< Ψαλμοί 102 >
1 προσευχὴ τῷ πτωχῷ ὅταν ἀκηδιάσῃ καὶ ἐναντίον κυρίου ἐκχέῃ τὴν δέησιν αὐτοῦ εἰσάκουσον κύριε τῆς προσευχῆς μου καὶ ἡ κραυγή μου πρὸς σὲ ἐλθάτω
এক পীড়িত ব্যক্তির প্রার্থনা যে দুর্বল হয়েছিল আর সদাপ্রভুর কাছে তার বিলাপের কথা মন খুলে বলেছিল। হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শোনো; আমার সাহায্যের প্রার্থনা তোমার কাছে উপস্থিত হোক।
2 μὴ ἀποστρέψῃς τὸ πρόσωπόν σου ἀπ’ ἐμοῦ ἐν ᾗ ἂν ἡμέρᾳ θλίβωμαι κλῖνον τὸ οὖς σου πρός με ἐν ᾗ ἂν ἡμέρᾳ ἐπικαλέσωμαί σε ταχὺ εἰσάκουσόν μου
যখন আমি সংকটে আছি তোমার মুখ আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখো না। আমার দিকে কর্ণপাত করো; যখন আমি তোমাকে ডাকি, তাড়াতাড়ি আমাকে উত্তর দিয়ো।
3 ὅτι ἐξέλιπον ὡσεὶ καπνὸς αἱ ἡμέραι μου καὶ τὰ ὀστᾶ μου ὡσεὶ φρύγιον συνεφρύγησαν
আমার দিনগুলি ধোঁয়ার মতো মিলিয়ে যায়; আমার হাড়গোড় কয়লার মতো জ্বলছে।
4 ἐπλήγη ὡσεὶ χόρτος καὶ ἐξηράνθη ἡ καρδία μου ὅτι ἐπελαθόμην τοῦ φαγεῖν τὸν ἄρτον μου
আমার হৃদয় ক্ষয় হয়েছে আর ঘাসের মতো শুকিয়ে গিয়েছে; আমি খাবার খেতে ভুলে যাই।
5 ἀπὸ φωνῆς τοῦ στεναγμοῦ μου ἐκολλήθη τὸ ὀστοῦν μου τῇ σαρκί μου
আমার দুর্দশায় আমি আর্তনাদ করি আর আমি চামড়া ও হাড়ে পরিণত হয়েছি।
6 ὡμοιώθην πελεκᾶνι ἐρημικῷ ἐγενήθην ὡσεὶ νυκτικόραξ ἐν οἰκοπέδῳ
আমি মরুভূমির প্যাঁচার মতো, ধ্বংসের মাঝে প্যাঁচার মতো হয়েছি।
7 ἠγρύπνησα καὶ ἐγενήθην ὡσεὶ στρουθίον μονάζον ἐπὶ δώματι
আমি সজাগ থাকি; ছাদের উপরে একা এক পাখির মতো হয়েছি।
8 ὅλην τὴν ἡμέραν ὠνείδιζόν με οἱ ἐχθροί μου καὶ οἱ ἐπαινοῦντές με κατ’ ἐμοῦ ὤμνυον
দিনের পর দিন আমার শত্রুরা আমাকে বিদ্রুপ করে; যারা আমার প্রতি ক্রুদ্ধ তারা আমার নামে অভিশাপ দেয়।
9 ὅτι σποδὸν ὡσεὶ ἄρτον ἔφαγον καὶ τὸ πόμα μου μετὰ κλαυθμοῦ ἐκίρνων
কেননা আমি খাবারের পরিবর্তে ছাই খেয়েছি আর আমার পানীয়র সঙ্গে চোখের জল মিশিয়েছি
10 ἀπὸ προσώπου τῆς ὀργῆς σου καὶ τοῦ θυμοῦ σου ὅτι ἐπάρας κατέρραξάς με
তোমার মহা ক্রোধের কারণে, কেননা তুমি আমাকে তুলে ছুঁড়ে ফেলেছ।
11 αἱ ἡμέραι μου ὡσεὶ σκιὰ ἐκλίθησαν καὶ ἐγὼ ὡσεὶ χόρτος ἐξηράνθην
আমার দিন সন্ধ্যার ছায়ার মতো হয়েছে; আমি ঘাসের মতো শুকিয়ে যাই।
12 σὺ δέ κύριε εἰς τὸν αἰῶνα μένεις καὶ τὸ μνημόσυνόν σου εἰς γενεὰν καὶ γενεάν
কিন্তু তুমি, হে সদাপ্রভু, চিরকাল সিংহাসনে অধিষ্ঠিত; তোমার সুখ্যাতি বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
13 σὺ ἀναστὰς οἰκτιρήσεις τὴν Σιων ὅτι καιρὸς τοῦ οἰκτιρῆσαι αὐτήν ὅτι ἥκει καιρός
তুমি জাগ্রত হবে আর জেরুশালেমের প্রতি করুণা করবে, কারণ এখন তার প্রতি অনুগ্রহ দেখানোর সময়; নির্ধারিত সময় উপস্থিত হয়েছে।
14 ὅτι εὐδόκησαν οἱ δοῦλοί σου τοὺς λίθους αὐτῆς καὶ τὸν χοῦν αὐτῆς οἰκτιρήσουσιν
কারণ তোমার সেবকেরা তার প্রাচীরের প্রত্যেকটি পাথর ভালোবাসে; এমনকি তার ধুলোর প্রতি যত্ন করে।
15 καὶ φοβηθήσονται τὰ ἔθνη τὸ ὄνομα κυρίου καὶ πάντες οἱ βασιλεῖς τῆς γῆς τὴν δόξαν σου
সমস্ত জাতি সদাপ্রভুর নামে সম্ভ্রম করবে, জগতের রাজারা সবাই তোমার মহিমায় গভীর শ্রদ্ধা করবে।
16 ὅτι οἰκοδομήσει κύριος τὴν Σιων καὶ ὀφθήσεται ἐν τῇ δόξῃ αὐτοῦ
কারণ সদাপ্রভু আবার জেরুশালেম নির্মাণ করবেন এবং তাঁর মহিমায় আবির্ভূত হবেন।
17 ἐπέβλεψεν ἐπὶ τὴν προσευχὴν τῶν ταπεινῶν καὶ οὐκ ἐξουδένωσεν τὴν δέησιν αὐτῶν
যে নিঃস্ব তার প্রার্থনায় সদাপ্রভু উত্তর দেবেন; তাদের নিবেদন তিনি অবজ্ঞা করবেন না।
18 γραφήτω αὕτη εἰς γενεὰν ἑτέραν καὶ λαὸς ὁ κτιζόμενος αἰνέσει τὸν κύριον
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এসব লেখা হোক, যারা সৃষ্ট হবে তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে:
19 ὅτι ἐξέκυψεν ἐξ ὕψους ἁγίου αὐτοῦ κύριος ἐξ οὐρανοῦ ἐπὶ τὴν γῆν ἐπέβλεψεν
“সদাপ্রভু উচ্চ পবিত্রস্থান থেকে নিচে দেখলেন, স্বর্গ থেকে তিনি জগতের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন,
20 τοῦ ἀκοῦσαι τὸν στεναγμὸν τῶν πεπεδημένων τοῦ λῦσαι τοὺς υἱοὺς τῶν τεθανατωμένων
বন্দিদের আর্তনাদ শোনার জন্য, আর যারা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তাদের মুক্ত করার জন্য।”
21 τοῦ ἀναγγεῖλαι ἐν Σιων τὸ ὄνομα κυρίου καὶ τὴν αἴνεσιν αὐτοῦ ἐν Ιερουσαλημ
তাই সদাপ্রভুর নাম সিয়োনে এবং তাঁর প্রশংসা জেরুশালেমে প্রচার করা হবে,
22 ἐν τῷ συναχθῆναι λαοὺς ἐπὶ τὸ αὐτὸ καὶ βασιλείας τοῦ δουλεύειν τῷ κυρίῳ
যখন সব লোকজন আর সব দেশ সদাপ্রভুর আরাধনা করতে একত্রিত হয়।
23 ἀπεκρίθη αὐτῷ ἐν ὁδῷ ἰσχύος αὐτοῦ τὴν ὀλιγότητα τῶν ἡμερῶν μου ἀνάγγειλόν μοι
জীবনে চলার পথে তিনি আমার শক্তি ক্ষয় করেছেন; তিনি আমার আয়ু কমিয়েছেন।
24 μὴ ἀναγάγῃς με ἐν ἡμίσει ἡμερῶν μου ἐν γενεᾷ γενεῶν τὰ ἔτη σου
তাই আমি বলেছি: “হে ঈশ্বর, আমার যৌবনকালে আমাকে তুলে নিয়ো না; তোমার বছরগুলি বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
25 κατ’ ἀρχὰς σύ κύριε τὴν γῆν ἐθεμελίωσας καὶ ἔργα τῶν χειρῶν σού εἰσιν οἱ οὐρανοί
আদিকালে তুমি এই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, আর আকাশমণ্ডলও তোমারই হাতের রচনা
26 αὐτοὶ ἀπολοῦνται σὺ δὲ διαμενεῖς καὶ πάντες ὡς ἱμάτιον παλαιωθήσονται καὶ ὡσεὶ περιβόλαιον ἀλλάξεις αὐτούς καὶ ἀλλαγήσονται
সেসব বিনষ্ট হবে, কিন্তু তুমি স্থায়ী হবে; ছেঁড়া কাপড়ের মতো সেসব শেষ হয়ে যাবে। পোশাকের মতো তুমি তাদের পরিবর্তন করবে আর তাদের পরিত্যাগ করা হবে।
27 σὺ δὲ ὁ αὐτὸς εἶ καὶ τὰ ἔτη σου οὐκ ἐκλείψουσιν
কিন্তু তোমার পরিবর্তন নেই, আর তোমার বছরগুলি কখনও শেষ হবে না।
28 οἱ υἱοὶ τῶν δούλων σου κατασκηνώσουσιν καὶ τὸ σπέρμα αὐτῶν εἰς τὸν αἰῶνα κατευθυνθήσεται
তোমার দাসদের সন্তানসন্ততিরা তোমার সান্নিধ্যে বসবাস করবে; তাদের বংশধরেরা তোমার সামনে প্রতিষ্ঠিত হবে।”