< Δευτερονόμιον 20 >
1 ἐὰν δὲ ἐξέλθῃς εἰς πόλεμον ἐπὶ τοὺς ἐχθρούς σου καὶ ἴδῃς ἵππον καὶ ἀναβάτην καὶ λαὸν πλείονά σου οὐ φοβηθήσῃ ἀπ’ αὐτῶν ὅτι κύριος ὁ θεός σου μετὰ σοῦ ὁ ἀναβιβάσας σε ἐκ γῆς Αἰγύπτου
তোমরা যখন তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করবে তখন তোমাদের চেয়ে বেশি ঘোড়া, রথ ও সৈন্য দেখে ভয় পাবে না, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি তোমাদের মিশর থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন, তিনি তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
2 καὶ ἔσται ὅταν ἐγγίσῃς τῷ πολέμῳ καὶ προσεγγίσας ὁ ἱερεὺς λαλήσει τῷ λαῷ
তোমরা যুদ্ধযাত্রা করার আগে, যাজক সামনে এসে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলবেন।
3 καὶ ἐρεῖ πρὸς αὐτούς ἄκουε Ισραηλ ὑμεῖς προσπορεύεσθε σήμερον εἰς πόλεμον ἐπὶ τοὺς ἐχθροὺς ὑμῶν μὴ ἐκλυέσθω ἡ καρδία ὑμῶν μὴ φοβεῖσθε μηδὲ θραύεσθε μηδὲ ἐκκλίνητε ἀπὸ προσώπου αὐτῶν
তিনি বলবেন, “হে ইস্রায়েল, শোনো আজ তোমরা তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করতে যাচ্ছ। দুর্বলচিত্ত হবে না বা ভয় পাবে না; তাদের দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হবে না বা ভয়ে কাঁপবে না।
4 ὅτι κύριος ὁ θεὸς ὑμῶν ὁ προπορευόμενος μεθ’ ὑμῶν συνεκπολεμῆσαι ὑμῖν τοὺς ἐχθροὺς ὑμῶν διασῶσαι ὑμᾶς
কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যিনি তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন তিনি তোমাদের হয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তোমাদের জয়ী করবেন।”
5 καὶ λαλήσουσιν οἱ γραμματεῖς πρὸς τὸν λαὸν λέγοντες τίς ὁ ἄνθρωπος ὁ οἰκοδομήσας οἰκίαν καινὴν καὶ οὐκ ἐνεκαίνισεν αὐτήν πορευέσθω καὶ ἀποστραφήτω εἰς τὴν οἰκίαν αὐτοῦ μὴ ἀποθάνῃ ἐν τῷ πολέμῳ καὶ ἄνθρωπος ἕτερος ἐγκαινιεῖ αὐτήν
পদাধিকারীরা সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলবে “তোমাদের মধ্যে কি কেউ নতুন বাড়ি তৈরি করে তা উৎসর্গ করেনি? সে বাড়ি ফিরে যাক, পাছে সে যদি যুদ্ধে মারা যায় তাহলে অন্য কেউ তার বাড়িতে বসবাস করা শুরু করবে।
6 καὶ τίς ὁ ἄνθρωπος ὅστις ἐφύτευσεν ἀμπελῶνα καὶ οὐκ εὐφράνθη ἐξ αὐτοῦ πορευέσθω καὶ ἀποστραφήτω εἰς τὴν οἰκίαν αὐτοῦ μὴ ἀποθάνῃ ἐν τῷ πολέμῳ καὶ ἄνθρωπος ἕτερος εὐφρανθήσεται ἐξ αὐτοῦ
কেউ কি নতুন দ্রাক্ষাক্ষেত প্রস্তুত করেছে এবং এখনও তা উপভোগ করা শুরু করেনি? সে বাড়ি ফিরে যাক, পাছে সে যদি যুদ্ধে মারা যায় তাহলে অন্য কেউ তা উপভোগ করবে।
7 καὶ τίς ὁ ἄνθρωπος ὅστις μεμνήστευται γυναῖκα καὶ οὐκ ἔλαβεν αὐτήν πορευέσθω καὶ ἀποστραφήτω εἰς τὴν οἰκίαν αὐτοῦ μὴ ἀποθάνῃ ἐν τῷ πολέμῳ καὶ ἄνθρωπος ἕτερος λήμψεται αὐτήν
কারোর কি বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছে কিন্তু এখনও বিয়ে হয়নি? সে বাড়ি ফিরে যাক, পাছে সে যদি যুদ্ধে মারা যায় তাহলে অন্য কেউ সেই স্ত্রীকে বিয়ে করবে।”
8 καὶ προσθήσουσιν οἱ γραμματεῖς λαλῆσαι πρὸς τὸν λαὸν καὶ ἐροῦσιν τίς ὁ ἄνθρωπος ὁ φοβούμενος καὶ δειλὸς τῇ καρδίᾳ πορευέσθω καὶ ἀποστραφήτω εἰς τὴν οἰκίαν αὐτοῦ ἵνα μὴ δειλιάνῃ τὴν καρδίαν τοῦ ἀδελφοῦ αὐτοῦ ὥσπερ ἡ αὐτοῦ
তারপর পদাধিকারীরা আরও বলবে, “কেউ কি ভয় পেয়েছে কিংবা দুর্বলচিত্ত? তাহলে সে বাড়ি ফিরে যাক যেন অন্য সৈনিক ভাইদের মনোবলও নষ্ট না হয়।”
9 καὶ ἔσται ὅταν παύσωνται οἱ γραμματεῖς λαλοῦντες πρὸς τὸν λαόν καὶ καταστήσουσιν ἄρχοντας τῆς στρατιᾶς προηγουμένους τοῦ λαοῦ
পদাধিকারীরা সৈন্যদের কাছে কথা বলা শেষ করার পর, তারা সৈন্যদের উপরে সেনাপতি নিযুক্ত করবে।
10 ἐὰν δὲ προσέλθῃς πρὸς πόλιν ἐκπολεμῆσαι αὐτήν καὶ ἐκκαλέσῃ αὐτοὺς μετ’ εἰρήνης
যখন তোমরা কোনও নগর আক্রমণ করতে তার কাছে পৌঁছাবে, সেখানকার লোকদের কাছে সন্ধির কথা ঘোষণা করবে।
11 ἐὰν μὲν εἰρηνικὰ ἀποκριθῶσίν σοι καὶ ἀνοίξωσίν σοι ἔσται πᾶς ὁ λαὸς οἱ εὑρεθέντες ἐν αὐτῇ ἔσονταί σοι φορολόγητοι καὶ ὑπήκοοί σου
তারা যদি সন্ধি করতে রাজি হয় এবং তাদের দ্বার খুলে দেয়, তবে সেখানকার সমস্ত লোক তোমাদের অধীন হবে এবং তোমাদের জন্য কাজ করবে।
12 ἐὰν δὲ μὴ ὑπακούσωσίν σοι καὶ ποιήσωσιν πρὸς σὲ πόλεμον περικαθιεῖς αὐτήν
যদি তারা সন্ধি করতে রাজি না হয় এবং তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, সেই নগর তোমরা অবরোধ করবে।
13 καὶ παραδώσει αὐτὴν κύριος ὁ θεός σου εἰς τὰς χεῖράς σου καὶ πατάξεις πᾶν ἀρσενικὸν αὐτῆς ἐν φόνῳ μαχαίρας
তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যখন সেই নগরটি তোমাদের হাতে তুলে দেবেন, তখন সেখানকার সমস্ত পুরুষকে তোমরা তরোয়ালের আঘাতে মেরে ফেলবে।
14 πλὴν τῶν γυναικῶν καὶ τῆς ἀποσκευῆς καὶ πάντα τὰ κτήνη καὶ πάντα ὅσα ἂν ὑπάρχῃ ἐν τῇ πόλει καὶ πᾶσαν τὴν ἀπαρτίαν προνομεύσεις σεαυτῷ καὶ φάγῃ πᾶσαν τὴν προνομὴν τῶν ἐχθρῶν σου ὧν κύριος ὁ θεός σου δίδωσίν σοι
সেই নগরের স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে, পশুপাল এবং অন্য সবকিছু তোমরা লুটসামগ্রী হিসেবে নিজেদের জন্য নিয়ে নেবে। শত্রুদের দেশ থেকে লুট করা যেসব জিনিস তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দেবেন তা তোমরা ভোগ করতে পারবে।
15 οὕτως ποιήσεις πάσας τὰς πόλεις τὰς μακρὰν οὔσας ἀπὸ σοῦ σφόδρα αἳ οὐχὶ ἐκ τῶν πόλεων τῶν ἐθνῶν τούτων
যেসব নগর তোমাদের দেশ থেকে দূরে আছে, যেগুলি তোমাদের কাছের জাতিগুলির নগর নয়, সেগুলির প্রতি তোমরা এরকম করবে।
16 ἰδοὺ δὲ ἀπὸ τῶν πόλεων τῶν ἐθνῶν τούτων ὧν κύριος ὁ θεός σου δίδωσίν σοι κληρονομεῖν τὴν γῆν αὐτῶν οὐ ζωγρήσετε ἀπ’ αὐτῶν πᾶν ἐμπνέον
কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সম্পত্তি হিসেবে যেসব জাতির নগর তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেখানকার কাউকেই তোমরা বাঁচিয়ে রাখবে না।
17 ἀλλ’ ἢ ἀναθέματι ἀναθεματιεῖτε αὐτούς τὸν Χετταῖον καὶ Αμορραῖον καὶ Χαναναῖον καὶ Φερεζαῖον καὶ Ευαῖον καὶ Ιεβουσαῖον καὶ Γεργεσαῖον ὃν τρόπον ἐνετείλατό σοι κύριος ὁ θεός σου
তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তোমরা—হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের—সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবে।
18 ἵνα μὴ διδάξωσιν ὑμᾶς ποιεῖν πάντα τὰ βδελύγματα αὐτῶν ὅσα ἐποίησαν τοῖς θεοῖς αὐτῶν καὶ ἁμαρτήσεσθε ἐναντίον κυρίου τοῦ θεοῦ ὑμῶν
তা না করলে, তারা তাদের দেবতাদের পূজা করার সময় যেসব ঘৃণ্য কাজ করে তা তোমরাও শিখবে আর তাতে তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করবে।
19 ἐὰν δὲ περικαθίσῃς περὶ πόλιν ἡμέρας πλείους ἐκπολεμῆσαι αὐτὴν εἰς κατάλημψιν αὐτῆς οὐχὶ ἐξολεθρεύσεις τὰ δένδρα αὐτῆς ἐπιβαλεῖν ἐπ’ αὐτὰ σίδηρον ἀλλ’ ἢ ἀπ’ αὐτοῦ φάγῃ αὐτὸ δὲ οὐκ ἐκκόψεις μὴ ἄνθρωπος τὸ ξύλον τὸ ἐν τῷ ἀγρῷ εἰσελθεῖν ἀπὸ προσώπου σου εἰς τὸν χάρακα
অনেক দিন ধরে যখন তোমরা কোনও নগর অবরোধ করবে, সেটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সেটি অধিকার করার জন্য, তখন কুড়ুল দিয়ে সেখানকার কোনো গাছ নষ্ট করবে না, কারণ তোমরা তার ফল খেতে পারবে। সেগুলিকে কেটে ফেলবে না। গাছেরা কি মানুষ, যে তোমরা সেগুলিকে অবরোধ করবে?
20 ἀλλὰ ξύλον ὃ ἐπίστασαι ὅτι οὐ καρπόβρωτόν ἐστιν τοῦτο ἐξολεθρεύσεις καὶ ἐκκόψεις καὶ οἰκοδομήσεις χαράκωσιν ἐπὶ τὴν πόλιν ἥτις ποιεῖ πρὸς σὲ τὸν πόλεμον ἕως ἂν παραδοθῇ
তবে যে গাছগুলিতে ফল ধরে না বলে তোমরা জানো সেগুলি কেটে ফেলবে এবং অবরোধ তৈরি করতে পারবে যতক্ষণ না যে নগরের বিরুদ্ধে তোমাদের যুদ্ধ হচ্ছে সেটি পতিত হচ্ছে।