< Βασιλειῶν Δʹ 10 >

1 καὶ τῷ Αχααβ ἑβδομήκοντα υἱοὶ ἐν Σαμαρείᾳ καὶ ἔγραψεν Ιου βιβλίον καὶ ἀπέστειλεν ἐν Σαμαρείᾳ πρὸς τοὺς ἄρχοντας Σαμαρείας καὶ πρὸς τοὺς πρεσβυτέρους καὶ πρὸς τοὺς τιθηνοὺς υἱῶν Αχααβ λέγων
শমরিয়াতে আহাবের সত্তরজন ছেলে ছিল। যেহূ চিঠি লিখে শমরিয়াতে যিষ্রিয়েলের শাসনকর্ত্তাদের অর্থাৎ প্রাচীনদের কাছে এবং আহাবের ছেলেদের অভিভাবকদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি লিখলেন,
2 καὶ νῦν ὡς ἐὰν ἔλθῃ τὸ βιβλίον τοῦτο πρὸς ὑμᾶς μεθ’ ὑμῶν οἱ υἱοὶ τοῦ κυρίου ὑμῶν καὶ μεθ’ ὑμῶν τὸ ἅρμα καὶ οἱ ἵπποι καὶ πόλεις ὀχυραὶ καὶ τὰ ὅπλα
“তোমাদের মনিবের ছেলেরা তোমাদের কাছে আছে এবং কতকগুলি রথ, ঘোড়া, একটি সুরক্ষিত নগর এবং অস্ত্রশস্ত্রও আছে। তাই তোমাদের কাছে এই চিঠি পৌঁছানো মাত্রই,
3 καὶ ὄψεσθε τὸν ἀγαθὸν καὶ τὸν εὐθῆ ἐν τοῖς υἱοῖς τοῦ κυρίου ὑμῶν καὶ καταστήσετε αὐτὸν ἐπὶ τὸν θρόνον τοῦ πατρὸς αὐτοῦ καὶ πολεμεῖτε ὑπὲρ τοῦ οἴκου τοῦ κυρίου ὑμῶν
তোমাদের মনিবের সব চেয়ে সৎ ও যোগ্য ছেলেকে বেছে তার বাবার সিংহাসনে বসাও এবং নিজের মনিবের বংশের জন্য যুদ্ধ কর।”
4 καὶ ἐφοβήθησαν σφόδρα καὶ εἶπον ἰδοὺ οἱ δύο βασιλεῖς οὐκ ἔστησαν κατὰ πρόσωπον αὐτοῦ καὶ πῶς στησόμεθα ἡμεῖς
কিন্তু তারা ভীষণ ভয় পেয়ে বলল, “দেখ, দুজন রাজা যাঁর সামনে দাঁড়াতে পারলেন না, তাঁর সামনে আমরা কি করে দাঁড়াবো?”
5 καὶ ἀπέστειλαν οἱ ἐπὶ τοῦ οἴκου καὶ οἱ ἐπὶ τῆς πόλεως καὶ οἱ πρεσβύτεροι καὶ οἱ τιθηνοὶ πρὸς Ιου λέγοντες παῖδές σου ἡμεῖς καὶ ὅσα ἐὰν εἴπῃς πρὸς ἡμᾶς ποιήσομεν οὐ βασιλεύσομεν ἄνδρα τὸ ἀγαθὸν ἐν ὀφθαλμοῖς σου ποιήσομεν
কাজেই রাজবাড়ীর শাসনকর্ত্তা, নগরের শাসনকর্ত্তা, প্রাচীনেরা ও অভিভাবকেরা যেহূকে এই কথা বলে পাঠাল, “আমরা আপনার দাস, আপনি আমাদের যা বলবেন, সে সবই করব, কাউকেই রাজা করব না; আপনি যা ভাল মনে করেন তাই করুন।”
6 καὶ ἔγραψεν πρὸς αὐτοὺς βιβλίον δεύτερον λέγων εἰ ἐμοὶ ὑμεῖς καὶ τῆς φωνῆς μου ὑμεῖς εἰσακούετε λάβετε τὴν κεφαλὴν ἀνδρῶν τῶν υἱῶν τοῦ κυρίου ὑμῶν καὶ ἐνέγκατε πρός με ὡς ἡ ὥρα αὔριον εἰς Ιεζραελ καὶ οἱ υἱοὶ τοῦ βασιλέως ἦσαν ἑβδομήκοντα ἄνδρες οὗτοι ἁδροὶ τῆς πόλεως ἐξέτρεφον αὐτούς
পরে তিনি তাদের কাছে এই বলে দ্বিতীয় চিঠি লিখলেন, “তোমরা যদি আমার পক্ষে হও ও আমার কথা শোনো, তবে তোমাদের মনিবের ছেলেদের মাথাগুলি নিয়ে আগামীকাল এই দিনের যিষ্রিয়েলে আমার কাছে চলে এস।” সেই রাজকুমারের সত্তরজন, তারা তাদের নগরের প্রধান লোকদের কাছে ছিল, যারা তাদের দেখাশোনা করত।
7 καὶ ἐγένετο ὡς ἦλθεν τὸ βιβλίον πρὸς αὐτούς καὶ ἔλαβον τοὺς υἱοὺς τοῦ βασιλέως καὶ ἔσφαξαν αὐτούς ἑβδομήκοντα ἄνδρας καὶ ἔθηκαν τὰς κεφαλὰς αὐτῶν ἐν καρτάλλοις καὶ ἀπέστειλαν αὐτὰς πρὸς αὐτὸν εἰς Ιεζραελ
আর চিঠিটি তাদের কাছে পৌঁছালে তারা সেই সত্তরজন রাজকুমারকে হত্যা করল এবং কতগুলি ঝুড়িতে করে তাদের মাথাগুলি যিষ্রিয়েলে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিল।
8 καὶ ἦλθεν ὁ ἄγγελος καὶ ἀπήγγειλεν λέγων ἤνεγκαν τὰς κεφαλὰς τῶν υἱῶν τοῦ βασιλέως καὶ εἶπεν θέτε αὐτὰς βουνοὺς δύο παρὰ τὴν θύραν τῆς πύλης εἰς πρωί
পরে একজন দূত এসে তাঁকে খবর দিয়ে বলল, “রাজকুমারদের মাথা আনা হয়েছে।” তিনি বললেন, “ওগুলি দুটি স্তরে গাদা করে ফটকে ঢুকবার পথে সকাল পর্যন্ত রেখে দাও।”
9 καὶ ἐγένετο πρωὶ καὶ ἐξῆλθεν καὶ ἔστη ἐν τῷ πυλῶνι τῆς πόλεως καὶ εἶπεν πρὸς πάντα τὸν λαόν δίκαιοι ὑμεῖς ἰδοὺ ἐγώ εἰμι συνεστράφην ἐπὶ τὸν κύριόν μου καὶ ἀπέκτεινα αὐτόν καὶ τίς ἐπάταξεν πάντας τούτους
পরে সকালে তিনি বাইরে গিয়ে দাঁড়ালেন ও সবাইকে বললেন, “তোমরা নির্দোষ ব্যক্তি; দেখ, আমি আমার মনিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে মেরে ফেলেছি; কিন্তু এদের কে হত্যা করল?
10 ἴδετε αφφω ὅτι οὐ πεσεῖται ἀπὸ τοῦ ῥήματος κυρίου εἰς τὴν γῆν οὗ ἐλάλησεν κύριος ἐπὶ τὸν οἶκον Αχααβ καὶ κύριος ἐποίησεν ὅσα ἐλάλησεν ἐν χειρὶ δούλου αὐτοῦ Ηλιου
১০তোমরা জেনে রাখ, সদাপ্রভু আহাবের বংশের বিরুদ্ধে যা কিছু বলেছেন, সদাপ্রভুর বলা একটা কথাও মাটিতে পরার নয়; কারণ সদাপ্রভু তাঁর দাস এলিয়ের মাধ্যমে যা কিছু বলেছেন, তাই করলেন।”
11 καὶ ἐπάταξεν Ιου πάντας τοὺς καταλειφθέντας ἐν τῷ οἴκῳ Αχααβ ἐν Ιεζραελ καὶ πάντας τοὺς ἁδροὺς αὐτοῦ καὶ τοὺς γνωστοὺς αὐτοῦ καὶ τοὺς ἱερεῖς αὐτοῦ ὥστε μὴ καταλιπεῖν αὐτοῦ κατάλειμμα
১১পরে যিষ্রিয়েলে আহাবের বংশের যত লোক বাকি ছিল, যেহূ তাঁদেরকে, তাঁর সমস্ত গণ্যমান্য লোককে, তাঁর বিশেষ বন্ধুদেরকে ও তাঁর যাজকদের হত্যা করলেন। তাঁদের নিকটতম কেউ বেঁচে ছিল না।
12 καὶ ἀνέστη καὶ ἐπορεύθη εἰς Σαμάρειαν αὐτὸς ἐν Βαιθακαδ τῶν ποιμένων ἐν τῇ ὁδῷ
১২পরে তিনি উঠে চলে গেলেন, শমরিয়ার গেলেন। পথে মেষপালকদের মেষের লোম কাটার গৃহে গেলে, যিহূদার রাজা অহসিয়ের ভাইদের সঙ্গে যেহূর দেখা হল।
13 καὶ Ιου εὗρεν τοὺς ἀδελφοὺς Οχοζιου βασιλέως Ιουδα καὶ εἶπεν τίνες ὑμεῖς καὶ εἶπον οἱ ἀδελφοὶ Οχοζιου ἡμεῖς καὶ κατέβημεν εἰς εἰρήνην τῶν υἱῶν τοῦ βασιλέως καὶ τῶν υἱῶν τῆς δυναστευούσης
১৩তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কারা?” তারা বলল, “আমরা অহসিয়ের ভাই; আমরা রাজা ও রাণী ঈষেবলের সন্তানদের শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছি।”
14 καὶ εἶπεν συλλάβετε αὐτοὺς ζῶντας καὶ συνέλαβον αὐτοὺς ζῶντας καὶ ἔσφαξαν αὐτοὺς εἰς Βαιθακαδ τεσσαράκοντα καὶ δύο ἄνδρας οὐ κατέλιπεν ἄνδρα ἐξ αὐτῶν
১৪তখন তিনি বললেন, “ওদের জীবন্ত ধর।” তাতে লোকেরা তাদের জীবন্ত ধরে বৈথ-একদের কুয়োর কাছে তাদের হত্যা করল, বিয়াল্লিশজনের মধ্যে একজনকেও তিনি বাকি রাখলেন না।
15 καὶ ἐπορεύθη ἐκεῖθεν καὶ εὗρεν τὸν Ιωναδαβ υἱὸν Ρηχαβ ἐν τῇ ὁδῷ εἰς ἀπαντὴν αὐτοῦ καὶ εὐλόγησεν αὐτόν καὶ εἶπεν πρὸς αὐτὸν Ιου εἰ ἔστιν καρδία σου μετὰ καρδίας μου εὐθεῖα καθὼς ἡ καρδία μου μετὰ τῆς καρδίας σου καὶ εἶπεν Ιωναδαβ ἔστιν καὶ εἶπεν Ιου καὶ εἰ ἔστιν δὸς τὴν χεῖρά σου καὶ ἔδωκεν τὴν χεῖρα αὐτοῦ καὶ ἀνεβίβασεν αὐτὸν πρὸς αὐτὸν ἐπὶ τὸ ἅρμα
১৫যেহূ সেখান থেকে চলে গেলে রেখবের ছেলে যিহোনাদবের সঙ্গে তাঁর দেখা হল; তিনি তাঁরই কাছে আসছিলেন। যেহূ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন, “তোমার প্রতি আমার মন যেমন, তেমনি কি তোমার মন সরল?” যিহোনাদব বললেন, “সরল।” যেহূ বললেন, “যদি তাই হয়, তবে তোমার হাত দাও।” পরে যিহোনাদব তাঁকে হাত দিলে যেহূ তাঁকে নিজের কাছে রথে তুলে নিলেন।
16 καὶ εἶπεν πρὸς αὐτόν δεῦρο μετ’ ἐμοῦ καὶ ἰδὲ ἐν τῷ ζηλῶσαί με τῷ κυρίῳ Σαβαωθ καὶ ἐπεκάθισεν αὐτὸν ἐν τῷ ἅρματι αὐτοῦ
১৬আর যেহূ বললেন, “আমার সঙ্গে চল, সদাপ্রভুর জন্য আমার যে আগ্রহ, তা দেখ;” এই ভাবে তাঁকে তাঁর রথে করে নিয়ে চললেন।
17 καὶ εἰσῆλθεν εἰς Σαμάρειαν καὶ ἐπάταξεν πάντας τοὺς καταλειφθέντας τοῦ Αχααβ ἐν Σαμαρείᾳ ἕως τοῦ ἀφανίσαι αὐτὸν κατὰ τὸ ῥῆμα κυρίου ὃ ἐλάλησεν πρὸς Ηλιου
১৭পরে যেহূ শমরিয়াতে এসে আহাবের বংশের বাকি সব লোকদের হত্যা করলেন, যে পর্যন্ত না আহাবের বংশকে একেবারে ধ্বংস করলেন; সদাপ্রভু এলিয়কে যেমন বলেছিলেন, সেই অনুসারেই করলেন।
18 καὶ συνήθροισεν Ιου πάντα τὸν λαὸν καὶ εἶπεν πρὸς αὐτούς Αχααβ ἐδούλευσεν τῷ Βααλ ὀλίγα καί γε Ιου δουλεύσει αὐτῷ πολλά
১৮তারপর যেহূ সমস্ত লোকদের জড়ো করে তাদের বললেন, “আহাব বাল দেবতার সেবা সামান্যই করতেন, কিন্তু যেহূ তাঁর সেবা অনেক বেশী করবে।
19 καὶ νῦν πάντες οἱ προφῆται τοῦ Βααλ πάντας τοὺς δούλους αὐτοῦ καὶ τοὺς ἱερεῖς αὐτοῦ καλέσατε πρός με ἀνὴρ μὴ ἐπισκεπήτω ὅτι θυσία μεγάλη μοι τῷ Βααλ πᾶς ὃς ἐὰν ἐπισκεπῇ οὐ ζήσεται καὶ Ιου ἐποίησεν ἐν πτερνισμῷ ἵνα ἀπολέσῃ τοὺς δούλους τοῦ Βααλ
১৯তাই এখন বাল দেবতার সব ভাববাদী, তাঁর সমস্ত পূজারী ও যাজকদের আমার কাছে তোমরা ডেকে আন, যেন কেউ বাদ না পড়ে; কারণ বাল দেবতার উদ্দেশ্যে আমাকে বড় যজ্ঞ করতে হবে। যে কেউ যদি আসবে না, সে বাঁচবে না।” কিন্তু আসলে যেহূ বাল দেবতার পূজাকারীদের ধ্বংস করবার জন্যই এই ছলনা করেছিলেন।
20 καὶ εἶπεν Ιου ἁγιάσατε ἱερείαν τῷ Βααλ καὶ ἐκήρυξαν
২০পরে যেহূ বললেন, “বাল দেবতার উদ্দেশ্যে একটা সভা ডাক।” তারা পর্ব ঘোষণা করে দিল।
21 καὶ ἀπέστειλεν Ιου ἐν παντὶ Ισραηλ λέγων καὶ νῦν πάντες οἱ δοῦλοι τοῦ Βααλ καὶ πάντες οἱ ἱερεῖς αὐτοῦ καὶ πάντες οἱ προφῆται αὐτοῦ μηδεὶς ἀπολειπέσθω ὅτι θυσίαν μεγάλην ποιῶ ὃς ἂν ἀπολειφθῇ οὐ ζήσεται καὶ ἦλθον πάντες οἱ δοῦλοι τοῦ Βααλ καὶ πάντες οἱ ἱερεῖς αὐτοῦ καὶ πάντες οἱ προφῆται αὐτοῦ οὐ κατελείφθη ἀνήρ ὃς οὐ παρεγένετο καὶ εἰσῆλθον εἰς τὸν οἶκον τοῦ Βααλ καὶ ἐπλήσθη ὁ οἶκος τοῦ Βααλ στόμα εἰς στόμα
২১আর যেহূ ইস্রায়েলের সব জায়গায় লোক পাঠালে বাল দেবতার সমস্ত পূজাকারীরা এসে হাজির হল, কেউই অনুপস্থিত থাকলো না। তারা বাল দেবতার মন্দিরে ঢুকলে মন্দিরের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত লোকে ভরে গেল।
22 καὶ εἶπεν Ιου τῷ ἐπὶ τοῦ οἴκου μεσθααλ ἐξάγαγε ἐνδύματα πᾶσι τοῖς δούλοις τοῦ Βααλ καὶ ἐξήνεγκεν αὐτοῖς ὁ στολιστής
২২তখন তিনি পোশাক রক্ষককে বললেন, “বাল দেবতার পূজাকারী সকলের জন্য পোশাক নিয়ে এস।” তাতে সে তাদের জন্য পোশাক বের করে আনল।
23 καὶ εἰσῆλθεν Ιου καὶ Ιωναδαβ υἱὸς Ρηχαβ εἰς οἶκον τοῦ Βααλ καὶ εἶπεν τοῖς δούλοις τοῦ Βααλ ἐρευνήσατε καὶ ἴδετε εἰ ἔστιν μεθ’ ὑμῶν τῶν δούλων κυρίου ὅτι ἀλλ’ ἢ οἱ δοῦλοι τοῦ Βααλ μονώτατοι
২৩তারপর যেহূ ও রেখবের ছেলে যিহোনাদব বাল দেবতার মন্দিরে ঢুকলেন; তিনি বাল দেবতার পূজাকারীদের বললেন, “তোমরা ভাল করে খুঁজে দেখ, যাতে সদাপ্রভুর দাসদের মধ্যে কেউ এখানে না থাকে, শুধু বাল দেবতার পূজাকারীরাই থাকবে।”
24 καὶ εἰσῆλθεν τοῦ ποιῆσαι τὰ θύματα καὶ τὰ ὁλοκαυτώματα καὶ Ιου ἔταξεν ἑαυτῷ ἔξω ὀγδοήκοντα ἄνδρας καὶ εἶπεν ἀνήρ ὃς ἐὰν διασωθῇ ἀπὸ τῶν ἀνδρῶν ὧν ἐγὼ ἀνάγω ἐπὶ χεῖρας ὑμῶν ἡ ψυχὴ αὐτοῦ ἀντὶ τῆς ψυχῆς αὐτοῦ
২৪তখন তারা বলিদান ও হোম করতে ভেতরে গেলেন। এদিকে যেহূ আশিজন লোককে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে বলেছিলেন, “আমি তোমাদের হাতে ঐ যাদের ভার দিলাম, তাদের একজনও যদি পালিয়ে বাঁচে, তবে যে তাকে ছেড়ে দেবে তার প্রাণের বদলে তার প্রাণ যাবে।”
25 καὶ ἐγένετο ὡς συνετέλεσεν ποιῶν τὴν ὁλοκαύτωσιν καὶ εἶπεν Ιου τοῖς παρατρέχουσιν καὶ τοῖς τριστάταις εἰσελθόντες πατάξατε αὐτούς ἀνὴρ μὴ ἐξελθάτω ἐξ αὐτῶν καὶ ἐπάταξαν αὐτοὺς ἐν στόματι ῥομφαίας καὶ ἔρριψαν οἱ παρατρέχοντες καὶ οἱ τριστάται καὶ ἐπορεύθησαν ἕως πόλεως οἴκου τοῦ Βααλ
২৫পরে হোমের কাজ শেষ হলে যেহূ পাহারাদার ও সেনাপতিদের বললেন, “ভিতরে যাও, ওদের হত্যা কর, একজনকেও বাইরে আসতে দিও না।” তখন তারা তরোয়াল দিয়ে তাদের আঘাত করল; পরে পাহারাদার ও সেনাপতিরা তাদের বাইরে ফেলে দিল; পরে তারা বাল মন্দিরের ভিতরের গৃহে গেল।
26 καὶ ἐξήνεγκαν τὴν στήλην τοῦ Βααλ καὶ ἐνέπρησαν αὐτήν
২৬এবং বাল দেবতার মন্দির থেকে পাথরের পবিত্র থামগুলি তারা বের করে এনে পুড়িয়ে ফেলল।
27 καὶ κατέσπασαν τὰς στήλας τοῦ Βααλ καὶ καθεῖλον τὸν οἶκον τοῦ Βααλ καὶ ἔταξαν αὐτὸν εἰς λυτρῶνας ἕως τῆς ἡμέρας ταύτης
২৭তারপর তারা বাল দেবতার থামটি ভেঙে দিল এবং মন্দিরটা ভেঙে ফেলল এবং সেখানে একটি পায়খানা তৈরী করলো। তা আজও আছে।
28 καὶ ἠφάνισεν Ιου τὸν Βααλ ἐξ Ισραηλ
২৮এই ভাবে যেহূ ইস্রায়েল বাল দেবতাকে ধ্বংস করলেন এবং ইস্রায়েল থেকে এর পূজা বন্ধ করে দিলেন।
29 πλὴν ἁμαρτιῶν Ιεροβοαμ υἱοῦ Ναβατ ὃς ἐξήμαρτεν τὸν Ισραηλ οὐκ ἀπέστη Ιου ἀπὸ ὄπισθεν αὐτῶν αἱ δαμάλεις αἱ χρυσαῖ ἐν Βαιθηλ καὶ ἐν Δαν
২৯কিন্তু নবাটের ছেলে যে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন অর্থাৎ বৈথেল ও দানের সোনার বাছুরের পূজা করার মত পাপ থেকে তিনি সরে আসেন নি।
30 καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Ιου ἀνθ’ ὧν ὅσα ἠγάθυνας ποιῆσαι τὸ εὐθὲς ἐν ὀφθαλμοῖς μου καὶ πάντα ὅσα ἐν τῇ καρδίᾳ μου ἐποίησας τῷ οἴκῳ Αχααβ υἱοὶ τέταρτοι καθήσονταί σοι ἐπὶ θρόνου Ισραηλ
৩০সুতরাং সদাপ্রভু যেহূকে বললেন, যেহেতু “আমার চোখে যা ঠিক তা তুমি করে ভাল করেছ এবং আহাবের বংশের প্রতি আমার যে ইচ্ছা ছিল তাও তুমি করেছ, সেইজন্য তোমার বংশধরেরা চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসবে।”
31 καὶ Ιου οὐκ ἐφύλαξεν πορεύεσθαι ἐν νόμῳ κυρίου θεοῦ Ισραηλ ἐν ὅλῃ καρδίᾳ αὐτοῦ οὐκ ἀπέστη ἐπάνωθεν ἁμαρτιῶν Ιεροβοαμ υἱοῦ Ναβατ ὃς ἐξήμαρτεν τὸν Ισραηλ
৩১তবুও যেহূ সমস্ত হৃদয় দিয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ব্যবস্থা মেনে চলবার জন্য সতর্ক হলেন না। যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন তা থেকে তিনি মন ফেরালেন না।
32 ἐν ταῖς ἡμέραις ἐκείναις ἤρξατο κύριος συγκόπτειν ἐν τῷ Ισραηλ καὶ ἐπάταξεν αὐτοὺς Αζαηλ ἐν παντὶ ὁρίῳ Ισραηλ
৩২সেই দিনের সদাপ্রভু ইস্রায়েল দেশের সীমা কেটে ছোট করতে শুরু করলেন। হসায়েল ইস্রায়েলীয়দের আঘাত করে ইস্রায়েলের সীমানায় তাদের হারিয়ে দিলেন।
33 ἀπὸ τοῦ Ιορδάνου κατ’ ἀνατολὰς ἡλίου πᾶσαν τὴν γῆν Γαλααδ τοῦ Γαδδι καὶ τοῦ Ρουβην καὶ τοῦ Μανασση ἀπὸ Αροηρ ἥ ἐστιν ἐπὶ τοῦ χείλους χειμάρρου Αρνων καὶ τὴν Γαλααδ καὶ τὴν Βασαν
৩৩সেই জায়গাগুলি হল যর্দ্দন নদীর পূর্ব দিকের অর্ণোন উপত্যকার পাশে অরোয়ের থেকে সমস্ত গিলিয়দ ও বাশন দেশ। এটা ছিল গাদ, রূবেণ ও মনঃশির এলাকা।
34 καὶ τὰ λοιπὰ τῶν λόγων Ιου καὶ πάντα ὅσα ἐποίησεν καὶ πᾶσα ἡ δυναστεία αὐτοῦ καὶ τὰς συνάψεις ἃς συνῆψεν οὐχὶ ταῦτα γεγραμμένα ἐπὶ βιβλίῳ λόγων τῶν ἡμερῶν τοῖς βασιλεῦσιν Ισραηλ
৩৪যেহূর অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্ট কাজের কথা এবং তাঁর জয়ের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে কি লেখা নেই?
35 καὶ ἐκοιμήθη Ιου μετὰ τῶν πατέρων αὐτοῦ καὶ ἔθαψαν αὐτὸν ἐν Σαμαρείᾳ καὶ ἐβασίλευσεν Ιωαχας υἱὸς αὐτοῦ ἀντ’ αὐτοῦ
৩৫পরে যেহূ তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তারা তাঁকে শমরিয়াতে কবর দিল। তখন তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোয়াহস রাজা হলেন।
36 καὶ αἱ ἡμέραι ἃς ἐβασίλευσεν Ιου ἐπὶ Ισραηλ εἴκοσι ὀκτὼ ἔτη ἐν Σαμαρείᾳ
৩৬যেহূ শমরিয়াতে আটাশ বছর ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করেছিলেন।

< Βασιλειῶν Δʹ 10 >