Θρῆνοι 2
1 πῶς ἐγνόφωσεν ἐν ὀργῇ αὐτοῦ κύριος τὴν θυγατέρα Σιων κατέρριψεν ἐξ οὐρανοῦ εἰς γῆν δόξασμα Ισραηλ καὶ οὐκ ἐμνήσθη ὑποποδίου ποδῶν αὐτοῦ ἐν ἡμέρᾳ ὀργῆς αὐτοῦ
প্রভু সিয়োন-কন্যাকে তাঁর আপন ক্রোধের মেঘে কেমন আবৃত করেছেন! তিনি ইস্রায়েলের জৌলুসকে আকাশ থেকে ভূতলে নিক্ষেপ করেছেন; তাঁর ক্রোধের দিনে, তাঁর পাদপীঠের কথা তিনি মনে রাখেননি।
2 κατεπόντισεν κύριος οὐ φεισάμενος πάντα τὰ ὡραῖα Ιακωβ καθεῖλεν ἐν θυμῷ αὐτοῦ τὰ ὀχυρώματα τῆς θυγατρὸς Ιουδα ἐκόλλησεν εἰς τὴν γῆν ἐβεβήλωσεν βασιλέα αὐτῆς καὶ ἄρχοντας αὐτῆς
কোনো মমতা ছাড়াই প্রভু যাকোবের সমগ্র আবাস গ্রাস করেছেন; তিনি সক্রোধে যিহূদা-কন্যার দুর্গগুলি উৎপাটন করেছেন। তার রাজ্য ও তার রাজপুরুষদের অসম্মানের সঙ্গে তিনি ভূলুণ্ঠিত করেছেন।
3 συνέκλασεν ἐν ὀργῇ θυμοῦ αὐτοῦ πᾶν κέρας Ισραηλ ἀπέστρεψεν ὀπίσω δεξιὰν αὐτοῦ ἀπὸ προσώπου ἐχθροῦ καὶ ἀνῆψεν ἐν Ιακωβ ὡς πῦρ φλόγα καὶ κατέφαγεν πάντα τὰ κύκλῳ
তিনি প্রচণ্ড ক্রোধে ইস্রায়েলের প্রতিটি শৃঙ্গকে ছিন্ন করেছেন। শত্রু অগ্রসর হওয়ার সময় তিনি তাঁর দক্ষিণ হস্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি যাকোবকে এক লেলিহান আগুনের শিখার মতো ভস্মীভূত করেছেন যা তার চারপাশের সবকিছুকে গ্রাস করে নেয়।
4 ἐνέτεινεν τόξον αὐτοῦ ὡς ἐχθρός ἐστερέωσεν δεξιὰν αὐτοῦ ὡς ὑπεναντίος καὶ ἀπέκτεινεν πάντα τὰ ἐπιθυμήματα ὀφθαλμῶν μου ἐν σκηνῇ θυγατρὸς Σιων ἐξέχεεν ὡς πῦρ τὸν θυμὸν αὐτοῦ
শত্রুর মতো তিনি তাঁর ধনুকে চাড়া দিয়েছেন; তাঁর ডান হাত প্রস্তুত। যারা নয়নরঞ্জন ছিল, তিনি তাদের শত্রুর মতোই বধ করেছেন। তিনি তাঁর রোষ আগুনের মতো সিয়োন-কন্যার শিবিরের উপরে ঢেলে দিয়েছেন।
5 ἐγενήθη κύριος ὡς ἐχθρός κατεπόντισεν Ισραηλ κατεπόντισεν πάσας τὰς βάρεις αὐτῆς διέφθειρεν τὰ ὀχυρώματα αὐτοῦ καὶ ἐπλήθυνεν τῇ θυγατρὶ Ιουδα ταπεινουμένην καὶ τεταπεινωμένην
প্রভু যেন এক শত্রু; তিনি ইস্রায়েলকে গ্রাস করেছেন। তিনি তার সব প্রাসাদ গ্রাস করেছেন এবং তার দুর্গসকল ধ্বংস করেছেন। যিহূদা-কন্যার শোকগাথা ও বিলাপ তিনি বহুগুণে বৃদ্ধি করেছেন।
6 καὶ διεπέτασεν ὡς ἄμπελον τὸ σκήνωμα αὐτοῦ διέφθειρεν ἑορτὴν αὐτοῦ ἐπελάθετο κύριος ὃ ἐποίησεν ἐν Σιων ἑορτῆς καὶ σαββάτου καὶ παρώξυνεν ἐμβριμήματι ὀργῆς αὐτοῦ βασιλέα καὶ ἱερέα καὶ ἄρχοντα
বাগানের মতো তাঁর আবাসকে তিনি বিধ্বস্ত করেছেন; তাঁর আপন সমাগম-স্থান তিনি ধ্বংস করেছেন। সদাপ্রভু সিয়োনকে বিস্মৃত করিয়ে দিয়েছেন তার নির্ধারিত সব পার্বণ-উৎসব ও সাব্বাথের দিনগুলি; তিনি তাঁর ভয়ংকর ক্রোধে রাজা ও যাজক উভয়কেই অবজ্ঞা করেছেন।
7 ἀπώσατο κύριος θυσιαστήριον αὐτοῦ ἀπετίναξεν ἁγίασμα αὐτοῦ συνέτριψεν ἐν χειρὶ ἐχθροῦ τεῖχος βάρεων αὐτῆς φωνὴν ἔδωκαν ἐν οἴκῳ κυρίου ὡς ἐν ἡμέρᾳ ἑορτῆς
প্রভু তাঁর বেদিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তাঁর ধর্মধামকে পরিত্যাগ করেছেন। তিনি জেরুশালেমের প্রাসাদগুলির প্রাচীর তার শত্রুদের হাতে তুলে দিয়েছেন; কোনও নির্ধারিত উৎসব-দিনের মতো তারা সদাপ্রভুর গৃহে চিৎকার করেছে।
8 καὶ ἐπέστρεψεν κύριος τοῦ διαφθεῖραι τεῖχος θυγατρὸς Σιων ἐξέτεινεν μέτρον οὐκ ἀπέστρεψεν χεῖρα αὐτοῦ ἀπὸ καταπατήματος καὶ ἐπένθησεν τὸ προτείχισμα καὶ τεῖχος ὁμοθυμαδὸν ἠσθένησεν
সদাপ্রভু দৃঢ়সংকল্প করেছেন, তিনি সিয়োন-কন্যার চারপাশের প্রাচীর ভেঙে ফেলবেন। তিনি একটি মাপকাঠি বিস্তৃত করেছেন, এবং তাঁর হাতকে ধ্বংসকার্য থেকে নিবৃত্ত করেননি। তিনি পরিখা ও প্রাচীরগুলিকে বিলাপ করিয়েছেন; সেগুলি একসঙ্গে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
9 ἐνεπάγησαν εἰς γῆν πύλαι αὐτῆς ἀπώλεσεν καὶ συνέτριψεν μοχλοὺς αὐτῆς βασιλέα αὐτῆς καὶ ἄρχοντας αὐτῆς ἐν τοῖς ἔθνεσιν οὐκ ἔστιν νόμος καί γε προφῆται αὐτῆς οὐκ εἶδον ὅρασιν παρὰ κυρίου
তার তোরণদ্বারগুলি মাটিতে ঢাকা পড়েছে; সেগুলির অর্গলগুলি তিনি ভেঙেছেন ও ধ্বংস করেছেন। তার রাজা ও রাজপুরুষেরা জাতিগণের মধ্যে নির্বাসিত হয়েছে, বিধান আর নেই, এবং তার ভাববাদীরা সদাপ্রভুর কাছ থেকে কোনো দর্শন পান না।
10 ἐκάθισαν εἰς τὴν γῆν ἐσιώπησαν πρεσβύτεροι θυγατρὸς Σιων ἀνεβίβασαν χοῦν ἐπὶ τὴν κεφαλὴν αὐτῶν περιεζώσαντο σάκκους κατήγαγον εἰς γῆν ἀρχηγοὺς παρθένους ἐν Ιερουσαλημ
সিয়োন-কন্যার সমস্ত প্রাচীন নীরবে মাটিতে বসে রয়েছেন; তাদের মাথায় তারা ধুলো নিক্ষেপ করেছেন এবং শোকবস্ত্র পরিধান করেছেন। জেরুশালেমের যুবতী নারীরা মাটিতে অধোমুখ হয়েছে।
11 ἐξέλιπον ἐν δάκρυσιν οἱ ὀφθαλμοί μου ἐταράχθη ἡ καρδία μου ἐξεχύθη εἰς γῆν ἡ δόξα μου ἐπὶ τὸ σύντριμμα τῆς θυγατρὸς τοῦ λαοῦ μου ἐν τῷ ἐκλιπεῖν νήπιον καὶ θηλάζοντα ἐν πλατείαις πόλεως
কাঁদতে কাঁদতে আমার চোখ ঝাপসা হয়েছে, আমার অন্তরে প্রচণ্ড মর্মবেদনা, আমার হৃদয় যেন গলে গিয়ে মাটিতে বয়ে যাচ্ছে কেননা আমার লোকেরা ধ্বংস হচ্ছে, কেননা ছেলেমেয়ে ও দুগ্ধপোষ্য শিশুরা নগরের পথে পথে মূর্ছিত হচ্ছে।
12 ταῖς μητράσιν αὐτῶν εἶπαν ποῦ σῖτος καὶ οἶνος ἐν τῷ ἐκλύεσθαι αὐτοὺς ὡς τραυματίας ἐν πλατείαις πόλεως ἐν τῷ ἐκχεῖσθαι ψυχὰς αὐτῶν εἰς κόλπον μητέρων αὐτῶν
তারা তাদের মায়েদের বলে, “আমাদের জন্য খাবার ও দ্রাক্ষারস কোথায়?” কেননা তারা নগরের পথে পথে আহত মানুষের মতো মূর্ছিত হয়, তাদের মায়েদের কোলে তাদের প্রাণ ঢলে পড়ে।
13 τί μαρτυρήσω σοι ἢ τί ὁμοιώσω σοι θύγατερ Ιερουσαλημ τίς σώσει σε καὶ παρακαλέσει σε παρθένος θύγατερ Σιων ὅτι ἐμεγαλύνθη ποτήριον συντριβῆς σου τίς ἰάσεταί σε
আমি তোমাকে কী বলব? হে, জেরুশালেম-কন্যা, তোমাকে কার সঙ্গে আমি তুলনা করব? হে সিয়োনের কুমারী-কন্যা, কার সঙ্গে আমি তোমার তুলনা করব, যাতে আমি তোমাকে সান্ত্বনা দিতে পারি? তোমার ক্ষত সমুদ্রের মতোই গভীর। কে তোমায় আরোগ্য করতে পারে?
14 προφῆταί σου εἴδοσάν σοι μάταια καὶ ἀφροσύνην καὶ οὐκ ἀπεκάλυψαν ἐπὶ τὴν ἀδικίαν σου τοῦ ἐπιστρέψαι αἰχμαλωσίαν σου καὶ εἴδοσάν σοι λήμματα μάταια καὶ ἐξώσματα
তোমার ভাববাদীদের দর্শনগুলি মিথ্যা ও অসার ছিল; নির্বাসন থেকে তোমাকে মুক্ত করার জন্য তারা তোমার পাপকে প্রকাশ করেনি। যে প্রত্যাদেশ তারা তোমাকে দিয়েছিল, সেগুলি ছিল মিথ্যা ও ভ্রান্ত পথ-নির্দশক।
15 ἐκρότησαν ἐπὶ σὲ χεῖρας πάντες οἱ παραπορευόμενοι ὁδόν ἐσύρισαν καὶ ἐκίνησαν τὴν κεφαλὴν αὐτῶν ἐπὶ τὴν θυγατέρα Ιερουσαλημ ἦ αὕτη ἡ πόλις ἣν ἐροῦσιν στέφανος δόξης εὐφροσύνη πάσης τῆς γῆς
যারাই তোমার পাশ দিয়ে যায়, তারাই তোমাকে দেখে হাততালি দেয়; তারা জেরুশালেম-কন্যাকে টিটকিরি দেয় ও মাথা নেড়ে বলে: “এই কি সেই নগর, যাকে বলা হত ‘পরম সৌন্দর্যের স্থান,’ ও ‘সমস্ত পৃথিবীর আনন্দস্থল’?”
16 διήνοιξαν ἐπὶ σὲ στόμα αὐτῶν πάντες οἱ ἐχθροί σου ἐσύρισαν καὶ ἔβρυξαν ὀδόντας εἶπαν κατεπίομεν αὐτήν πλὴν αὕτη ἡ ἡμέρα ἣν προσεδοκῶμεν εὕρομεν αὐτήν εἴδομεν
তোমার সব শত্রু তোমার বিপক্ষে মুখ খুলে বড়ো হাঁ করে; তারা টিটকিরি দেয় ও দাঁতে দাঁত ঘষে, আর বলে, “আমরা ওকে গিলে ফেলেছি। এই দিনটির জন্যই আমরা এতদিন অপেক্ষা করছিলাম; এটি দেখার জন্যই আমরা বেঁচেছিলাম।”
17 ἐποίησεν κύριος ἃ ἐνεθυμήθη συνετέλεσεν ῥήματα αὐτοῦ ἃ ἐνετείλατο ἐξ ἡμερῶν ἀρχαίων καθεῖλεν καὶ οὐκ ἐφείσατο καὶ ηὔφρανεν ἐπὶ σὲ ἐχθρόν ὕψωσεν κέρας θλίβοντός σε
সদাপ্রভু তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছেন; তিনি তাঁর কথা রেখেছেন, যে কথা তিনি বহুপূর্বে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি মমতা না করে তোমাকে নিপাত করেছেন, তিনি শত্রুকে তোমার বিরুদ্ধে আনন্দ করতে দিয়েছেন, তিনি তোমার বিপক্ষের শৃঙ্গকে উন্নত করেছেন।
18 ἐβόησεν καρδία αὐτῶν πρὸς κύριον τείχη Σιων καταγάγετε ὡς χειμάρρους δάκρυα ἡμέρας καὶ νυκτός μὴ δῷς ἔκνηψιν σεαυτῇ μὴ σιωπήσαιτο θύγατερ ὁ ὀφθαλμός σου
লোকদের হৃদয় প্রভুর কাছে কেঁদে ওঠে। হে সিয়োন-কন্যার প্রাচীর, দিনরাত তোমার চোখ দিয়ে নদীস্রোতের মতো অশ্রু বয়ে যাক; তোমার কোনও ছাড় নেই, তোমার চোখের কোনও বিশ্রাম নেই।
19 ἀνάστα ἀγαλλίασαι ἐν νυκτὶ εἰς ἀρχὰς φυλακῆς σου ἔκχεον ὡς ὕδωρ καρδίαν σου ἀπέναντι προσώπου κυρίου ἆρον πρὸς αὐτὸν χεῖράς σου περὶ ψυχῆς νηπίων σου τῶν ἐκλυομένων λιμῷ ἐπ’ ἀρχῆς πασῶν ἐξόδων
রাতের প্রহর শুরু হলে পর ওঠো, রাত্রিকালে কাঁদতে থাকো; প্রভুর সামনে জলের মতো তোমার হৃদয় ঢেলে দাও তাঁর উদ্দেশ্যে তোমার দু-হাত তুলে ধরো, তোমার ছেলেমেয়েদের প্রাণরক্ষার জন্য, যারা প্রত্যেকটি পথের মোড়ে ক্ষুধায় মূর্ছিত হয়।
20 ἰδέ κύριε καὶ ἐπίβλεψον τίνι ἐπεφύλλισας οὕτως εἰ φάγονται γυναῖκες καρπὸν κοιλίας αὐτῶν ἐπιφυλλίδα ἐποίησεν μάγειρος φονευθήσονται νήπια θηλάζοντα μαστούς ἀποκτενεῖς ἐν ἁγιάσματι κυρίου ἱερέα καὶ προφήτην
“হে সদাপ্রভু, তুমি দেখো ও বিবেচনা করো: তুমি এমন আচরণ আগে কার সঙ্গে করেছ? যে নারীরা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্ম দিয়েছে, তাদের সন্তানদের প্রতিপালন করেছে, তারা কি তাদের মাংস খাবে? প্রভুর ধর্মধামের ভিতরে কি যাজক ও ভাববাদীদের হত্যা করা হবে?
21 ἐκοιμήθησαν εἰς τὴν ἔξοδον παιδάριον καὶ πρεσβύτης παρθένοι μου καὶ νεανίσκοι μου ἐπορεύθησαν ἐν αἰχμαλωσίᾳ ἐν ῥομφαίᾳ καὶ ἐν λιμῷ ἀπέκτεινας ἐν ἡμέρᾳ ὀργῆς σου ἐμαγείρευσας οὐκ ἐφείσω
“পথে পথে ধুলোর মধ্যে যুবক ও বৃদ্ধ সকলেই লুটিয়ে পড়ে আছে; আমার যুবকেরা ও কুমারী-কন্যারা তরোয়ালের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে। তোমার ক্রোধের দিনে তুমি তাদের বধ করেছ; কোনো মমতা ছাড়াই তুমি তাদের কেটে ফেলেছ।
22 ἐκάλεσεν ἡμέραν ἑορτῆς παροικίας μου κυκλόθεν καὶ οὐκ ἐγένοντο ἐν ἡμέρᾳ ὀργῆς κυρίου ἀνασῳζόμενος καὶ καταλελειμμένος ὡς ἐπεκράτησα καὶ ἐπλήθυνα ἐχθρούς μου πάντας
“উৎসবের দিনে তুমি যেভাবে লোকদের আহ্বান করো, ঠিক তেমনই তুমি আমার জন্য চারদিক থেকে ত্রাসকে আহ্বান করেছ। সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে কেউই পালাতে বা বেঁচে থাকতে পারেনি; যাদের আমি প্রতিপালন ও যত্ন করেছি, আমার শত্রু তাদের সংহার করেছে।”
