλλά τι σοι λείπει πλησίον μου, και ιδού, συ ζητείς να απέλθης εις την γην σου; Και απεκρίθη, Ουδέν· αλλ' εξαπόστειλόν με, παρακαλώ.
২২ফরৌণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে তোমার কিসের অভাব হয়েছে যে, তুমি নিজের দেশে ফিরে যেতে চাইছ?” উত্তরে হদদ বলল, “কিছুরই অভাব হয়নি, কিন্তু তবুও আমাকে যেতে দিন।”
23 Και εσήκωσεν ο Θεός εις αυτόν και άλλον αντίπαλον, τον Ρεζών, υιόν του Ελιαδά, όστις είχε φύγει από του κυρίου αυτού Αδαδέζερ, βασιλέως της Σωβά·
২৩শলোমনের বিরুদ্ধে ঈশ্বর আর একজন শত্রু দাঁড় করালেন। সে হল ইলিয়াদার ছেলে রষোণ। সে তার মনিব সোবার রাজা হদদেষরের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
24 και συναθροίσας εις εαυτόν άνδρας, έγεινεν αρχηγός συμμορίας, ότε επάταξεν ο Δαβίδ τους από Σωβά· και υπήγαν εις Δαμασκόν και κατώκησαν εκεί και εβασίλευσαν εν Δαμασκώ·
২৪দায়ূদ যখন সোবার সৈন্যদের মেরে ফেলেছিলেন তখন রষোণ কিছু লোক জোগাড় করে নিয়ে একটা লুটেরা দল তৈরী করে তার নেতা হয়ে বসল। এই লোকেরা দম্মেশক দখল করে সেখানে রাজত্ব করতে লাগল।
25 και ήτο αντίπαλος του Ισραήλ πάσας τας ημέρας του Σολομώντος, εκτός των κακών, τα οποία έκαμεν ο Αδάδ· και επηρέαζε τον Ισραήλ, βασιλεύων επί της Συρίας.
২৫শলোমন যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন রষোণ ইস্রায়েলের সঙ্গে শত্রুতা করেছিল আর সেই দিন হদদও ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে কাজ করছিল। ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে একটা শত্রুভাব নিয়ে রষোণ অরাম দেশে রাজত্ব করত।
26 Και ο Ιεροβοάμ, υιός του Ναβάτ, Εφραθαίος από Σαρηδά, δούλος του Σολομώντος, του οποίου η μήτηρ ωνομάζετο Σερουά, γυνή χήρα, και ούτος εσήκωσε χείρα κατά του βασιλέως.
২৬নবাটের ছেলে যারবিয়ামও রাজা শলোমনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন। তিনি ছিলেন শলোমনের কর্মচারী, সরেদা গ্রামের একজন ইফ্রয়িমীয় লোক। তাঁর মায়ের নাম ছিল সরূয়া; তিনি বিধবা ছিলেন।
27 Αύτη δε ήτο η αιτία, διά την οποίαν εσήκωσε χείρα κατά του βασιλέως· ο Σολομών ωκοδόμει την Μιλλώ και έκλεισε το χάλασμα της πόλεως Δαβίδ του πατρός αυτού·
২৭রাজার বিরুদ্ধে যারবিয়ামের বিদ্রোহের একটা কারণ ছিল। যে দিন শলোমন মিল্লো তৈরী করছিলেন এবং তাঁর বাবা দায়ূদের শহরের দেয়ালের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করছিলেন,
28 και ήτο ο άνθρωπος Ιεροβοάμ δυνατός εν ισχύϊ· και είδεν ο Σολομών τον νέον ότι ήτο φίλεργος και κατέστησεν αυτόν επιστάτην επί πάντα τα φορτία του οίκου Ιωσήφ.
২৮সেই দিন যারবিয়াম সেখানে কাজ করছিলেন এবং তাঁর কাজের বেশ সুনাম ছিল। শলোমন যখন দেখলেন যে, যুবকটি বেশ কাজের লোক তখন তিনি তাঁকে যোষেফের বংশের সমস্ত মজুরদের দেখাশোনার ভার দিলেন।
29 Και κατ' εκείνον τον καιρόν, ότε ο Ιεροβοάμ εξήλθεν εξ Ιερουσαλήμ, εύρηκεν αυτόν καθ' οδόν ο προφήτης Αχιά ο Σηλωνίτης, ενδεδυμένος ιμάτιον νέον· και ήσαν οι δύο μόνοι εν τη πεδιάδι.
২৯সেই দিন যারবিয়াম এক দিন যিরূশালেমের বাইরে গেলেন। পথে তাঁর সঙ্গে শীলোর ভাববাদী অহিয়ের দেখা হল। অহিয়ের গায়ে ছিল একটা নতুন চাদর। পথে তাঁরা দুজন ছাড়া আর কেউ ছিল না।
30 Και επίασεν ο Αχιά το νέον ιμάτιον, το οποίον εφόρει, και έσχισεν αυτό εις δώδεκα τμήματα·
৩০তখন অহিয় তাঁর গায়ের চাদরটা নিয়ে ছিঁড়ে বারোটা টুকরো করলেন।
31 και είπε προς τον Ιεροβοάμ, Λάβε εις σεαυτόν δέκα τμήματα· διότι ούτω λέγει Κύριος ο Θεός του Ισραήλ· Ιδού, θέλω διαρρήξει την βασιλείαν εκ της χειρός του Σολομώντος και δώσει τας δέκα φυλάς εις σέ·
৩১তারপর তিনি যারবিয়ামকে বললেন, “দশটা টুকরো তুমি তুলে নাও, কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে বলছেন, ‘দেখ, আমি শলোমনের হাত থেকে রাজ্যটা ছিঁড়ে নেব এবং তোমাকে দশটা গোষ্ঠীর ভার দেব।
32 θέλει μένει όμως εις αυτόν μία φυλή, χάριν του δούλου μου Δαβίδ και χάριν της Ιερουσαλήμ, της πόλεως, την οποίαν εξέλεξα εκ πασών των φυλών του Ισραήλ·
৩২কিন্তু আমার দাস দায়ূদের জন্য ও ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠীর এলাকা থেকে আমার বেছে নেওয়া যিরূশালেমের জন্য কেবল একটা গোষ্ঠী শলোমনের হাতে থাকবে।
33 διότι με εγκατέλιπον και ελάτρευσαν Αστάρτην την θεάν των Σιδωνίων, Χεμώς τον θεόν των Μωαβιτών και Μελχώμ τον θεόν των υιών Αμμών· και δεν περιεπάτησαν εις τας οδούς μου διά να πράττωσι το ευθές ενώπιόν μου, και να φυλάττωσι τα διατάγματά μου και τας κρίσεις μου, ως Δαβίδ ο πατήρ αυτού·
৩৩আমি এটা করব, কারণ সেই দশ গোষ্ঠী আমাকে ত্যাগ করে সীদোনীয়দের দেবী অষ্টোরতের, মোয়াবের দেবতা কমোশের ও অম্মোনীয়দের দেবতা মিলকমের পূজা করেছে। শলোমনের বাবা দায়ূদ যেমন করতেন তারা তেমন করে নি। তারা আমার পথে চলেনি, আমার চোখে যা ঠিক তা করে নি এবং আমার নিয়ম ও নির্দেশ পালন করে নি।
34 δεν θέλω όμως λάβει πάσαν την βασιλείαν εκ της χειρός αυτού, αλλά θέλω διατηρήσει αυτόν ηγεμόνα πάσας τας ημέρας της ζωής αυτού, χάριν Δαβίδ του δούλου μου, τον οποίον εξέλεξα, διότι εφύλαττε τας εντολάς μου και τα διατάγματά μου·
৩৪তবুও আমি শলোমনের হাত থেকে গোটা রাজ্যটা নিয়ে নেব না। আমার দাস দায়ূদ, যাকে আমি বেছে নিয়েছিলাম এবং যে আমার আদেশ ও নিয়ম পালন করত, তার জন্যই আমি শলোমনকে সারা জীবনের জন্য রাজপদে রাখব।
35 θέλω όμως λάβει την βασιλείαν εκ της χειρός του υιού αυτού και δώσει αυτήν εις σε, τας δέκα φυλάς·
৩৫আমি তার ছেলের হাত থেকে রাজ্যটা নিয়ে তোমার হাতে দশটা গোষ্ঠীর ভার দেব।
36 εις δε τον υιόν αυτού θέλω δώσει μίαν φυλήν, διά να έχη Δαβίδ ο δούλός μου λύχνον πάντοτε έμπροσθέν μου εν Ιερουσαλήμ, τη πόλει την οποίαν εξέλεξα εις εμαυτόν διά να θέσω το όνομά μου εκεί.
৩৬আমার বাসস্থান হিসাবে বেছে নেওয়া যিরূশালেম শহরে যেন আমার সামনে আমার দাস দায়ূদের একটা প্রদীপ থাকে সেইজন্য আমি তার ছেলেকে একটা গোষ্ঠীর ভার দেব।
37 και σε θέλω λάβει, και θέλεις βασιλεύσει κατά πάντα όσα η ψυχή σου επιθυμεί και θέλεις είσθαι βασιλεύς επί τον Ισραήλ·
৩৭কিন্তু আমি তোমাকেই ইস্রায়েলের উপর রাজা করব আর তুমি তোমার প্রাণের সমস্ত ইচ্ছা অনুসারে রাজত্ব করবে।
38 και εάν εισακούσης εις πάντα όσα σε προστάζω και περιπατής εις τας οδούς μου και πράττης το ευθές ενώπιόν μου, φυλάττων τα διατάγματά μου και τας εντολάς μου, καθώς έκαμνε Δαβίδ ο δούλός μου, τότε θέλω είσθαι μετά σου και θέλω οικοδομήσει εις σε οίκον ασφαλή, καθώς ωκοδόμησα εις τον Δαβίδ, και θέλω δώσει τον Ισραήλ εις σέ·
৩৮যদি তুমি আমার আদেশ অনুসারে কাজ কর এবং আমার পথে চল আর আমার দাস দায়ূদের মত আমার নিয়ম ও আদেশ পালন করে আমার চোখে যা ঠিক তাই কর তবে আমি তোমার সঙ্গে থাকব। আমি দায়ূদের মতই তোমার বংশে রাজপদ স্থায়ী করব এবং তোমার হাতে ইস্রায়েলকে দেব।
39 και θέλω κακουχήσει το σπέρμα του Δαβίδ διά τούτο, πλην ουχί διά παντός.
৩৯তাদের অবাধ্যতার জন্য আমি দায়ূদের বংশধরদের নীচু করব, কিন্তু চিরদিনের র জন্য নয়’।”
40 Όθεν εζήτησεν ο Σολομών να θανατώση τον Ιεροβοάμ. Και σηκωθείς ο Ιεροβοάμ, έφυγεν εις Αίγυπτον προς Σισάκ τον βασιλέα της Αιγύπτου, και ήτο εν Αιγύπτω εωσού απέθανεν ο Σολομών.
৪০সেইজন্য শলোমন যারবিয়ামকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু তিনি মিশরের রাজা শীশকের কাছে পালিয়ে গেলেন এবং শলোমনের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকলেন।
41 Αι δε λοιπαί των πράξεων του Σολομώντος και πάντα όσα έκαμε, και η σοφία αυτού, δεν είναι γεγραμμένα εν τω βιβλίω των πράξεων του Σολομώντος;
৪১রাজত্বের বাকি ঘটনার কথা, অর্থাৎ তাঁর কাজ ও জ্ঞানের কথা শলোমনের রাজত্বের ইতিহাসের বইয়ে কি লেখা নেই?
42 Αι δε ημέραι, όσας εβασίλευσεν ο Σολομών εν Ιερουσαλήμ επί πάντα τον Ισραήλ, ήσαν τεσσαράκοντα έτη.
৪২শলোমন যিরূশালেমে চল্লিশ বছর ধরে গোটা ইস্রায়েল জাতির উপর রাজত্ব করেছিলেন।
43 Και εκοιμήθη ο Σολομών μετά των πατέρων αυτού και ετάφη εν τη πόλει Δαβίδ του πατρός αυτού· και εβασίλευσεν αντ' αυτού Ροβοάμ ο υιός αυτού.
৪৩তারপর তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন। তাঁকে তাঁর বাবা দায়ূদের শহরে কবর দেওয়া হল। তারপর তাঁর ছেলে রহবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
