< Ἠσαΐας 37 >

1 καὶ ἐγένετο ἐν τῷ ἀκοῦσαι τὸν βασιλέα Εζεκιαν ἔσχισεν τὰ ἱμάτια καὶ σάκκον περιεβάλετο καὶ ἀνέβη εἰς τὸν οἶκον κυρίου
রাজা হিষ্কিয় একথা শুনে নিজের কাপড় ছিঁড়লেন। তিনি শোকের পোশাক পরে সদাপ্রভুর মন্দিরে গেলেন।
2 καὶ ἀπέστειλεν Ελιακιμ τὸν οἰκονόμον καὶ Σομναν τὸν γραμματέα καὶ τοὺς πρεσβυτέρους τῶν ἱερέων περιβεβλημένους σάκκους πρὸς Ησαιαν υἱὸν Αμως τὸν προφήτην
তিনি রাজপ্রাসাদের পরিচালক ইলিয়াকীম, সচিব শিব্‌ন ও গুরুত্বপূর্ণ যাজকদের, আমোষের পুত্র, ভাববাদী যিশাইয়ের কাছে প্রেরণ করলেন। তারা সবাই শোকের পোশাক পরেছিলেন।
3 καὶ εἶπαν αὐτῷ τάδε λέγει Εζεκιας ἡμέρα θλίψεως καὶ ὀνειδισμοῦ καὶ ἐλεγμοῦ καὶ ὀργῆς ἡ σήμερον ἡμέρα ὅτι ἥκει ἡ ὠδὶν τῇ τικτούσῃ ἰσχὺν δὲ οὐκ ἔχει τοῦ τεκεῖν
তারা গিয়ে তাঁকে বললেন, “হিষ্কিয় একথাই বলেন: আজকের এই দিনটি হল মর্মান্তিক যন্ত্রণা, তিরস্কার ও কলঙ্কময় একদিন, ঠিক যেমন সন্তান প্রসবের সময় এসে গিয়েছে, অথচ যেন সন্তান প্রসবের শক্তিই নেই।
4 εἰσακούσαι κύριος ὁ θεός σου τοὺς λόγους Ραψακου οὓς ἀπέστειλεν βασιλεὺς Ἀσσυρίων ὀνειδίζειν θεὸν ζῶντα καὶ ὀνειδίζειν λόγους οὓς ἤκουσεν κύριος ὁ θεός σου καὶ δεηθήσῃ πρὸς κύριον τὸν θεόν σου περὶ τῶν καταλελειμμένων τούτων
হয়তো সদাপ্রভু, আপনার ঈশ্বর সেই সৈন্যাধ্যক্ষের কথা শুনে থাকবেন, যাকে তার মনিব, আসিরীয় রাজা, জীবন্ত ঈশ্বরকে বিদ্রুপ করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন। সদাপ্রভু, আপনার ঈশ্বর, যে কথা শুনেছেন, তার জন্য তিনি হয়তো তাঁকে তিরস্কার করবেন। সেই কারণে, যারা এখনও বেঁচে আছে, আপনি অবশিষ্ট তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।”
5 καὶ ἦλθον οἱ παῖδες τοῦ βασιλέως πρὸς Ησαιαν
যখন রাজা হিষ্কিয়ের কর্মচারীরা যিশাইয়ের কাছে গেলেন,
6 καὶ εἶπεν αὐτοῖς Ησαιας οὕτως ἐρεῖτε πρὸς τὸν κύριον ὑμῶν τάδε λέγει κύριος μὴ φοβηθῇς ἀπὸ τῶν λόγων ὧν ἤκουσας οὓς ὠνείδισάν με οἱ πρέσβεις βασιλέως Ἀσσυρίων
যিশাইয় তাদের বললেন, “তোমরা গিয়ে তোমাদের মনিবকে বলো, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন: আসিরীয় রাজার অধীন ব্যক্তিরা আমার সম্পর্কে যেসব নিন্দার উক্তি করেছে, যেগুলি তোমরা শুনেছ, সে সম্পর্কে ভয় পেয়ো না।
7 ἰδοὺ ἐγὼ ἐμβαλῶ εἰς αὐτὸν πνεῦμα καὶ ἀκούσας ἀγγελίαν ἀποστραφήσεται εἰς τὴν χώραν αὐτοῦ καὶ πεσεῖται μαχαίρᾳ ἐν τῇ γῇ αὐτοῦ
তোমরা শোনো! আমি তার মধ্যে এমন এক মনোভাব দেব, যার ফলে সে যখন এক সংবাদ শুনবে, সে তার স্বদেশে ফিরে যাবে। সেখানে আমি তাকে তরোয়ালের দ্বারা বিনষ্ট করব।’”
8 καὶ ἀπέστρεψεν Ραψακης καὶ κατέλαβεν πολιορκοῦντα τὸν βασιλέα Λομναν καὶ ἤκουσεν βασιλεὺς Ἀσσυρίων ὅτι
সেই সৈন্যাধ্যক্ষ যখন শুনতে পেলেন যে, আসিরীয় রাজার লাখীশ ত্যাগ করে চলে গেছেন, তিনি ফিরে গেলেন এবং দেখলেন, রাজা লিব্‌নার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন।
9 ἐξῆλθεν Θαρακα βασιλεὺς Αἰθιόπων πολιορκῆσαι αὐτόν καὶ ἀκούσας ἀπέστρεψεν καὶ ἀπέστειλεν ἀγγέλους πρὸς Εζεκιαν λέγων
পরে সন্‌হেরীব একটি সংবাদ শুনতে পেলেন যে, মিশরের কূশ দেশের রাজা তির্হক তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সমরাভিযান শুরু করেছেন। সেকথা শুনতে পেয়ে, তিনি এই কথা বলে হিষ্কিয়ের কাছে দূতদের পাঠালেন:
10 οὕτως ἐρεῖτε Εζεκια βασιλεῖ τῆς Ιουδαίας μή σε ἀπατάτω ὁ θεός σου ἐφ’ ᾧ πεποιθὼς εἶ ἐπ’ αὐτῷ λέγων οὐ μὴ παραδοθῇ Ιερουσαλημ εἰς χεῖρας βασιλέως Ἀσσυρίων
“যিহূদার রাজা হিষ্কিয়কে গিয়ে বলো: যে দেবতার উপর আপনি নির্ভর করে আছেন, তিনি যেন এই কথা বলে আপনাকে না ঠকান যে, ‘আসিরিয়ার রাজার হাতে জেরুশালেমকে সমর্পণ করা হবে না।’
11 ἢ οὐκ ἤκουσας ἃ ἐποίησαν βασιλεῖς Ἀσσυρίων πᾶσαν τὴν γῆν ὡς ἀπώλεσαν
তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছ, সব দেশের প্রতি আসিরীয় রাজা কী করেছেন। তিনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছেন। আর তোমরা কি তাঁর হাত থেকে রক্ষা পাবে?
12 μὴ ἐρρύσαντο αὐτοὺς οἱ θεοὶ τῶν ἐθνῶν οὓς οἱ πατέρες μου ἀπώλεσαν τήν τε Γωζαν καὶ Χαρραν καὶ Ραφες αἵ εἰσιν ἐν χώρᾳ Θεμαδ
ওইসব জাতির দেশগুলি, যাদের আমার পিতৃপুরুষেরা ধ্বংস করেছিলেন, কেউ কি তাদের উদ্ধার করতে পেরেছে—অর্থাৎ গোষণ, হারণ, রেৎসফ ও তেল-অৎসরে বসবাসকারী এদনের লোকেদের দেবতারা?
13 ποῦ εἰσιν οἱ βασιλεῖς Αιμαθ καὶ Αρφαθ καὶ πόλεως Σεπφαριμ Αναγ Ουγαυα
হমাতের রাজা বা অর্পদের রাজা কোথায় গেল? লায়ীর, সফর্বয়িম, হেনা ও ইব্বার রাজারাই বা কোথায় গেল?”
14 καὶ ἔλαβεν Εζεκιας τὸ βιβλίον παρὰ τῶν ἀγγέλων καὶ ἤνοιξεν αὐτὸ ἐναντίον κυρίου
সেই দূতদের কাছ থেকে পত্রখানি গ্রহণ করে হিষ্কিয় পাঠ করলেন। তারপর তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরে উঠে গেলেন এবং সদাপ্রভুর সামনে তা মেলে ধরলেন।
15 καὶ προσεύξατο Εζεκιας πρὸς κύριον λέγων
আর হিষ্কিয় এই বলে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন:
16 κύριε σαβαωθ ὁ θεὸς Ισραηλ ὁ καθήμενος ἐπὶ τῶν χερουβιν σὺ θεὸς μόνος εἶ πάσης βασιλείας τῆς οἰκουμένης σὺ ἐποίησας τὸν οὐρανὸν καὶ τὴν γῆν
“দুই করূবের মাঝে বিরাজমান হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, একমাত্র তুমিই পৃথিবীর সব রাজ্যের ঈশ্বর। তুমিই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছ।
17 εἰσάκουσον κύριε εἴσβλεψον κύριε καὶ ἰδὲ τοὺς λόγους οὓς ἀπέστειλεν Σενναχηριμ ὀνειδίζειν θεὸν ζῶντα
হে সদাপ্রভু, তুমি কর্ণপাত করো ও শোনো; হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার দৃষ্টি উন্মোচন করো ও দেখো; জীবন্ত ঈশ্বরকে অপমান করে সন্‌হেরীব যেসব কথা বলেছে, তা তুমি শ্রবণ করো।
18 ἐπ’ ἀληθείας γὰρ ἠρήμωσαν βασιλεῖς Ἀσσυρίων τὴν οἰκουμένην ὅλην καὶ τὴν χώραν αὐτῶν
“একথা সত্যি, হে সদাপ্রভু, যে আসিরীয় রাজারা এই সমস্ত মানুষজন ও তাদের দেশগুলিকে বিনষ্ট করেছে।
19 καὶ ἐνέβαλον τὰ εἴδωλα αὐτῶν εἰς τὸ πῦρ οὐ γὰρ θεοὶ ἦσαν ἀλλὰ ἔργα χειρῶν ἀνθρώπων ξύλα καὶ λίθοι καὶ ἀπώλεσαν αὐτούς
তারা তাদের দেবতাদের আগুনে নিক্ষেপ করে তাদের ধ্বংস করেছে, কারণ তারা দেবতা নয়, কিন্তু ছিল কেবলমাত্র কাঠ ও পাথরের তৈরি, মানুষের হাতে তৈরি শিল্প।
20 σὺ δέ κύριε ὁ θεὸς ἡμῶν σῶσον ἡμᾶς ἐκ χειρὸς αὐτῶν ἵνα γνῷ πᾶσα βασιλεία τῆς γῆς ὅτι σὺ εἶ ὁ θεὸς μόνος
এখন হে সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর, তার হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করো, যেন পৃথিবীর সমস্ত রাজ্য জানতে পারে যে, হে সদাপ্রভু, কেবলমাত্র তুমিই ঈশ্বর।”
21 καὶ ἀπεστάλη Ησαιας υἱὸς Αμως πρὸς Εζεκιαν καὶ εἶπεν αὐτῷ τάδε λέγει κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ ἤκουσα ἃ προσηύξω πρός με περὶ Σενναχηριμ βασιλέως Ἀσσυρίων
তারপর আমোষের পুত্র যিশাইয়, হিষ্কিয়ের কাছে একটি বার্তা প্রেরণ করলেন: “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন: তুমি যেহেতু আসিরীয় রাজা সন্‌হেরীব সম্পর্কে আমার কাছে প্রার্থনা করেছ,
22 οὗτος ὁ λόγος ὃν ἐλάλησεν περὶ αὐτοῦ ὁ θεός ἐφαύλισέν σε καὶ ἐμυκτήρισέν σε παρθένος θυγάτηρ Σιων ἐπὶ σοὶ κεφαλὴν ἐκίνησεν θυγάτηρ Ιερουσαλημ
তার বিরুদ্ধে বলা সদাপ্রভুর বাণী হল এই: “কুমারী-কন্যা সিয়োন তোমাকে অবজ্ঞা ও উপহাস করে। জেরুশালেম-কন্যা তার মাথা নাড়ায় যখন তোমরা পলায়ন করো।
23 τίνα ὠνείδισας καὶ παρώξυνας ἢ πρὸς τίνα ὕψωσας τὴν φωνήν σου καὶ οὐκ ἦρας εἰς ὕψος τοὺς ὀφθαλμούς σου εἰς τὸν ἅγιον τοῦ Ισραηλ
তুমি কাকে অপমান ও কার নিন্দা করেছ? তুমি কার বিরুদ্ধে তোমার কণ্ঠস্বর তুলেছ ও গর্বিত চক্ষু উপরে তুলেছ? তা করেছ ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতমের বিরুদ্ধেই।
24 ὅτι δῑ ἀγγέλων ὠνείδισας κύριον σὺ γὰρ εἶπας τῷ πλήθει τῶν ἁρμάτων ἐγὼ ἀνέβην εἰς ὕψος ὀρέων καὶ εἰς τὰ ἔσχατα τοῦ Λιβάνου καὶ ἔκοψα τὸ ὕψος τῆς κέδρου αὐτοῦ καὶ τὸ κάλλος τῆς κυπαρίσσου καὶ εἰσῆλθον εἰς ὕψος μέρους τοῦ δρυμοῦ
তোমার দূতদের দ্বারা তুমি প্রভুর উপরে অপমানের বোঝা চাপিয়েছ। আবার তুমি বলেছ, ‘আমার বহুসংখ্যক রথের দ্বারা আমি পর্বতসমূহের শিখরে, লেবাননের সর্বোচ্চ চূড়াগুলির উপরে আরোহণ করেছি। আমি তার দীর্ঘতম সিডার গাছগুলিকে, তার উৎকৃষ্টতম দেবদারু গাছগুলিকে কেটে ফেলেছি। আমি তার দুর্গম উচ্চ স্থানে, তার সুন্দর বনানীতে পৌঁছে গেছি।
25 καὶ ἔθηκα γέφυραν καὶ ἠρήμωσα ὕδατα καὶ πᾶσαν συναγωγὴν ὕδατος
আমি বিজাতীয় ভূমিতে কুয়ো খনন করেছি এবং সেখানকার জলপান করেছি। আমার পায়ের তলা দিয়ে আমি মিশরের সব স্রোতোধারা শুকিয়ে দিয়েছি।’
26 οὐ ταῦτα ἤκουσας πάλαι ἃ ἐγὼ ἐποίησα ἐξ ἀρχαίων ἡμερῶν συνέταξα νῦν δὲ ἐπέδειξα ἐξερημῶσαι ἔθνη ἐν ὀχυροῖς καὶ ἐνοικοῦντας ἐν πόλεσιν ὀχυραῖς
“তুমি কি শুনতে পাওনি? বহুপূর্বে আমি তা স্থির করেছিলাম। পুরাকালে আমি তার পরিকল্পনা করেছিলাম; কিন্তু এখন আমি তা ঘটতে দিয়েছি, সেই কারণে তুমি সুরক্ষিত নগরগুলিকে পাথরের ঢিবিতে পরিণত করেছ।
27 ἀνῆκα τὰς χεῖρας καὶ ἐξηράνθησαν καὶ ἐγένοντο ὡς χόρτος ξηρὸς ἐπὶ δωμάτων καὶ ὡς ἄγρωστις
সেইসব জাতির লোকেরা ক্ষমতাহীন হয়েছে, তারা হতাশ হয়ে লজ্জিত হয়েছে। তারা হল মাঠের গাছগুলির মতো, গজিয়ে ওঠা কোমল অঙ্কুরের মতো, যেমন ছাদের উপরে ঘাস গজিয়ে ওঠে, কিন্তু বেড়ে ওঠার আগেই তাপে শুকিয়ে যায়।
28 νῦν δὲ τὴν ἀνάπαυσίν σου καὶ τὴν ἔξοδόν σου καὶ τὴν εἴσοδόν σου ἐγὼ ἐπίσταμαι
“কিন্তু আমি জানি তোমার অবস্থান কোথায়, কখন তুমি আস ও যাও, আর কীভাবে তুমি আমার বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করো।
29 ὁ δὲ θυμός σου ὃν ἐθυμώθης καὶ ἡ πικρία σου ἀνέβη πρός με καὶ ἐμβαλῶ φιμὸν εἰς τὴν ῥῖνά σου καὶ χαλινὸν εἰς τὰ χείλη σου καὶ ἀποστρέψω σε τῇ ὁδῷ ᾗ ἦλθες ἐν αὐτῇ
যেহেতু তুমি আমার বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করো, আর যেহেতু তোমার অভব্য আচরণের কথা আমার কানে পৌঁছেছে, আমি তোমার নাকে আমার বড়শি ফোটাব, তোমার মুখে দেব আমার বলগা, আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ, সেই পথেই তোমাকে ফিরিয়ে দেব।
30 τοῦτο δέ σοι τὸ σημεῖον φάγε τοῦτον τὸν ἐνιαυτὸν ἃ ἔσπαρκας τῷ δὲ ἐνιαυτῷ τῷ δευτέρῳ τὸ κατάλειμμα τῷ δὲ τρίτῳ σπείραντες ἀμήσατε καὶ φυτεύσατε ἀμπελῶνας καὶ φάγεσθε τὸν καρπὸν αὐτῶν
“আর ওহে হিষ্কিয়, এই হবে তোমার পক্ষে চিহ্নস্বরূপ: “এই বছরে তোমরা আপনা-আপনি উৎপন্ন শস্য, আর দ্বিতীয় বছরে তা থেকে যা উৎপন্ন হবে, তোমরা তাই ভোজন করবে। কিন্তু তৃতীয় বছরে তোমরা বীজবপন ও শস্যচ্ছেদন করবে, দ্রাক্ষাকুঞ্জ রোপণ করে তার ফল খাবে।
31 καὶ ἔσονται οἱ καταλελειμμένοι ἐν τῇ Ιουδαίᾳ φυήσουσιν ῥίζαν κάτω καὶ ποιήσουσιν σπέρμα ἄνω
আরও একবার যিহূদা রাজ্যের অবশিষ্ট লোকেরা পায়ের নিচে মূল খুঁজে পাবে ও তাদের উপরে ফল ধরবে।
32 ὅτι ἐξ Ιερουσαλημ ἐξελεύσονται οἱ καταλελειμμένοι καὶ οἱ σῳζόμενοι ἐξ ὄρους Σιων ὁ ζῆλος κυρίου σαβαωθ ποιήσει ταῦτα
কারণ জেরুশালেম থেকে আসবে এক অবশিষ্টাংশ, আর সিয়োন পর্বত থেকে আসবে বেঁচে থাকা লোকের একদল। সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর উদ্যোগই তা সুসম্পন্ন করবে।
33 διὰ τοῦτο οὕτως λέγει κύριος ἐπὶ βασιλέα Ἀσσυρίων οὐ μὴ εἰσέλθῃ εἰς τὴν πόλιν ταύτην οὐδὲ μὴ βάλῃ ἐπ’ αὐτὴν βέλος οὐδὲ μὴ ἐπιβάλῃ ἐπ’ αὐτὴν θυρεὸν οὐδὲ μὴ κυκλώσῃ ἐπ’ αὐτὴν χάρακα
“সেই কারণে, আসিরীয় রাজা সম্পর্কে সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “সে এই নগরে প্রবেশ করবে না, কিংবা এখানে কোনো তির নিক্ষেপ করবে না। সে এই নগরের সামনে ঢাল নিয়ে আসবে না, কিংবা কোনো জাঙ্গাল নির্মাণ করবে না।
34 ἀλλὰ τῇ ὁδῷ ᾗ ἦλθεν ἐν αὐτῇ ἀποστραφήσεται τάδε λέγει κύριος
যে পথ দিয়ে সে আসবে, সে পথেই যাবে ফিরে; সে এই নগরে প্রবেশ করবে না,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
35 ὑπερασπιῶ ὑπὲρ τῆς πόλεως ταύτης τοῦ σῶσαι αὐτὴν δῑ ἐμὲ καὶ διὰ Δαυιδ τὸν παῖδά μου
“আমি আমার জন্য ও আমার দাস দাউদের জন্য এই নগর রক্ষা করে তা উদ্ধার করব!”
36 καὶ ἐξῆλθεν ἄγγελος κυρίου καὶ ἀνεῖλεν ἐκ τῆς παρεμβολῆς τῶν Ἀσσυρίων ἑκατὸν ὀγδοήκοντα πέντε χιλιάδας καὶ ἐξαναστάντες τὸ πρωὶ εὗρον πάντα τὰ σώματα νεκρά
পরে সদাপ্রভুর দূত আসিরীয়দের সৈন্যশিবিরে গিয়ে এক লক্ষ পঁচাশি হাজার সৈন্য মেরে ফেলেছিলেন। পরদিন সকালে যখন লোকজন ঘুম থেকে উঠেছিল—দেখা গেল সর্বত্র শুধু মৃতদেহ ছড়িয়ে পড়ে আছে!
37 καὶ ἀποστραφεὶς ἀπῆλθεν βασιλεὺς Ἀσσυρίων καὶ ᾤκησεν ἐν Νινευη
তাই আসিরিয়ার রাজা সন্‌হেরীব সৈন্যশিবির ভেঙে দিয়ে সেখান থেকে সরে পড়েছিলেন। তিনি নীনবীতে ফিরে গিয়ে সেখানেই থেকে গেলেন।
38 καὶ ἐν τῷ αὐτὸν προσκυνεῖν ἐν τῷ οἴκῳ Νασαραχ τὸν παταχρον αὐτοῦ Αδραμελεχ καὶ Σαρασαρ οἱ υἱοὶ αὐτοῦ ἐπάταξαν αὐτὸν μαχαίραις αὐτοὶ δὲ διεσώθησαν εἰς Ἀρμενίαν καὶ ἐβασίλευσεν Ασορδαν ὁ υἱὸς αὐτοῦ ἀντ’ αὐτοῦ
একদিন, যখন তিনি তাঁর দেবতা নিষ্রোকের মন্দিরে পুজো করছিলেন, তাঁর দুই ছেলে অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর তরোয়াল দিয়ে তাঁকে হত্যা করল, এবং আরারট দেশে পালিয়ে গেল। তাঁর ছেলে এসর-হদ্দোন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

< Ἠσαΐας 37 >