Ἰησοῦς Nαυῆ 10
1 ὡς δὲ ἤκουσεν Αδωνιβεζεκ βασιλεὺς Ιερουσαλημ ὅτι ἔλαβεν Ἰησοῦς τὴν Γαι καὶ ἐξωλέθρευσεν αὐτήν ὃν τρόπον ἐποίησαν τὴν Ιεριχω καὶ τὸν βασιλέα αὐτῆς οὕτως ἐποίησαν τὴν Γαι καὶ τὸν βασιλέα αὐτῆς καὶ ὅτι αὐτομόλησαν οἱ κατοικοῦντες Γαβαων πρὸς Ἰησοῦν καὶ πρὸς Ισραηλ
১যিরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক যখন শুনলেন, যিহোশূয় অয় অধিকার করে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছেন, যিরীহো ও সেখানকার রাজার প্রতি যেমন করেছিলেন, অয়ের ও সেখানের রাজার প্রতিও একই করেছেন এবং গিবিয়োন-নিবাসীরা ইস্রায়েলের সঙ্গে সন্ধি করে তাদের মধ্য বসবাস করছে;
2 καὶ ἐφοβήθησαν ἐν αὐτοῖς σφόδρα ᾔδει γὰρ ὅτι μεγάλη πόλις Γαβαων ὡσεὶ μία τῶν μητροπόλεων καὶ πάντες οἱ ἄνδρες αὐτῆς ἰσχυροί
২তখন লোকেরা খুবই ভয় পেল, কারণ গিবিয়োন নগর রাজধানীর মত বড় এবং অয়ের থেকেও বড়, আর সেই জায়গার সমস্ত লোক বলবান ছিল।
3 καὶ ἀπέστειλεν Αδωνιβεζεκ βασιλεὺς Ιερουσαλημ πρὸς Αιλαμ βασιλέα Χεβρων καὶ πρὸς Φιδων βασιλέα Ιεριμουθ καὶ πρὸς Ιεφθα βασιλέα Λαχις καὶ πρὸς Δαβιρ βασιλέα Οδολλαμ λέγων
৩আর যিরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক হিব্রোণের রাজা হোহমের, যর্মূতের রাজা পিরামের, লাখীশের রাজা যাফিয়ের ও ইগ্লোনের রাজা দবীরের কাছে দূত পাঠিয়ে এই কথা বললেন;
4 δεῦτε ἀνάβητε πρός με καὶ βοηθήσατέ μοι καὶ ἐκπολεμήσωμεν Γαβαων αὐτομόλησαν γὰρ πρὸς Ἰησοῦν καὶ πρὸς τοὺς υἱοὺς Ισραηλ
৪“আমার কাছে উঠে আসুন, আমাকে সাহায্য করুন, চলুন আমরা গিবিয়োনীয়দেরকে আঘাত করি; কারণ তারা যিহোশূয়ের ও ইস্রায়েল-সন্তানদের সঙ্গে সন্ধি করেছে।”
5 καὶ ἀνέβησαν οἱ πέντε βασιλεῖς τῶν Ιεβουσαίων βασιλεὺς Ιερουσαλημ καὶ βασιλεὺς Χεβρων καὶ βασιλεὺς Ιεριμουθ καὶ βασιλεὺς Λαχις καὶ βασιλεὺς Οδολλαμ αὐτοὶ καὶ πᾶς ὁ λαὸς αὐτῶν καὶ περιεκάθισαν τὴν Γαβαων καὶ ἐξεπολιόρκουν αὐτήν
৫অতএব ইমোরীয়দের ঐ পাঁচ রাজা, অর্থাৎ যিরুশালেমের রাজা, হিব্রোণের রাজা, যর্মূতের রাজা, লাখীশের রাজা ও ইগ্লোনের রাজা তারা তাদের সমস্ত সৈন্যের সঙ্গে একত্র হলেন এবং উঠে গিয়ে গিবিয়োনের সামনে শিবির স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
6 καὶ ἀπέστειλαν οἱ κατοικοῦντες Γαβαων πρὸς Ἰησοῦν εἰς τὴν παρεμβολὴν Ισραηλ εἰς Γαλγαλα λέγοντες μὴ ἐκλύσῃς τὰς χεῖράς σου ἀπὸ τῶν παίδων σου ἀνάβηθι πρὸς ἡμᾶς τὸ τάχος καὶ ἐξελοῦ ἡμᾶς καὶ βοήθησον ἡμῖν ὅτι συνηγμένοι εἰσὶν ἐφ’ ἡμᾶς πάντες οἱ βασιλεῖς τῶν Αμορραίων οἱ κατοικοῦντες τὴν ὀρεινήν
৬তাতে গিবিয়োনীয়েরা গিল্গলে অবস্থিত শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে লোক পাঠিয়ে বলল, “আপনার এই দাসদের থেকে আপনার হাত সরিয়ে নেবেন না, তাড়াতাড়ি এসে আমাদের রক্ষা ও সাহায্য করুন, কারণ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী ইমোরীয়দের সমস্ত রাজা আমাদের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছেন।”
7 καὶ ἀνέβη Ἰησοῦς ἐκ Γαλγαλων αὐτὸς καὶ πᾶς ὁ λαὸς ὁ πολεμιστὴς μετ’ αὐτοῦ πᾶς δυνατὸς ἐν ἰσχύι
৭তখন যিহোশূয় সমস্ত যোদ্ধা ও সমস্ত বলবান বীর সঙ্গে নিয়ে গিল্গল থেকে যাত্রা করলেন।
8 καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Ἰησοῦν μὴ φοβηθῇς αὐτούς εἰς γὰρ τὰς χεῖράς σου παραδέδωκα αὐτούς οὐχ ὑπολειφθήσεται ἐξ αὐτῶν οὐθεὶς ἐνώπιον ὑμῶν
৮তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “তুমি তাদেরকে ভয় কর না; কারণ আমি তোমার হাতে তাদেরকে সমর্পণ করেছি, তাদের কেউই তোমার সামনে দাঁড়াতে পারবে না।”
9 καὶ ἐπιπαρεγένετο ἐπ’ αὐτοὺς Ἰησοῦς ἄφνω ὅλην τὴν νύκτα εἰσεπορεύθη ἐκ Γαλγαλων
৯পরে যিহোশূয় হঠাৎ তাদের কাছে উপস্থিত হলেন; তিনি সমস্ত রাত গিল্গল থেকে উপরের দিকে উঠছিলেন।
10 καὶ ἐξέστησεν αὐτοὺς κύριος ἀπὸ προσώπου τῶν υἱῶν Ισραηλ καὶ συνέτριψεν αὐτοὺς κύριος σύντριψιν μεγάλην ἐν Γαβαων καὶ κατεδίωξαν αὐτοὺς ὁδὸν ἀναβάσεως Ωρωνιν καὶ κατέκοπτον αὐτοὺς ἕως Αζηκα καὶ ἕως Μακηδα
১০তখন সদাপ্রভু ইস্রায়েলের সাক্ষাৎে তাদেরকে হতভম্ভ করলেন, তাতে তিনি গিবিয়োনে মহাসংহারে তাদেরকে আঘাত করে বৈৎ-হোরোণের আরোহণ-পথ দিয়ে তাদেরকে তাড়া করলেন এবং অসেকা ও মক্কেদা পর্যন্ত তাদেরকে আঘাত করলেন।
11 ἐν τῷ δὲ φεύγειν αὐτοὺς ἀπὸ προσώπου τῶν υἱῶν Ισραηλ ἐπὶ τῆς καταβάσεως Ωρωνιν καὶ κύριος ἐπέρριψεν αὐτοῖς λίθους χαλάζης ἐκ τοῦ οὐρανοῦ ἕως Αζηκα καὶ ἐγένοντο πλείους οἱ ἀποθανόντες διὰ τοὺς λίθους τῆς χαλάζης ἢ οὓς ἀπέκτειναν οἱ υἱοὶ Ισραηλ μαχαίρᾳ ἐν τῷ πολέμῳ
১১আর ইস্রায়েলের সামনে থেকে পালানোর দিনের যখন তারা বৈৎ-হোরোণের উপরে ওঠার-পথে ছিল, তখন সদাপ্রভু অসেকা পর্যন্ত আকাশ থেকে তাদের উপরে বড় বড় পাথর (শিলা বৃষ্টি) ফেলতে লাগলেন, তাতে তারা মারা পড়ল; ইস্রায়েল-সন্তানেরা যাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করল, তার থেকে বেশি লোক শিলাবৃষ্টির জন্য মারা গেল।
12 τότε ἐλάλησεν Ἰησοῦς πρὸς κύριον ᾗ ἡμέρᾳ παρέδωκεν ὁ θεὸς τὸν Αμορραῖον ὑποχείριον Ισραηλ ἡνίκα συνέτριψεν αὐτοὺς ἐν Γαβαων καὶ συνετρίβησαν ἀπὸ προσώπου υἱῶν Ισραηλ καὶ εἶπεν Ἰησοῦς στήτω ὁ ἥλιος κατὰ Γαβαων καὶ ἡ σελήνη κατὰ φάραγγα Αιλων
১২সেই দিনের যে দিন সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানদের সামনে ইমোরীয়দিগকে সমর্পণ করেন, সেই দিন যিহোশূয় সদাপ্রভুর কাছে অনুরোধ করলেন; আর তিনি ইস্রায়েলের সামনে বললেন, “সূর্য্য, তুমি স্থির হও গিবিয়োনে, আর চন্দ্র, তুমি অয়ালোন উপত্যকায়।”
13 καὶ ἔστη ὁ ἥλιος καὶ ἡ σελήνη ἐν στάσει ἕως ἠμύνατο ὁ θεὸς τοὺς ἐχθροὺς αὐτῶν καὶ ἔστη ὁ ἥλιος κατὰ μέσον τοῦ οὐρανοῦ οὐ προεπορεύετο εἰς δυσμὰς εἰς τέλος ἡμέρας μιᾶς
১৩তখন সূর্য্য স্থির হল ও চন্দ্র স্থির থাকল, যতক্ষণ না সেই জাতি শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নিল। এই কথা কি যাশের বইতে লেখা নেই? আর মধ্য আকাশে সূর্য্য স্থির থাকল, অস্ত যেতে প্রায় সম্পূর্ণ এক দিন দেরি করল।
14 καὶ οὐκ ἐγένετο ἡμέρα τοιαύτη οὐδὲ τὸ πρότερον οὐδὲ τὸ ἔσχατον ὥστε ἐπακοῦσαι θεὸν ἀνθρώπου ὅτι κύριος συνεπολέμησεν τῷ Ισραηλ
১৪তার আগে কি পরে সদাপ্রভু যে মানুষের কথা এমনভাবে শুনেছেন, এমন আর আগে কোন দিন ও হয়নি; কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন।
১৫পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্গলের শিবিরে ফিরে এলেন।
16 καὶ ἔφυγον οἱ πέντε βασιλεῖς οὗτοι καὶ κατεκρύβησαν εἰς τὸ σπήλαιον τὸ ἐν Μακηδα
১৬আর ঐ পাঁচ রাজা পালিয়ে মক্কেদার গুহাতে লুকিয়েছিলেন।
17 καὶ ἀπηγγέλη τῷ Ἰησοῦ λέγοντες εὕρηνται οἱ πέντε βασιλεῖς κεκρυμμένοι ἐν τῷ σπηλαίῳ τῷ ἐν Μακηδα
১৭পরে সেই পাঁচ রাজাকে মক্কেদার গুহাতে লুকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এই সংবাদ যিহোশূয়কে দেওয়া হল।
18 καὶ εἶπεν Ἰησοῦς κυλίσατε λίθους ἐπὶ τὸ στόμα τοῦ σπηλαίου καὶ καταστήσατε ἄνδρας φυλάσσειν ἐπ’ αὐτούς
১৮যিহোশূয় বললেন, “তোমরা সেই গুহার মুখে কয়েকটি বড় বড় পাথর গড়িয়ে দিয়ে সেগুলি রক্ষা করার জন্য সেখানে লোক নিযুক্ত কর,
19 ὑμεῖς δὲ μὴ ἑστήκατε καταδιώκοντες ὀπίσω τῶν ἐχθρῶν ὑμῶν καὶ καταλάβετε τὴν οὐραγίαν αὐτῶν καὶ μὴ ἀφῆτε εἰσελθεῖν εἰς τὰς πόλεις αὐτῶν παρέδωκεν γὰρ αὐτοὺς κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν εἰς τὰς χεῖρας ἡμῶν
১৯কিন্তু তোমরা দেরি কর না, শত্রুদের তাড়া কর ও তাদের সৈন্যদের পিছনের দিক থেকে আঘাত কর, তাদেরকে তাদের নগরে প্রবেশ করতে দিও না; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদেরকে তোমাদের হাতে সমর্পণ করেছেন।”
20 καὶ ἐγένετο ὡς κατέπαυσεν Ἰησοῦς καὶ πᾶς υἱὸς Ισραηλ κόπτοντες αὐτοὺς κοπὴν μεγάλην σφόδρα ἕως εἰς τέλος καὶ οἱ διασῳζόμενοι διεσώθησαν εἰς τὰς πόλεις τὰς ὀχυράς
২০পরে যিহোশূয় ও ইস্রায়েল-সন্তানেরা তাদের সর্বনাশ পর্যন্ত মহাসংহারে তাদেরকে আঘাত করলেন, তাদের মধ্য থেকে কিছু অবশিষ্ট লোক পালিয়ে দেওয়ালে ঘেরা কিছু নগরে প্রবেশ করল।
21 καὶ ἀπεστράφη πᾶς ὁ λαὸς πρὸς Ἰησοῦν εἰς Μακηδα ὑγιεῖς καὶ οὐκ ἔγρυξεν οὐθεὶς τῶν υἱῶν Ισραηλ τῇ γλώσσῃ αὐτοῦ
২১পরে সমস্ত লোক মক্কেদায় যিহোশূয়ের কাছে শিবিরে ভালোভাবে ফিরে এল; ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে কেউ জিভ নাড়ালো না (কোনো কথা বলতে সাহস পেল না)।
22 καὶ εἶπεν Ἰησοῦς ἀνοίξατε τὸ σπήλαιον καὶ ἐξαγάγετε τοὺς πέντε βασιλεῖς τούτους ἐκ τοῦ σπηλαίου
২২পরে যিহোশূয় বললেন, “তোমরা ঐ গুহার মুখ খোল এবং সেখান থেকে সেই পাঁচ জন রাজাকে বের করে আমার কাছে আন।”
23 καὶ ἐξηγάγοσαν τοὺς πέντε βασιλεῖς ἐκ τοῦ σπηλαίου τὸν βασιλέα Ιερουσαλημ καὶ τὸν βασιλέα Χεβρων καὶ τὸν βασιλέα Ιεριμουθ καὶ τὸν βασιλέα Λαχις καὶ τὸν βασιλέα Οδολλαμ
২৩তখন তারা সেই রকম করল, যিরুশালেমের রাজা, হিব্রোণের রাজা, যর্মূতের রাজা, লাখীশের রাজা ও ইগ্লোনের রাজা, এই পাঁচ জন রাজাকে সেই গুহা থেকে বের করে তার কাছে আনল।
24 καὶ ἐπεὶ ἐξήγαγον αὐτοὺς πρὸς Ἰησοῦν καὶ συνεκάλεσεν Ἰησοῦς πάντα Ισραηλ καὶ τοὺς ἐναρχομένους τοῦ πολέμου τοὺς συμπορευομένους αὐτῷ λέγων αὐτοῖς προπορεύεσθε καὶ ἐπίθετε τοὺς πόδας ὑμῶν ἐπὶ τοὺς τραχήλους αὐτῶν καὶ προσελθόντες ἐπέθηκαν τοὺς πόδας αὐτῶν ἐπὶ τοὺς τραχήλους αὐτῶν
২৪এই ভাবে তারা ঐ রাজাদের যিহোশূয়ের কাছে নিয়ে আসলে পর, যিহোশূয় ইস্রায়েলের সমস্ত পুরুষকে ডাকলেন এবং যারা তার সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের নেতাদেরকে বললেন, “তোমরা কাছে এস, এই রাজাদের ঘাড়ে পা দাও,” তাতে তারা কাছে এসে তাদের ঘাড়ে পা দিল।
25 καὶ εἶπεν πρὸς αὐτοὺς Ἰησοῦς μὴ φοβηθῆτε αὐτοὺς μηδὲ δειλιάσητε ἀνδρίζεσθε καὶ ἰσχύετε ὅτι οὕτως ποιήσει κύριος πᾶσι τοῖς ἐχθροῖς ὑμῶν οὓς ὑμεῖς καταπολεμεῖτε αὐτούς
২৫আর যিহোশূয় তাদেরকে বললেন, “ভয় পেয়ো না ও নিরাশ হয়ো না, বলবান হও, ও সাহস কর; কারণ তোমরা যে শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে, তাদের সবার প্রতি সদাপ্রভু এমনই করবেন।”
26 καὶ ἀπέκτεινεν αὐτοὺς Ἰησοῦς καὶ ἐκρέμασεν αὐτοὺς ἐπὶ πέντε ξύλων καὶ ἦσαν κρεμάμενοι ἐπὶ τῶν ξύλων ἕως ἑσπέρας
২৬তারপরে যিহোশূয় আঘাত করে সেই পাঁচ জন রাজাকে বধ করলেন ও পাঁচটি গাছে ঝুলিয়ে দিলেন; তাতে তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছে টাঙ্গান অবস্থায় থাকলেন।
27 καὶ ἐγενήθη πρὸς ἡλίου δυσμὰς ἐνετείλατο Ἰησοῦς καὶ καθεῖλον αὐτοὺς ἀπὸ τῶν ξύλων καὶ ἔρριψαν αὐτοὺς εἰς τὸ σπήλαιον εἰς ὃ κατεφύγοσαν ἐκεῖ καὶ ἐπεκύλισαν λίθους ἐπὶ τὸ σπήλαιον ἕως τῆς σήμερον ἡμέρας
২৭পরে সূর্যাস্তের দিনের লোকেরা যিহোশূয়ের আদেশে তাদেরকে গাছ থেকে নামিয়ে, যে গুহাতে তারা লুকিয়েছিলেন, সেই গুহার মধ্যে ফেলে দিল ও গুহার মুখে কয়েকটি বড় বড় পাথর দিয়ে রাখল; তা আজও আছে।
28 καὶ τὴν Μακηδα ἐλάβοσαν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ καὶ ἐφόνευσαν αὐτὴν ἐν στόματι ξίφους καὶ ἐξωλέθρευσαν πᾶν ἐμπνέον ἐν αὐτῇ καὶ οὐ κατελείφθη ἐν αὐτῇ οὐδεὶς διασεσῳσμένος καὶ διαπεφευγώς καὶ ἐποίησαν τῷ βασιλεῖ Μακηδα ὃν τρόπον ἐποίησαν τῷ βασιλεῖ Ιεριχω
২৮আর সেই দিন যিহোশূয় মক্কেদা অধিকার করলেন এবং মক্কেদা ও সেখানের রাজাকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করলেন; সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন, কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; যেমন যিরীহোর রাজার প্রতি করেছিলেন, মক্কেদার রাজার প্রতিও তেমনই করলেন।
29 καὶ ἀπῆλθεν Ἰησοῦς καὶ πᾶς Ισραηλ μετ’ αὐτοῦ ἐκ Μακηδα εἰς Λεβνα καὶ ἐπολιόρκει Λεβνα
২৯পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে করে মক্কেদা থেকে লিব্নাতে গিয়ে লিব্নার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
30 καὶ παρέδωκεν αὐτὴν κύριος εἰς χεῖρας Ισραηλ καὶ ἔλαβον αὐτὴν καὶ τὸν βασιλέα αὐτῆς καὶ ἐφόνευσαν αὐτὴν ἐν στόματι ξίφους καὶ πᾶν ἐμπνέον ἐν αὐτῇ καὶ οὐ κατελείφθη ἐν αὐτῇ οὐδὲ εἷς διασεσῳσμένος καὶ διαπεφευγώς καὶ ἐποίησαν τῷ βασιλεῖ αὐτῆς ὃν τρόπον ἐποίησαν τῷ βασιλεῖ Ιεριχω
৩০তাতে সদাপ্রভু লিব্না ও সেই জায়গার রাজাকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন; তারা লিব্না ও সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল, তার মধ্যে কাউকেই অবশিষ্ট রাখল না; যেমন যিরীহোর রাজার প্রতি করেছিল, সেই জায়গার রাজার প্রতিও একই রকম করলেন।
31 καὶ ἀπῆλθεν Ἰησοῦς καὶ πᾶς Ισραηλ μετ’ αὐτοῦ ἐκ Λεβνα εἰς Λαχις καὶ περιεκάθισεν αὐτὴν καὶ ἐπολιόρκει αὐτήν
৩১পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে লিব্না থেকে লাখীশে গিয়ে তার বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন করে যুদ্ধ করলেন।
32 καὶ παρέδωκεν κύριος τὴν Λαχις εἰς τὰς χεῖρας Ισραηλ καὶ ἔλαβεν αὐτὴν ἐν τῇ ἡμέρᾳ τῇ δευτέρᾳ καὶ ἐφόνευσαν αὐτὴν ἐν στόματι ξίφους καὶ ἐξωλέθρευσαν αὐτήν ὃν τρόπον ἐποίησαν τὴν Λεβνα
৩২আর সদাপ্রভু লাখীশকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন ও তারা দ্বিতীয় দিনের তা অধিকার করে যেমন লিব্নার প্রতি করেছিল, তেমন লাখীশ ও সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল।
33 τότε ἀνέβη Αιλαμ βασιλεὺς Γαζερ βοηθήσων τῇ Λαχις καὶ ἐπάταξεν αὐτὸν Ἰησοῦς ἐν στόματι ξίφους καὶ τὸν λαὸν αὐτοῦ ἕως τοῦ μὴ καταλειφθῆναι αὐτῶν σεσῳσμένον καὶ διαπεφευγότα
৩৩সেই দিন গেষরের রাজা হোরম লাখীশের সাহায্য করতে এসেছিলেন; আর যিহোশূয় তাকে ও তার লোকদেরকে আঘাত করলেন; তার কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না।
34 καὶ ἀπῆλθεν Ἰησοῦς καὶ πᾶς Ισραηλ μετ’ αὐτοῦ ἐκ Λαχις εἰς Οδολλαμ καὶ περιεκάθισεν αὐτὴν καὶ ἐπολιόρκησεν αὐτήν
৩৪পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে লাখীশ থেকে ইগ্লোনে যাত্রা করলেন, আর তারা সেই জায়গার সামনে শিবির স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
35 καὶ παρέδωκεν αὐτὴν κύριος ἐν χειρὶ Ισραηλ καὶ ἔλαβεν αὐτὴν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ καὶ ἐφόνευσεν αὐτὴν ἐν στόματι ξίφους καὶ πᾶν ἐμπνέον ἐν αὐτῇ ἐφόνευσαν ὃν τρόπον ἐποίησαν τῇ Λαχις
৩৫আর সেই দিন তা অধিকার করে, যেমন লাখীশের প্রতি করেছিল, তেমনি তরোয়াল দিয়ে তা আঘাত করে সেই দিন সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল।
36 καὶ ἀπῆλθεν Ἰησοῦς καὶ πᾶς Ισραηλ μετ’ αὐτοῦ εἰς Χεβρων καὶ περιεκάθισεν αὐτήν
৩৬পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে ইগ্লোন থেকে হিব্রোণে যাত্রা করলেন, আর তারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
37 καὶ ἐπάταξεν αὐτὴν ἐν στόματι ξίφους καὶ πᾶν ἐμπνέον ὅσα ἦν ἐν αὐτῇ οὐκ ἦν διασεσῳσμένος ὃν τρόπον ἐποίησαν τὴν Οδολλαμ ἐξωλέθρευσαν αὐτὴν καὶ ὅσα ἦν ἐν αὐτῇ
৩৭আর তা অধিকার করে সেই নগর ও সেই জায়গার রাজাকে ও সমস্ত অধীন নগর ও সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল; যেমন তিনি ইগ্লোনের প্রতি করেছিলেন, সেই রকম কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; হিব্রোণ ও সেইজায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন।
38 καὶ ἀπέστρεψεν Ἰησοῦς καὶ πᾶς Ισραηλ εἰς Δαβιρ καὶ περικαθίσαντες αὐτὴν
৩৮পরে যিহোশূয় ফিরে সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে দবীরে গিয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
39 ἔλαβον αὐτὴν καὶ τὸν βασιλέα αὐτῆς καὶ τὰς κώμας αὐτῆς καὶ ἐπάταξαν αὐτὴν ἐν στόματι ξίφους καὶ ἐξωλέθρευσαν αὐτὴν καὶ πᾶν ἐμπνέον ἐν αὐτῇ καὶ οὐ κατέλιπον αὐτῇ οὐδένα διασεσῳσμένον ὃν τρόπον ἐποίησαν τὴν Χεβρων καὶ τῷ βασιλεῖ αὐτῆς οὕτως ἐποίησαν τῇ Δαβιρ καὶ τῷ βασιλεῖ αὐτῆς
৩৯আর সেই নগর ও সেখানের রাজা ও তার অধীনে সমস্ত নগরগুলি অধিকার করলেন এবং তারা তরোয়াল দিয়ে আঘাত করে সেখানের সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল; তিনি কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; যেমন তিনি হিব্রোণের প্রতি এবং লিব্নার ও সেই জায়গার রাজার প্রতি করেছিলেন, দবীরের ও সেই জায়গার রাজার প্রতিও একই রকম করলেন।
40 καὶ ἐπάταξεν Ἰησοῦς πᾶσαν τὴν γῆν τῆς ὀρεινῆς καὶ τὴν Ναγεβ καὶ τὴν πεδινὴν καὶ τὴν Ασηδωθ καὶ τοὺς βασιλεῖς αὐτῆς οὐ κατέλιπον αὐτῶν σεσῳσμένον καὶ πᾶν ἐμπνέον ζωῆς ἐξωλέθρευσεν ὃν τρόπον ἐνετείλατο κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ
৪০এই ভাবে যিহোশূয় সমস্ত দেশ, পাহাড়ি অঞ্চল, দক্ষিণ অঞ্চল, নিম্নভূমি, পাহাড়ের পাদদেশ এবং সেই সকল অঞ্চলের সমস্ত রাজাকে আঘাত করলেন, কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; তিনি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা অনুসারে শ্বাসবিশিষ্ট সবাইকেই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন।
41 ἀπὸ Καδης Βαρνη ἕως Γάζης πᾶσαν τὴν Γοσομ ἕως τῆς Γαβαων
৪১এই ভাবে যিহোশূয় কাদেশ-বর্ণেয় থেকে ঘসা পর্যন্ত তাদেরকে এবং গিবিয়োন পর্যন্ত গোশনের সমস্ত দেশকে আঘাত করলেন।
42 καὶ πάντας τοὺς βασιλεῖς αὐτῶν καὶ τὴν γῆν αὐτῶν ἐπάταξεν Ἰησοῦς εἰς ἅπαξ ὅτι κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ συνεπολέμει τῷ Ισραηλ
৪২যিহোশূয় এই সমস্ত দেশ ও রাজাদের এক দিনের ই পরাজিত করলেন, কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন।
৪৩পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্গলে অবস্থিত শিবিরে ফিরে এলেন।
