Κατα Ματθαιον 18
1 εν εκεινη τη ωρα προσηλθον οι μαθηται τω ιησου λεγοντεσ τισ αρα μειζων εστιν εν τη βασιλεια των ουρανων
সেই সময়ে, শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “স্বর্গরাজ্যে কে শ্রেষ্ঠ?”
2 και προσκαλεσαμενοσ ο ιησουσ παιδιον εστησεν αυτο εν μεσω αυτων
তিনি একটি ছোটো শিশুকে তাঁর কাছে ডেকে সবার মাঝে দাঁড় করালেন।
3 και ειπεν αμην λεγω υμιν εαν μη στραφητε και γενησθε ωσ τα παιδια ου μη εισελθητε εισ την βασιλειαν των ουρανων
তিনি বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা মন পরিবর্তন করে যদি এই ছোটো শিশুদের মতো না হও তবে কোনোমতেই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
4 οστισ ουν ταπεινωσει εαυτον ωσ το παιδιον τουτο ουτοσ εστιν ο μειζων εν τη βασιλεια των ουρανων
অতএব, যে কেউ এই শিশুর মতো নিজেকে নম্র করে, সেই স্বর্গরাজ্যে সব থেকে মহান।
5 και οσ εαν δεξηται παιδιον τοιουτον εν επι τω ονοματι μου εμε δεχεται
আবার যে কেউ এর মতো এক ছোটো শিশুকে স্বাগত জানায়, সে আমাকেই স্বাগত জানায়।
6 οσ δ αν σκανδαλιση ενα των μικρων τουτων των πιστευοντων εισ εμε συμφερει αυτω ινα κρεμασθη μυλοσ ονικοσ εισ τον τραχηλον αυτου και καταποντισθη εν τω πελαγει τησ θαλασσησ
“কিন্তু এই ছোটো শিশুদের যারা আমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কোনো একজনকে কেউ যদি পাপ করতে বাধ্য করে, তাহলে তার গলায় বড়ো একটি জাঁতা বেঁধে সমুদ্রের অথৈ জলে ডুবিয়ে দেওয়া তার পক্ষে ভালো হবে।
7 ουαι τω κοσμω απο των σκανδαλων αναγκη γαρ εστιν ελθειν τα σκανδαλα πλην ουαι τω ανθρωπω εκεινω δι ου το σκανδαλον ερχεται
ধিক্কার সেই জগৎকে কারণ জগতের বিভিন্ন প্রলোভন মানুষকে পাপের মুখে ফেলে। এসব বিষয় অবশ্যই উপস্থিত হবে, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে যার দ্বারা তা উপস্থিত হবে!
8 ει δε η χειρ σου η ο πουσ σου σκανδαλιζει σε εκκοψον αυτα και βαλε απο σου καλον σοι εστιν εισελθειν εισ την ζωην χωλον η κυλλον η δυο χειρασ η δυο ποδασ εχοντα βληθηναι εισ το πυρ το αιωνιον (aiōnios g166)
যদি তোমার হাত বা পা যদি পাপের কারণ হয়, তা কেটে ফেলে দাও। কারণ দু-হাত ও দুই পা নিয়ে নরকের অনির্বাণ আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভালো। (aiōnios g166)
9 και ει ο οφθαλμοσ σου σκανδαλιζει σε εξελε αυτον και βαλε απο σου καλον σοι εστιν μονοφθαλμον εισ την ζωην εισελθειν η δυο οφθαλμουσ εχοντα βληθηναι εισ την γεενναν του πυροσ (Geenna g1067)
আর তোমার চোখ যদি পাপের কারণ হয়, তাহলে তা উপড়ে ফেলো ও ছুঁড়ে ফেলে দাও। দুই চোখ নিয়ে নরকের আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং এক চোখ নিয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার পক্ষে ভালো। (Geenna g1067)
10 ορατε μη καταφρονησητε ενοσ των μικρων τουτων λεγω γαρ υμιν οτι οι αγγελοι αυτων εν ουρανοισ δια παντοσ βλεπουσιν το προσωπον του πατροσ μου του εν ουρανοισ
“দেখো, এই ছোটো শিশুদের একজনকেও যেন কেউ তুচ্ছজ্ঞান না করে। কারণ আমি তোমাদের বলছি, স্বর্গে তাদের দূতেরা প্রতিনিয়ত আমার স্বর্গস্থ পিতার মুখদর্শন করে থাকেন।
11 ηλθεν γαρ ο υιοσ του ανθρωπου σωσαι το απολωλοσ
12 τι υμιν δοκει εαν γενηται τινι ανθρωπω εκατον προβατα και πλανηθη εν εξ αυτων ουχι αφεισ τα ενενηκοντα εννεα επι τα ορη πορευθεισ ζητει το πλανωμενον
“তোমরা কী মনে করো? কোনো মানুষের যদি একশোটি মেষ থাকে এবং তাদের মধ্যে কোনো একটি যদি ভুল পথে যায়, তাহলে সে কি নিরানব্বইটি মেষ পাহাড়ের উপরে ছেড়ে ভুল পথে যাওয়া সেই মেষটি খুঁজতে যাবে না?
13 και εαν γενηται ευρειν αυτο αμην λεγω υμιν οτι χαιρει επ αυτω μαλλον η επι τοισ ενενηκοντα εννεα τοισ μη πεπλανημενοισ
আর যদি সে সেটি খুঁজে পায়, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে নিরানব্বইটি মেষ ভুল পথে যায়নি, সেগুলির চেয়ে সে ওই একটি মেষের জন্য বেশি আনন্দিত হবে।
14 ουτωσ ουκ εστιν θελημα εμπροσθεν του πατροσ υμων του εν ουρανοισ ινα αποληται εισ των μικρων τουτων
একইভাবে, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার এমন ইচ্ছা নয় যে এই ক্ষুদ্রজনেদের মধ্যে একজনও হারিয়ে যায়।
15 εαν δε αμαρτηση εισ σε ο αδελφοσ σου υπαγε και ελεγξον αυτον μεταξυ σου και αυτου μονου εαν σου ακουση εκερδησασ τον αδελφον σου
“তোমার ভাই অথবা বোন যদি তোমার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ করে, তাহলে যাও, যখন তোমরা দুজন থাকো, তার দোষ তাকে দেখিয়ে দাও। যদি সে তোমার কথা শোনে, তাহলে তুমি তোমার ভাইকে জয় করলে।
16 εαν δε μη ακουση παραλαβε μετα σου ετι ενα η δυο ινα επι στοματοσ δυο μαρτυρων η τριων σταθη παν ρημα
কিন্তু সে যদি কথা না শোনে, তাহলে আরও দুই একজনকে সঙ্গে নিয়ে যাও, যেন ‘দুই বা তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে কোনো বিষয় সত্যি বলে প্রমাণিত হবে।’
17 εαν δε παρακουση αυτων ειπε τη εκκλησια εαν δε και τησ εκκλησιασ παρακουση εστω σοι ωσπερ ο εθνικοσ και ο τελωνησ
যদি সে তাদের কথাও শুনতে না চায়, তাহলে মণ্ডলীকে বলো; আর সে যদি মণ্ডলীর কথাও শুনতে না চায়, তাহলে পরজাতীয় বা কর আদায়কারীদের সঙ্গে তুমি যে রকম ব্যবহার করো, তার সঙ্গে তেমনই করো।
18 αμην λεγω υμιν οσα εαν δησητε επι τησ γησ εσται δεδεμενα εν τω ουρανω και οσα εαν λυσητε επι τησ γησ εσται λελυμενα εν τω ουρανω
“আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা পৃথিবীতে যা আবদ্ধ করবে তা স্বর্গেও আবদ্ধ হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু মুক্ত করবে তা স্বর্গেও মুক্ত হবে।
19 παλιν αμην λεγω υμιν οτι εαν δυο υμων συμφωνησωσιν επι τησ γησ περι παντοσ πραγματοσ ου εαν αιτησωνται γενησεται αυτοισ παρα του πατροσ μου του εν ουρανοισ
“আবার, আমি সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে দুজন এই পৃথিবীতে একমত হয়ে যা কিছু চাইবে, আমার স্বর্গস্থ পিতা তোমাদের জন্য তাই করবেন।
20 ου γαρ εισιν δυο η τρεισ συνηγμενοι εισ το εμον ονομα εκει ειμι εν μεσω αυτων
কারণ যেখানে দুই কিংবা তিনজন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাদের মধ্যে উপস্থিত।”
21 τοτε προσελθων αυτω ο πετροσ ειπεν κυριε ποσακισ αμαρτησει εισ εμε ο αδελφοσ μου και αφησω αυτω εωσ επτακισ
তখন পিতর যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রভু, আমার ভাই কতবার আমার বিরুদ্ধে অপরাধ করলে আমি তাকে ক্ষমা করব? সাতবার পর্যন্ত?”
22 λεγει αυτω ο ιησουσ ου λεγω σοι εωσ επτακισ αλλ εωσ εβδομηκοντακισ επτα
যীশু উত্তর দিলেন, “আমি তোমাকে বলছি, সাতবার নয়, কিন্তু সত্তর গুণ সাতবার পর্যন্ত।
23 δια τουτο ωμοιωθη η βασιλεια των ουρανων ανθρωπω βασιλει οσ ηθελησεν συναραι λογον μετα των δουλων αυτου
“এই কারণে স্বর্গরাজ্য এমন এক রাজার মতো, যিনি তাঁর দাসদের কাছে হিসেব চাইলেন।
24 αρξαμενου δε αυτου συναιρειν προσηνεχθη αυτω εισ οφειλετησ μυριων ταλαντων
হিসেব নিকেশ করার সময় একজন দাস, যে তাঁর কাছে দশ হাজার তালন্তের ঋণী ছিল, তাকে নিয়ে আসা হল।
25 μη εχοντοσ δε αυτου αποδουναι εκελευσεν αυτον ο κυριοσ αυτου πραθηναι και την γυναικα αυτου και τα τεκνα και παντα οσα ειχεν και αποδοθηναι
যেহেতু সে ঋণ শোধ করতে অক্ষম ছিল, তাঁর মনিব আদেশ দিলেন যেন তাকে, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ও তার সর্বস্ব বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করা হয়।
26 πεσων ουν ο δουλοσ προσεκυνει αυτω λεγων κυριε μακροθυμησον επ εμοι και παντα σοι αποδωσω
“এতে সেই দাস তাঁর সামনে নতজানু হয়ে পড়ল, ‘আমার প্রতি ধৈর্য ধরুন,’ সে মিনতি জানাল, ‘আমি সব দেনা শোধ করে দেব।’
27 σπλαγχνισθεισ δε ο κυριοσ του δουλου εκεινου απελυσεν αυτον και το δανειον αφηκεν αυτω
সেই দাসের মনিব তাঁকে দয়া করে তার ঋণ মকুব করলেন ও তাকে চলে যেতে দিলেন।
28 εξελθων δε ο δουλοσ εκεινοσ ευρεν ενα των συνδουλων αυτου οσ ωφειλεν αυτω εκατον δηναρια και κρατησασ αυτον επνιγεν λεγων αποδοσ μοι ει τι οφειλεισ
“কিন্তু সেই দাস বাইরে গিয়ে তার এক সহদাসকে দেখতে পেল। সে তার কাছে মাত্র একশো দিনার ঋণ করেছিল। সে তাকে ধরে তার গলা টিপে দাবি করল, ‘আমার কাছে যে ঋণ করেছিস তা শোধ কর।’
29 πεσων ουν ο συνδουλοσ αυτου εισ τουσ ποδασ αυτου παρεκαλει αυτον λεγων μακροθυμησον επ εμοι και αποδωσω σοι
“তার সহদাস তার পায়ে পড়ে মিনতি করল, ‘আমার প্রতি ধৈর্য ধরুন, আমি আপনার ঋণ শোধ করে দেব!’
30 ο δε ουκ ηθελεν αλλα απελθων εβαλεν αυτον εισ φυλακην εωσ ου αποδω το οφειλομενον
“সে কিন্তু শুনতে চাইল না। পরিবর্তে, সে চলে গিয়ে ঋণ শোধ না করা পর্যন্ত তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখল।
31 ιδοντεσ δε οι συνδουλοι αυτου τα γενομενα ελυπηθησαν σφοδρα και ελθοντεσ διεσαφησαν τω κυριω εαυτων παντα τα γενομενα
অন্য সব সহদাস যখন এসব ঘটতে দেখল, তারা অত্যন্ত রেগে গিয়ে তাদের মনিবকে যা ঘটেছিল সব বলল।
32 τοτε προσκαλεσαμενοσ αυτον ο κυριοσ αυτου λεγει αυτω δουλε πονηρε πασαν την οφειλην εκεινην αφηκα σοι επει παρεκαλεσασ με
“তখন মনিব সেই দাসকে ভিতরে ডাকলেন। তিনি বললেন, ‘দুষ্ট দাস তুমি, আমার কাছে তুমি মিনতি করায় আমি তোমার সব ঋণ মকুব করেছিলাম।
33 ουκ εδει και σε ελεησαι τον συνδουλον σου ωσ και εγω σε ηλεησα
আমি যেমন তোমাকে দয়া করেছিলাম, তোমারও কি উচিত ছিল না তোমার সহদাসকে দয়া করা?’
34 και οργισθεισ ο κυριοσ αυτου παρεδωκεν αυτον τοισ βασανισταισ εωσ ου αποδω παν το οφειλομενον αυτω
ক্রুদ্ধ হয়ে তার মনিব তাকে কারাধ্যক্ষদের হাতে নিপীড়িত হওয়ার জন্য সমর্পণ করলেন, যতদিন না পর্যন্ত সে তার সমস্ত ঋণ শোধ করে।
35 ουτωσ και ο πατηρ μου ο επουρανιοσ ποιησει υμιν εαν μη αφητε εκαστοσ τω αδελφω αυτου απο των καρδιων υμων τα παραπτωματα αυτων
“তোমরা যদি প্রত্যেকে তোমাদের ভাইকে মনেপ্রাণে ক্ষমা না করো, তাহলে আমার স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের প্রতি এরকমই আচরণ করবেন।”
