Δευτερονόμιον 3
1 καὶ ἐπιστραφέντες ἀνέβημεν ὁδὸν τὴν εἰς Βασαν καὶ ἐξῆλθεν Ωγ βασιλεὺς τῆς Βασαν εἰς συνάντησιν ἡμῖν αὐτὸς καὶ πᾶς ὁ λαὸς αὐτοῦ εἰς πόλεμον εἰς Εδραϊν
১পরে আমরা ফিরে বাশনের রাস্তার দিকে গেলাম; তাতে বাশনের রাজা ওগ আসলেন তিনি ও তাঁর সমস্ত লোক আক্রমণ করলেন, আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ইদ্রিয়ীতে আসলেন।
2 καὶ εἶπεν κύριος πρός με μὴ φοβηθῇς αὐτόν ὅτι εἰς τὰς χεῖράς σου παραδέδωκα αὐτὸν καὶ πάντα τὸν λαὸν αὐτοῦ καὶ πᾶσαν τὴν γῆν αὐτοῦ καὶ ποιήσεις αὐτῷ ὥσπερ ἐποίησας Σηων βασιλεῖ τῶν Αμορραίων ὃς κατῴκει ἐν Εσεβων
২তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি ওকে ভয় কর না, কারণ আমি ওকে, ওর সমস্ত লোককে ও ওর দেশ তোমার হাতে সমর্পণ করলাম; তুমি যেমন হিষবোন নিবাসী ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের প্রতি করেছ, তেমনি ওর প্রতিও করবে।”
3 καὶ παρέδωκεν αὐτὸν κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν εἰς τὰς χεῖρας ἡμῶν καὶ τὸν Ωγ βασιλέα τῆς Βασαν καὶ πάντα τὸν λαὸν αὐτοῦ καὶ ἐπατάξαμεν αὐτὸν ἕως τοῦ μὴ καταλιπεῖν αὐτοῦ σπέρμα
৩এভাবে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বাশনের রাজা ওগকে ও তাঁর সব লোককে আমাদের হাতে সমর্পণ করলেন এবং আমরা তাঁকে আঘাত করে মেরে ফেললাম, তাঁর কেউ অবশিষ্ট থাকলো না।
4 καὶ ἐκρατήσαμεν πασῶν τῶν πόλεων αὐτοῦ ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ οὐκ ἦν πόλις ἣν οὐκ ἐλάβομεν παρ’ αὐτῶν ἑξήκοντα πόλεις πάντα τὰ περίχωρα Αργοβ βασιλείας Ωγ ἐν Βασαν
৪সেই দিনের আমরা তাঁর সব শহর নিয়ে নিলাম; এমন এক শহরও থাকল না, যা তাদের থেকে নেয়নি; ষাটটি শহর, অর্গোবের সব অঞ্চল, বাশনে অবস্থিত ওগের রাজ্য নিলাম।
5 πᾶσαι πόλεις ὀχυραί τείχη ὑψηλά πύλαι καὶ μοχλοί πλὴν τῶν πόλεων τῶν Φερεζαίων τῶν πολλῶν σφόδρα
৫সেই সব শহর উঁচু দেওয়াল, দরজা ও খিলের মাধ্যমে সুরক্ষিত ছিল; আর দেওয়াল ছাড়া অনেক শহরও ছিল।
6 ἐξωλεθρεύσαμεν αὐτούς ὥσπερ ἐποιήσαμεν τὸν Σηων βασιλέα Εσεβων καὶ ἐξωλεθρεύσαμεν πᾶσαν πόλιν ἑξῆς καὶ τὰς γυναῖκας καὶ τὰ παιδία
৬আমরা হিষবোনের রাজা সীহোনের প্রতি যেমন করেছিলাম, সেরকম তাদেরকে পুরোপুরি ধ্বংস করলাম, স্ত্রীলোক ও বালকবালিকা সমেত তাদের সব বসবাসের শহর সম্পূর্ণ বিনাশ করলাম।
7 καὶ πάντα τὰ κτήνη καὶ τὰ σκῦλα τῶν πόλεων ἐπρονομεύσαμεν ἑαυτοῖς
৭কিন্তু তাদের সমস্ত পশু ও শহরের জিনিসপত্র লুট করে নিজেদের জন্য নিলাম।
8 καὶ ἐλάβομεν ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ τὴν γῆν ἐκ χειρῶν δύο βασιλέων τῶν Αμορραίων οἳ ἦσαν πέραν τοῦ Ιορδάνου ἀπὸ τοῦ χειμάρρου Αρνων καὶ ἕως Αερμων
৮সেই দিনের আমরা যর্দ্দনের পারে অবস্থিত ইমোরীয়দের দুই রাজার কাছ থেকে অর্ণোন উপত্যকা থেকে হর্মোণ পর্বত পর্যন্ত সব দেশ নিয়ে নিলাম।
9 οἱ Φοίνικες ἐπονομάζουσιν τὸ Αερμων Σανιωρ καὶ ὁ Αμορραῖος ἐπωνόμασεν αὐτὸ Σανιρ
৯(সীদোনীয়েরা ঐ হর্মোণকে সিরিয়োণ বলে এবং ইমোরীয়েরা তাঁকে সনীর বলে।)
10 πᾶσαι πόλεις Μισωρ καὶ πᾶσα Γαλααδ καὶ πᾶσα Βασαν ἕως Σελχα καὶ Εδραϊν πόλεις βασιλείας τοῦ Ωγ ἐν τῇ Βασαν
১০আমরা সমভূমির সব শহর, সল্খা ও ইদ্রিয়ী পর্যন্ত সব গিলিয়দ এবং পুরো বাশন, বাশনে অবস্থিত ওগ রাজ্যের শহরগুলি নিয়ে নিলাম।
11 ὅτι πλὴν Ωγ βασιλεὺς Βασαν κατελείφθη ἀπὸ τῶν Ραφαϊν ἰδοὺ ἡ κλίνη αὐτοῦ κλίνη σιδηρᾶ ἰδοὺ αὕτη ἐν τῇ ἄκρᾳ τῶν υἱῶν Αμμων ἐννέα πηχῶν τὸ μῆκος αὐτῆς καὶ τεσσάρων πηχῶν τὸ εὖρος αὐτῆς ἐν πήχει ἀνδρός
১১(ফলে বাকি রফায়ীয়দের মধ্যে শুধু বাশনের রাজা ওগ বাকি ছিলেন; দেখ, তাঁর বিছানা লোহার; তা কি অম্মোন বংশধরদের রব্বা শহরে নেই? মানুষের হাতের পরিমাণ অনুসারে তা লম্বায় নয় হাত ও চওড়ায় চার হাত ছিল।)
12 καὶ τὴν γῆν ἐκείνην ἐκληρονομήσαμεν ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ ἀπὸ Αροηρ ἥ ἐστιν ἐπὶ τοῦ χείλους χειμάρρου Αρνων καὶ τὸ ἥμισυ ὄρους Γαλααδ καὶ τὰς πόλεις αὐτοῦ ἔδωκα τῷ Ρουβην καὶ τῷ Γαδ
১২সেই দিনের আমরা এই দেশ অধিকার করলাম; অর্ণোন উপত্যকায় অবস্থিত অরোয়ের শহর থেকে এবং পর্বতময় গিলিয়দ দেশের অর্ধেক ও সেখানকার শহর সব রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।
13 καὶ τὸ κατάλοιπον τοῦ Γαλααδ καὶ πᾶσαν τὴν Βασαν βασιλείαν Ωγ ἔδωκα τῷ ἡμίσει φυλῆς Μανασση καὶ πᾶσαν περίχωρον Αργοβ πᾶσαν τὴν Βασαν ἐκείνην γῆ Ραφαϊν λογισθήσεται
১৩আর গিলিয়দের বাকি অংশ ও পুরো বাশন অর্থাৎ ওগের রাজ্য, পুরো বাশনের সঙ্গে অর্গোবের সমস্ত অঞ্চল আমি মনঃশির অর্ধেক বংশকে দিলাম। (সেটাই রফায়ীয় দেশ বলে বিখ্যাত।
14 καὶ Ιαϊρ υἱὸς Μανασση ἔλαβεν πᾶσαν τὴν περίχωρον Αργοβ ἕως τῶν ὁρίων Γαργασι καὶ Ομαχαθι ἐπωνόμασεν αὐτὰς ἐπὶ τῷ ὀνόματι αὐτοῦ τὴν Βασαν Αυωθ Ιαϊρ ἕως τῆς ἡμέρας ταύτης
১৪মনঃশির একজন বংশধর যায়ীর গশূরীয়দের ও মাখাথীয়দের সীমা পর্যন্ত অর্গোবের সব অঞ্চল নিয়ে নিজের নাম অনুসারে বাশন দেশের সেই সব জায়গার নাম হব্বোৎ যায়ীর রাখল; আজও সেই নাম প্রচলিত আছে।)
15 καὶ τῷ Μαχιρ ἔδωκα τὴν Γαλααδ
১৫আমি মাখীরকে গিলিয়দ দিলাম।
16 καὶ τῷ Ρουβην καὶ τῷ Γαδ δέδωκα ἀπὸ τῆς Γαλααδ ἕως χειμάρρου Αρνων μέσον τοῦ χειμάρρου ὅριον καὶ ἕως τοῦ Ιαβοκ ὁ χειμάρρους ὅριον τοῖς υἱοῖς Αμμαν
১৬আর গিলিয়দ থেকে অর্ণোন উপত্যকা পর্যন্ত, উপত্যকার মাঝখান ও তার সীমানা এবং অম্মোন বংশধরদের সীমা যব্বোক নদী পর্যন্ত;
17 καὶ ἡ Αραβα καὶ ὁ Ιορδάνης ὅριον Μαχαναρεθ καὶ ἕως θαλάσσης Αραβα θαλάσσης ἁλυκῆς ὑπὸ Ασηδωθ τὴν Φασγα ἀνατολῶν
১৭আর অরাবা উপত্যকা, যর্দ্দন ও তার সীমানা, কিন্নেরৎ থেকে অরাবার সমুদ্র, অর্থাৎ পূর্বদিকে পিস্গা ঢালু জায়গার দিকে লবণসমুদ্র পর্যন্ত রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।
18 καὶ ἐνετειλάμην ὑμῖν ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ λέγων κύριος ὁ θεὸς ὑμῶν ἔδωκεν ὑμῖν τὴν γῆν ταύτην ἐν κλήρῳ ἐνοπλισάμενοι προπορεύεσθε πρὸ προσώπου τῶν ἀδελφῶν ὑμῶν υἱῶν Ισραηλ πᾶς δυνατός
১৮আর আমি সেই দিনের তোমাদেরকে এই আদেশ করলাম, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্য এই দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন। তোমাদের সব যোদ্ধা সজ্জিত হয়ে তোমাদের ভাইদের অর্থাৎ ইস্রায়েলের লোকদের সামনে পার হয়ে যাবে।
19 πλὴν αἱ γυναῖκες ὑμῶν καὶ τὰ τέκνα ὑμῶν καὶ τὰ κτήνη ὑμῶν οἶδα ὅτι πολλὰ κτήνη ὑμῖν κατοικείτωσαν ἐν ταῖς πόλεσιν ὑμῶν αἷς ἔδωκα ὑμῖν
১৯আমি তোমাদেরকে যে সব শহর দিলাম, তোমাদের সেই সব শহরে তোমাদের স্ত্রীলোক, বালক বালিকা ও পশুরা বাস করবে; আমি জানি যে, তোমাদের অনেক পশু আছে।
20 ἕως ἂν καταπαύσῃ κύριος ὁ θεὸς ὑμῶν τοὺς ἀδελφοὺς ὑμῶν ὥσπερ καὶ ὑμᾶς καὶ κατακληρονομήσουσιν καὶ οὗτοι τὴν γῆν ἣν κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν δίδωσιν αὐτοῖς ἐν τῷ πέραν τοῦ Ιορδάνου καὶ ἐπαναστραφήσεσθε ἕκαστος εἰς τὴν κληρονομίαν αὐτοῦ ἣν ἔδωκα ὑμῖν
২০পরে সদাপ্রভু তোমাদের ভাইদেরকে তোমাদের মতো বিশ্রাম দিলে, যর্দ্দনের ওপারে যে দেশ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদেরকে দিচ্ছেন, তারাও সেই দেশ অধিকার করবে, তখন তোমরা প্রত্যেকে আমার দেওয়া নিজেদের অধিকারে ফিরে আসবে।”
21 καὶ τῷ Ἰησοῖ ἐνετειλάμην ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ λέγων οἱ ὀφθαλμοὶ ὑμῶν ἑωράκασιν πάντα ὅσα ἐποίησεν κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν τοῖς δυσὶ βασιλεῦσι τούτοις οὕτως ποιήσει κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν πάσας τὰς βασιλείας ἐφ’ ἃς σὺ διαβαίνεις ἐκεῖ
২১আর সেই দিনের আমি যিহোশূয়কে আদেশ করলাম, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দুই রাজার প্রতি যা করেছেন, তা তুমি নিজের চোখে দেখেছ; তুমি পার হয়ে যে যে রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে, সে সব রাজ্যের প্রতি সদাপ্রভু সেরকম করবেন।
22 οὐ φοβηθήσεσθε ὅτι κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν αὐτὸς πολεμήσει περὶ ὑμῶν
২২তোমরা তাদেরকে ভয় কর না; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে তোমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।”
23 καὶ ἐδεήθην κυρίου ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ λέγων
২৩সেই দিনের আমি সদাপ্রভুকে অনুরোধ করে বললাম,
24 κύριε κύριε σὺ ἤρξω δεῖξαι τῷ σῷ θεράποντι τὴν ἰσχύν σου καὶ τὴν δύναμίν σου καὶ τὴν χεῖρα τὴν κραταιὰν καὶ τὸν βραχίονα τὸν ὑψηλόν τίς γάρ ἐστιν θεὸς ἐν τῷ οὐρανῷ ἢ ἐπὶ τῆς γῆς ὅστις ποιήσει καθὰ σὺ ἐποίησας καὶ κατὰ τὴν ἰσχύν σου
২৪“হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজের দাসের কাছে নিজের মহিমা ও শক্তিশালী হাত দেখাতে শুরু করলে; তোমার কাজের মত কাজ ও তোমার পরাক্রমী কাজের মত কাজ করতে পারে, স্বর্গে কি পৃথিবীতে এমন ঈশ্বর কে আছে?
25 διαβὰς οὖν ὄψομαι τὴν γῆν τὴν ἀγαθὴν ταύτην τὴν οὖσαν πέραν τοῦ Ιορδάνου τὸ ὄρος τοῦτο τὸ ἀγαθὸν καὶ τὸν Ἀντιλίβανον
২৫অনুরোধ করি, আমাকে ওপারে গিয়ে যর্দনপারে অবস্থিত সেই ভালো দেশ, সেই ভালো পাহাড়ি দেশ ও লিবানোন দেখতে দাও।”
26 καὶ ὑπερεῖδεν κύριος ἐμὲ ἕνεκεν ὑμῶν καὶ οὐκ εἰσήκουσέν μου καὶ εἶπεν κύριος πρός με ἱκανούσθω σοι μὴ προσθῇς ἔτι λαλῆσαι τὸν λόγον τοῦτον
২৬কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদের জন্য আমার বিরুদ্ধে রেগে যাওয়াতে আমার কথা শুনলেন না; সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হোক, এ বিষয়ে আমাকে আর বল না।
27 ἀνάβηθι ἐπὶ κορυφὴν Λελαξευμένου καὶ ἀναβλέψας τοῖς ὀφθαλμοῖς κατὰ θάλασσαν καὶ βορρᾶν καὶ λίβα καὶ ἀνατολὰς καὶ ἰδὲ τοῖς ὀφθαλμοῖς σου ὅτι οὐ διαβήσῃ τὸν Ιορδάνην τοῦτον
২৭পিস্গার শৃঙ্গে ওঠ এবং পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে দেখ; তোমার চোখ দিয়ে দেখো, কারণ তুমি এই যর্দ্দন পার হতে পারবে না।
28 καὶ ἔντειλαι Ἰησοῖ καὶ κατίσχυσον αὐτὸν καὶ παρακάλεσον αὐτόν ὅτι οὗτος διαβήσεται πρὸ προσώπου τοῦ λαοῦ τούτου καὶ αὐτὸς κατακληρονομήσει αὐτοῖς τὴν γῆν ἣν ἑώρακας
২৮তার পরিবর্তে তুমি যিহোশূয়কে আদেশ দাও, তাকে উত্সাহ দাও এবং তাকে শক্তিশালী কর, কারণ সে এই লোকদের আগে গিয়ে পার হবে, আর যে দেশ তুমি দেখবে, সেই দেশ সে তাদেরকে অধিকার করাবে।”
29 καὶ ἐνεκαθήμεθα ἐν νάπῃ σύνεγγυς οἴκου Φογωρ
২৯সুতরাং এই ভাবে আমরা বৈৎ-পিয়োরের বিপরীতে অবস্থিত উপত্যকায় বাস করলাম।
