Ἔσδρας Βʹ 2
1 καὶ ἐγένετο ἐν μηνὶ Νισαν ἔτους εἰκοστοῦ Αρθασασθα βασιλεῖ καὶ ἦν ὁ οἶνος ἐνώπιον ἐμοῦ καὶ ἔλαβον τὸν οἶνον καὶ ἔδωκα τῷ βασιλεῖ καὶ οὐκ ἦν ἕτερος ἐνώπιον αὐτοῦ
রাজা অর্তক্ষস্তের রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাসে, যখন তাঁর কাছে দ্রাক্ষারস আনা হল, আমি সেই দ্রাক্ষারস নিয়ে রাজাকে দিলাম। এর আগে আমি তাঁর সামনে কখনও মলিন মুখে থাকিনি,
2 καὶ εἶπέν μοι ὁ βασιλεύς διὰ τί τὸ πρόσωπόν σου πονηρὸν καὶ οὐκ εἶ μετριάζων οὐκ ἔστιν τοῦτο εἰ μὴ πονηρία καρδίας καὶ ἐφοβήθην πολὺ σφόδρα
সেইজন্য রাজা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি তবে তোমার মুখ এত মলিন দেখাচ্ছে কেন? এ তো অন্তরের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” আমি খুব ভয় পেলাম,
3 καὶ εἶπα τῷ βασιλεῖ ὁ βασιλεὺς εἰς τὸν αἰῶνα ζήτω διὰ τί οὐ μὴ γένηται πονηρὸν τὸ πρόσωπόν μου διότι ἡ πόλις οἶκος μνημείων πατέρων μου ἠρημώθη καὶ αἱ πύλαι αὐτῆς κατεβρώθησαν ἐν πυρί
তবুও আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ চিরজীবী হোন! যে নগরে আমার পিতৃপুরুষদের কবর দেওয়া হয়েছিল সেটি ধ্বংস করা হয়েছে এবং তার দ্বার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তখন আমার মুখ কেন মলিন দেখাবে না?”
4 καὶ εἶπέν μοι ὁ βασιλεύς περὶ τίνος τοῦτο σὺ ζητεῖς καὶ προσηυξάμην πρὸς τὸν θεὸν τοῦ οὐρανοῦ
রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম,
5 καὶ εἶπα τῷ βασιλεῖ εἰ ἐπὶ τὸν βασιλέα ἀγαθόν καὶ εἰ ἀγαθυνθήσεται ὁ παῖς σου ἐνώπιόν σου ὥστε πέμψαι αὐτὸν εἰς Ιουδα εἰς πόλιν μνημείων πατέρων μου καὶ ἀνοικοδομήσω αὐτήν
আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশি হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি যিহূদা-নগরে যেখানে আমার পিতৃপুরুষদের কবর দেওয়া হয়েছে সেখানে আমায় পাঠান যেন আমি তা আবার তৈরি করতে পারি।”
6 καὶ εἶπέν μοι ὁ βασιλεὺς καὶ ἡ παλλακὴ ἡ καθημένη ἐχόμενα αὐτοῦ ἕως πότε ἔσται ἡ πορεία σου καὶ πότε ἐπιστρέψεις καὶ ἠγαθύνθη ἐνώπιον τοῦ βασιλέως καὶ ἀπέστειλέν με καὶ ἔδωκα αὐτῷ ὅρον
তখন রাজা, যাঁর পাশে রানিও বসেছিলেন, আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কয়দিন লাগবে আর কবেই বা তুমি ফিরে আসবে?” রাজা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে পাঠালেন আর আমি একটি সময়ের কথা বললাম।
7 καὶ εἶπα τῷ βασιλεῖ εἰ ἐπὶ τὸν βασιλέα ἀγαθόν δότω μοι ἐπιστολὰς πρὸς τοὺς ἐπάρχους πέραν τοῦ ποταμοῦ ὥστε παραγαγεῖν με ἕως ἔλθω ἐπὶ Ιουδαν
তাকে আমি আরও বললাম, “যদি মহারাজ খুশি হয়ে থাকেন তবে ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে তিনি যেন চিঠি দেন যাতে যিহূদায় আমি পৌঁছানো পর্যন্ত তারা আমার যাত্রায় সাহায্য করেন।
8 καὶ ἐπιστολὴν ἐπὶ Ασαφ φύλακα τοῦ παραδείσου ὅς ἐστιν τῷ βασιλεῖ ὥστε δοῦναί μοι ξύλα στεγάσαι τὰς πύλας καὶ εἰς τὸ τεῖχος τῆς πόλεως καὶ εἰς οἶκον ὃν εἰσελεύσομαι εἰς αὐτόν καὶ ἔδωκέν μοι ὁ βασιλεὺς ὡς χεὶρ θεοῦ ἡ ἀγαθή
এছাড়া তিনি যেন তাঁর বনরক্ষক আসফের কাছে একটি চিঠি দেন যাতে তিনি মন্দিরের পাশের দুর্গ-দ্বার ও নগরের প্রাচীরের ও আমার থাকবার ঘরের কড়িকাঠের জন্য আমাকে কাঠ দেন।” আমার উপর আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমার সব অনুরোধ রক্ষা করলেন।
9 καὶ ἦλθον πρὸς τοὺς ἐπάρχους πέραν τοῦ ποταμοῦ καὶ ἔδωκα αὐτοῖς τὰς ἐπιστολὰς τοῦ βασιλέως καὶ ἀπέστειλεν μετ’ ἐμοῦ ὁ βασιλεὺς ἀρχηγοὺς δυνάμεως καὶ ἱππεῖς
পরে আমি ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে গিয়ে রাজার চিঠি দিলাম। রাজা আমার সঙ্গে কয়েকজন সেনাপতি ও একদল ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের পাঠিয়ে দিলেন।
10 καὶ ἤκουσεν Σαναβαλλατ ὁ Αρωνι καὶ Τωβια ὁ δοῦλος ὁ Αμμωνι καὶ πονηρὸν αὐτοῖς ἐγένετο ὅτι ἥκει ἄνθρωπος ζητῆσαι ἀγαθὸν τοῖς υἱοῖς Ισραηλ
এই সমস্ত বিষয় শুনে হোরোণীয় সন্বল্লট ও অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় খুব অসন্তুষ্ট হল কারণ ইস্রায়েলীদের মঙ্গল করার জন্য একজন লোক এসেছে।
11 καὶ ἦλθον εἰς Ιερουσαλημ καὶ ἤμην ἐκεῖ ἡμέρας τρεῖς
আমি জেরুশালেমে গিয়ে সেখানে তিন দিন থাকার পর
12 καὶ ἀνέστην νυκτὸς ἐγὼ καὶ ἄνδρες ὀλίγοι μετ’ ἐμοῦ καὶ οὐκ ἀπήγγειλα ἀνθρώπῳ τί ὁ θεὸς δίδωσιν εἰς καρδίαν μου τοῦ ποιῆσαι μετὰ τοῦ Ισραηλ καὶ κτῆνος οὐκ ἔστιν μετ’ ἐμοῦ εἰ μὴ τὸ κτῆνος ᾧ ἐγὼ ἐπιβαίνω ἐπ’ αὐτῷ
রাতে আমি কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে বের হলাম। জেরুশালেমের জন্য যা করতে ঈশ্বর আমায় মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন তা আমি কাউকে বলিনি। আমি যে পশুর উপর চড়েছিলাম সেটি ছাড়া আর কোনও পশু আমার সঙ্গে ছিল না।
13 καὶ ἐξῆλθον ἐν πύλῃ τοῦ γωληλα καὶ πρὸς στόμα πηγῆς τῶν συκῶν καὶ εἰς πύλην τῆς κοπρίας καὶ ἤμην συντρίβων ἐν τῷ τείχει Ιερουσαλημ ὃ αὐτοὶ καθαιροῦσιν καὶ πύλαι αὐτῆς κατεβρώθησαν πυρί
রাত্রে আমি উপত্যকার দ্বার দিয়ে বের হয়ে নাগকূপ ও সার-দ্বার পর্যন্ত গেলাম এবং জেরুশালেমের ভাঙা প্রাচীর ও আগুন দিয়ে ধ্বংস করা দ্বারগুলি দেখলাম।
14 καὶ παρῆλθον ἐπὶ πύλην τοῦ Αιν καὶ εἰς κολυμβήθραν τοῦ βασιλέως καὶ οὐκ ἦν τόπος τῷ κτήνει παρελθεῖν ὑποκάτω μου
তারপর আমি ফোয়ারা-দ্বার ও রাজার পুকুর পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু আমি যে পশুর উপর চড়েছিলাম তার সেই জায়গা দিয়ে যাবার জন্য কোনও পথ ছিল না;
15 καὶ ἤμην ἀναβαίνων ἐν τῷ τείχει χειμάρρου νυκτὸς καὶ ἤμην συντρίβων ἐν τῷ τείχει καὶ ἤμην ἐν πύλῃ τῆς φάραγγος καὶ ἐπέστρεψα
এজন্য আমি সেরাতে প্রাচীরের অবস্থা দেখতে উপত্যকার মধ্য দিয়ে গেলাম এবং উপত্যকা দ্বার দিয়ে আবার ফিরে আসলাম।
16 καὶ οἱ φυλάσσοντες οὐκ ἔγνωσαν τί ἐπορεύθην καὶ τί ἐγὼ ποιῶ καὶ τοῖς Ιουδαίοις καὶ τοῖς ἱερεῦσιν καὶ τοῖς ἐντίμοις καὶ τοῖς στρατηγοῖς καὶ τοῖς καταλοίποις τοῖς ποιοῦσιν τὰ ἔργα ἕως τότε οὐκ ἀπήγγειλα
আমি কোথায় গিয়েছি বা কী করেছি তা উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা জানতে পারেনি, কারণ আমি তখনও ইহুদিদের অথবা যাজকদের অথবা গণ্যমান্য লোকদের অথবা উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের অথবা যারা কাজ করবে তাদের কিছুই বলিনি।
17 καὶ εἶπα πρὸς αὐτούς ὑμεῖς βλέπετε τὴν πονηρίαν ἐν ᾗ ἐσμεν ἐν αὐτῇ πῶς Ιερουσαλημ ἔρημος καὶ αἱ πύλαι αὐτῆς ἐδόθησαν πυρί δεῦτε καὶ διοικοδομήσωμεν τὸ τεῖχος Ιερουσαλημ καὶ οὐκ ἐσόμεθα ἔτι ὄνειδος
পরে আমি তাদের বললাম, “আমরা যে কি রকম দুরাবস্থায় আছি তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, জেরুশালেম ধ্বংস হয়ে রয়েছে এবং তাঁর দ্বারগুলি আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। আসুন, আমরা জেরুশালেমের প্রাচীর আবার গাঁথি, যেন আমাদের আর মর্যাদাহানি না হয়।”
18 καὶ ἀπήγγειλα αὐτοῖς τὴν χεῖρα τοῦ θεοῦ ἥ ἐστιν ἀγαθὴ ἐπ’ ἐμέ καὶ τοὺς λόγους τοῦ βασιλέως οὓς εἶπέν μοι καὶ εἶπα ἀναστῶμεν καὶ οἰκοδομήσωμεν καὶ ἐκραταιώθησαν αἱ χεῖρες αὐτῶν εἰς ἀγαθόν
আমার ঈশ্বর কীভাবে আমার মঙ্গল করেছেন ও রাজা আমাকে কী বলেছেন তাও আমি তাদের জানালাম। উত্তরে তারা বললেন, “আসুন, আমরা গাঁথতে শুরু করি।” তারা সেই ভালো কাজ শুরু করতে প্রস্তুত হলেন।
19 καὶ ἤκουσεν Σαναβαλλατ ὁ Αρωνι καὶ Τωβια ὁ δοῦλος ὁ Αμμωνι καὶ Γησαμ ὁ Αραβι καὶ ἐξεγέλασαν ἡμᾶς καὶ ἦλθον ἐφ’ ἡμᾶς καὶ εἶπαν τί τὸ ῥῆμα τοῦτο ὃ ὑμεῖς ποιεῖτε ἦ ἐπὶ τὸν βασιλέα ὑμεῖς ἀποστατεῖτε
কিন্তু হোরোণীয় সন্বল্লট, অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় এবং আরবীয় গেশম এই কথা শুনে আমাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে লাগল। তারা বলল, “তোমরা এ কি করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?”
20 καὶ ἐπέστρεψα αὐτοῖς λόγον καὶ εἶπα αὐτοῖς ὁ θεὸς τοῦ οὐρανοῦ αὐτὸς εὐοδώσει ἡμῖν καὶ ἡμεῖς δοῦλοι αὐτοῦ καθαροί καὶ οἰκοδομήσομεν καὶ ὑμῖν οὐκ ἔστιν μερὶς καὶ δικαιοσύνη καὶ μνημόσυνον ἐν Ιερουσαλημ
আমি উত্তরে তাদের বললাম, “স্বর্গের ঈশ্বর আমাদের সফলতা দান করবেন। আমরা তাঁর দাসেরা আবার গাঁথব, কিন্তু জেরুশালেমে আপনাদের কোনও অংশ, কোনও দাবি কিংবা কোনও অধিকার নেই।”
