< Ἔξοδος 4 >
1 ἀπεκρίθη δὲ Μωυσῆς καὶ εἶπεν ἐὰν οὖν μὴ πιστεύσωσίν μοι μηδὲ εἰσακούσωσιν τῆς φωνῆς μου ἐροῦσιν γὰρ ὅτι οὐκ ὦπταί σοι ὁ θεός τί ἐρῶ πρὸς αὐτούς
১মোশি উত্তরে বললেন, “কিন্তু দেখুন, তারা আমাকে বিশ্বাস করবে না ও আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে না, কারণ তারা বলবে, ‘সদাপ্রভু তোমাকে দেখা দেন নি’।”
2 εἶπεν δὲ αὐτῷ κύριος τί τοῦτό ἐστιν τὸ ἐν τῇ χειρί σου ὁ δὲ εἶπεν ῥάβδος
২তখন সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “তোমার হাতে ওটা কি?” তিনি বললেন, “লাঠি।” তখন তিনি বললেন, “ওটা মাটিতে ফেল।”
3 καὶ εἶπεν ῥῖψον αὐτὴν ἐπὶ τὴν γῆν καὶ ἔρριψεν αὐτὴν ἐπὶ τὴν γῆν καὶ ἐγένετο ὄφις καὶ ἔφυγεν Μωυσῆς ἀπ’ αὐτοῦ
৩পরে তিনি মাটিতে ফেললে সেটা সাপ হয়ে গেল; আর মোশি তার সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন।
4 καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Μωυσῆν ἔκτεινον τὴν χεῖρα καὶ ἐπιλαβοῦ τῆς κέρκου ἐκτείνας οὖν τὴν χεῖρα ἐπελάβετο τῆς κέρκου καὶ ἐγένετο ῥάβδος ἐν τῇ χειρὶ αὐτοῦ
৪তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হাত বাড়িয়ে ওটার লেজ ধর, তাতে তিনি হাত বাড়ালেন এবং সেই সাপটি ধরলেন।” তখন এটি তাঁর হাতে লাঠি হয়ে গেল,
5 ἵνα πιστεύσωσίν σοι ὅτι ὦπταί σοι κύριος ὁ θεὸς τῶν πατέρων αὐτῶν θεὸς Αβρααμ καὶ θεὸς Ισαακ καὶ θεὸς Ιακωβ
৫“যেন তারা বিশ্বাস করে যে, সদাপ্রভু, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্হাকের ঈশ্বর যাকোবের ঈশ্বর তোমাকে দেখা দিয়েছেন।”
6 εἶπεν δὲ αὐτῷ κύριος πάλιν εἰσένεγκε τὴν χεῖρά σου εἰς τὸν κόλπον σου καὶ εἰσήνεγκεν τὴν χεῖρα αὐτοῦ εἰς τὸν κόλπον αὐτοῦ καὶ ἐξήνεγκεν τὴν χεῖρα αὐτοῦ ἐκ τοῦ κόλπου αὐτοῦ καὶ ἐγενήθη ἡ χεὶρ αὐτοῦ ὡσεὶ χιών
৬পরে সদাপ্রভু তাঁকে আরও বললেন, “তুমি তোমার হাত বুকে দাও,” তাতে তিনি বুকে হাত দিলেন; পরে তা বের করে দেখলেন, তাঁর হাতে তুষারের মত সাদা কুষ্ঠ হয়েছে।
7 καὶ εἶπεν πάλιν εἰσένεγκε τὴν χεῖρά σου εἰς τὸν κόλπον σου καὶ εἰσήνεγκεν τὴν χεῖρα εἰς τὸν κόλπον αὐτοῦ καὶ ἐξήνεγκεν αὐτὴν ἐκ τοῦ κόλπου αὐτοῦ καὶ πάλιν ἀπεκατέστη εἰς τὴν χρόαν τῆς σαρκὸς αὐτοῦ
৭পরে সদাপ্রভু বললেন, “তোমার হাত আবার বুকে দাও।” তিনি আবার বুকে হাত দিলেন, পরে বুক থেকে হাত বের করে দেখলেন, তা পুনরায় তাঁর মাংসের মত হয়ে গেল।
8 ἐὰν δὲ μὴ πιστεύσωσίν σοι μηδὲ εἰσακούσωσιν τῆς φωνῆς τοῦ σημείου τοῦ πρώτου πιστεύσουσίν σοι τῆς φωνῆς τοῦ σημείου τοῦ ἐσχάτου
৮“যদি তারা তোমাকে বিশ্বাস না করে এবং যদি আমার শক্তির প্রথম চিহ্নেও মনোযোগ না করে অথবা বিশ্বাস না করে, তবে তারা দ্বিতীয় চিহ্নে বিশ্বাস করিবে।
9 καὶ ἔσται ἐὰν μὴ πιστεύσωσίν σοι τοῖς δυσὶ σημείοις τούτοις μηδὲ εἰσακούσωσιν τῆς φωνῆς σου λήμψῃ ἀπὸ τοῦ ὕδατος τοῦ ποταμοῦ καὶ ἐκχεεῖς ἐπὶ τὸ ξηρόν καὶ ἔσται τὸ ὕδωρ ὃ ἐὰν λάβῃς ἀπὸ τοῦ ποταμοῦ αἷμα ἐπὶ τοῦ ξηροῦ
৯এবং তারা যদি আমার বিশ্বাসের এই দুই চিহ্নেও বিশ্বাস না করে অথবা তোমার কথায় যদি মনোযোগ না করে, তবে তুমি নদী থেকে কিছু জল নিয়ে শুকনো মাটিতে ঢেলে দিও; তাতে তুমি নদী থেকে যে জল তুলবে, তা শুকনো মাটিতে রক্ত হয়ে যাবে।”
10 εἶπεν δὲ Μωυσῆς πρὸς κύριον δέομαι κύριε οὐχ ἱκανός εἰμι πρὸ τῆς ἐχθὲς οὐδὲ πρὸ τῆς τρίτης ἡμέρας οὐδὲ ἀφ’ οὗ ἤρξω λαλεῖν τῷ θεράποντί σου ἰσχνόφωνος καὶ βραδύγλωσσος ἐγώ εἰμι
১০পরে মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, হায় প্রভু! আমি ভালো করে কথা বলতে পারি না, এর আগেও বলতে পারতাম না, বা তোমার সঙ্গে এই দাসের আলাপ করার পরেও নই; কারণ আমি আসতে আসতে কথা বলি ও তোতলা।
11 εἶπεν δὲ κύριος πρὸς Μωυσῆν τίς ἔδωκεν στόμα ἀνθρώπῳ καὶ τίς ἐποίησεν δύσκωφον καὶ κωφόν βλέποντα καὶ τυφλόν οὐκ ἐγὼ ὁ θεός
১১সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “মানুষের মুখ কে তৈরী করেছে? আর বোবা, কালা, চোখে দেখতে পায় বা অন্ধকে কে তৈরী করে?
12 καὶ νῦν πορεύου καὶ ἐγὼ ἀνοίξω τὸ στόμα σου καὶ συμβιβάσω σε ὃ μέλλεις λαλῆσαι
১২আমি সদাপ্রভুই কি করি নি? এখন তুমি যাও; আমি তোমার মুখের সহায় হব ও কি বলতে হবে, তোমাকে শেখাব।”
13 καὶ εἶπεν Μωυσῆς δέομαι κύριε προχείρισαι δυνάμενον ἄλλον ὃν ἀποστελεῖς
১৩তিনি বললেন, “হে আমার প্রভু, অনুরোধ করি, অন্য কারো হাতে এই বার্তা পাঠাও, যাকে তুমি পাঠাতে চাও।”
14 καὶ θυμωθεὶς ὀργῇ κύριος ἐπὶ Μωυσῆν εἶπεν οὐκ ἰδοὺ Ααρων ὁ ἀδελφός σου ὁ Λευίτης ἐπίσταμαι ὅτι λαλῶν λαλήσει αὐτός σοι καὶ ἰδοὺ αὐτὸς ἐξελεύσεται εἰς συνάντησίν σοι καὶ ἰδών σε χαρήσεται ἐν ἑαυτῷ
১৪তখন মোশির উপর সদাপ্রভু রেগে গেলেন; তিনি বললেন, “তোমার ভাই লেবীয় হারোণ কি নেই? আমি জানি সে ভালো কথা বলে; আরও দেখ, সে তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে; তোমাকে দেখে খুব আনন্দিত হবে।
15 καὶ ἐρεῖς πρὸς αὐτὸν καὶ δώσεις τὰ ῥήματά μου εἰς τὸ στόμα αὐτοῦ καὶ ἐγὼ ἀνοίξω τὸ στόμα σου καὶ τὸ στόμα αὐτοῦ καὶ συμβιβάσω ὑμᾶς ἃ ποιήσετε
১৫তুমি তাকে বলবে ও তাঁর মুখে বাক্য দেবে এবং আমি তোমার মুখের ও তার মুখের সহায় হব ও কি করতে হবে, তোমাদেরকে জানাব।
16 καὶ αὐτός σοι προσλαλήσει πρὸς τὸν λαόν καὶ αὐτὸς ἔσται σου στόμα σὺ δὲ αὐτῷ ἔσῃ τὰ πρὸς τὸν θεόν
১৬তোমার পরিবর্তে সে লোকদের কাছে বক্তা হবে; তার ফলে সে তোমার মুখের মত হবে এবং তুমি তার ঈশ্বরের মত হবে।
17 καὶ τὴν ῥάβδον ταύτην τὴν στραφεῖσαν εἰς ὄφιν λήμψῃ ἐν τῇ χειρί σου ἐν ᾗ ποιήσεις ἐν αὐτῇ τὰ σημεῖα
১৭আর তুমি এই লাঠি হাতে ধরবে, এর মাধ্যমেই তোমাকে সে সমস্ত চিহ্ন কাজ করতে হবে।”
18 ἐπορεύθη δὲ Μωυσῆς καὶ ἀπέστρεψεν πρὸς Ιοθορ τὸν γαμβρὸν αὐτοῦ καὶ λέγει πορεύσομαι καὶ ἀποστρέψω πρὸς τοὺς ἀδελφούς μου τοὺς ἐν Αἰγύπτῳ καὶ ὄψομαι εἰ ἔτι ζῶσιν καὶ εἶπεν Ιοθορ Μωυσῇ βάδιζε ὑγιαίνων
১৮পরে মোশি তাঁর শ্বশুর যিথ্রোর কাছে ফিরে এসে বললেন, “অনুরোধ করি, আমাকে যেতে দিন যেন আমি মিশরে থাকা আমার ভাইদের কাছে ফিরে যেতে পারি এবং তারা এখনও জীবিত আছে কি না, তা দেখতে পাই।” যিথ্রো মোশিকে বললেন, “শান্তিতে যাও।”
19 μετὰ δὲ τὰς ἡμέρας τὰς πολλὰς ἐκείνας ἐτελεύτησεν ὁ βασιλεὺς Αἰγύπτου εἶπεν δὲ κύριος πρὸς Μωυσῆν ἐν Μαδιαμ βάδιζε ἄπελθε εἰς Αἴγυπτον τεθνήκασιν γὰρ πάντες οἱ ζητοῦντές σου τὴν ψυχήν
১৯আর সদাপ্রভু মিদিয়নে মোশিকে বললেন, “তুমি মিশরে ফিরে যাও; কারণ যে লোকেরা তোমাকে হত্যা করার চেষ্টা করছিল, তারা সবাই মারা গেছে।”
20 ἀναλαβὼν δὲ Μωυσῆς τὴν γυναῖκα καὶ τὰ παιδία ἀνεβίβασεν αὐτὰ ἐπὶ τὰ ὑποζύγια καὶ ἐπέστρεψεν εἰς Αἴγυπτον ἔλαβεν δὲ Μωυσῆς τὴν ῥάβδον τὴν παρὰ τοῦ θεοῦ ἐν τῇ χειρὶ αὐτοῦ
২০তখন মোশি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেদেরকে গাধায় চাপিয়ে মিশর দেশে ফিরে গেলেন এবং মোশি তাঁর হাতে ঈশ্বরের সেই লাঠি নিলেন।
21 εἶπεν δὲ κύριος πρὸς Μωυσῆν πορευομένου σου καὶ ἀποστρέφοντος εἰς Αἴγυπτον ὅρα πάντα τὰ τέρατα ἃ ἔδωκα ἐν ταῖς χερσίν σου ποιήσεις αὐτὰ ἐναντίον Φαραω ἐγὼ δὲ σκληρυνῶ τὴν καρδίαν αὐτοῦ καὶ οὐ μὴ ἐξαποστείλῃ τὸν λαόν
২১আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি যখন মিশরে ফিরে যাবে, দেখো, আমি তোমার হাতে যে সব অদ্ভুত কাজের ভার দিয়েছি, ফরৌণের সামনে সে সব কোরো; কিন্তু আমি তার হৃদয় কঠিন করব, সে লোকদেরকে ছাড়বে না।
22 σὺ δὲ ἐρεῖς τῷ Φαραω τάδε λέγει κύριος υἱὸς πρωτότοκός μου Ισραηλ
২২আর তুমি ফরৌণকে বলবে, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ইস্রায়েল আমার ছেলে, আমার প্রথমজাত।’
23 εἶπα δέ σοι ἐξαπόστειλον τὸν λαόν μου ἵνα μοι λατρεύσῃ εἰ μὲν οὖν μὴ βούλει ἐξαποστεῖλαι αὐτούς ὅρα οὖν ἐγὼ ἀποκτενῶ τὸν υἱόν σου τὸν πρωτότοκον
২৩আর আমি তোমাকে বলেছি, আমার সেবা করার জন্য আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও; কিন্তু তুমি তাঁকে ছেড়ে দিতে রাজি না হলে; দেখ, আমি তোমার সন্তানকে, তোমার প্রথমজাতকে, হত্যা করব।”
24 ἐγένετο δὲ ἐν τῇ ὁδῷ ἐν τῷ καταλύματι συνήντησεν αὐτῷ ἄγγελος κυρίου καὶ ἐζήτει αὐτὸν ἀποκτεῖναι
২৪পরে পথে সরাইখানায় সদাপ্রভু তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে হত্যা করতে চেষ্টা করলেন।
25 καὶ λαβοῦσα Σεπφωρα ψῆφον περιέτεμεν τὴν ἀκροβυστίαν τοῦ υἱοῦ αὐτῆς καὶ προσέπεσεν πρὸς τοὺς πόδας καὶ εἶπεν ἔστη τὸ αἷμα τῆς περιτομῆς τοῦ παιδίου μου
২৫তখন সিপ্পোরা একটি পাথরের ছুরি নিয়ে তাঁর ছেলের ত্বক্ ছেদ করলেন ও তা মোশির পায়ে স্পর্শ করে বললেন, “তুমি আমার রক্তের বর।”
26 καὶ ἀπῆλθεν ἀπ’ αὐτοῦ διότι εἶπεν ἔστη τὸ αἷμα τῆς περιτομῆς τοῦ παιδίου μου
২৬আর ঈশ্বর তাঁকে ছেড়ে দিলেন; তখন সিপ্পোরা বললেন, “ত্বক্ছেদের কারণে তুমি রক্তের বর।”
27 εἶπεν δὲ κύριος πρὸς Ααρων πορεύθητι εἰς συνάντησιν Μωυσεῖ εἰς τὴν ἔρημον καὶ ἐπορεύθη καὶ συνήντησεν αὐτῷ ἐν τῷ ὄρει τοῦ θεοῦ καὶ κατεφίλησαν ἀλλήλους
২৭আর সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তুমি মোশির সঙ্গে দেখা করতে মরুপ্রান্তে যাও।” তাতে তিনি গিয়ে ঈশ্বরের পর্বতে তাঁর দেখা পেলেন ও তাঁকে চুম্বন করলেন।
28 καὶ ἀνήγγειλεν Μωυσῆς τῷ Ααρων πάντας τοὺς λόγους κυρίου οὓς ἀπέστειλεν καὶ πάντα τὰ σημεῖα ἃ ἐνετείλατο αὐτῷ
২৮তখন মোশি তাঁকে যিনি পাঠিয়েছেন সদাপ্রভুর সমস্ত বাক্য ও তাঁর আদেশ মত সমস্ত চিহ্নের বিষয় হারোণকে জানালেন।
29 ἐπορεύθη δὲ Μωυσῆς καὶ Ααρων καὶ συνήγαγον τὴν γερουσίαν τῶν υἱῶν Ισραηλ
২৯পরে মোশি ও হারোণ গিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত প্রাচীনকে জড়ো করলেন।
30 καὶ ἐλάλησεν Ααρων πάντα τὰ ῥήματα ταῦτα ἃ ἐλάλησεν ὁ θεὸς πρὸς Μωυσῆν καὶ ἐποίησεν τὰ σημεῖα ἐναντίον τοῦ λαοῦ
৩০আর হারোণ মোশির প্রতি সদাপ্রভুর বলা সমস্ত বাক্য তাদেরকে জানালেন এবং তিনি লোকদের চোখের সামনে সেই সব চিহ্ন কাজ করলেন।
31 καὶ ἐπίστευσεν ὁ λαὸς καὶ ἐχάρη ὅτι ἐπεσκέψατο ὁ θεὸς τοὺς υἱοὺς Ισραηλ καὶ ὅτι εἶδεν αὐτῶν τὴν θλῖψιν κύψας δὲ ὁ λαὸς προσεκύνησεν
৩১তাতে লোকেরা বিশ্বাস করল এবং ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের যত্ন নিয়েছেন ও তাদের দুঃখ দেখেছেন শুনে তারা মাথা নিচু করলেন এবং তাঁর আরাধনা করলেন।