< Κριταί 13 >

1 καὶ προσέθηκαν οἱ υἱοὶ Ισραηλ ποιῆσαι τὸ πονηρὸν ἐνώπιον κυρίου καὶ παρέδωκεν αὐτοὺς κύριος ἐν χειρὶ Φυλιστιιμ τεσσαράκοντα ἔτη
ইস্রায়েলীরা আবার সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে মন্দ কাজকর্ম করল, তাই সদাপ্রভু চল্লিশ বছরের জন্য ফিলিস্তিনীদের হাতে তাদের সমর্পণ করলেন।
2 καὶ ἦν ἀνὴρ εἷς ἀπὸ Σαραα ἀπὸ δήμου συγγενείας τοῦ Δανι καὶ ὄνομα αὐτῷ Μανωε καὶ γυνὴ αὐτῷ στεῖρα καὶ οὐκ ἔτεκεν
দানীয় গোষ্ঠীভুক্ত, সরা নিবাসী মানোহ বলে একজন ব্যক্তির স্ত্রী বন্ধ্যা ছিলেন। তিনি সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি।
3 καὶ ὤφθη ἄγγελος κυρίου πρὸς τὴν γυναῖκα καὶ εἶπεν πρὸς αὐτήν ἰδοὺ σὺ στεῖρα καὶ οὐ τέτοκας καὶ συλλήμψῃ υἱόν
সদাপ্রভুর দূত সেই স্ত্রীকে দর্শন দিয়ে বললেন, “তুমি তো বন্ধ্যা ও সন্তানহীনা, কিন্তু তুমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এক ছেলের জন্ম দিতে যাচ্ছ।
4 καὶ νῦν φύλαξαι δὴ καὶ μὴ πίῃς οἶνον καὶ μέθυσμα καὶ μὴ φάγῃς πᾶν ἀκάθαρτον
এখন দেখো, তুমি যেন দ্রাক্ষারস বা অন্য কোনও গাঁজানো পানীয় পান কোরো না এবং অশুচি কোনো কিছু খেয়ো না।
5 ὅτι ἰδοὺ σὺ ἐν γαστρὶ ἔχεις καὶ τέξῃ υἱόν καὶ σίδηρος οὐκ ἀναβήσεται ἐπὶ τὴν κεφαλὴν αὐτοῦ ὅτι ναζιρ θεοῦ ἔσται τὸ παιδάριον ἀπὸ τῆς κοιλίας καὶ αὐτὸς ἄρξεται τοῦ σῶσαι τὸν Ισραηλ ἐκ χειρὸς Φυλιστιιμ
তুমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এমন এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবে যার মাথায় কখনও ক্ষুর ছোঁয়ানো যাবে না কারণ ছেলেটি হবে একজন নাসরীয়, গর্ভে থাকার সময় থেকেই সে ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত হবে। ফিলিস্তিনীদের হাত থেকে ইস্রায়েলকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সেই নেতৃত্ব দেবে।”
6 καὶ εἰσῆλθεν ἡ γυνὴ καὶ εἶπεν τῷ ἀνδρὶ αὐτῆς λέγουσα ἄνθρωπος θεοῦ ἦλθεν πρός με καὶ εἶδος αὐτοῦ ὡς εἶδος ἀγγέλου θεοῦ φοβερὸν σφόδρα καὶ οὐκ ἠρώτησα αὐτόν πόθεν ἐστίν καὶ τὸ ὄνομα αὐτοῦ οὐκ ἀπήγγειλέν μοι
তখন সেই মহিলাটি তাঁর স্বামীর কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, “ঈশ্বরের একজন লোক আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁকে দেখতে লাগছিল ঈশ্বরের এক দূতের মতো, খুবই ভয়ংকর। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করিনি তিনি কোথা থেকে এসেছেন, এবং তিনিও আমাকে তাঁর নাম বলেননি।
7 καὶ εἶπέν μοι ἰδοὺ σὺ ἐν γαστρὶ ἔχεις καὶ τέξῃ υἱόν καὶ νῦν μὴ πίῃς οἶνον καὶ μέθυσμα καὶ μὴ φάγῃς πᾶν ἀκάθαρτον ὅτι ἅγιον θεοῦ ἔσται τὸ παιδάριον ἀπὸ γαστρὸς ἕως ἡμέρας θανάτου αὐτοῦ
কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি অন্তঃসত্ত্বা হবে এবং এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবে। তাই এখন থেকে, তুমি দ্রাক্ষারস বা অন্য কোনও গাঁজানো পানীয় পান কোরো না এবং অশুচি কোনো কিছু খেয়ো না, কারণ সেই ছেলেটি গর্ভ থেকে তার মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ঈশ্বরের উদ্দেশে এক নাসরীয় হয়ে থাকবে।’”
8 καὶ προσηύξατο Μανωε πρὸς κύριον καὶ εἶπεν ἐν ἐμοί κύριε Αδωναιε τὸν ἄνθρωπον τοῦ θεοῦ ὃν ἀπέστειλας ἐλθέτω δὴ ἔτι πρὸς ἡμᾶς καὶ συμβιβασάτω ἡμᾶς τί ποιήσωμεν τῷ παιδίῳ τῷ τικτομένῳ
তখন মানোহ সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন: “হে প্রভু, আপনার এই দাসকে ক্ষমা করবেন। আমি আপনার কাছে মিনতি করছি, ঈশ্বরের যে লোকটিকে আপনি আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন, তিনি যেন আবার ফিরে এসে আমাদের শিক্ষা দেন কীভাবে আমরা সেই ছেলেটিকে বড়ো করে তুলব, যার জন্ম হতে চলেছে।”
9 καὶ εἰσήκουσεν ὁ θεὸς τῆς φωνῆς Μανωε καὶ ἦλθεν ὁ ἄγγελος τοῦ θεοῦ ἔτι πρὸς τὴν γυναῖκα καὶ αὕτη ἐκάθητο ἐν ἀγρῷ καὶ Μανωε ὁ ἀνὴρ αὐτῆς οὐκ ἦν μετ’ αὐτῆς
ঈশ্বর মানোহের প্রার্থনা শুনলেন, এবং ঈশ্বরের দূত আবার সেই মহিলাটির কাছে এলেন, যখন তিনি ক্ষেতে ছিলেন; কিন্তু তাঁর স্বামী মানোহ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না।
10 καὶ ἐτάχυνεν ἡ γυνὴ καὶ ἔδραμεν καὶ ἀνήγγειλεν τῷ ἀνδρὶ αὐτῆς καὶ εἶπεν πρὸς αὐτόν ἰδοὺ ὦπται πρός με ὁ ἀνήρ ὃς ἦλθεν ἐν ἡμέρᾳ πρός με
মহিলাটি দৌড়ে গিয়ে তাঁর স্বামীকে বললেন, “সেদিন যে লোকটি আমাকে দর্শন দিয়েছিলেন, তিনি এখানে এসেছেন!”
11 καὶ ἀνέστη καὶ ἐπορεύθη Μανωε ὀπίσω τῆς γυναικὸς αὐτοῦ καὶ ἦλθεν πρὸς τὸν ἄνδρα καὶ εἶπεν αὐτῷ εἰ σὺ εἶ ὁ ἀνὴρ ὁ λαλήσας πρὸς τὴν γυναῖκα καὶ εἶπεν ὁ ἄγγελος ἐγώ
মানোহ উঠে তাঁর স্ত্রীকে অনুসরণ করলেন। সেই লোকটির কাছে পৌঁছে তিনি বললেন, “আপনিই কি সেই ব্যক্তি যিনি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন?” “আমিই সেই ব্যক্তি,” তিনি বললেন।
12 καὶ εἶπεν Μανωε νῦν ἐλεύσεται ὁ λόγος σου τίς ἔσται κρίσις τοῦ παιδίου καὶ τὰ ποιήματα αὐτοῦ
অতএব মানোহ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার কথা যখন পূর্ণ হবে, তখন সেই ছেলেটির জীবন ও কর্ম নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মটি কী হবে?”
13 καὶ εἶπεν ὁ ἄγγελος κυρίου πρὸς Μανωε ἀπὸ πάντων ὧν εἴρηκα πρὸς τὴν γυναῖκα φυλάξεται
সদাপ্রভুর দূত তাঁকে উত্তর দিলেন, “তোমার স্ত্রীকে আমি যা যা করতে বলেছি, সে যেন অবশ্যই তা করে।
14 ἀπὸ παντός ὃ ἐκπορεύεται ἐξ ἀμπέλου τοῦ οἴνου οὐ φάγεται καὶ οἶνον καὶ σικερα μέθυσμα μὴ πιέτω καὶ πᾶν ἀκάθαρτον μὴ φαγέτω πάντα ὅσα ἐνετειλάμην αὐτῇ φυλάξεται
সে যেন এমন কিছু না খায় যা দ্রাক্ষালতা থেকে উৎপন্ন, অথবা যেন দ্রাক্ষারস বা গাঁজানো অন্য কোনও পানীয় পান না করে বা অশুচি কোনো কিছু না খায়। আমি তাকে যেসব আদেশ দিয়েছি, সে যেন অবশ্যই তা পালন করে।”
15 καὶ εἶπεν Μανωε πρὸς τὸν ἄγγελον κυρίου κατάσχωμεν ὧδέ σε καὶ ποιήσωμεν ἐνώπιόν σου ἔριφον αἰγῶν
মানোহ সদাপ্রভুর দূতকে বললেন, “আমরা চাই আপনি ততক্ষণ অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না আমরা আপনার জন্য একটি কচি পাঁঠার মাংস রান্না করে আনছি।”
16 καὶ εἶπεν ὁ ἄγγελος κυρίου πρὸς Μανωε ἐὰν κατάσχῃς με οὐ φάγομαι ἀπὸ τῶν ἄρτων σου καὶ ἐὰν ποιήσῃς ὁλοκαύτωμα τῷ κυρίῳ ἀνοίσεις αὐτό ὅτι οὐκ ἔγνω Μανωε ὅτι ἄγγελος κυρίου αὐτός
সদাপ্রভুর দূত উত্তর দিলেন, “তুমি আমাকে অপেক্ষা করালেও, আমি তোমার আনা কোনও খাবার খাব না। কিন্তু তুমি যদি হোমবলি উৎসর্গ করো, তবে তা সদাপ্রভুর উদ্দেশেই করো।” (মানোহ বুঝতে পারেননি যে তিনি সদাপ্রভুর দূত।)
17 καὶ εἶπεν Μανωε πρὸς τὸν ἄγγελον κυρίου τί τὸ ὄνομά σοι ὅτι ἔλθοι τὸ ῥῆμά σου καὶ δοξάσομέν σε
পরে মানোহ সদাপ্রভুর দূতের কাছে জানতে চাইলেন, “আপনার নাম কী, যেন আপনার কথা যখন পূর্ণ হবে, তখন আমরা আপনাকে সম্মান জানাতে পারি?”
18 καὶ εἶπεν αὐτῷ ὁ ἄγγελος κυρίου εἰς τί τοῦτο ἐρωτᾷς τὸ ὄνομά μου καὶ αὐτό ἐστιν θαυμαστόν
তিনি উত্তর দিলেন, “আমার নাম জিজ্ঞাসা করছ কেন? তা তোমার বোধের অগম্য।”
19 καὶ ἔλαβεν Μανωε τὸν ἔριφον τῶν αἰγῶν καὶ τὴν θυσίαν καὶ ἀνήνεγκεν ἐπὶ τὴν πέτραν τῷ κυρίῳ καὶ διεχώρισεν ποιῆσαι καὶ Μανωε καὶ ἡ γυνὴ αὐτοῦ βλέποντες
তখন মানোহ একটি কচি পাঁঠা নিলেন ও সঙ্গে নিলেন শস্য-নৈবেদ্য, এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে তা একটি পাষাণ-পাথরের উপরে উৎসর্গ করলেন। আর মানোহ ও তাঁর স্ত্রীর চোখের সামনেই সদাপ্রভু এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটালেন:
20 καὶ ἐγένετο ἐν τῷ ἀναβῆναι τὴν φλόγα ἐπάνω τοῦ θυσιαστηρίου ἕως τοῦ οὐρανοῦ καὶ ἀνέβη ὁ ἄγγελος κυρίου ἐν τῇ φλογὶ τοῦ θυσιαστηρίου καὶ Μανωε καὶ ἡ γυνὴ αὐτοῦ βλέποντες καὶ ἔπεσαν ἐπὶ πρόσωπον αὐτῶν ἐπὶ τὴν γῆν
বেদি থেকে যখন আগুনের শিখা আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছিল, তখন সদাপ্রভুর দূত ওই শিখা ধরে উঠে গেলেন। তা দেখে, মানোহ ও তাঁর স্ত্রী মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লেন।
21 καὶ οὐ προσέθηκεν ἔτι ὁ ἄγγελος κυρίου ὀφθῆναι πρὸς Μανωε καὶ πρὸς τὴν γυναῖκα αὐτοῦ τότε ἔγνω Μανωε ὅτι ἄγγελος κυρίου οὗτος
সদাপ্রভুর দূত যখন আর মানোহ ও তাঁর স্ত্রীকে দর্শন দিলেন না, তখন মানোহ বুঝতে পারলেন যে তিনি ছিলেন সদাপ্রভুর দূত।
22 καὶ εἶπεν Μανωε πρὸς τὴν γυναῖκα αὐτοῦ θανάτῳ ἀποθανούμεθα ὅτι θεὸν εἴδομεν
“আমাদের মৃত্যু অনিবার্য!” তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন। “আমরা ঈশ্বরকে দেখেছি!”
23 καὶ εἶπεν αὐτῷ ἡ γυνὴ αὐτοῦ εἰ ἤθελεν ὁ κύριος θανατῶσαι ἡμᾶς οὐκ ἂν ἔλαβεν ἐκ χειρὸς ἡμῶν ὁλοκαύτωμα καὶ θυσίαν καὶ οὐκ ἂν ἔδειξεν ἡμῖν ταῦτα πάντα καὶ καθὼς καιρὸς οὐκ ἂν ἠκούτισεν ἡμᾶς ταῦτα
কিন্তু তাঁর স্ত্রী উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু যদি আমাদের হত্যা করতে চাইতেন, তবে তিনি আমাদের হাত থেকে হোমবলি ও শস্য-নৈবেদ্য গ্রহণ করতেন না, বা এসব কিছু আমাদের দেখাতেন না বা এখন এসব কথাও আমাদের বলতেন না।”
24 καὶ ἔτεκεν ἡ γυνὴ υἱὸν καὶ ἐκάλεσεν τὸ ὄνομα αὐτοῦ Σαμψων καὶ ἡδρύνθη τὸ παιδάριον καὶ εὐλόγησεν αὐτὸ κύριος
পরে সেই মহিলাটি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন এবং তার নাম রাখলেন শিম্‌শোন। ছেলেটি বেড়ে উঠল এবং সদাপ্রভু তাকে আশীর্বাদ করলেন,
25 καὶ ἤρξατο πνεῦμα κυρίου συνεκπορεύεσθαι αὐτῷ ἐν παρεμβολῇ Δαν καὶ ἀνὰ μέσον Σαραα καὶ ἀνὰ μέσον Εσθαολ
এবং সে যখন সরা ও ইষ্টায়োলের মাঝখানে অবস্থিত মহনেদানে ছিল, তখন থেকেই সদাপ্রভুর আত্মা তাকে চালাতে শুরু করলেন।

< Κριταί 13 >