< Γένεσις 18 >
1 ὤφθη δὲ αὐτῷ ὁ θεὸς πρὸς τῇ δρυὶ τῇ Μαμβρη καθημένου αὐτοῦ ἐπὶ τῆς θύρας τῆς σκηνῆς αὐτοῦ μεσημβρίας
১পরে সদাপ্রভু মম্রির এলোন বনের কাছে তাঁকে দর্শন দিলেন। তিনি দিনের গরমের দিনের তাঁবুর দুয়ারের মুখে বসেছিলেন; চোখ তুলে দেখলেন।
2 ἀναβλέψας δὲ τοῖς ὀφθαλμοῖς αὐτοῦ εἶδεν καὶ ἰδοὺ τρεῖς ἄνδρες εἱστήκεισαν ἐπάνω αὐτοῦ καὶ ἰδὼν προσέδραμεν εἰς συνάντησιν αὐτοῖς ἀπὸ τῆς θύρας τῆς σκηνῆς αὐτοῦ καὶ προσεκύνησεν ἐπὶ τὴν γῆν
২আর দেখ, তিনটে পুরুষ সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁবুর দুয়ারের মুখে থেকে তাঁদের কাছে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে প্রণাম করলেন।
3 καὶ εἶπεν κύριε εἰ ἄρα εὗρον χάριν ἐναντίον σου μὴ παρέλθῃς τὸν παῖδά σου
৩তিনি বললেন, “হে প্রভু, অনুরোধ করি, যদি আমি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হয়ে থাকি, তবে আপনার এই দাসের কাছ থেকে যাবেন না।
4 λημφθήτω δὴ ὕδωρ καὶ νιψάτωσαν τοὺς πόδας ὑμῶν καὶ καταψύξατε ὑπὸ τὸ δένδρον
৪অনুরোধ করি, অল্প জল এনে দিই, আপনারা পা ধুয়ে এই গাছের তলায় বিশ্রাম করুন।
5 καὶ λήμψομαι ἄρτον καὶ φάγεσθε καὶ μετὰ τοῦτο παρελεύσεσθε εἰς τὴν ὁδὸν ὑμῶν οὗ εἵνεκεν ἐξεκλίνατε πρὸς τὸν παῖδα ὑμῶν καὶ εἶπαν οὕτως ποίησον καθὼς εἴρηκας
৫কিছু খাবার এনে দিই, তা দিয়ে প্রাণ তৃপ্ত করুন, পরে নিজের পথে এগিয়ে যাবেন; কারণ এরই জন্য নিজের দাসের কাছে এসেছেন।” তখন তাঁরা বললেন, “যা বললে, তাই কর।”
6 καὶ ἔσπευσεν Αβρααμ ἐπὶ τὴν σκηνὴν πρὸς Σαρραν καὶ εἶπεν αὐτῇ σπεῦσον καὶ φύρασον τρία μέτρα σεμιδάλεως καὶ ποίησον ἐγκρυφίας
৬তাতে অব্রাহাম তাড়াতাড়ি করে তাঁবুতে সারার কাছে গিয়ে বললেন, “শীঘ্র 21 কিলো উত্তম ময়দা নিয়ে মেখে গোলা বানিয়ে রুটি তৈরী কর।”
7 καὶ εἰς τὰς βόας ἔδραμεν Αβρααμ καὶ ἔλαβεν μοσχάριον ἁπαλὸν καὶ καλὸν καὶ ἔδωκεν τῷ παιδί καὶ ἐτάχυνεν τοῦ ποιῆσαι αὐτό
৭পরে অব্রাহাম দৌড়িয়ে গিয়ে পশুপাল থেকে উৎকৃষ্ট কোমল এক বাছুর নিয়ে দাসকে দিলে সে তা তাড়াতাড়ি রান্না করল।
8 ἔλαβεν δὲ βούτυρον καὶ γάλα καὶ τὸ μοσχάριον ὃ ἐποίησεν καὶ παρέθηκεν αὐτοῖς καὶ ἐφάγοσαν αὐτὸς δὲ παρειστήκει αὐτοῖς ὑπὸ τὸ δένδρον
৮তখন তিনি দই, দুধ ও রান্না মাংস নিয়ে তাঁদের সামনে দিলেন এবং তাঁদের কাছে বৃক্ষ তলায় দাঁড়ালেন ও তাঁরা ভোজন করলেন।
9 εἶπεν δὲ πρὸς αὐτόν ποῦ Σαρρα ἡ γυνή σου ὁ δὲ ἀποκριθεὶς εἶπεν ἰδοὺ ἐν τῇ σκηνῇ
৯আর তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার স্ত্রী সারা কোথায়?” তিনি বললেন, “দেখুন, তিনি তাঁবুতে আছেন।”
10 εἶπεν δέ ἐπαναστρέφων ἥξω πρὸς σὲ κατὰ τὸν καιρὸν τοῦτον εἰς ὥρας καὶ ἕξει υἱὸν Σαρρα ἡ γυνή σου Σαρρα δὲ ἤκουσεν πρὸς τῇ θύρᾳ τῆς σκηνῆς οὖσα ὄπισθεν αὐτοῦ
১০তিনি বললেন, “বসন্তকালে আমি অবশ্যই তোমার কাছে ফিরে আসব; আর দেখ, তোমার স্ত্রী সারার এক ছেলে হবে।” এই কথা সারা দরজার পিছনে থেকে শুনলেন।
11 Αβρααμ δὲ καὶ Σαρρα πρεσβύτεροι προβεβηκότες ἡμερῶν ἐξέλιπεν δὲ Σαρρα γίνεσθαι τὰ γυναικεῖα
১১সেই দিনের অব্রাহাম ও সারা অনেক বয়ষ্ক ছিলেন; সারার সন্তান প্রসব করার বয়স পার হয়ে গিয়েছিল।
12 ἐγέλασεν δὲ Σαρρα ἐν ἑαυτῇ λέγουσα οὔπω μέν μοι γέγονεν ἕως τοῦ νῦν ὁ δὲ κύριός μου πρεσβύτερος
১২অতএব সারা নিজে মনে মনে হেঁসে বললেন, “আমার এই শীর্ণ দশার পরে কি এমন আনন্দ হবে? আমার প্রভুও তো বৃদ্ধ।”
13 καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Αβρααμ τί ὅτι ἐγέλασεν Σαρρα ἐν ἑαυτῇ λέγουσα ἆρά γε ἀληθῶς τέξομαι ἐγὼ δὲ γεγήρακα
১৩তখন সদাপ্রভু অব্রাহামকে বললেন, “সারা কেন এই বলে হাঁসলো যে, ‘আমি কি সত্যই প্রসব করব, আমি যে বুড়ী?’ কোন কাজ কি সদাপ্রভুর অসাধ্য?
14 μὴ ἀδυνατεῖ παρὰ τῷ θεῷ ῥῆμα εἰς τὸν καιρὸν τοῦτον ἀναστρέψω πρὸς σὲ εἰς ὥρας καὶ ἔσται τῇ Σαρρα υἱός
১৪সঠিক দিনের এই ঋতু আবার উপস্থিত হলে আমি তোমার কাছে ফিরে আসব, আর সারার ছেলে হবে।”
15 ἠρνήσατο δὲ Σαρρα λέγουσα οὐκ ἐγέλασα ἐφοβήθη γάρ καὶ εἶπεν οὐχί ἀλλὰ ἐγέλασας
১৫তাতে সারা অস্বীকার করে বললেন, “আমি হাঁসিনি; কারণ তিনি ভয় পেয়েছিলেন।” তিনি বললেন, “না, অবশ্যই হেঁসেছিলে।”
16 ἐξαναστάντες δὲ ἐκεῖθεν οἱ ἄνδρες κατέβλεψαν ἐπὶ πρόσωπον Σοδομων καὶ Γομορρας Αβρααμ δὲ συνεπορεύετο μετ’ αὐτῶν συμπροπέμπων αὐτούς
১৬পরে সেই ব্যক্তিরা সেখান থেকে উঠে সদোমের দিকে দেখলেন, আর অব্রাহাম তাঁদেরকে বিদায় দিতে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে চললেন।
17 ὁ δὲ κύριος εἶπεν μὴ κρύψω ἐγὼ ἀπὸ Αβρααμ τοῦ παιδός μου ἃ ἐγὼ ποιῶ
১৭কিন্তু সদাপ্রভু বললেন, “আমি যা করব, তা কি অব্রাহাম থেকে লুকাব?
18 Αβρααμ δὲ γινόμενος ἔσται εἰς ἔθνος μέγα καὶ πολύ καὶ ἐνευλογηθήσονται ἐν αὐτῷ πάντα τὰ ἔθνη τῆς γῆς
১৮অব্রাহাম থেকে মহান ও বলবান এক জাতি সৃষ্টি হবে এবং পৃথিবীর যাবতীয় জাতি তাতেই আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে।
19 ᾔδειν γὰρ ὅτι συντάξει τοῖς υἱοῖς αὐτοῦ καὶ τῷ οἴκῳ αὐτοῦ μετ’ αὐτόν καὶ φυλάξουσιν τὰς ὁδοὺς κυρίου ποιεῖν δικαιοσύνην καὶ κρίσιν ὅπως ἂν ἐπαγάγῃ κύριος ἐπὶ Αβρααμ πάντα ὅσα ἐλάλησεν πρὸς αὐτόν
১৯কারণ আমি তাকে জানিয়েছি, যেন সে নিজের ভাবী সন্তানদের ও পরিবারদেরকে আদেশ করে, যেন তারা ধার্ম্মিকতায় ও ন্যায্য আচরণ করতে করতে সদাপ্রভুর পথে চলে; এই ভাবে সদাপ্রভু যেন অব্রাহামের বিষয়ে কথিত নিজের বাক্য সফল করেন।”
20 εἶπεν δὲ κύριος κραυγὴ Σοδομων καὶ Γομορρας πεπλήθυνται καὶ αἱ ἁμαρτίαι αὐτῶν μεγάλαι σφόδρα
২০পরে সদাপ্রভু বললেন, “কারণ সদোমের ও ঘমোরার কান্না অত্যন্ত বেশি এবং তাদের পাপ অতিশয় ভারী;
21 καταβὰς οὖν ὄψομαι εἰ κατὰ τὴν κραυγὴν αὐτῶν τὴν ἐρχομένην πρός με συντελοῦνται εἰ δὲ μή ἵνα γνῶ
২১আমি নীচে গিয়ে দেখব, আমার কাছে আসা কান্না অনুসারে তারা সম্পূর্ণরূপে করেছে কি না; যদি না করে থাকে, তা জানব।”
22 καὶ ἀποστρέψαντες ἐκεῖθεν οἱ ἄνδρες ἦλθον εἰς Σοδομα Αβρααμ δὲ ἦν ἑστηκὼς ἐναντίον κυρίου
২২পরে সেই ব্যক্তিরা সেখান থেকে ফিরে সদোমের দিকে গেলেন; কিন্তু অব্রাহাম তখনও সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন।
23 καὶ ἐγγίσας Αβρααμ εἶπεν μὴ συναπολέσῃς δίκαιον μετὰ ἀσεβοῦς καὶ ἔσται ὁ δίκαιος ὡς ὁ ἀσεβής
২৩পরে অব্রাহাম কাছে গিয়ে বললেন, “আপনি কি দুষ্টের সঙ্গে ধার্মিককেও ধ্বংস করবেন?
24 ἐὰν ὦσιν πεντήκοντα δίκαιοι ἐν τῇ πόλει ἀπολεῖς αὐτούς οὐκ ἀνήσεις πάντα τὸν τόπον ἕνεκεν τῶν πεντήκοντα δικαίων ἐὰν ὦσιν ἐν αὐτῇ
২৪সেই নগরের মধ্যে যদি পঞ্চাশ জন ধার্মিক পাওয়া যায়, তবে আপনি কি সেখানকার পঞ্চাশ জন ধার্ম্মিকের অনুরোধে সেই জায়গার প্রতি দয়া না করে তা বিনষ্ট করবেন?
25 μηδαμῶς σὺ ποιήσεις ὡς τὸ ῥῆμα τοῦτο τοῦ ἀποκτεῖναι δίκαιον μετὰ ἀσεβοῦς καὶ ἔσται ὁ δίκαιος ὡς ὁ ἀσεβής μηδαμῶς ὁ κρίνων πᾶσαν τὴν γῆν οὐ ποιήσεις κρίσιν
২৫দুষ্টের সঙ্গে ধার্ম্মিককে ধ্বংস করা, এই রকম কাজ আপনার থেকে দূরে থাকুক; ধার্ম্মিককে দুষ্টের সমান করা আপনার কাছ থেকে দূর থাকুক। সমস্ত পৃথিবীর বিচারকর্ত্তা কি ন্যায়বিচার করবেন না?”
26 εἶπεν δὲ κύριος ἐὰν εὕρω ἐν Σοδομοις πεντήκοντα δικαίους ἐν τῇ πόλει ἀφήσω πάντα τὸν τόπον δῑ αὐτούς
২৬সদাপ্রভু বললেন, “আমি যদি সদোমের মধ্যে পঞ্চাশ জন ধার্মিক দেখি, তবে তাদের অনুরোধে সেই সমস্ত জায়গার প্রতি দয়া করব।”
27 καὶ ἀποκριθεὶς Αβρααμ εἶπεν νῦν ἠρξάμην λαλῆσαι πρὸς τὸν κύριον ἐγὼ δέ εἰμι γῆ καὶ σποδός
২৭অব্রাহাম উত্তর করে বললেন, “দেখুন, ধূলো ও ছাইমাত্র যে আমি, আমি প্রভুর সঙ্গে কথা বলতে সাহসী হয়েছি!
28 ἐὰν δὲ ἐλαττονωθῶσιν οἱ πεντήκοντα δίκαιοι πέντε ἀπολεῖς ἕνεκεν τῶν πέντε πᾶσαν τὴν πόλιν καὶ εἶπεν οὐ μὴ ἀπολέσω ἐὰν εὕρω ἐκεῖ τεσσαράκοντα πέντε
২৮কি জানি, পঞ্চাশ জন ধার্ম্মিকের পাঁচ জন কম হবে; সেই পাঁচ জনের অভাবের জন্য আপনি কি সমস্ত নগর ধ্বংস করবেন?” তিনি বললেন, “সেই জায়গায় পঁয়তাল্লিশ জন পেলে আমি তা বিনষ্ট করব না।”
29 καὶ προσέθηκεν ἔτι λαλῆσαι πρὸς αὐτὸν καὶ εἶπεν ἐὰν δὲ εὑρεθῶσιν ἐκεῖ τεσσαράκοντα καὶ εἶπεν οὐ μὴ ἀπολέσω ἕνεκεν τῶν τεσσαράκοντα
২৯তিনি তাঁকে আবার বললেন, “সেই জায়গায় যদি চল্লিশ জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেই চল্লিশ জনের জন্য তা করব না।”
30 καὶ εἶπεν μή τι κύριε ἐὰν λαλήσω ἐὰν δὲ εὑρεθῶσιν ἐκεῖ τριάκοντα καὶ εἶπεν οὐ μὴ ἀπολέσω ἐὰν εὕρω ἐκεῖ τριάκοντα
৩০আবার তিনি বললেন, “প্রভু বিরক্ত হবেন না, আমি আরও বলি; যদি সেখানে ত্রিশ জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেখানে ত্রিশ জন পেলে তা করব না।”
31 καὶ εἶπεν ἐπειδὴ ἔχω λαλῆσαι πρὸς τὸν κύριον ἐὰν δὲ εὑρεθῶσιν ἐκεῖ εἴκοσι καὶ εἶπεν οὐ μὴ ἀπολέσω ἕνεκεν τῶν εἴκοσι
৩১তিনি বললেন, “দেখুন, প্রভুর কাছে আমি সাহসী হয়ে আবার বলি, যদি সেখানে কুড়ি জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেই কুড়ি জনের অনুরোধে তা বিনষ্ট করব না।”
32 καὶ εἶπεν μή τι κύριε ἐὰν λαλήσω ἔτι ἅπαξ ἐὰν δὲ εὑρεθῶσιν ἐκεῖ δέκα καὶ εἶπεν οὐ μὴ ἀπολέσω ἕνεκεν τῶν δέκα
৩২তিনি বললেন, “প্রভু রাগ করবেন না। আমি শুধু মাত্র আর একবার বলব; যদি সেখানে দশ জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেই দশ জনের অনুরোধে তা ধ্বংস করব না।”
33 ἀπῆλθεν δὲ κύριος ὡς ἐπαύσατο λαλῶν τῷ Αβρααμ καὶ Αβρααμ ἀπέστρεψεν εἰς τὸν τόπον αὐτοῦ
৩৩তখন সদাপ্রভু অব্রাহামের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে চলে গেলেন এবং অব্রাহাম নিজের জায়গায় ফিরে এলেন।