Ἀριθμοί 9
1 καὶ ἐλάλησεν κύριος πρὸς Μωυσῆν ἐν τῇ ἐρήμῳ Σινα ἐν τῷ ἔτει τῷ δευτέρῳ ἐξελθόντων αὐτῶν ἐκ γῆς Αἰγύπτου ἐν τῷ μηνὶ τῷ πρώτῳ λέγων
মিশর থেকে বের হয়ে আসার পর, দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসে, সদাপ্রভু সীনয় মরুভূমিতে মোশির সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন,
2 εἰπὸν καὶ ποιείτωσαν οἱ υἱοὶ Ισραηλ τὸ πασχα καθ’ ὥραν αὐτοῦ
“ইস্রায়েলীরা নিরূপিত সময়ে নিস্তারপর্ব পালন করুক।
3 τῇ τεσσαρεσκαιδεκάτῃ ἡμέρᾳ τοῦ μηνὸς τοῦ πρώτου πρὸς ἑσπέραν ποιήσεις αὐτὸ κατὰ καιρούς κατὰ τὸν νόμον αὐτοῦ καὶ κατὰ τὴν σύγκρισιν αὐτοῦ ποιήσεις αὐτό
নির্দিষ্ট সময়ে, অর্থাৎ এই মাসের চতুর্দশ দিনের সন্ধ্যাবেলায়, সমস্ত বিধিনিয়ম অনুসারে, তারা তা সম্পন্ন করুক।”
4 καὶ ἐλάλησεν Μωυσῆς τοῖς υἱοῖς Ισραηλ ποιῆσαι τὸ πασχα
মোশি তখন ইস্রায়েলীদের নিস্তারপর্ব পালন করতে বললেন।
5 ἐναρχομένου τῇ τεσσαρεσκαιδεκάτῃ ἡμέρᾳ τοῦ μηνὸς ἐν τῇ ἐρήμῳ τοῦ Σινα καθὰ συνέταξεν κύριος τῷ Μωυσῇ οὕτως ἐποίησαν οἱ υἱοὶ Ισραηλ
তারা সীনয় মরুভূমিতে, প্রথম মাসের চতুর্দশ দিনের সন্ধ্যাবেলায় তা সম্পন্ন করল। ইস্রায়েলীরা ঠিক তাই করল, যে রকম সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
6 καὶ παρεγένοντο οἱ ἄνδρες οἳ ἦσαν ἀκάθαρτοι ἐπὶ ψυχῇ ἀνθρώπου καὶ οὐκ ἠδύναντο ποιῆσαι τὸ πασχα ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ καὶ προσῆλθον ἐναντίον Μωυσῆ καὶ Ααρων ἐν ἐκείνῃ τῇ ἡμέρᾳ
কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন একটি মৃতদেহ স্পর্শ করায় আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি হয়েছিল। তাই তারা সেইদিন নিস্তারপর্ব পালন করতে পারেনি। তারা সেদিনই মোশি ও হারোণের কাছে এল
7 καὶ εἶπαν οἱ ἄνδρες ἐκεῖνοι πρὸς αὐτόν ἡμεῖς ἀκάθαρτοι ἐπὶ ψυχῇ ἀνθρώπου μὴ οὖν ὑστερήσωμεν προσενέγκαι τὸ δῶρον κυρίῳ κατὰ καιρὸν αὐτοῦ ἐν μέσῳ υἱῶν Ισραηλ
এবং মোশিকে বলল, “আমরা একটি মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছি; তা সত্ত্বেও, অন্য ইস্রায়েলীদের সঙ্গে, নিরূপিত সময়ে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে নৈবেদ্য আনতে আমরা কেন বঞ্চিত হব?”
8 καὶ εἶπεν πρὸς αὐτοὺς Μωυσῆς στῆτε αὐτοῦ καὶ ἀκούσομαι τί ἐντελεῖται κύριος περὶ ὑμῶν
মোশি তাদের উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু তোমাদের সম্পর্কে কী আদেশ দেন, আমি তা জেনে আসা অবধি, তোমরা অপেক্ষা করো।”
9 καὶ ἐλάλησεν κύριος πρὸς Μωυσῆν λέγων
সদাপ্রভু তখন মোশিকে বললেন,
10 λάλησον τοῖς υἱοῖς Ισραηλ λέγων ἄνθρωπος ἄνθρωπος ὃς ἐὰν γένηται ἀκάθαρτος ἐπὶ ψυχῇ ἀνθρώπου ἢ ἐν ὁδῷ μακρὰν ὑμῖν ἢ ἐν ταῖς γενεαῖς ὑμῶν καὶ ποιήσει τὸ πασχα κυρίῳ
“তুমি ইস্রায়েলীদের বলো, ‘যখন তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি বা তার বংশধরদের কেউ, শবজনিত কারণে অশুচি হয়, অথবা ভ্রমণপথে দূরে থাকে, তারা তা সত্ত্বেও, সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব পালন করতে পারবে।
11 ἐν τῷ μηνὶ τῷ δευτέρῳ ἐν τῇ τεσσαρεσκαιδεκάτῃ ἡμέρᾳ τὸ πρὸς ἑσπέραν ποιήσουσιν αὐτό ἐπ’ ἀζύμων καὶ πικρίδων φάγονται αὐτό
তারা দ্বিতীয় মাসের চতুর্দশ দিনের সন্ধ্যেবেলা সেই পর্ব সম্পন্ন করবে। খামিরবিহীন রুটি ও তিক্ত শাকের সঙ্গে তারা সেই মেষশাবক আহার করবে।
12 οὐ καταλείψουσιν ἀπ’ αὐτοῦ εἰς τὸ πρωὶ καὶ ὀστοῦν οὐ συντρίψουσιν ἀπ’ αὐτοῦ κατὰ τὸν νόμον τοῦ πασχα ποιήσουσιν αὐτό
তার কোনো কিছুই তারা সকাল পর্যন্ত রাখবে না, বা তার কোনো অস্থি ভঙ্গ করবে না। তারা যখন নিস্তারপর্ব পালন করবে, তখন তার সমস্ত বিধিনিয়ম অনুসরণ করবে।
13 καὶ ἄνθρωπος ὃς ἐὰν καθαρὸς ᾖ καὶ ἐν ὁδῷ μακρᾷ οὐκ ἔστιν καὶ ὑστερήσῃ ποιῆσαι τὸ πασχα ἐξολεθρευθήσεται ἡ ψυχὴ ἐκείνη ἐκ τοῦ λαοῦ αὐτῆς ὅτι τὸ δῶρον κυρίῳ οὐ προσήνεγκεν κατὰ τὸν καιρὸν αὐτοῦ ἁμαρτίαν αὐτοῦ λήμψεται ὁ ἄνθρωπος ἐκεῖνος
কিন্তু, যদি কোনো ব্যক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে শুচি থাকে, ভ্রমণপথে না থাকে, অথচ নিস্তারপর্ব পালন না করে, সেই ব্যক্তিকে, তার গোষ্ঠী থেকে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে। কারণ, সে নির্দিষ্ট সময়ে সদাপ্রভুর নৈবেদ্য নিবেদন করেনি। সেই ব্যক্তি তার পাপের পরিণতি ভোগ করবে।
14 ἐὰν δὲ προσέλθῃ πρὸς ὑμᾶς προσήλυτος ἐν τῇ γῇ ὑμῶν καὶ ποιήσει τὸ πασχα κυρίῳ κατὰ τὸν νόμον τοῦ πασχα καὶ κατὰ τὴν σύνταξιν αὐτοῦ ποιήσει αὐτό νόμος εἷς ἔσται ὑμῖν καὶ τῷ προσηλύτῳ καὶ τῷ αὐτόχθονι τῆς γῆς
“‘তোমাদের মধ্যে কোনো প্রবাসী, কোনো বিদেশি ব্যক্তি যদি সদাপ্রভুর নিস্তারপর্ব পালন করতে ইচ্ছুক হয়, সমস্ত বিধিনিয়ম অনুসরণ করে সে তা অবশ্য করবে। বিদেশি ব্যক্তি হোক অথবা স্বদেশ জাত, প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।’”
15 καὶ τῇ ἡμέρᾳ ᾗ ἐστάθη ἡ σκηνή ἐκάλυψεν ἡ νεφέλη τὴν σκηνήν τὸν οἶκον τοῦ μαρτυρίου καὶ τὸ ἑσπέρας ἦν ἐπὶ τῆς σκηνῆς ὡς εἶδος πυρὸς ἕως πρωί
যেদিন আবাস তাঁবু, অর্থাৎ সাক্ষ্যের তাঁবু স্থাপিত হল, মেঘ তা আবৃত করল। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত, আবাস তাঁবুর ঊর্ধ্বস্থ মেঘ, অগ্নিসদৃশ প্রত্যক্ষ হল।
16 οὕτως ἐγίνετο διὰ παντός ἡ νεφέλη ἐκάλυπτεν αὐτὴν ἡμέρας καὶ εἶδος πυρὸς τὴν νύκτα
সেইরকমই নিত্য হত, মেঘ তা আবৃত করত এবং রাত্রিবেলা সেই মেঘ অগ্নিসদৃশ তা প্রত্যক্ষ হত।
17 καὶ ἡνίκα ἀνέβη ἡ νεφέλη ἀπὸ τῆς σκηνῆς καὶ μετὰ ταῦτα ἀπῆραν οἱ υἱοὶ Ισραηλ καὶ ἐν τῷ τόπῳ οὗ ἂν ἔστη ἡ νεφέλη ἐκεῖ παρενέβαλον οἱ υἱοὶ Ισραηλ
যখনই মেঘ তাঁবুর উপর থেকে সরে যেত, ইস্রায়েলীরা যাত্রা শুরু করত। যেখানে মেঘ সুস্থির হত, ইস্রায়েলীরা ছাউনি স্থাপন করত।
18 διὰ προστάγματος κυρίου παρεμβαλοῦσιν οἱ υἱοὶ Ισραηλ καὶ διὰ προστάγματος κυρίου ἀπαροῦσιν πάσας τὰς ἡμέρας ἐν αἷς σκιάζει ἡ νεφέλη ἐπὶ τῆς σκηνῆς παρεμβαλοῦσιν οἱ υἱοὶ Ισραηλ
সদাপ্রভুর আদেশে ইস্রায়েলীরা যাত্রা শুরু করত এবং তাঁর আদেশেই তারা ছাউনি স্থাপন করত। যতক্ষণ পর্যন্ত মেঘ আবাস তাঁবুর উপরে নিশ্চল থাকত, তারা ছাউনিতে অবস্থান করত।
19 καὶ ὅταν ἐφέλκηται ἡ νεφέλη ἐπὶ τῆς σκηνῆς ἡμέρας πλείους καὶ φυλάξονται οἱ υἱοὶ Ισραηλ τὴν φυλακὴν τοῦ θεοῦ καὶ οὐ μὴ ἐξάρωσιν
যখন মেঘ দীর্ঘ সময় ধরে আবাস তাঁবুর উপরে অবস্থান করত, ইস্রায়েলীরা সদাপ্রভুর আদেশ পালন করে যাত্রা করত না।
20 καὶ ἔσται ὅταν σκεπάσῃ ἡ νεφέλη ἡμέρας ἀριθμῷ ἐπὶ τῆς σκηνῆς διὰ φωνῆς κυρίου παρεμβαλοῦσιν καὶ διὰ προστάγματος κυρίου ἀπαροῦσιν
কোনো কোনো সময় আবাস তাঁবুর উপর মেঘ কয়েক দিন অবস্থিতি করত; সদাপ্রভুর আদেশে তারা ছাউনি স্থাপন করত এবং তাঁর আদেশক্রমেই তারা যাত্রা শুরু করত।
21 καὶ ἔσται ὅταν γένηται ἡ νεφέλη ἀφ’ ἑσπέρας ἕως πρωὶ καὶ ἀναβῇ ἡ νεφέλη τὸ πρωί καὶ ἀπαροῦσιν ἡμέρας ἢ νυκτός
কোনো কোনো সময় মেঘ কেবলমাত্র সন্ধ্যেবেলা থেকে সকাল পর্যন্ত অবস্থান করত। যখন সকালবেলায় তা উন্নীত হত, তারা যাত্রা শুরু করত। দিনের বেলা হোক, অথবা রাতের বেলা, যখনই মেঘ উন্নীত হত, তারা যাত্রা করত।
22 μηνὸς ἡμέρας πλεοναζούσης τῆς νεφέλης σκιαζούσης ἐπ’ αὐτῆς παρεμβαλοῦσιν οἱ υἱοὶ Ισραηλ καὶ οὐ μὴ ἀπάρωσιν
মেঘ, আবাস তাঁবুর উপর দু-দিন, বা এক মাস, অথবা এক বছর, যতদিনই অবস্থিতি করুক, ইস্রায়েলীরা তাদের ছাউনিতে অবস্থান করত, যাত্রা করত না; কিন্তু যখন তা উন্নীত হত, তারা যাত্রা করত।
23 ὅτι διὰ προστάγματος κυρίου ἀπαροῦσιν τὴν φυλακὴν κυρίου ἐφυλάξαντο διὰ προστάγματος κυρίου ἐν χειρὶ Μωυσῆ
সদাপ্রভুর আদেশে ছাউনিতে তারা অবস্থান করত এবং সদাপ্রভুর আদেশেই তারা যাত্রা শুরু করত। মোশির মাধ্যমে দেওয়া তাঁর নির্দেশ অনুসারেই, তারা সদাপ্রভুর আদেশ পালন করত।
