< Ἐκκλησιαστής 7 >

1 ἀγαθὸν ὄνομα ὑπὲρ ἔλαιον ἀγαθὸν καὶ ἡμέρα τοῦ θανάτου ὑπὲρ ἡμέραν γενέσεως αὐτοῦ
ভালো সুগন্ধির চেয়ে সুনাম ভালো, জন্মের দিনের চেয়ে মৃত্যুর দিন ভালো।
2 ἀγαθὸν πορευθῆναι εἰς οἶκον πένθους ἢ ὅτι πορευθῆναι εἰς οἶκον πότου καθότι τοῦτο τέλος παντὸς τοῦ ἀνθρώπου καὶ ὁ ζῶν δώσει εἰς καρδίαν αὐτοῦ
ভোজের বাড়ি যাওয়ার চেয়ে শোকের বাড়ি যাওয়া ভালো, কারণ সকলেরই নিয়তি হল মৃত্যু; জীবিতদের এই কথা মনে রাখা উচিত।
3 ἀγαθὸν θυμὸς ὑπὲρ γέλωτα ὅτι ἐν κακίᾳ προσώπου ἀγαθυνθήσεται καρδία
আনন্দ করার চেয়ে কষ্টভোগ করা ভালো, কারণ মুখের বিষণ্ণতা হৃদয়ের জন্য ভালো।
4 καρδία σοφῶν ἐν οἴκῳ πένθους καὶ καρδία ἀφρόνων ἐν οἴκῳ εὐφροσύνης
জ্ঞানবানদের হৃদয় শোকের বাড়িতে থাকে, কিন্তু বোকাদের হৃদয় আমোদের বাড়িতে থাকে।
5 ἀγαθὸν τὸ ἀκοῦσαι ἐπιτίμησιν σοφοῦ ὑπὲρ ἄνδρα ἀκούοντα ᾆσμα ἀφρόνων
বোকাদের গান শোনার চেয়ে জ্ঞানী লোকের বকুনি শোনা ভালো।
6 ὅτι ὡς φωνὴ τῶν ἀκανθῶν ὑπὸ τὸν λέβητα οὕτως γέλως τῶν ἀφρόνων καί γε τοῦτο ματαιότης
যেমন হাঁড়ির নিচে কাঁটার শব্দ, বোকাদের হাসিও ঠিক তেমনি। এটাও অসার।
7 ὅτι ἡ συκοφαντία περιφέρει σοφὸν καὶ ἀπόλλυσι τὴν καρδίαν εὐτονίας αὐτοῦ
জ্ঞানী লোক যদি জুলুম করে সে বোকা হয়ে যায়, আর ঘুস হৃদয় নষ্ট করে।
8 ἀγαθὴ ἐσχάτη λόγων ὑπὲρ ἀρχὴν αὐτοῦ ἀγαθὸν μακρόθυμος ὑπὲρ ὑψηλὸν πνεύματι
কোনো কাজের শুরুর চেয়ে শেষ ভালো, আর অহংকারের চেয়ে ধৈর্য ভালো।
9 μὴ σπεύσῃς ἐν πνεύματί σου τοῦ θυμοῦσθαι ὅτι θυμὸς ἐν κόλπῳ ἀφρόνων ἀναπαύσεται
তোমার অন্তরকে তাড়াতাড়ি রেগে উঠতে দিয়ো না, কারণ ক্রোধ বোকাদেরই কোলে বাস করে।
10 μὴ εἴπῃς τί ἐγένετο ὅτι αἱ ἡμέραι αἱ πρότεραι ἦσαν ἀγαθαὶ ὑπὲρ ταύτας ὅτι οὐκ ἐν σοφίᾳ ἐπηρώτησας περὶ τούτου
বোলো না যে, “এখনকার চেয়ে আগেকার কাল কেন ভালো ছিল?” কারণ এই প্রশ্ন করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
11 ἀγαθὴ σοφία μετὰ κληροδοσίας καὶ περισσεία τοῖς θεωροῦσιν τὸν ἥλιον
প্রজ্ঞা, উত্তরাধিকারের মতো, যা ভালো এবং যারা সূর্য দেখে তাদের উপকার করে।
12 ὅτι ἐν σκιᾷ αὐτῆς ἡ σοφία ὡς σκιὰ τοῦ ἀργυρίου καὶ περισσεία γνώσεως τῆς σοφίας ζωοποιήσει τὸν παρ’ αὐτῆς
প্রজ্ঞা এক আশ্রয়স্থল যেমন অর্থও এক আশ্রয়স্থল, কিন্তু জ্ঞানের সুবিধা হল এই যে প্রজ্ঞা তার অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
13 ἰδὲ τὰ ποιήματα τοῦ θεοῦ ὅτι τίς δυνήσεται τοῦ κοσμῆσαι ὃν ἂν ὁ θεὸς διαστρέψῃ αὐτόν
ঈশ্বরের কাজ ভেবে দেখো তিনি যা বাঁকা করেছেন কে তা সোজা করতে পারে?
14 ἐν ἡμέρᾳ ἀγαθωσύνης ζῆθι ἐν ἀγαθῷ καὶ ἐν ἡμέρᾳ κακίας ἰδέ καί γε σὺν τοῦτο σύμφωνον τούτῳ ἐποίησεν ὁ θεὸς περὶ λαλιᾶς ἵνα μὴ εὕρῃ ὁ ἄνθρωπος ὀπίσω αὐτοῦ μηδέν
যখন সুখের সময়, তখন সুখী হও; কিন্তু যখন দুঃখের সময়, এই কথা ভেবে দেখো ঈশ্বর একটি সৃষ্টি করেছেন পাশাপাশি আরেকটিও করেছেন। কিন্তু, কেউ আবিষ্কার করতে পারবে না তাদের ভবিষ্যতের কিছুই।
15 σὺν τὰ πάντα εἶδον ἐν ἡμέραις ματαιότητός μου ἔστιν δίκαιος ἀπολλύμενος ἐν δικαίῳ αὐτοῦ καὶ ἔστιν ἀσεβὴς μένων ἐν κακίᾳ αὐτοῦ
আমার এই অসার জীবনকালে আমি এই দুটোই দেখেছি কোনো ধার্মিক লোক নিজের ধার্মিকতায় ধ্বংস হয়, এবং কোনো দুষ্টলোক নিজের দুষ্টতায় অনেক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
16 μὴ γίνου δίκαιος πολὺ καὶ μὴ σοφίζου περισσά μήποτε ἐκπλαγῇς
অতি ধার্মিক হোয়ো না, কিংবা অতি জ্ঞানবান হোয়ো না— কেন নিজেকে ধ্বংস করবে?
17 μὴ ἀσεβήσῃς πολὺ καὶ μὴ γίνου σκληρός ἵνα μὴ ἀποθάνῃς ἐν οὐ καιρῷ σου
অতি দুষ্ট হোয়ো না, আর বোকামিও কোরো না— কেন তুমি অসময়ে মারা যাবে?
18 ἀγαθὸν τὸ ἀντέχεσθαί σε ἐν τούτῳ καί γε ἀπὸ τούτου μὴ ἀνῇς τὴν χεῖρά σου ὅτι φοβούμενος τὸν θεὸν ἐξελεύσεται τὰ πάντα
একটি ধরে রাখা আর অন্যটা না ছাড়া ভালো। যে ঈশ্বরকে ভয় করে সে কোনো কিছুই অতিরিক্ত করে না।
19 ἡ σοφία βοηθήσει τῷ σοφῷ ὑπὲρ δέκα ἐξουσιάζοντας τοὺς ὄντας ἐν τῇ πόλει
প্রজ্ঞা একজন জ্ঞানবান লোককে নগরের দশজন শাসকের থেকে বেশি শক্তিশালী করে।
20 ὅτι ἄνθρωπος οὐκ ἔστιν δίκαιος ἐν τῇ γῇ ὃς ποιήσει ἀγαθὸν καὶ οὐχ ἁμαρτήσεται
বাস্তবিক, পৃথিবীতে একজনও ধার্মিক নেই, কেউ নেই যে সঠিক কাজ করে এবং কখনও পাপ করে না।
21 καί γε εἰς πάντας τοὺς λόγους οὓς λαλήσουσιν μὴ θῇς καρδίαν σου ὅπως μὴ ἀκούσῃς τοῦ δούλου σου καταρωμένου σε
লোকে যা বলে তার সব কথায় কান দিয়ো না, হয়তো শুনবে যে, তোমার চাকর তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছে—
22 ὅτι πλειστάκις πονηρεύσεταί σε καὶ καθόδους πολλὰς κακώσει καρδίαν σου ὅπως καί γε σὺ κατηράσω ἑτέρους
কারণ তুমি তোমার নিজের হৃদয় জানো অনেকবার তুমি নিজেই অন্যকে অভিশাপ দিয়েছ।
23 πάντα ταῦτα ἐπείρασα ἐν τῇ σοφίᾳ εἶπα σοφισθήσομαι
এসব আমি প্রজ্ঞা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে বললাম, “আমি জ্ঞানী হবই হব”— কিন্তু তা আমার নাগালের বাইরে।
24 καὶ αὐτὴ ἐμακρύνθη ἀπ’ ἐμοῦ μακρὰν ὑπὲρ ὃ ἦν καὶ βαθὺ βάθος τίς εὑρήσει αὐτό
যা কিছু আছে তা দূরে আছে এবং খুবই গভীরে— কে তা খুঁজে পেতে পারে?
25 ἐκύκλωσα ἐγώ καὶ ἡ καρδία μου τοῦ γνῶναι καὶ τοῦ κατασκέψασθαι καὶ ζητῆσαι σοφίαν καὶ ψῆφον καὶ τοῦ γνῶναι ἀσεβοῦς ἀφροσύνην καὶ σκληρίαν καὶ περιφοράν
সেইজন্য বুঝবার জন্য আমি আমার মনস্থির করলাম, যাতে প্রজ্ঞা ও সবকিছুর পিছনে যে পরিকল্পনা আছে তা জানতে পারি আর বুঝতে পারি দুষ্টতার বোকামি আর মূর্খতার উন্মত্ততা।
26 καὶ εὑρίσκω ἐγὼ πικρότερον ὑπὲρ θάνατον σὺν τὴν γυναῖκα ἥτις ἐστὶν θηρεύματα καὶ σαγῆναι καρδία αὐτῆς δεσμοὶ χεῖρες αὐτῆς ἀγαθὸς πρὸ προσώπου τοῦ θεοῦ ἐξαιρεθήσεται ἀπ’ αὐτῆς καὶ ἁμαρτάνων συλλημφθήσεται ἐν αὐτῇ
আমি দেখলাম মৃত্যুর চেয়েও তেতো হল সেই স্ত্রীলোক যে একটি ফাঁদ, তার হৃদয় একটি জাল এবং তার হাত হল শিকল। যে লোক ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে সে তা থেকে রক্ষা পাবে, কিন্তু পাপীকে সে ফাঁদে ফেলবে।
27 ἰδὲ τοῦτο εὗρον εἶπεν ὁ Ἐκκλησιαστής μία τῇ μιᾷ τοῦ εὑρεῖν λογισμόν
উপদেশক বলছেন, “দেখো, আমি এটি আবিষ্কার করেছি “সব জিনিসের পরিকল্পনা আবিষ্কার করার জন্য একটির সঙ্গে একটি যোগ করে—
28 ὃν ἔτι ἐζήτησεν ἡ ψυχή μου καὶ οὐχ εὗρον ἄνθρωπον ἕνα ἀπὸ χιλίων εὗρον καὶ γυναῖκα ἐν πᾶσι τούτοις οὐχ εὗρον
যখন আমি তখনও খুঁজছিলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না— আমি হাজার জনের মধ্যে একজন খাঁটি পুরুষকে পেলাম, কিন্তু তাদের মধ্যে একজন স্ত্রীলোককেও খাঁটি দেখতে পাইনি।
29 πλὴν ἰδὲ τοῦτο εὗρον ὃ ἐποίησεν ὁ θεὸς σὺν τὸν ἄνθρωπον εὐθῆ καὶ αὐτοὶ ἐζήτησαν λογισμοὺς πολλούς
আমি কেবল এই জানতে পারলাম যে ঈশ্বর মানুষকে খাঁটিই তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তারা অনেক কল্পনার অন্বেষণ করেছে।”

< Ἐκκλησιαστής 7 >