Ἠσαΐας 6
1 καὶ ἐγένετο τοῦ ἐνιαυτοῦ οὗ ἀπέθανεν Οζιας ὁ βασιλεύς εἶδον τὸν κύριον καθήμενον ἐπὶ θρόνου ὑψηλοῦ καὶ ἐπηρμένου καὶ πλήρης ὁ οἶκος τῆς δόξης αὐτοῦ
যে বছরে রাজা উষিয় মারা যান, আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে বসে থাকতে দেখলাম। তাঁর রাজপোশাকের প্রান্তভাগে মন্দির পরিপূর্ণ ছিল।
2 καὶ σεραφιν εἱστήκεισαν κύκλῳ αὐτοῦ ἓξ πτέρυγες τῷ ἑνὶ καὶ ἓξ πτέρυγες τῷ ἑνί καὶ ταῖς μὲν δυσὶν κατεκάλυπτον τὸ πρόσωπον καὶ ταῖς δυσὶν κατεκάλυπτον τοὺς πόδας καὶ ταῖς δυσὶν ἐπέταντο
তাঁর নিকটে উপস্থিত ছিলেন ছয় ডানাবিশিষ্ট সরাফেরা। দুটি ডানা দিয়ে তারা মুখ ঢেকেছিলেন, দুটি ডানা দিয়ে তারা তাদের পা ঢেকেছিলেন এবং দুটি ডানা দিয়ে তারা উড়ছিলেন।
3 καὶ ἐκέκραγον ἕτερος πρὸς τὸν ἕτερον καὶ ἔλεγον ἅγιος ἅγιος ἅγιος κύριος σαβαωθ πλήρης πᾶσα ἡ γῆ τῆς δόξης αὐτοῦ
আর তারা পরস্পরকে ডেকে বলছিলেন, “পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, সমস্ত পৃথিবী তাঁর মহিমায় পরিপূর্ণ।”
4 καὶ ἐπήρθη τὸ ὑπέρθυρον ἀπὸ τῆς φωνῆς ἧς ἐκέκραγον καὶ ὁ οἶκος ἐπλήσθη καπνοῦ
তাদের কণ্ঠস্বরের শব্দে দরজার চৌকাঠগুলি কেঁপে উঠল এবং মন্দির ধোঁয়ায় পূর্ণ হল।
5 καὶ εἶπα ὦ τάλας ἐγώ ὅτι κατανένυγμαι ὅτι ἄνθρωπος ὢν καὶ ἀκάθαρτα χείλη ἔχων ἐν μέσῳ λαοῦ ἀκάθαρτα χείλη ἔχοντος ἐγὼ οἰκῶ καὶ τὸν βασιλέα κύριον σαβαωθ εἶδον τοῖς ὀφθαλμοῖς μου
আমি চিৎকার করে উঠলাম, “ধিক্ আমাকে! আমি শেষ হয়ে গেলাম! আমি অশুচি ওষ্ঠাধরবিশিষ্ট মানুষ। আর আমার দুই চোখ মহারাজকে, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুকে দেখেছে।”
6 καὶ ἀπεστάλη πρός με ἓν τῶν σεραφιν καὶ ἐν τῇ χειρὶ εἶχεν ἄνθρακα ὃν τῇ λαβίδι ἔλαβεν ἀπὸ τοῦ θυσιαστηρίου
তখন সরাফদের মধ্যে একজন, তাঁর হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে আমার কাছে উড়ে এলেন। সেই অঙ্গার তিনি বেদির মধ্য থেকে চিমটা দিয়ে নিয়েছিলেন।
7 καὶ ἥψατο τοῦ στόματός μου καὶ εἶπεν ἰδοὺ ἥψατο τοῦτο τῶν χειλέων σου καὶ ἀφελεῖ τὰς ἀνομίας σου καὶ τὰς ἁμαρτίας σου περικαθαριεῖ
তা দিয়ে তিনি আমার মুখ স্পর্শ করলেন এবং বললেন, “দেখো, এটি তোমার ওষ্ঠাধর স্পর্শ করেছে; তোমার অপরাধ অপসারিত এবং তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হয়েছে।”
8 καὶ ἤκουσα τῆς φωνῆς κυρίου λέγοντος τίνα ἀποστείλω καὶ τίς πορεύσεται πρὸς τὸν λαὸν τοῦτον καὶ εἶπα ἰδού εἰμι ἐγώ ἀπόστειλόν με
তখন আমি প্রভুর কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। তিনি বলছিলেন, “আমি কাকে পাঠাব? কে আমাদের জন্য যাবে?” আমি বললাম, “এই যে আমি। আমাকে পাঠান!”
9 καὶ εἶπεν πορεύθητι καὶ εἰπὸν τῷ λαῷ τούτῳ ἀκοῇ ἀκούσετε καὶ οὐ μὴ συνῆτε καὶ βλέποντες βλέψετε καὶ οὐ μὴ ἴδητε
তিনি বললেন, “তুমি যাও ও গিয়ে এই লোকদের বলো: “‘তোমরা সবসময় শুনতে থাকো, কিন্তু কখনও বোঝো না; সবসময় দেখতে থাকো, কিন্তু কখনও উপলব্ধি করো না।’
10 ἐπαχύνθη γὰρ ἡ καρδία τοῦ λαοῦ τούτου καὶ τοῖς ὠσὶν αὐτῶν βαρέως ἤκουσαν καὶ τοὺς ὀφθαλμοὺς αὐτῶν ἐκάμμυσαν μήποτε ἴδωσιν τοῖς ὀφθαλμοῖς καὶ τοῖς ὠσὶν ἀκούσωσιν καὶ τῇ καρδίᾳ συνῶσιν καὶ ἐπιστρέψωσιν καὶ ἰάσομαι αὐτούς
তুমি এই জাতির লোকদের হৃদয় অসাড় করে দাও; তাদের কানগুলি উপড়ে ফেলো ও চোখগুলি বন্ধ করে দাও। নতুবা তারা তাদের চোখে দেখতে পাবে, তারা কানে শুনতে পাবে, তারা তাদের হৃদয়ে বুঝতে পারবে এবং আরোগ্যলাভের জন্য আমার কাছে ফিরে আসবে।”
11 καὶ εἶπα ἕως πότε κύριε καὶ εἶπεν ἕως ἂν ἐρημωθῶσιν πόλεις παρὰ τὸ μὴ κατοικεῖσθαι καὶ οἶκοι παρὰ τὸ μὴ εἶναι ἀνθρώπους καὶ ἡ γῆ καταλειφθήσεται ἔρημος
তখন আমি বললাম, “ও প্রভু, তা কত দিন ধরে হবে?” তিনি উত্তর দিলেন, “যতদিন না নগরগুলি ধ্বংস হয়, তাদের মধ্যে জনপ্রাণী না থাকে, যতদিন না ঘরবাড়িগুলি জনশূন্য হয় ও মাঠগুলি ধ্বংস হয়ে ছারখার না হয়,
12 καὶ μετὰ ταῦτα μακρυνεῖ ὁ θεὸς τοὺς ἀνθρώπους καὶ οἱ καταλειφθέντες πληθυνθήσονται ἐπὶ τῆς γῆς
যতক্ষণ না সদাপ্রভু সবাইকে দূরে প্রেরণ করেন এবং এই ভূমির কথা সকলে ভুলে যায়।
13 καὶ ἔτι ἐπ’ αὐτῆς ἔστιν τὸ ἐπιδέκατον καὶ πάλιν ἔσται εἰς προνομὴν ὡς τερέβινθος καὶ ὡς βάλανος ὅταν ἐκπέσῃ ἀπὸ τῆς θήκης αὐτῆς
আর যদিও দেশের এক-দশমাংশ লোক অবশিষ্ট থাকে, তা পুনরায় জনশূন্য পড়ে থাকবে। কিন্তু তার্পিন ও ওক গাছ কেটে ফেললেও যেমন তাদের গুঁড়ি থেকেই যায়, তেমনই এই দেশে সেই গুঁড়ির মতো এক পবিত্র বংশ থেকেই যাবে।”
