Ψαλμοί 35
1 τῷ Δαυιδ δίκασον κύριε τοὺς ἀδικοῦντάς με πολέμησον τοὺς πολεμοῦντάς με
দাউদের গীত। হে সদাপ্রভু, যারা আমার সঙ্গে বিবাদ করে, তাদের সঙ্গে তুমি বিবাদ করো; যারা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদের বিরুদ্ধে তুমি যুদ্ধ করো।
2 ἐπιλαβοῦ ὅπλου καὶ θυρεοῦ καὶ ἀνάστηθι εἰς βοήθειάν μου
ঢাল ও বর্ম পরিধান করো; ওঠো, আর আমার সাহায্যের জন্য এসো।
3 ἔκχεον ῥομφαίαν καὶ σύγκλεισον ἐξ ἐναντίας τῶν καταδιωκόντων με εἰπὸν τῇ ψυχῇ μου σωτηρία σου ἐγώ εἰμι
যারা আমাকে ধাওয়া করে তাদের বিরুদ্ধে বর্শা ও বল্লম তুলে নাও। আমাকে বলো, “আমিই তোমার পরিত্রাণ।”
4 αἰσχυνθήτωσαν καὶ ἐντραπήτωσαν οἱ ζητοῦντες τὴν ψυχήν μου ἀποστραφήτωσαν εἰς τὰ ὀπίσω καὶ καταισχυνθήτωσαν οἱ λογιζόμενοί μοι κακά
যারা আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করে তারা অপমানিত হোক ও লজ্জায় নত হোক; যারা আমার ধ্বংসের চক্রান্ত করে তারা হতাশায় ফিরে যাক।
5 γενηθήτωσαν ὡσεὶ χνοῦς κατὰ πρόσωπον ἀνέμου καὶ ἄγγελος κυρίου ἐκθλίβων αὐτούς
বাতাসে তুষের মতো ওদের অবস্থা হোক, সদাপ্রভুর দূত তাদের বিতাড়িত করুক;
6 γενηθήτω ἡ ὁδὸς αὐτῶν σκότος καὶ ὀλίσθημα καὶ ἄγγελος κυρίου καταδιώκων αὐτούς
তাদের চলার পথ অন্ধকারাচ্ছন্ন ও পিচ্ছিল হোক, আর সদাপ্রভুর দূত তাদের পিছনে ধাওয়া করুক।
7 ὅτι δωρεὰν ἔκρυψάν μοι διαφθορὰν παγίδος αὐτῶν μάτην ὠνείδισαν τὴν ψυχήν μου
যেহেতু ওরা অকারণে আমার জন্য গোপন ফাঁদ পেতেছে, আর অকারণেই আমার জন্য গর্ত খুঁড়েছে,
8 ἐλθέτω αὐτοῖς παγίς ἣν οὐ γινώσκουσιν καὶ ἡ θήρα ἣν ἔκρυψαν συλλαβέτω αὐτούς καὶ ἐν τῇ παγίδι πεσοῦνται ἐν αὐτῇ
অতর্কিতে তাদের উপর যেন ধ্বংস নেমে আসে— ওদের পাতা গোপন ফাঁদে যেন ওরা নিজেরাই ধরা পড়ে, ওদের খোঁড়া গর্তে যেন ওরা পড়ে আর ধ্বংস হয়।
9 ἡ δὲ ψυχή μου ἀγαλλιάσεται ἐπὶ τῷ κυρίῳ τερφθήσεται ἐπὶ τῷ σωτηρίῳ αὐτοῦ
তখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে আমার প্রাণ আনন্দিত হবে, আর তাঁর পরিত্রাণে উল্লসিত হবে।
10 πάντα τὰ ὀστᾶ μου ἐροῦσιν κύριε τίς ὅμοιός σοι ῥυόμενος πτωχὸν ἐκ χειρὸς στερεωτέρων αὐτοῦ καὶ πτωχὸν καὶ πένητα ἀπὸ τῶν διαρπαζόντων αὐτόν
আমার সমগ্র সত্তা বলবে, “তোমার মতো কে আছে, হে সদাপ্রভু? তুমি শক্তিমানের হাত থেকে দুর্বলকে রক্ষা করো, লুণ্ঠনকারীদের হাত থেকে দুর্বল ও দরিদ্রদের রক্ষা করো।”
11 ἀναστάντες μάρτυρες ἄδικοι ἃ οὐκ ἐγίνωσκον ἠρώτων με
দুষ্ট সাক্ষীর দল এগিয়ে আসছে; আমার অজানা বিষয় নিয়ে তারা আমাকে প্রশ্ন করে।
12 ἀνταπεδίδοσάν μοι πονηρὰ ἀντὶ καλῶν καὶ ἀτεκνίαν τῇ ψυχῇ μου
উপকারের প্রতিদানে ওরা আমার অপকার করে, আমি শোকার্ত হয়ে রইলাম।
13 ἐγὼ δὲ ἐν τῷ αὐτοὺς παρενοχλεῖν μοι ἐνεδυόμην σάκκον καὶ ἐταπείνουν ἐν νηστείᾳ τὴν ψυχήν μου καὶ ἡ προσευχή μου εἰς κόλπον μου ἀποστραφήσεται
কিন্তু ওরা যখন পীড়িত ছিল, আমি দুঃখে তখন চট পরেছিলাম, উপবাস করে নিজেকে নম্র করেছিলাম, কিন্তু আমার প্রার্থনা নিরুত্তর হয়ে আমার কাছে ফিরে এল।
14 ὡς πλησίον ὡς ἀδελφὸν ἡμέτερον οὕτως εὐηρέστουν ὡς πενθῶν καὶ σκυθρωπάζων οὕτως ἐταπεινούμην
আমি শোকার্ত হয়ে রইলাম, যেন তারা আমার বন্ধু বা পরিবার ছিল, বিষাদে আমি মাথা নত করেছিলাম যেন আমি নিজের মায়ের শোকে বিলাপ করছিলাম।
15 καὶ κατ’ ἐμοῦ ηὐφράνθησαν καὶ συνήχθησαν συνήχθησαν ἐπ’ ἐμὲ μάστιγες καὶ οὐκ ἔγνων διεσχίσθησαν καὶ οὐ κατενύγησαν
কিন্তু যখন আমি হোঁচট খেলাম, তখন ওরা আনন্দে সমবেত হল, আক্রমণকারীরা আমার অজান্তে আমার বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হল। ক্ষান্ত না হয়ে তারা আমাকে বিদীর্ণ করল।
16 ἐπείρασάν με ἐξεμυκτήρισάν με μυκτηρισμόν ἔβρυξαν ἐπ’ ἐμὲ τοὺς ὀδόντας αὐτῶν
অধার্মিকের মতো তারা আমাকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে, তারা আমার প্রতি দন্তঘর্ষণ করে।
17 κύριε πότε ἐπόψῃ ἀποκατάστησον τὴν ψυχήν μου ἀπὸ τῆς κακουργίας αὐτῶν ἀπὸ λεόντων τὴν μονογενῆ μου
আর কত কাল, হে প্রভু, তুমি নীরবে দেখবে? ওদের হিংস্র আক্রমণ থেকে আমাকে রক্ষা করো, ওইসব সিংহের গ্রাস থেকে আমার জীবন বাঁচাও।
18 ἐξομολογήσομαί σοι κύριε ἐν ἐκκλησίᾳ πολλῇ ἐν λαῷ βαρεῖ αἰνέσω σε
মহাসমাবেশে আমি তোমাকে ধন্যবাদ জানাব; অগণিত মানুষের মাঝে আমি তোমার প্রশংসা করব।
19 μὴ ἐπιχαρείησάν μοι οἱ ἐχθραίνοντές μοι ἀδίκως οἱ μισοῦντές με δωρεὰν καὶ διανεύοντες ὀφθαλμοῖς
যারা অকারণে আমার শত্রু হয়েছে তারা যেন আমার পরাজয়ে উল্লসিত না হয়; যারা অকারণে আমায় ঘৃণা করে তারা যেন পরহিংসায় আমার প্রতি কটাক্ষ না করে।
20 ὅτι ἐμοὶ μὲν εἰρηνικὰ ἐλάλουν καὶ ἐπ’ ὀργὴν δόλους διελογίζοντο
তারা শান্তির কথা বলে না; কিন্তু যারা জগতে শান্তিতে বসবাস করে তাদেরই বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ রচনা করে।
21 καὶ ἐπλάτυναν ἐπ’ ἐμὲ τὸ στόμα αὐτῶν εἶπαν εὖγε εὖγε εἶδαν οἱ ὀφθαλμοὶ ἡμῶν
তারা আমার প্রতি অবজ্ঞা করে আর বলে, “হা! হা! আমরা নিজেদের চোখে এসব দেখেছি।”
22 εἶδες κύριε μὴ παρασιωπήσῃς κύριε μὴ ἀποστῇς ἀπ’ ἐμοῦ
হে সদাপ্রভু, তুমি সবই দেখেছ, তুমি নীরব থেকো না। হে প্রভু, তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না।
23 ἐξεγέρθητι κύριε καὶ πρόσχες τῇ κρίσει μου ὁ θεός μου καὶ ὁ κύριός μου εἰς τὴν δίκην μου
জেগে ওঠো এবং আমায় সমর্থন করো! আমার পক্ষে দাঁড়াও, হে আমার ঈশ্বর ও প্রভু।
24 κρῖνόν με κατὰ τὴν δικαιοσύνην σου κύριε ὁ θεός μου καὶ μὴ ἐπιχαρείησάν μοι
তোমার ধার্মিকতায় আমাকে নির্দোষ ঘোষণা করো, হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর; আমাকে নিয়ে তাদের উল্লাস করতে দিয়ো না।
25 μὴ εἴπαισαν ἐν καρδίαις αὐτῶν εὖγε εὖγε τῇ ψυχῇ ἡμῶν μηδὲ εἴπαισαν κατεπίομεν αὐτόν
তাদের ভাবতে দিয়ো না, “আহা! আমরা যা চেয়েছি, তাই ঘটেছে!” অথবা না বলে, “আমরা ওকে গ্রাস করেছি।”
26 αἰσχυνθείησαν καὶ ἐντραπείησαν ἅμα οἱ ἐπιχαίροντες τοῖς κακοῖς μου ἐνδυσάσθωσαν αἰσχύνην καὶ ἐντροπὴν οἱ μεγαλορρημονοῦντες ἐπ’ ἐμέ
যারা আমার দুর্দশায় উল্লসিত হয় তারা যেন লজ্জিত ও অপমানিত হয়; যারা আমার উপরে নিজেদের উন্নত করে তারা সবাই যেন লজ্জায় ও অসম্মানে আবৃত হয়।
27 ἀγαλλιάσαιντο καὶ εὐφρανθείησαν οἱ θέλοντες τὴν δικαιοσύνην μου καὶ εἰπάτωσαν διὰ παντός μεγαλυνθήτω ὁ κύριος οἱ θέλοντες τὴν εἰρήνην τοῦ δούλου αὐτοῦ
যারা আমার নির্দোষিতা প্রমাণে আনন্দ পায়, তারা আনন্দধ্বনি করুক, আহ্লাদিত হোক; তারা সর্বক্ষণ বলুক, “সদাপ্রভু মহিমান্বিত হোন, যিনি তাঁর দাসের কল্যাণে নিত্য আনন্দিত।”
28 καὶ ἡ γλῶσσά μου μελετήσει τὴν δικαιοσύνην σου ὅλην τὴν ἡμέραν τὸν ἔπαινόν σου
আমার জিভ তোমার ধার্মিকতা প্রচার করবে, সারাদিন তোমার প্রশংসাগান গাইবে।
