< Ἠσαΐας 14 >
1 καὶ ἐλεήσει κύριος τὸν Ιακωβ καὶ ἐκλέξεται ἔτι τὸν Ισραηλ καὶ ἀναπαύσονται ἐπὶ τῆς γῆς αὐτῶν καὶ ὁ γιώρας προστεθήσεται πρὸς αὐτοὺς καὶ προστεθήσεται πρὸς τὸν οἶκον Ιακωβ
সদাপ্রভু যাকোব কুলের প্রতি সহানুভূতি দেখাবেন; আর একবার তিনি ইস্রায়েলকে বেছে নেবেন এবং তাদের স্বদেশে তাদের অধিষ্ঠিত করবেন। বিদেশিরা তাদের সঙ্গে যোগ দেবে এবং যাকোব কুলের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
2 καὶ λήμψονται αὐτοὺς ἔθνη καὶ εἰσάξουσιν εἰς τὸν τόπον αὐτῶν καὶ κατακληρονομήσουσιν καὶ πληθυνθήσονται ἐπὶ τῆς γῆς τοῦ θεοῦ εἰς δούλους καὶ δούλας καὶ ἔσονται αἰχμάλωτοι οἱ αἰχμαλωτεύσαντες αὐτούς καὶ κυριευθήσονται οἱ κυριεύσαντες αὐτῶν
অন্যান্য জাতি তাদের নিয়ে তাদের স্বদেশে পৌঁছে দেবে। আর ইস্রায়েল কুল সদাপ্রভুর দেশে জাতিসমূহকে তাদের দাস-দাসীরূপে অধিকার করবে। তারা তাদের বন্দিকারীদের বন্দি করবে এবং তাদের পীড়নকারীদের উপরে শাসন করবে।
3 καὶ ἔσται ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ ἀναπαύσει σε ὁ θεὸς ἐκ τῆς ὀδύνης καὶ τοῦ θυμοῦ σου καὶ τῆς δουλείας σου τῆς σκληρᾶς ἧς ἐδούλευσας αὐτοῖς
যেদিন সদাপ্রভু তোমাদের কষ্টভোগ, উদ্বেগ ও নির্মম দাসত্ব থেকে মুক্তি দেবেন,
4 καὶ λήμψῃ τὸν θρῆνον τοῦτον ἐπὶ τὸν βασιλέα Βαβυλῶνος καὶ ἐρεῖς ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ πῶς ἀναπέπαυται ὁ ἀπαιτῶν καὶ ἀναπέπαυται ὁ ἐπισπουδαστής
তোমরা ব্যাবিলনের রাজার বিরুদ্ধে এই ধিক্কারবাণী উচ্চারণ করবে: পীড়নকারীর শেষ সময় কেমন ঘনিয়ে এসেছে! কীভাবে তার ভয়ংকরতা সমাপ্ত হয়েছে!
5 συνέτριψεν ὁ θεὸς τὸν ζυγὸν τῶν ἁμαρτωλῶν τὸν ζυγὸν τῶν ἀρχόντων
সদাপ্রভু দুষ্টদের লাঠি ও শাসকদের রাজদণ্ড ভেঙে ফেলেছেন,
6 πατάξας ἔθνος θυμῷ πληγῇ ἀνιάτῳ παίων ἔθνος πληγὴν θυμοῦ ἣ οὐκ ἐφείσατο
যা একদিন অনবরত আঘাত দ্বারা লোকেদের নিধন করত; এবং ক্রোধে নিরন্তর আগ্রাসনের দ্বারা তারা জাতিসমূহকে বশ্যতাধীন করত।
7 ἀνεπαύσατο πεποιθώς πᾶσα ἡ γῆ βοᾷ μετ’ εὐφροσύνης
সমস্ত দেশ বিশ্রাম ও শান্তি ভোগ করছে; তারা গান গেয়ে আনন্দ করছে।
8 καὶ τὰ ξύλα τοῦ Λιβάνου εὐφράνθησαν ἐπὶ σοὶ καὶ ἡ κέδρος τοῦ Λιβάνου ἀφ’ οὗ σὺ κεκοίμησαι οὐκ ἀνέβη ὁ κόπτων ἡμᾶς
এমনকি, লেবাননের দেবদারু ও সিডার গাছগুলিও এই আনন্দ সংগীত গেয়ে বলে, “এখন যেহেতু তোমাকে নত করা হয়েছে, আর কোনো কাঠুরে আমাদের কাটতে আসে না।”
9 ὁ ᾅδης κάτωθεν ἐπικράνθη συναντήσας σοι συνηγέρθησάν σοι πάντες οἱ γίγαντες οἱ ἄρξαντες τῆς γῆς οἱ ἐγείραντες ἐκ τῶν θρόνων αὐτῶν πάντας βασιλεῖς ἐθνῶν (Sheol )
নিম্নস্থ পাতাল তোমার আগমনে, তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য অস্থির হয়েছে; তোমাকে স্বাগত জানানোর জন্য এ তার মৃতজনেদের আত্মাকে তুলে পাঠায় তারা প্রত্যেকেই ছিল এই জগতের এক একজন নেতা। যারা জাতিসমূহের উপরে রাজা ছিল, এ তাদের সিংহাসন থেকে তুলে দাঁড় করায়। (Sheol )
10 πάντες ἀποκριθήσονται καὶ ἐροῦσίν σοι καὶ σὺ ἑάλως ὥσπερ καὶ ἡμεῖς ἐν ἡμῖν δὲ κατελογίσθης
তারা সকলেই প্রত্যুত্তর করবে, তারা সবাই তোমাকে বলবে, “তুমিও আমাদেরই মতো দুর্বল হয়েছ; তুমি আমাদের সদৃশ হয়েছ।”
11 κατέβη δὲ εἰς ᾅδου ἡ δόξα σου ἡ πολλή σου εὐφροσύνη ὑποκάτω σου στρώσουσιν σῆψιν καὶ τὸ κατακάλυμμά σου σκώληξ (Sheol )
তোমার বীণাগুলির কোলাহল সমেত তোমার সমস্ত সমারোহ কবরে নামানো হয়েছে; শূককীট তোমার নিচে ছড়ানো হয়েছে, আর কীটেরা তোমাকে আবৃত করে। (Sheol )
12 πῶς ἐξέπεσεν ἐκ τοῦ οὐρανοῦ ὁ ἑωσφόρος ὁ πρωὶ ἀνατέλλων συνετρίβη εἰς τὴν γῆν ὁ ἀποστέλλων πρὸς πάντα τὰ ἔθνη
ওহে প্রভাতি তারা, ঊষাকালের সন্তান, তুমি কেমন স্বর্গ থেকে পতিত হয়েছ! তুমি একদিন বিভিন্ন জাতিকে নিপাতিত করেছ, সেই তোমাকেই পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয়েছে!
13 σὺ δὲ εἶπας ἐν τῇ διανοίᾳ σου εἰς τὸν οὐρανὸν ἀναβήσομαι ἐπάνω τῶν ἄστρων τοῦ οὐρανοῦ θήσω τὸν θρόνον μου καθιῶ ἐν ὄρει ὑψηλῷ ἐπὶ τὰ ὄρη τὰ ὑψηλὰ τὰ πρὸς βορρᾶν
তুমি মনে মনে বলেছিলে, “আমি স্বর্গে আরোহণ করব; ঈশ্বরের নক্ষত্রপুঞ্জেরও ঊর্ধ্বে, আমি আমার সিংহাসন তুলে ধরব; আমি সমাগম পর্বতে, উত্তর দিকের দূরতম প্রান্তে, আমার সিংহাসনে উপবিষ্ট হব।
14 ἀναβήσομαι ἐπάνω τῶν νεφελῶν ἔσομαι ὅμοιος τῷ ὑψίστῳ
আমি মেঘমালার উপরে আরোহণ করব, আমি নিজেকে পরাৎপরের তুল্য করব।”
15 νῦν δὲ εἰς ᾅδου καταβήσῃ καὶ εἰς τὰ θεμέλια τῆς γῆς (Sheol )
কিন্তু তোমাকে নামানো হয়েছে কবরের মধ্যে, পাতালের গভীরতম তলে। (Sheol )
16 οἱ ἰδόντες σε θαυμάσουσιν ἐπὶ σοὶ καὶ ἐροῦσιν οὗτος ὁ ἄνθρωπος ὁ παροξύνων τὴν γῆν σείων βασιλεῖς
যারা তোমার দিকে তাকায়, তারা কটাক্ষ করে, তারা তোমার অবস্থা দেখে চিন্তা করে: “এ কি সেই লোক, যে পৃথিবীকে কাঁপিয়ে তুলত, রাজ্যগুলি যার ভয়ে কাঁপত?
17 ὁ θεὶς τὴν οἰκουμένην ὅλην ἔρημον καὶ τὰς πόλεις καθεῖλεν τοὺς ἐν ἐπαγωγῇ οὐκ ἔλυσεν
সেই লোক, যে জগৎকে মরুভূমি করে তুলেছিল, যে তার নগরগুলিকে উৎখাত করেছিল ও তার বন্দিদের স্বগৃহে ফিরে যেতে দেয়নি?”
18 πάντες οἱ βασιλεῖς τῶν ἐθνῶν ἐκοιμήθησαν ἐν τιμῇ ἄνθρωπος ἐν τῷ οἴκῳ αὐτοῦ
জাতিসমূহের সমস্ত রাজা রাজকীয় মহিমায় নিজের নিজের কবরে শুয়ে আছেন।
19 σὺ δὲ ῥιφήσῃ ἐν τοῖς ὄρεσιν ὡς νεκρὸς ἐβδελυγμένος μετὰ πολλῶν τεθνηκότων ἐκκεκεντημένων μαχαίραις καταβαινόντων εἰς ᾅδου ὃν τρόπον ἱμάτιον ἐν αἵματι πεφυρμένον οὐκ ἔσται καθαρόν
কিন্তু তুমি প্রত্যাখ্যাত বৃক্ষশাখার মতো তোমার কবর থেকে বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়েছ। যারা তরোয়ালের দ্বারা বিদ্ধ হয়েছিল, তুমি সেই নিহতদের শবে ঢাকা পড়েছ, যাদের পাথরের স্তূপের মধ্যে গর্তে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেভাবে কোনো মৃতদেহকে পদদলিত করা হয়।
20 οὕτως οὐδὲ σὺ ἔσῃ καθαρός διότι τὴν γῆν μου ἀπώλεσας καὶ τὸν λαόν μου ἀπέκτεινας οὐ μὴ μείνῃς εἰς τὸν αἰῶνα χρόνον σπέρμα πονηρόν
তাদের মতো তোমাকে কবর দেওয়া হবে না, কারণ তুমি তোমার দেশ ধ্বংস করেছ এবং তোমার প্রজাদের হত্যা করেছ। দুষ্টদের বংশধরদের কথা আর কখনও উল্লেখ করা হবে না।
21 ἑτοίμασον τὰ τέκνα σου σφαγῆναι ταῖς ἁμαρτίαις τοῦ πατρός σου ἵνα μὴ ἀναστῶσιν καὶ τὴν γῆν κληρονομήσωσιν καὶ ἐμπλήσωσι τὴν γῆν πόλεων
তাদের পিতৃপুরুষদের পাপসমূহের জন্য, তার সন্তানদের হত্যা করার জন্য স্থান প্রস্তুত করো; দেশের অধিকার ভোগ করার জন্য তারা আর উঠবে না, নগর পত্তনের দ্বারা তারা আর পৃথিবী আচ্ছন্ন করবে না।
22 καὶ ἐπαναστήσομαι αὐτοῖς λέγει κύριος σαβαωθ καὶ ἀπολῶ αὐτῶν ὄνομα καὶ κατάλειμμα καὶ σπέρμα τάδε λέγει κύριος
“আমি তাদের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াব,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন। “আমি ব্যাবিলন থেকে তার ও তার বেঁচে থাকা লোকদের নাম, তার সন্তানসন্ততি ও বংশধরদের নাম মুছে ফেলব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
23 καὶ θήσω τὴν Βαβυλωνίαν ἔρημον ὥστε κατοικεῖν ἐχίνους καὶ ἔσται εἰς οὐδέν καὶ θήσω αὐτὴν πηλοῦ βάραθρον εἰς ἀπώλειαν
“আমি তাকে প্যাঁচাদের নিবাসস্থান করব, এবং তা হবে এক জলাভূমির মতো; আমি বিনাশরূপ ঝাড়ু দিয়ে তাকে ঝাঁট দেব,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।
24 τάδε λέγει κύριος σαβαωθ ὃν τρόπον εἴρηκα οὕτως ἔσται καὶ ὃν τρόπον βεβούλευμαι οὕτως μενεῖ
সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু শপথ করে বলেছেন: “আমি যেমন পরিকল্পনা করেছি, নিশ্চিতরূপে সেইরকমই হবে, আর আমার অভিপ্রায় যে রকম, তাই স্থির থাকবে।
25 τοῦ ἀπολέσαι τοὺς Ἀσσυρίους ἀπὸ τῆς γῆς τῆς ἐμῆς καὶ ἀπὸ τῶν ὀρέων μου καὶ ἔσονται εἰς καταπάτημα καὶ ἀφαιρεθήσεται ἀπ’ αὐτῶν ὁ ζυγὸς αὐτῶν καὶ τὸ κῦδος αὐτῶν ἀπὸ τῶν ὤμων ἀφαιρεθήσεται
আমি স্বদেশে আসিরীয়দের চূর্ণ করব; আমার পর্বতগুলির উপরে, আমি তাকে পদদলিত করব। আমার প্রজাদের উপর থেকে তার জোয়াল সরিয়ে ফেলা হবে, তাদের কাঁধ থেকে তার বোঝা অপসারিত হবে।”
26 αὕτη ἡ βουλή ἣν βεβούλευται κύριος ἐπὶ τὴν οἰκουμένην ὅλην καὶ αὕτη ἡ χεὶρ ἡ ὑψηλὴ ἐπὶ πάντα τὰ ἔθνη τῆς οἰκουμένης
সমস্ত জগতের জন্য এই পরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে; এই হাত সব জাতির উপরে প্রসারিত হয়েছে।
27 ἃ γὰρ ὁ θεὸς ὁ ἅγιος βεβούλευται τίς διασκεδάσει καὶ τὴν χεῖρα τὴν ὑψηλὴν τίς ἀποστρέψει
কারণ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু যে সংকল্প করেছেন, কে তা নাকচ করবে? তাঁর হাত প্রসারিত হয়েছে, কে তা ফিরাতে পারবে?
28 τοῦ ἔτους οὗ ἀπέθανεν Αχαζ ὁ βασιλεύς ἐγενήθη τὸ ῥῆμα τοῦτο
রাজা আহসের মৃত্যু বছরে এই ভবিষ্যদ্বাণী উপস্থিত হয়েছিল:
29 μὴ εὐφρανθείητε πάντες οἱ ἀλλόφυλοι συνετρίβη γὰρ ὁ ζυγὸς τοῦ παίοντος ὑμᾶς ἐκ γὰρ σπέρματος ὄφεων ἐξελεύσεται ἔκγονα ἀσπίδων καὶ τὰ ἔκγονα αὐτῶν ἐξελεύσονται ὄφεις πετόμενοι
ফিলিস্তিনীরা, যে লাঠি দ্বারা তোমাদের আঘাত করেছিল, তা ভেঙেছে বলে তোমরা উল্লসিত হোয়ো না; কারণ সেই মূল-সাপ থেকে এক কালসাপ নির্গত হবে, জ্বলন্ত উড়ন্ত নাগই হবে তার গর্ভফল।
30 καὶ βοσκηθήσονται πτωχοὶ δῑ αὐτοῦ πτωχοὶ δὲ ἄνδρες ἐπ’ εἰρήνης ἀναπαύσονται ἀνελεῖ δὲ λιμῷ τὸ σπέρμα σου καὶ τὸ κατάλειμμά σου ἀνελεῖ
দরিদ্রদের মধ্যে দরিদ্রতম চারণভূমি পাবে, আর নিঃস্ব-অভাবী মানুষেরা নিরাপদে বিশ্রাম করবে। কিন্তু তোমার মূল আমি দুর্ভিক্ষে ধ্বংস করব; তোমার বেঁচে থাকা লোকদের ধ্বংস করব।
31 ὀλολύζετε πύλαι πόλεων κεκραγέτωσαν πόλεις τεταραγμέναι οἱ ἀλλόφυλοι πάντες ὅτι καπνὸς ἀπὸ βορρᾶ ἔρχεται καὶ οὐκ ἔστιν τοῦ εἶναι
ওহে তোরণদ্বার, বিলাপ করো! ওহে নগর, একটানা আর্তনাদ করো! ফিলিস্তিনী তোমরা সবাই গলে যাও! উত্তর দিক থেকে এক ধোঁয়ার মেঘ আসছে, তাদের সৈন্যশ্রেণীর একজনও স্থানচ্যূত হয় না।
32 καὶ τί ἀποκριθήσονται βασιλεῖς ἐθνῶν ὅτι κύριος ἐθεμελίωσεν Σιων καὶ δῑ αὐτοῦ σωθήσονται οἱ ταπεινοὶ τοῦ λαοῦ
সেই জাতির দূতদের কী উত্তর দেওয়া হবে? “সদাপ্রভু সিয়োনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাঁর ক্লিষ্ট প্রজারা তার মধ্যে আশ্রয়স্থান পাবে।”