< Ἔσδρας Βʹ 2 >

1 καὶ ἐγένετο ἐν μηνὶ Νισαν ἔτους εἰκοστοῦ Αρθασασθα βασιλεῖ καὶ ἦν ὁ οἶνος ἐνώπιον ἐμοῦ καὶ ἔλαβον τὸν οἶνον καὶ ἔδωκα τῷ βασιλεῖ καὶ οὐκ ἦν ἕτερος ἐνώπιον αὐτοῦ
অর্তক্ষস্ত রাজার রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাসে রাজার সামনে আঙ্গুর রস থাকাতে আমি সেই আঙ্গুর রস নিয়ে রাজাকে দিলাম। তার আগে আমি তাঁর সামনে কখনও দুঃখিত হইনি।
2 καὶ εἶπέν μοι ὁ βασιλεύς διὰ τί τὸ πρόσωπόν σου πονηρὸν καὶ οὐκ εἶ μετριάζων οὐκ ἔστιν τοῦτο εἰ μὴ πονηρία καρδίας καὶ ἐφοβήθην πολὺ σφόδρα
রাজা আমাকে বললেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি, তবে মুখ কেন দুঃখিত দেখাচ্ছে? এ তো মনের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” তখন আমি খুব ভয় পেলাম।
3 καὶ εἶπα τῷ βασιλεῖ ὁ βασιλεὺς εἰς τὸν αἰῶνα ζήτω διὰ τί οὐ μὴ γένηται πονηρὸν τὸ πρόσωπόν μου διότι ἡ πόλις οἶκος μνημείων πατέρων μου ἠρημώθη καὶ αἱ πύλαι αὐτῆς κατεβρώθησαν ἐν πυρί
আর আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ দীর্ঘজীবী হোন। আমি কেন দুঃখিত হব না? যে শহর আমার পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, তা ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে গেছে।”
4 καὶ εἶπέν μοι ὁ βασιλεύς περὶ τίνος τοῦτο σὺ ζητεῖς καὶ προσηυξάμην πρὸς τὸν θεὸν τοῦ οὐρανοῦ
তখন রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম।
5 καὶ εἶπα τῷ βασιλεῖ εἰ ἐπὶ τὸν βασιλέα ἀγαθόν καὶ εἰ ἀγαθυνθήσεται ὁ παῖς σου ἐνώπιόν σου ὥστε πέμψαι αὐτὸν εἰς Ιουδα εἰς πόλιν μνημείων πατέρων μου καὶ ἀνοικοδομήσω αὐτήν
আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশী হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি আমাকে যিহূদায়, আমার পূর্বপুরুষদের কবরের শহরে, যেতে অনুমতি দিন, যেন আমি তা তৈরী করি।”
6 καὶ εἶπέν μοι ὁ βασιλεὺς καὶ ἡ παλλακὴ ἡ καθημένη ἐχόμενα αὐτοῦ ἕως πότε ἔσται ἡ πορεία σου καὶ πότε ἐπιστρέψεις καὶ ἠγαθύνθη ἐνώπιον τοῦ βασιλέως καὶ ἀπέστειλέν με καὶ ἔδωκα αὐτῷ ὅρον
তখন রাজা-রাণীও তাঁর পাশে বসে ছিলেন-আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে? আর কবে ফিরে আসবে?” এই ভাবে রাজা খুশি হয়ে আমাকে বিদায় দিলেন, আর আমি তার কাছে দিন জানালাম।
7 καὶ εἶπα τῷ βασιλεῖ εἰ ἐπὶ τὸν βασιλέα ἀγαθόν δότω μοι ἐπιστολὰς πρὸς τοὺς ἐπάρχους πέραν τοῦ ποταμοῦ ὥστε παραγαγεῖν με ἕως ἔλθω ἐπὶ Ιουδαν
আর আমি রাজাকে বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়, তবে নদীর পারের শাসনকর্তারা যেন যিহূদায় আমার না আসা পর্যন্ত আমার যাওয়ায় সাহায্য করেন, এই জন্য তাঁদের নামে আমাকে চিঠি দিতে আদেশ দিক।
8 καὶ ἐπιστολὴν ἐπὶ Ασαφ φύλακα τοῦ παραδείσου ὅς ἐστιν τῷ βασιλεῖ ὥστε δοῦναί μοι ξύλα στεγάσαι τὰς πύλας καὶ εἰς τὸ τεῖχος τῆς πόλεως καὶ εἰς οἶκον ὃν εἰσελεύσομαι εἰς αὐτόν καὶ ἔδωκέν μοι ὁ βασιλεὺς ὡς χεὶρ θεοῦ ἡ ἀγαθή
আর মন্দিরের পাশে অবস্থিত দুর্গের দরজার ও শহরের দেওয়ালের ও আমার ঘরে ঢোকার দরজার কড়িকাঠের জন্য রাজার বন রক্ষক আসফ যেন আমাকে কাঠ দেন, এই জন্য তাঁর নামেও একটি চিঠি দিতে আদেশ দিক।” তাতে আমার উপরে আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমাকে সে সমস্ত দিলেন।
9 καὶ ἦλθον πρὸς τοὺς ἐπάρχους πέραν τοῦ ποταμοῦ καὶ ἔδωκα αὐτοῖς τὰς ἐπιστολὰς τοῦ βασιλέως καὶ ἀπέστειλεν μετ’ ἐμοῦ ὁ βασιλεὺς ἀρχηγοὺς δυνάμεως καὶ ἱππεῖς
পরে আমি নদীর পারে অবস্থিত শাসনকর্ত্তাদের কাছে এসে রাজার চিঠি তাঁদেরকে দিলাম। রাজা সেনাপতিদেরকে ও ঘোড়াচালকদেরকে আমার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন।
10 καὶ ἤκουσεν Σαναβαλλατ ὁ Αρωνι καὶ Τωβια ὁ δοῦλος ὁ Αμμωνι καὶ πονηρὸν αὐτοῖς ἐγένετο ὅτι ἥκει ἄνθρωπος ζητῆσαι ἀγαθὸν τοῖς υἱοῖς Ισραηλ
১০আর হোরোণীয় শহরবাসী সন্‌বল্লট ও অম্মোনীয় দাস টোবিয় যখন খবর পেল, তখন ইস্রায়েলীয়দের সাহায্যের জন্য একজন যে লোক এসেছে, এটা বুঝতে পেরে তারা খুব অসন্তুষ্ট হল।
11 καὶ ἦλθον εἰς Ιερουσαλημ καὶ ἤμην ἐκεῖ ἡμέρας τρεῖς
১১আর আমি যিরূশালেমে এসে সেই জায়গায় তিন দিন থাকলাম।
12 καὶ ἀνέστην νυκτὸς ἐγὼ καὶ ἄνδρες ὀλίγοι μετ’ ἐμοῦ καὶ οὐκ ἀπήγγειλα ἀνθρώπῳ τί ὁ θεὸς δίδωσιν εἰς καρδίαν μου τοῦ ποιῆσαι μετὰ τοῦ Ισραηλ καὶ κτῆνος οὐκ ἔστιν μετ’ ἐμοῦ εἰ μὴ τὸ κτῆνος ᾧ ἐγὼ ἐπιβαίνω ἐπ’ αὐτῷ
১২পরে আমি ও আমার সঙ্গী কিছু লোক, আমরা রাতে উঠলাম; কিন্তু যিরূশালেমের জন্য যা করতে ঈশ্বর আমার মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন, তা কাউকেও বলিনি এবং আমি যে পশুর ওপরে চড়েছিলাম, সেটা ছাড়া আর কোনো পশু আমার সঙ্গে ছিল না।
13 καὶ ἐξῆλθον ἐν πύλῃ τοῦ γωληλα καὶ πρὸς στόμα πηγῆς τῶν συκῶν καὶ εἰς πύλην τῆς κοπρίας καὶ ἤμην συντρίβων ἐν τῷ τείχει Ιερουσαλημ ὃ αὐτοὶ καθαιροῦσιν καὶ πύλαι αὐτῆς κατεβρώθησαν πυρί
১৩আমি রাতে উপত্যকার দরজা দিয়ে বের হয়ে নাগকুয়ো ও সার দরজা পর্যন্ত গেলাম এবং যিরূশালেমের ভাঙ্গা দেওয়াল ও আগুনে পুড়ে যাওয়া দরজা সব দেখলাম।
14 καὶ παρῆλθον ἐπὶ πύλην τοῦ Αιν καὶ εἰς κολυμβήθραν τοῦ βασιλέως καὶ οὐκ ἦν τόπος τῷ κτήνει παρελθεῖν ὑποκάτω μου
১৪আর উনুই দরজা ও রাজার পুকুর পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু সেই জায়গায় আমার বাহন পশুর যাবার জায়গা ছিল না।
15 καὶ ἤμην ἀναβαίνων ἐν τῷ τείχει χειμάρρου νυκτὸς καὶ ἤμην συντρίβων ἐν τῷ τείχει καὶ ἤμην ἐν πύλῃ τῆς φάραγγος καὶ ἐπέστρεψα
১৫তখন আমি রাতে স্রোতের ধার দিয়ে উপরে উঠে দেওয়াল দেখলাম, আর ফিরে উপত্যকার দরজা দিয়ে ঢুকলাম, পরে ফিরে আসলাম।
16 καὶ οἱ φυλάσσοντες οὐκ ἔγνωσαν τί ἐπορεύθην καὶ τί ἐγὼ ποιῶ καὶ τοῖς Ιουδαίοις καὶ τοῖς ἱερεῦσιν καὶ τοῖς ἐντίμοις καὶ τοῖς στρατηγοῖς καὶ τοῖς καταλοίποις τοῖς ποιοῦσιν τὰ ἔργα ἕως τότε οὐκ ἀπήγγειλα
১৬কিন্তু আমি কোন জায়গায় গেলাম, কি করলাম, তা শাসনকর্তারা জানত না এবং সেই দিন পর্যন্ত আমি ইহুদীদের কি যাজকদের কি প্রধান লোকদেরকে শাসনকর্তাদেরকে কি অন্য কর্মচারীদেরকে কাউকেও তা বলি নি।
17 καὶ εἶπα πρὸς αὐτούς ὑμεῖς βλέπετε τὴν πονηρίαν ἐν ᾗ ἐσμεν ἐν αὐτῇ πῶς Ιερουσαλημ ἔρημος καὶ αἱ πύλαι αὐτῆς ἐδόθησαν πυρί δεῦτε καὶ διοικοδομήσωμεν τὸ τεῖχος Ιερουσαλημ καὶ οὐκ ἐσόμεθα ἔτι ὄνειδος
১৭পরে আমি তাদেরকে বললাম, “আমরা কেমন খারাপ অবস্থায় আছি, তা তোমরা দেখছ; যিরূশালেম ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে আছে; এস, আমরা যিরূশালেমের দেওয়াল তৈরী করি, যেন আর মর্যাদাহীন না থাকি।”
18 καὶ ἀπήγγειλα αὐτοῖς τὴν χεῖρα τοῦ θεοῦ ἥ ἐστιν ἀγαθὴ ἐπ’ ἐμέ καὶ τοὺς λόγους τοῦ βασιλέως οὓς εἶπέν μοι καὶ εἶπα ἀναστῶμεν καὶ οἰκοδομήσωμεν καὶ ἐκραταιώθησαν αἱ χεῖρες αὐτῶν εἰς ἀγαθόν
১৮পরে আমার উপরে বিস্তারিত ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাতের কথা এবং আমার প্রতি বলা রাজার কথা তাদেরকে জানালাম। তাতে তারা বলল, “চল, আমরা উঠে গিয়ে গাঁথি।” এই ভাবে তারা সেই ভাল কাজের জন্য নিজের নিজের হাত শক্তিশালী করল।
19 καὶ ἤκουσεν Σαναβαλλατ ὁ Αρωνι καὶ Τωβια ὁ δοῦλος ὁ Αμμωνι καὶ Γησαμ ὁ Αραβι καὶ ἐξεγέλασαν ἡμᾶς καὶ ἦλθον ἐφ’ ἡμᾶς καὶ εἶπαν τί τὸ ῥῆμα τοῦτο ὃ ὑμεῖς ποιεῖτε ἦ ἐπὶ τὸν βασιλέα ὑμεῖς ἀποστατεῖτε
১৯কিন্তু হোরোণীয় সন্‌বল্লট, অম্মোনীয় দাস টোবিয় ও আরবীয় গেশম্‌ এই কথা শুনে আমাদের বিদ্রূপ ও উপহাস করে বলল, “তোমরা এ কি কাজ করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?”
20 καὶ ἐπέστρεψα αὐτοῖς λόγον καὶ εἶπα αὐτοῖς ὁ θεὸς τοῦ οὐρανοῦ αὐτὸς εὐοδώσει ἡμῖν καὶ ἡμεῖς δοῦλοι αὐτοῦ καθαροί καὶ οἰκοδομήσομεν καὶ ὑμῖν οὐκ ἔστιν μερὶς καὶ δικαιοσύνη καὶ μνημόσυνον ἐν Ιερουσαλημ
২০তখন আমি উত্তরে তাদেরকে বললাম, “যিনি স্বর্গের ঈশ্বর, তিনিই আমাদেরকে সফল করবেন; অতএব তাঁর দাস আমরা উঠে গাঁথব; কিন্তু যিরূশালেমে তোমাদের কোনো অংশ কি অধিকার কি স্মৃতিচিহ্ন নেই।”

< Ἔσδρας Βʹ 2 >