< Ἱερεμίας 41 >
1 ὁ λόγος ὁ γενόμενος πρὸς Ιερεμιαν παρὰ κυρίου καὶ Ναβουχοδονοσορ βασιλεὺς Βαβυλῶνος καὶ πᾶν τὸ στρατόπεδον αὐτοῦ καὶ πᾶσα ἡ γῆ ἀρχῆς αὐτοῦ ἐπολέμουν ἐπὶ Ιερουσαλημ καὶ ἐπὶ πάσας τὰς πόλεις Ιουδα λέγων
১কিন্তু এটা ঘটল, ইলীশামার নাতি, নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল রাজবংশ থেকে সপ্তম মাসে দশ জন লোক সঙ্গে নিয়ে মিস্পাতে অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে আসল; তারা একসঙ্গে খাবার খেল।
2 οὕτως εἶπεν κύριος βάδισον πρὸς Σεδεκιαν βασιλέα Ιουδα καὶ ἐρεῖς αὐτῷ οὕτως εἶπεν κύριος παραδόσει παραδοθήσεται ἡ πόλις αὕτη εἰς χεῖρας βασιλέως Βαβυλῶνος καὶ συλλήμψεται αὐτὴν καὶ καύσει αὐτὴν ἐν πυρί
২কিন্তু নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গে আসা দশ জন লোক উঠে শাফনের নাতি, অহীকামের ছেলে গদলিয়কে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল। ইশ্মায়েল গদলিয়কে হত্যা করল, যাকে বাবিলের রাজার সেই দেশের শাসনকর্ত্তা নিযুক্ত করেছিলেন।
3 καὶ σὺ οὐ μὴ σωθῇς ἐκ χειρὸς αὐτοῦ καὶ συλλήμψει συλλημφθήσῃ καὶ εἰς χεῖρας αὐτοῦ δοθήσῃ καὶ οἱ ὀφθαλμοί σου τοὺς ὀφθαλμοὺς αὐτοῦ ὄψονται καὶ τὸ στόμα αὐτοῦ μετὰ τοῦ στόματός σου λαλήσει καὶ εἰς Βαβυλῶνα εἰσελεύσῃ
৩তখন ইশ্মায়েল মিস্পাতে গদলিয়ের সঙ্গে যে সব ইহুদীরা ছিল এবং যে সব কলদীয় সৈন্যকে সেখানে খুঁজে পাওয়া গেল, তাদের সবাইকে হত্যা করল।
4 ἀλλὰ ἄκουσον τὸν λόγον κυρίου Σεδεκια βασιλεῦ Ιουδα οὕτως λέγει κύριος
৪তারপর সেটা ছিল গদলিয় হত্যার দ্বিতীয় দিন, কিন্তু কেউ তা জানত না।
5 ἐν εἰρήνῃ ἀποθανῇ καὶ ὡς ἔκλαυσαν τοὺς πατέρας σου τοὺς βασιλεύσαντας πρότερόν σου κλαύσονται καὶ σὲ καὶ ὦ αδων κόψονταί σε ὅτι λόγον ἐγὼ ἐλάλησα εἶπεν κύριος
৫শিখিম, শীলো ও শমরিয়া থেকে আশিজন লোক এল, যারা তাদের দাড়ি কামিয়ে, কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ও নিজেদের দেহ কাটাকুটি করে সদাপ্রভুর গৃহে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য ও সুগন্ধি হাতে করে নিয়ে যাচ্ছিল।
6 καὶ ἐλάλησεν Ιερεμιας πρὸς τὸν βασιλέα Σεδεκιαν πάντας τοὺς λόγους τούτους ἐν Ιερουσαλημ
৬নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মিস্পা থেকে বের হল। তখন এটা ঘটল, সে সেই লোকদের সঙ্গে দেখা করল, সে তাদের বলল, “অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে এস।”
7 καὶ ἡ δύναμις βασιλέως Βαβυλῶνος ἐπολέμει ἐπὶ Ιερουσαλημ καὶ ἐπὶ τὰς πόλεις Ιουδα ἐπὶ Λαχις καὶ ἐπὶ Αζηκα ὅτι αὗται κατελείφθησαν ἐν πόλεσιν Ιουδα πόλεις ὀχυραί
৭তারা শহরের মাঝখানে আসলে নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গী লোকেরা তাদের হত্যা করে একটি কুয়োর মধ্যে ফেলে দিল।
8 ὁ λόγος ὁ γενόμενος πρὸς Ιερεμιαν παρὰ κυρίου μετὰ τὸ συντελέσαι τὸν βασιλέα Σεδεκιαν διαθήκην πρὸς τὸν λαὸν τοῦ καλέσαι ἄφεσιν
৮কিন্তু তাদের মধ্যে দশ জন ছিল, যারা ইশ্মায়েলকে বলল, “আমাদের হত্যা করবেন না, কারণ মাঠের মধ্যে আমাদের গম, যব, তেল ও মধু লুকানো রয়েছে।” তাই সে তাদের অন্য সঙ্গীদের হত্যা করল না।
9 τοῦ ἐξαποστεῖλαι ἕκαστον τὸν παῖδα αὐτοῦ καὶ ἕκαστον τὴν παιδίσκην αὐτοῦ τὸν Εβραῖον καὶ τὴν Εβραίαν ἐλευθέρους πρὸς τὸ μὴ δουλεύειν ἄνδρα ἐξ Ιουδα
৯ঐ লোকেদের হত্যা করে ইশ্মায়েল যে কুয়োতে তাদের মৃতদেহ গদলিয়ের পাশে ফেলে দিয়েছিল, তা রাজা আসা ইস্রায়েলের রাজা বাশার ভয়ে তৈরী করিয়েছিলেন। নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল সেটা মৃতদেহ দিয়ে পরিপূর্ণ করল।
10 καὶ ἐπεστράφησαν πάντες οἱ μεγιστᾶνες καὶ πᾶς ὁ λαὸς οἱ εἰσελθόντες ἐν τῇ διαθήκῃ τοῦ ἀποστεῖλαι ἕκαστον τὸν παῖδα αὐτοῦ καὶ ἕκαστον τὴν παιδίσκην αὐτοῦ
১০পরে ইশ্মায়েল মিস্পাতে অবশিষ্ট লোকেদের বন্দী করে নিয়ে গেল। রাজকুমারীরা ও যারা মিস্পাতে অবশিষ্ট ছিল, যাদের উপর রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন অহীকামের ছেলে গদলিয়কে নিযুক্ত করেছিলেন। নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল তাদের বন্দী করে নিয়ে অম্মোন সন্তানদের কাছে যাওয়ার জন্য চলে গেল।
11 καὶ ἔωσαν αὐτοὺς εἰς παῖδας καὶ παιδίσκας
১১কিন্তু কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিরা শুনল যে, নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলের এইসব অন্যায় কাজ করেছে।
12 καὶ ἐγενήθη λόγος κυρίου πρὸς Ιερεμιαν λέγων
১২তখন তারা তাদের সব লোকদের নিয়ে নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেল। গিবিয়োনের বড় পুকুরের কাছে তারা তাকে খুঁজে পেল।
13 οὕτως εἶπεν κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ ἐγὼ ἐθέμην διαθήκην πρὸς τοὺς πατέρας ὑμῶν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ᾗ ἐξειλάμην αὐτοὺς ἐκ γῆς Αἰγύπτου ἐξ οἴκου δουλείας λέγων
১৩তখন এটা ঘটল, ইশ্মায়েলের সঙ্গে যে সব লোক ছিল, তারা কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিদের দেখে খুশী হল।
14 ὅταν πληρωθῇ ἓξ ἔτη ἀποστελεῖς τὸν ἀδελφόν σου τὸν Εβραῖον ὃς πραθήσεταί σοι καὶ ἐργᾶταί σοι ἓξ ἔτη καὶ ἐξαποστελεῖς αὐτὸν ἐλεύθερον καὶ οὐκ ἤκουσάν μου καὶ οὐκ ἔκλιναν τὸ οὖς αὐτῶν
১৪আর ইশ্মায়েল সেই যে সব লোকদের বন্দী করে মিস্পা থেকে নিয়ে যাচ্ছিল, তারা কারেহের ছেলে যোহাননের কাছে ফিরে গেল।
15 καὶ ἐπέστρεψαν σήμερον ποιῆσαι τὸ εὐθὲς πρὸ ὀφθαλμῶν μου τοῦ καλέσαι ἄφεσιν ἕκαστον τοῦ πλησίον αὐτοῦ καὶ συνετέλεσαν διαθήκην κατὰ πρόσωπόν μου ἐν τῷ οἴκῳ οὗ ἐπεκλήθη τὸ ὄνομά μου ἐπ’ αὐτῷ
১৫কিন্তু নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল আটজন লোকের সঙ্গে যোহাননের কাছ থেকে পালিয়ে অম্মোন সন্তানদের কাছে গেল।
16 καὶ ἐπεστρέψατε καὶ ἐβεβηλώσατε τὸ ὄνομά μου τοῦ ἐπιστρέψαι ἕκαστον τὸν παῖδα αὐτοῦ καὶ ἕκαστον τὴν παιδίσκην αὐτοῦ οὓς ἐξαπεστείλατε ἐλευθέρους τῇ ψυχῇ αὐτῶν ὑμῖν εἰς παῖδας καὶ παιδίσκας
১৬নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল যে অহীকামের ছেলে গদলিয়কে হত্যা করেছিল, তার কাছ থেকে কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সঙ্গী সেনাপতিরা যে সব অবশিষ্ট লোককে মিস্পা থেকে ফিরিয়ে এনেছিল, তাদেরকে সঙ্গে নিল, যুদ্ধে দক্ষ পুরুষদের এবং গিবিয়োন থেকে আনা স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে ও নপুংসকদের সঙ্গে নিল।
17 διὰ τοῦτο οὕτως εἶπεν κύριος ὑμεῖς οὐκ ἠκούσατέ μου τοῦ καλέσαι ἄφεσιν ἕκαστος πρὸς τὸν πλησίον αὐτοῦ ἰδοὺ ἐγὼ καλῶ ἄφεσιν ὑμῖν εἰς μάχαιραν καὶ εἰς τὸν θάνατον καὶ εἰς τὸν λιμὸν καὶ δώσω ὑμᾶς εἰς διασπορὰν πάσαις ταῖς βασιλείαις τῆς γῆς
১৭তখন তারা চলে গেল এবং গেরুৎ কিমহমে কিছু দিন থাকলো, যেটা বৈৎলেহমের কাছে। কলদীয়দের ভয়ে তারা মিশরে যাচ্ছিল।
18 καὶ δώσω τοὺς ἄνδρας τοὺς παρεληλυθότας τὴν διαθήκην μου τοὺς μὴ στήσαντας τὴν διαθήκην μου ἣν ἐποίησαν κατὰ πρόσωπόν μου τὸν μόσχον ὃν ἐποίησαν ἐργάζεσθαι αὐτῷ
১৮তারা তাদের ভয় পেয়েছিল, কারণ নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল অহীকামের ছেলে গদলিয়কে হত্যা করেছিল, যাকে বাবিলের রাজা শাসনকর্ত্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।
19 τοὺς ἄρχοντας Ιουδα καὶ τοὺς δυνάστας καὶ τοὺς ἱερεῖς καὶ τὸν λαόν
১৯
20 καὶ δώσω αὐτοὺς τοῖς ἐχθροῖς αὐτῶν καὶ ἔσται τὰ θνησιμαῖα αὐτῶν βρῶσις τοῖς πετεινοῖς τοῦ οὐρανοῦ καὶ τοῖς θηρίοις τῆς γῆς
২০
21 καὶ τὸν Σεδεκιαν βασιλέα τῆς Ιουδαίας καὶ τοὺς ἄρχοντας αὐτῶν δώσω εἰς χεῖρας ἐχθρῶν αὐτῶν καὶ δύναμις βασιλέως Βαβυλῶνος τοῖς ἀποτρέχουσιν ἀπ’ αὐτῶν
২১
22 ἰδοὺ ἐγὼ συντάσσω φησὶν κύριος καὶ ἐπιστρέψω αὐτοὺς εἰς τὴν γῆν ταύτην καὶ πολεμήσουσιν ἐπ’ αὐτὴν καὶ λήμψονται αὐτὴν καὶ κατακαύσουσιν αὐτὴν ἐν πυρὶ καὶ τὰς πόλεις Ιουδα καὶ δώσω αὐτὰς ἐρήμους ἀπὸ κατοικούντων
২২