< Γένεσις 21 >
1 καὶ κύριος ἐπεσκέψατο τὴν Σαρραν καθὰ εἶπεν καὶ ἐποίησεν κύριος τῇ Σαρρα καθὰ ἐλάλησεν
সদাপ্রভু তাঁর বলা কথানুসারে সারার প্রতি অনুগ্রহকারী হলেন, এবং সদাপ্রভু যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সারার প্রতি তাই করলেন।
2 καὶ συλλαβοῦσα ἔτεκεν Σαρρα τῷ Αβρααμ υἱὸν εἰς τὸ γῆρας εἰς τὸν καιρόν καθὰ ἐλάλησεν αὐτῷ κύριος
সারা গর্ভবতী হলেন এবং অব্রাহামের বৃদ্ধাবস্থায়, ঈশ্বর যে সময়ের প্রতিজ্ঞা তাঁর কাছে করেছিলেন, ঠিক সেই সময়ে অব্রাহামের জন্য এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন।
3 καὶ ἐκάλεσεν Αβρααμ τὸ ὄνομα τοῦ υἱοῦ αὐτοῦ τοῦ γενομένου αὐτῷ ὃν ἔτεκεν αὐτῷ Σαρρα Ισαακ
অব্রাহামের জন্য সারা যে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন, অব্রাহাম তার নাম দিলেন ইস্হাক।
4 περιέτεμεν δὲ Αβρααμ τὸν Ισαακ τῇ ὀγδόῃ ἡμέρᾳ καθὰ ἐνετείλατο αὐτῷ ὁ θεός
তাঁর ছেলে ইস্হাকের বয়স যখন আট দিন, তখন ঈশ্বরের আদেশানুসারে অব্রাহাম তার সুন্নত করালেন।
5 Αβρααμ δὲ ἦν ἑκατὸν ἐτῶν ἡνίκα ἐγένετο αὐτῷ Ισαακ ὁ υἱὸς αὐτοῦ
অব্রাহামের ছেলে ইস্হাকের যখন জন্ম হয় তখন তাঁর বয়স একশো বছর।
6 εἶπεν δὲ Σαρρα γέλωτά μοι ἐποίησεν κύριος ὃς γὰρ ἂν ἀκούσῃ συγχαρεῖταί μοι
সারা বললেন, “ঈশ্বর আমাকে হাসির পাত্রী করে তুলেছেন, আর যে কেউ একথা শুনবে সেও আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।”
7 καὶ εἶπεν τίς ἀναγγελεῖ τῷ Αβρααμ ὅτι θηλάζει παιδίον Σαρρα ὅτι ἔτεκον υἱὸν ἐν τῷ γήρει μου
পরে তিনি এও বললেন, “কে অব্রাহামকে বলতে পেরেছিল যে সারা শিশুসন্তানকে স্তন্যদান করবে? তা সত্ত্বেও তাঁর বৃদ্ধাবস্থায় আমি তাঁর জন্য এক ছেলের জন্ম দিয়েছি।”
8 καὶ ηὐξήθη τὸ παιδίον καὶ ἀπεγαλακτίσθη καὶ ἐποίησεν Αβρααμ δοχὴν μεγάλην ᾗ ἡμέρᾳ ἀπεγαλακτίσθη Ισαακ ὁ υἱὸς αὐτοῦ
শিশুটি বেড়ে উঠল ও তার স্তন্য-ত্যাগ করানো হল, এবং যেদিন ইস্হাকের স্তন্য-ত্যাগ করানো হল, সেদিন অব্রাহাম এক মহাভোজের আয়োজন করলেন।
9 ἰδοῦσα δὲ Σαρρα τὸν υἱὸν Αγαρ τῆς Αἰγυπτίας ὃς ἐγένετο τῷ Αβρααμ παίζοντα μετὰ Ισαακ τοῦ υἱοῦ αὐτῆς
কিন্তু সারা দেখতে পেলেন যে, যে ছেলেটিকে মিশরীয় হাগার অব্রাহামের জন্য জন্ম দিয়েছিল, সে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে,
10 καὶ εἶπεν τῷ Αβρααμ ἔκβαλε τὴν παιδίσκην ταύτην καὶ τὸν υἱὸν αὐτῆς οὐ γὰρ κληρονομήσει ὁ υἱὸς τῆς παιδίσκης ταύτης μετὰ τοῦ υἱοῦ μου Ισαακ
আর তাই তিনি অব্রাহামকে বললেন, “ওই ক্রীতদাসী ও তার ছেলেকে তাড়িয়ে দাও, কারণ আমার ছেলে ইস্হাকের সম্পত্তির অধিকারে ওই মহিলার ছেলে কখনোই ভাগ বসাবে না।”
11 σκληρὸν δὲ ἐφάνη τὸ ῥῆμα σφόδρα ἐναντίον Αβρααμ περὶ τοῦ υἱοῦ αὐτοῦ
বিষয়টি অব্রাহামকে খুবই ব্যথিত করে তুলেছিল, কারণ এতে তাঁর ছেলের স্বার্থ জড়িত ছিল।
12 εἶπεν δὲ ὁ θεὸς τῷ Αβρααμ μὴ σκληρὸν ἔστω τὸ ῥῆμα ἐναντίον σου περὶ τοῦ παιδίου καὶ περὶ τῆς παιδίσκης πάντα ὅσα ἐὰν εἴπῃ σοι Σαρρα ἄκουε τῆς φωνῆς αὐτῆς ὅτι ἐν Ισαακ κληθήσεταί σοι σπέρμα
কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “ছেলেটির ও তোমার ক্রীতদাসীর বিষয়ে তুমি এত ব্যথিত হোয়ো না। সারা তোমাকে যা বলছে, তা শোনো, কারণ ইস্হাকের মাধ্যমেই তোমার সন্তানসন্ততি পরিচিত হবে।
13 καὶ τὸν υἱὸν δὲ τῆς παιδίσκης ταύτης εἰς ἔθνος μέγα ποιήσω αὐτόν ὅτι σπέρμα σόν ἐστιν
আমি ওই ক্রীতদাসীর ছেলেকেও এক জাতিতে পরিণত করব, কারণ সেও তোমার সন্তান।”
14 ἀνέστη δὲ Αβρααμ τὸ πρωὶ καὶ ἔλαβεν ἄρτους καὶ ἀσκὸν ὕδατος καὶ ἔδωκεν Αγαρ καὶ ἐπέθηκεν ἐπὶ τὸν ὦμον καὶ τὸ παιδίον καὶ ἀπέστειλεν αὐτήν ἀπελθοῦσα δὲ ἐπλανᾶτο τὴν ἔρημον κατὰ τὸ φρέαρ τοῦ ὅρκου
পরদিন ভোরবেলায় অব্রাহাম কিছু খাবার ও এক মশক জল নিয়ে সেগুলি হাগারকে দিলেন। তিনি সেগুলি হাগারের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে তাকে সেই ছেলেটি সমেত বিদায় করে দিলেন। হাগার প্রস্থান করল এবং বের-শেবার মরুভূমিতে ইতস্তত ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছিল।
15 ἐξέλιπεν δὲ τὸ ὕδωρ ἐκ τοῦ ἀσκοῦ καὶ ἔρριψεν τὸ παιδίον ὑποκάτω μιᾶς ἐλάτης
মশকের জল যখন শেষ হয়ে গেল, তখন সে ছেলেটিকে একটি ঝোপের তলায় নিয়ে গিয়ে রাখল।
16 ἀπελθοῦσα δὲ ἐκάθητο ἀπέναντι αὐτοῦ μακρόθεν ὡσεὶ τόξου βολήν εἶπεν γάρ οὐ μὴ ἴδω τὸν θάνατον τοῦ παιδίου μου καὶ ἐκάθισεν ἀπέναντι αὐτοῦ ἀναβοῆσαν δὲ τὸ παιδίον ἔκλαυσεν
পরে সে একটু দূরে, প্রায় 100 মিটার দূরে গিয়ে বসে পড়ল, কারণ সে ভাবল, “আমি নিজের চোখে ছেলেটির মৃত্যুদৃশ্য দেখতে পারব না।” আর সেখানে বসে সে ফোঁপাতে শুরু করল।
17 εἰσήκουσεν δὲ ὁ θεὸς τῆς φωνῆς τοῦ παιδίου ἐκ τοῦ τόπου οὗ ἦν καὶ ἐκάλεσεν ἄγγελος τοῦ θεοῦ τὴν Αγαρ ἐκ τοῦ οὐρανοῦ καὶ εἶπεν αὐτῇ τί ἐστιν Αγαρ μὴ φοβοῦ ἐπακήκοεν γὰρ ὁ θεὸς τῆς φωνῆς τοῦ παιδίου σου ἐκ τοῦ τόπου οὗ ἐστιν
ঈশ্বর সেই ছেলেটির কান্না শুনতে পেলেন, এবং ঈশ্বরের দূত স্বর্গ থেকে হাগারকে ডেকে বললেন, “কী হল, হাগার? ভয় পেয়ো না; সেখানে শুয়ে ছেলেটি যখন কাঁদছে, তখন তার কান্না ঈশ্বর শুনেছেন।
18 ἀνάστηθι λαβὲ τὸ παιδίον καὶ κράτησον τῇ χειρί σου αὐτό εἰς γὰρ ἔθνος μέγα ποιήσω αὐτόν
ছেলেটিকে তুলে তার হাত ধরো, কারণ আমি তাকে এক মহাজাতিরূপে গড়ে তুলব।”
19 καὶ ἀνέῳξεν ὁ θεὸς τοὺς ὀφθαλμοὺς αὐτῆς καὶ εἶδεν φρέαρ ὕδατος ζῶντος καὶ ἐπορεύθη καὶ ἔπλησεν τὸν ἀσκὸν ὕδατος καὶ ἐπότισεν τὸ παιδίον
তখন ঈশ্বর হাগারের চোখ খুলে দিলেন আর সে জলের এক কুয়ো দেখতে পেল। তাই সে গিয়ে মশকে জল ভরে ছেলেটিকে পানীয় জল এনে দিল।
20 καὶ ἦν ὁ θεὸς μετὰ τοῦ παιδίου καὶ ηὐξήθη καὶ κατῴκησεν ἐν τῇ ἐρήμῳ ἐγένετο δὲ τοξότης
ছেলেটি যখন বেড়ে উঠছিল তখন ঈশ্বর তার সাথেই ছিলেন। সে মরুভূমিতে বসবাস করছিল ও এক তিরন্দাজ হয়ে উঠল।
21 καὶ κατῴκησεν ἐν τῇ ἐρήμῳ τῇ Φαραν καὶ ἔλαβεν αὐτῷ ἡ μήτηρ γυναῖκα ἐκ γῆς Αἰγύπτου
সে যখন পারণ মরুভূমিতে বসবাস করছিল তখন তার মা, মিশর থেকে এক মহিলাকে তার স্ত্রী হওয়ার জন্য নিয়ে এল।
22 ἐγένετο δὲ ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ καὶ εἶπεν Αβιμελεχ καὶ Οχοζαθ ὁ νυμφαγωγὸς αὐτοῦ καὶ Φικολ ὁ ἀρχιστράτηγος τῆς δυνάμεως αὐτοῦ πρὸς Αβρααμ λέγων ὁ θεὸς μετὰ σοῦ ἐν πᾶσιν οἷς ἐὰν ποιῇς
সেই সময় অবীমেলক তাঁর সৈন্যদলের সেনাপতি ফীকোলকে সাথে নিয়ে অব্রাহামের কাছে এসে বললেন, “আপনি যা যা করেন, সবেতেই ঈশ্বর আপনার সহায় হন।
23 νῦν οὖν ὄμοσόν μοι τὸν θεὸν μὴ ἀδικήσειν με μηδὲ τὸ σπέρμα μου μηδὲ τὸ ὄνομά μου ἀλλὰ κατὰ τὴν δικαιοσύνην ἣν ἐποίησα μετὰ σοῦ ποιήσεις μετ’ ἐμοῦ καὶ τῇ γῇ ᾗ σὺ παρῴκησας ἐν αὐτῇ
এখন ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে আমার কাছে শপথ করুন যে আপনি আমার বা আমার সন্তানসন্ততির বা আমার বংশধরদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না। আমি আপনার প্রতি যে দয়া দেখিয়েছিলাম, সেই একইরকম দয়া আপনি আমার প্রতি ও যে দেশে এখন আপনি এক বিদেশিরূপে বসবাস করছেন, সেই দেশের প্রতিও দেখান।”
24 καὶ εἶπεν Αβρααμ ἐγὼ ὀμοῦμαι
অব্রাহাম বললেন, “আমি শপথ করছি।”
25 καὶ ἤλεγξεν Αβρααμ τὸν Αβιμελεχ περὶ τῶν φρεάτων τοῦ ὕδατος ὧν ἀφείλαντο οἱ παῖδες τοῦ Αβιμελεχ
তখন অব্রাহাম অবীমেলকের কাছে সেই সজল কুয়োটির বিষয়ে অভিযোগ জানালেন, যেটি অবীমেলকের দাসেরা জোর করে দখল করে নিয়েছিল।
26 καὶ εἶπεν αὐτῷ Αβιμελεχ οὐκ ἔγνων τίς ἐποίησεν τὸ πρᾶγμα τοῦτο οὐδὲ σύ μοι ἀπήγγειλας οὐδὲ ἐγὼ ἤκουσα ἀλλ’ ἢ σήμερον
কিন্তু অবীমেলক বললেন, “আমি জানি না কে এই কাজটি করেছে। আপনিও আমাকে কিছু বলেননি, আর আজই আমি এই বিষয়ে শুনলাম।”
27 καὶ ἔλαβεν Αβρααμ πρόβατα καὶ μόσχους καὶ ἔδωκεν τῷ Αβιμελεχ καὶ διέθεντο ἀμφότεροι διαθήκην
অতএব অব্রাহাম মেষ ও গবাদি পশুপাল আনিয়ে সেগুলি অবীমেলককে দিলেন এবং দুজনে এক সন্ধিচুক্তি করলেন।
28 καὶ ἔστησεν Αβρααμ ἑπτὰ ἀμνάδας προβάτων μόνας
অব্রাহাম তাঁর মেষপাল থেকে মেষের সাতটি মাদি শাবক পৃথক করলেন,
29 καὶ εἶπεν Αβιμελεχ τῷ Αβρααμ τί εἰσιν αἱ ἑπτὰ ἀμνάδες τῶν προβάτων τούτων ἃς ἔστησας μόνας
এবং অবীমেলক অব্রাহামকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি যে মেষের এই সাতটি মাদি শাবক পৃথক করলেন, এর অর্থ কী?”
30 καὶ εἶπεν Αβρααμ ὅτι τὰς ἑπτὰ ἀμνάδας ταύτας λήμψῃ παρ’ ἐμοῦ ἵνα ὦσίν μοι εἰς μαρτύριον ὅτι ἐγὼ ὤρυξα τὸ φρέαρ τοῦτο
তিনি উত্তর দিলেন, “আমিই যে এই কুয়োটি খুঁড়েছি, তার প্রমাণস্বরূপ আপনি আমার হাত থেকে মেষের এই সাতটি শাবক গ্রহণ করুন।”
31 διὰ τοῦτο ἐπωνόμασεν τὸ ὄνομα τοῦ τόπου ἐκείνου Φρέαρ ὁρκισμοῦ ὅτι ἐκεῖ ὤμοσαν ἀμφότεροι
অতএব সেই স্থানটির নাম হল বের-শেবা, কারণ সেই দুজন লোক সেখানে এক শপথ নিয়েছিলেন।
32 καὶ διέθεντο διαθήκην ἐν τῷ φρέατι τοῦ ὅρκου ἀνέστη δὲ Αβιμελεχ καὶ Οχοζαθ ὁ νυμφαγωγὸς αὐτοῦ καὶ Φικολ ὁ ἀρχιστράτηγος τῆς δυνάμεως αὐτοῦ καὶ ἐπέστρεψαν εἰς τὴν γῆν τῶν Φυλιστιιμ
বের-শেবায় সন্ধিচুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর অবীমেলক ও তাঁর সৈন্যদলের সেনাপতি ফীকোল ফিলিস্তিনীদের দেশে ফিরে গেলেন।
33 καὶ ἐφύτευσεν Αβρααμ ἄρουραν ἐπὶ τῷ φρέατι τοῦ ὅρκου καὶ ἐπεκαλέσατο ἐκεῖ τὸ ὄνομα κυρίου θεὸς αἰώνιος
অব্রাহাম বের-শেবায় একটি ঝাউ গাছ লাগালেন, ও সেখানে তিনি অনন্তজীবী ঈশ্বর সদাপ্রভুর আরাধনা করলেন।
34 παρῴκησεν δὲ Αβρααμ ἐν τῇ γῇ τῶν Φυλιστιιμ ἡμέρας πολλάς
আর অব্রাহাম দীর্ঘকাল ফিলিস্তিনীদের দেশে থেকে গেলেন।