< Δευτερονόμιον 5 >
1 καὶ ἐκάλεσεν Μωυσῆς πάντα Ισραηλ καὶ εἶπεν πρὸς αὐτούς ἄκουε Ισραηλ τὰ δικαιώματα καὶ τὰ κρίματα ὅσα ἐγὼ λαλῶ ἐν τοῖς ὠσὶν ὑμῶν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ταύτῃ καὶ μαθήσεσθε αὐτὰ καὶ φυλάξεσθε ποιεῖν αὐτά
১তখন মোশি সমস্ত ইস্রায়েলকে ডাকলেন ও তাদেরকে বললেন, “শোনো, হে ইস্রায়েল, আমি তোমাদের কানে আজ যে সব বিধি ও শাসন বলি, সে সব শোনো, তোমরা তা শেখ ও যত্নসহকারে পালন কর।
2 κύριος ὁ θεὸς ὑμῶν διέθετο πρὸς ὑμᾶς διαθήκην ἐν Χωρηβ
২আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু হোরেবে আমাদের সঙ্গে এক নিয়ম করেছেন।
3 οὐχὶ τοῖς πατράσιν ὑμῶν διέθετο κύριος τὴν διαθήκην ταύτην ἀλλ’ ἢ πρὸς ὑμᾶς ὑμεῖς ὧδε πάντες ζῶντες σήμερον
৩সদাপ্রভু আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সেই নিয়ম করেননি, কিন্তু আজ এই জায়গায় যারা বেঁচে আছি যে আমরা, আমাদেরই সঙ্গে করেছেন।
4 πρόσωπον κατὰ πρόσωπον ἐλάλησεν κύριος πρὸς ὑμᾶς ἐν τῷ ὄρει ἐκ μέσου τοῦ πυρός
৪সদাপ্রভু পর্বতে আগুনের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন।
5 κἀγὼ εἱστήκειν ἀνὰ μέσον κυρίου καὶ ὑμῶν ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ ἀναγγεῖλαι ὑμῖν τὰ ῥήματα κυρίου ὅτι ἐφοβήθητε ἀπὸ προσώπου τοῦ πυρὸς καὶ οὐκ ἀνέβητε εἰς τὸ ὄρος λέγων
৫সেই দিনের আমিই তোমাদেরকে সদাপ্রভুর কথা জানানোর জন্য সদাপ্রভু ও তোমাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম; কারণ তোমরা আগুনকে ভয় পেয়েছিলে এবং তোমরা পর্বতে ওঠনি। তিনি বললেন,
6 ἐγὼ κύριος ὁ θεός σου ὁ ἐξαγαγών σε ἐκ γῆς Αἰγύπτου ἐξ οἴκου δουλείας
৬‘আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর দেশ থেকে, দাসত্বের ঘর থেকে, তোমাদের বের করে এনেছেন।
7 οὐκ ἔσονταί σοι θεοὶ ἕτεροι πρὸ προσώπου μου
৭আমার সামনে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
8 οὐ ποιήσεις σεαυτῷ εἴδωλον οὐδὲ παντὸς ὁμοίωμα ὅσα ἐν τῷ οὐρανῷ ἄνω καὶ ὅσα ἐν τῇ γῇ κάτω καὶ ὅσα ἐν τοῖς ὕδασιν ὑποκάτω τῆς γῆς
৮তুমি তোমার জন্য খোদাই করা প্রতিমা তৈরী কর না; উপরে অবস্থিত স্বর্গে, নীচে অবস্থিত পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচে অবস্থিত জলে যা যা আছে, তাদের কোনো মূর্ত্তি তৈরী কর না;
9 οὐ προσκυνήσεις αὐτοῖς οὐδὲ μὴ λατρεύσῃς αὐτοῖς ὅτι ἐγώ εἰμι κύριος ὁ θεός σου θεὸς ζηλωτὴς ἀποδιδοὺς ἁμαρτίας πατέρων ἐπὶ τέκνα ἐπὶ τρίτην καὶ τετάρτην γενεὰν τοῖς μισοῦσίν με
৯তুমি তাদের কাছে নত হয়ো না এবং তাদের সেবা কর না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর; আমি পূর্বপুরুষদের অপরাধের শাস্তি ছেলে মেয়েদের ওপরে দিই, যারা আমাকে ঘৃণা করে, তাদের তৃতীয় চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত দিই;
10 καὶ ποιῶν ἔλεος εἰς χιλιάδας τοῖς ἀγαπῶσίν με καὶ τοῖς φυλάσσουσιν τὰ προστάγματά μου
১০কিন্তু যারা আমাকে ভালবাসে ও আমার আজ্ঞা সব পালন করে, আমি তাদের হাজার পুরুষ পর্যন্ত দয়া করি।
11 οὐ λήμψῃ τὸ ὄνομα κυρίου τοῦ θεοῦ σου ἐπὶ ματαίῳ οὐ γὰρ μὴ καθαρίσῃ κύριος τὸν λαμβάνοντα τὸ ὄνομα αὐτοῦ ἐπὶ ματαίῳ
১১তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম অনর্থক নিয় না, কারণ যে কেউ তাঁর নাম অনর্থক নেয়, সদাপ্রভু তাকে নির্দোষ করবেন না।
12 φύλαξαι τὴν ἡμέραν τῶν σαββάτων ἁγιάζειν αὐτήν ὃν τρόπον ἐνετείλατό σοι κύριος ὁ θεός σου
১২তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আদেশ করেছেন তেমন বিশ্রামদিন পালন করে পবিত্র কোরো।
13 ἓξ ἡμέρας ἐργᾷ καὶ ποιήσεις πάντα τὰ ἔργα σου
১৩কারণ ছয় দিন পরিশ্রম কোরো এবং নিজের সব কাজ কোরো;
14 τῇ δὲ ἡμέρᾳ τῇ ἑβδόμῃ σάββατα κυρίῳ τῷ θεῷ σου οὐ ποιήσεις ἐν αὐτῇ πᾶν ἔργον σὺ καὶ οἱ υἱοί σου καὶ ἡ θυγάτηρ σου ὁ παῖς σου καὶ ἡ παιδίσκη σου ὁ βοῦς σου καὶ τὸ ὑποζύγιόν σου καὶ πᾶν κτῆνός σου καὶ ὁ προσήλυτος ὁ παροικῶν ἐν σοί ἵνα ἀναπαύσηται ὁ παῖς σου καὶ ἡ παιδίσκη σου ὥσπερ καὶ σύ
১৪কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য বিশ্রামদিন; এই দিনের তুমি কোনো কাজ কর না, না তুমি, না তোমার ছেলে, না তোমার মেয়ে, না তোমার দাস দাসী, না তোমার গরু, না গাধা, না অন্য কোনো পশু, না তোমার ফটকের মাঝখানের বিদেশী, কেউ কোনো কাজ কর না; তোমার দাস ও তোমার দাসী যেন তোমার মতো বিশ্রাম পায়।
15 καὶ μνησθήσῃ ὅτι οἰκέτης ἦσθα ἐν γῇ Αἰγύπτῳ καὶ ἐξήγαγέν σε κύριος ὁ θεός σου ἐκεῖθεν ἐν χειρὶ κραταιᾷ καὶ ἐν βραχίονι ὑψηλῷ διὰ τοῦτο συνέταξέν σοι κύριος ὁ θεός σου ὥστε φυλάσσεσθαι τὴν ἡμέραν τῶν σαββάτων καὶ ἁγιάζειν αὐτήν
১৫মনে রেখো, মিশর দেশে তুমি দাস ছিলে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু শক্তিশালী হাত ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে সেখান থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন; এই জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বিশ্রামদিন পালন করতে তোমাকে আদেশ দিয়েছেন।
16 τίμα τὸν πατέρα σου καὶ τὴν μητέρα σου ὃν τρόπον ἐνετείλατό σοι κύριος ὁ θεός σου ἵνα εὖ σοι γένηται καὶ ἵνα μακροχρόνιος γένῃ ἐπὶ τῆς γῆς ἧς κύριος ὁ θεός σου δίδωσίν σοι
১৬তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন আদেশ করেছেন তোমার বাবাকে ও তোমার মাকে সম্মান কোরো; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দেন, সেই দেশে তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক ও তোমার সঙ্গে যেন ভালো হয়।
১৮তোমরা ব্যভিচার কোরো না।
20 οὐ ψευδομαρτυρήσεις κατὰ τοῦ πλησίον σου μαρτυρίαν ψευδῆ
২০তোমরা প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।
21 οὐκ ἐπιθυμήσεις τὴν γυναῖκα τοῦ πλησίον σου οὐκ ἐπιθυμήσεις τὴν οἰκίαν τοῦ πλησίον σου οὔτε τὸν ἀγρὸν αὐτοῦ οὔτε τὸν παῖδα αὐτοῦ οὔτε τὴν παιδίσκην αὐτοῦ οὔτε τοῦ βοὸς αὐτοῦ οὔτε τοῦ ὑποζυγίου αὐτοῦ οὔτε παντὸς κτήνους αὐτοῦ οὔτε ὅσα τῷ πλησίον σού ἐστιν
২১তোমরা প্রতিবেশীর স্ত্রীতে লোভ কোরো না; প্রতিবেশীর বাড়িতে কি ক্ষেতে, কিংবা তার দাসে কি দাসীতে, কিংবা তার গরুতে কি গাধাতে, প্রতিবেশীর কোনো জিনিসেই লোভ কোরো না।’
22 τὰ ῥήματα ταῦτα ἐλάλησεν κύριος πρὸς πᾶσαν συναγωγὴν ὑμῶν ἐν τῷ ὄρει ἐκ μέσου τοῦ πυρός σκότος γνόφος θύελλα φωνὴ μεγάλη καὶ οὐ προσέθηκεν καὶ ἔγραψεν αὐτὰ ἐπὶ δύο πλάκας λιθίνας καὶ ἔδωκέν μοι
২২সদাপ্রভু পর্বতে আগুনের, মেঘের ও ঘন অন্ধকারের মধ্যে থেকে তোমাদের সমস্ত সমাজের কাছে এই সমস্ত কথা উচ্চ স্বরে বলেছিলেন, তিনি আর কোনো কথা যোগ করেননি। পরে তিনি এই সমস্ত কথা দুটি পাথরের ফলকে লিখে আমাকে দিয়েছিলেন।
23 καὶ ἐγένετο ὡς ἠκούσατε τὴν φωνὴν ἐκ μέσου τοῦ πυρὸς καὶ τὸ ὄρος ἐκαίετο πυρί καὶ προσήλθετε πρός με πάντες οἱ ἡγούμενοι τῶν φυλῶν ὑμῶν καὶ ἡ γερουσία ὑμῶν
২৩যখন তোমরা অন্ধকারের মধ্যে থেকে সেই রব শুনতে পেলে এবং আগুনে পর্বত জ্বলছিল, তখন তোমরা, তোমাদের বংশের প্রধানরা ও প্রাচীনরা সবাই আমার কাছে এসে বলল।
24 καὶ ἐλέγετε ἰδοὺ ἔδειξεν ἡμῖν κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν τὴν δόξαν αὐτοῦ καὶ τὴν φωνὴν αὐτοῦ ἠκούσαμεν ἐκ μέσου τοῦ πυρός ἐν τῇ ἡμέρᾳ ταύτῃ εἴδομεν ὅτι λαλήσει ὁ θεὸς πρὸς ἄνθρωπον καὶ ζήσεται
২৪তুমি বললে, ‘দেখ, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের কাছে নিজের প্রতাপ ও মহিমা দেখালেন এবং আমরা আগুনের মধ্যে থেকে তাঁর রব শুনতে পেলাম; আজ আমরা দেখেছি যে যখন ঈশ্বর মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তারা বাঁচতে পারে।
25 καὶ νῦν μὴ ἀποθάνωμεν ὅτι ἐξαναλώσει ἡμᾶς τὸ πῦρ τὸ μέγα τοῦτο ἐὰν προσθώμεθα ἡμεῖς ἀκοῦσαι τὴν φωνὴν κυρίου τοῦ θεοῦ ἡμῶν ἔτι καὶ ἀποθανούμεθα
২৫কিন্তু আমরা এখন কেন মারা যাব? ঐ বিশাল আগুন তো আমাদেরকে গ্রাস করবে; আমরা যদি আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব আবার শুনি, তবে মারা যাব।
26 τίς γὰρ σάρξ ἥτις ἤκουσεν φωνὴν θεοῦ ζῶντος λαλοῦντος ἐκ μέσου τοῦ πυρὸς ὡς ἡμεῖς καὶ ζήσεται
২৬কারণ মানুষের মধ্যে এমন কে আছে যে, আমরা যেমন করেছি আমাদের মতো আগুনের মধ্যে থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের রব শুনে বেঁচেছে?
27 πρόσελθε σὺ καὶ ἄκουσον ὅσα ἐὰν εἴπῃ κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν καὶ σὺ λαλήσεις πρὸς ἡμᾶς πάντα ὅσα ἂν λαλήσῃ κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν πρὸς σέ καὶ ἀκουσόμεθα καὶ ποιήσομεν
২৭তোমার জন্য, তুমি যাও এবং আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে সব কথা বলেন, তা শোনো; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যা যা বলবেন, সেই সব কথা তুমি আমাদেরকে বল; আমরা তা শুনে পালন করব।’
28 καὶ ἤκουσεν κύριος τὴν φωνὴν τῶν λόγων ὑμῶν λαλούντων πρός με καὶ εἶπεν κύριος πρός με ἤκουσα τὴν φωνὴν τῶν λόγων τοῦ λαοῦ τούτου ὅσα ἐλάλησαν πρὸς σέ ὀρθῶς πάντα ὅσα ἐλάλησαν
২৮তোমরা যখন আমাকে এই কথা বললে, তখন সদাপ্রভু তোমাদের সেই কথার রব শুনলেন; তিনি আমাকে বললেন, আমি এই সব লোকদের কথা শুনেছি, তারা যা তোমাকে বলেছে; তারা যা বলেছে তা ভালই বলেছে।
29 τίς δώσει οὕτως εἶναι τὴν καρδίαν αὐτῶν ἐν αὐτοῖς ὥστε φοβεῖσθαί με καὶ φυλάσσεσθαι τὰς ἐντολάς μου πάσας τὰς ἡμέρας ἵνα εὖ ᾖ αὐτοῖς καὶ τοῖς υἱοῖς αὐτῶν δῑ αἰῶνος
২৯আহা, সবদিন আমাকে ভয় করতে ও আমার আদেশ সব পালন করতে যদি ওদের এরকম মন থাকে, তবে ওদের ও তাদের ছেলে মেয়েদের চিরকাল ভালো হবে।”
30 βάδισον εἰπὸν αὐτοῖς ἀποστράφητε ὑμεῖς εἰς τοὺς οἴκους ὑμῶν
৩০যাও তাদেরকে বল, “তোমাদের তাঁবুতে ফিরে যাও।”
31 σὺ δὲ αὐτοῦ στῆθι μετ’ ἐμοῦ καὶ λαλήσω πρὸς σὲ τὰς ἐντολὰς καὶ τὰ δικαιώματα καὶ τὰ κρίματα ὅσα διδάξεις αὐτούς καὶ ποιείτωσαν ἐν τῇ γῇ ἣν ἐγὼ δίδωμι αὐτοῖς ἐν κλήρῳ
৩১কিন্তু তুমি আমার কাছে এই জায়গায় দাঁড়াও, তুমি ওদেরকে যা যা শেখাবে, আমি তোমাকে সেই সমস্ত আজ্ঞা, বিধি ও শাসন শেখাবো; যেন আমি যে দেশ অধিকারের জন্য ওদেরকে দিচ্ছি, সেই দেশে ওরা তা পালন করে।
32 καὶ φυλάξεσθε ποιεῖν ὃν τρόπον ἐνετείλατό σοι κύριος ὁ θεός σου οὐκ ἐκκλινεῖτε εἰς δεξιὰ οὐδὲ εἰς ἀριστερὰ
৩২অতএব তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যেমন আদেশ দিলেন, তা পালন করবে, তুমি ডান দিকে কি বাম দিকে ঘুরবে না।
33 κατὰ πᾶσαν τὴν ὁδόν ἣν ἐνετείλατό σοι κύριος ὁ θεός σου πορεύεσθαι ἐν αὐτῇ ὅπως καταπαύσῃ σε καὶ εὖ σοι ᾖ καὶ μακροημερεύσητε ἐπὶ τῆς γῆς ἧς κληρονομήσετε
৩৩তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে আদেশ দিলেন, সেই সব পথে চলবে; যেন তোমরা বাঁচতে পার ও তোমাদের ভালো হয় এবং যে দেশ তোমরা অধিকার করবে, সেখানে তোমাদের দীর্ঘায়ু হয়।