< Βασιλειῶν Αʹ 22 >
1 καὶ ἀπῆλθεν ἐκεῖθεν Δαυιδ καὶ διεσώθη καὶ ἔρχεται εἰς τὸ σπήλαιον τὸ Οδολλαμ καὶ ἀκούουσιν οἱ ἀδελφοὶ αὐτοῦ καὶ ὁ οἶκος τοῦ πατρὸς αὐτοῦ καὶ καταβαίνουσιν πρὸς αὐτὸν ἐκεῖ
দাউদ গাত ছেড়ে অদুল্লম গুহাতে পালিয়ে গেলেন। তাঁর দাদারা ও তাঁর বাবার পরিবার-পরিজন যখন তা জানতে পারলেন, তখন তাঁরা সেখানে তাঁর কাছে পৌঁছে গেলেন।
2 καὶ συνήγοντο πρὸς αὐτὸν πᾶς ἐν ἀνάγκῃ καὶ πᾶς ὑπόχρεως καὶ πᾶς κατώδυνος ψυχῇ καὶ ἦν ἐπ’ αὐτῶν ἡγούμενος καὶ ἦσαν μετ’ αὐτοῦ ὡς τετρακόσιοι ἄνδρες
যারা যারা দুর্দশাগ্রস্ত বা ঋণ-ধারে জর্জরিত অথবা অতৃপ্ত ছিল, তারা সবাই তাঁর চারপাশে একত্রিত হল, এবং তিনি তাদের সেনাপতি হয়ে গেলেন। প্রায় 400 জন তাঁর সঙ্গী হল।
3 καὶ ἀπῆλθεν Δαυιδ ἐκεῖθεν εἰς Μασσηφα τῆς Μωαβ καὶ εἶπεν πρὸς βασιλέα Μωαβ γινέσθωσαν δὴ ὁ πατήρ μου καὶ ἡ μήτηρ μου παρὰ σοί ἕως ὅτου γνῶ τί ποιήσει μοι ὁ θεός
সেখান থেকে দাউদ মোয়াবের মিস্পীতে চলে গিয়ে মোয়াবের রাজাকে বললেন, “আমি যতদিন না জানতে পারছি ঈশ্বর আমার জন্য কী করতে চলেছেন, ততদিন কি আপনি আমার মা-বাবাকে আপনার কাছে থাকতে দেবেন?”
4 καὶ παρεκάλεσεν τὸ πρόσωπον τοῦ βασιλέως Μωαβ καὶ κατῴκουν μετ’ αὐτοῦ πάσας τὰς ἡμέρας ὄντος τοῦ Δαυιδ ἐν τῇ περιοχῇ
এই বলে তিনি তাঁদের মোয়াবের রাজার কাছে রেখে গেলেন, ও দাউদ যতদিন সেই ঘাঁটিতে ছিলেন, তাঁরাও রাজার সঙ্গেই ছিলেন।
5 καὶ εἶπεν Γαδ ὁ προφήτης πρὸς Δαυιδ μὴ κάθου ἐν τῇ περιοχῇ πορεύου καὶ ἥξεις εἰς γῆν Ιουδα καὶ ἐπορεύθη Δαυιδ καὶ ἦλθεν καὶ ἐκάθισεν ἐν πόλει Σαριχ
কিন্তু ভাববাদী গাদ দাউদকে বললেন, “ঘাঁটিতে থাকবেন না। যিহূদা দেশে চলে যান।” অতএব দাউদ সেই স্থান ত্যাগ করে হেরৎ বনে চলে গেলেন।
6 καὶ ἤκουσεν Σαουλ ὅτι ἔγνωσται Δαυιδ καὶ οἱ ἄνδρες οἱ μετ’ αὐτοῦ καὶ Σαουλ ἐκάθητο ἐν τῷ βουνῷ ὑπὸ τὴν ἄρουραν τὴν ἐν Ραμα καὶ τὸ δόρυ ἐν τῇ χειρὶ αὐτοῦ καὶ πάντες οἱ παῖδες αὐτοῦ παρειστήκεισαν αὐτῷ
ইত্যবসরে শৌল খবর পেয়েছিলেন যে দাউদ ও তাঁর লোকজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। শৌল হাতে বর্শা নিয়ে গিবিয়ায় ছোটো একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত একটি ঝাউ গাছের নিচে বসেছিলেন, ও তাঁর সব কর্মকর্তা তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিল।
7 καὶ εἶπεν Σαουλ πρὸς τοὺς παῖδας αὐτοῦ τοὺς παρεστηκότας αὐτῷ καὶ εἶπεν αὐτοῖς ἀκούσατε δή υἱοὶ Βενιαμιν εἰ ἀληθῶς πᾶσιν ὑμῖν δώσει ὁ υἱὸς Ιεσσαι ἀγροὺς καὶ ἀμπελῶνας καὶ πάντας ὑμᾶς τάξει ἑκατοντάρχους καὶ χιλιάρχους
তিনি তাদের বললেন, “ওহে বিন্যামীনীয় লোকেরা, শোনো! যিশয়ের ছেলে কি তোমাদের সবাইকে ক্ষেতজমি ও দ্রাক্ষাকুঞ্জ দেবে? সে কি তোমাদের সবাইকে সহস্র-সেনাপতি ও শত-সেনাপতি করে দেবে?
8 ὅτι σύγκεισθε πάντες ὑμεῖς ἐπ’ ἐμέ καὶ οὐκ ἔστιν ὁ ἀποκαλύπτων τὸ ὠτίον μου ἐν τῷ διαθέσθαι τὸν υἱόν μου διαθήκην μετὰ τοῦ υἱοῦ Ιεσσαι καὶ οὐκ ἔστιν πονῶν περὶ ἐμοῦ ἐξ ὑμῶν καὶ ἀποκαλύπτων τὸ ὠτίον μου ὅτι ἐπήγειρεν ὁ υἱός μου τὸν δοῦλόν μου ἐπ’ ἐμὲ εἰς ἐχθρὸν ὡς ἡ ἡμέρα αὕτη
এজন্যই কি তোমরা সবাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছ? কেউই বলোনি কখন আমার ছেলে, যিশয়ের ছেলের সঙ্গে নিয়ম স্থির করেছে। তোমরা কেউ আমার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওনি বা আমাকে বলোনি যে আমার ছেলেই আমার দাসকে আমার বিরুদ্ধে ঘাঁটি পেতে বসে থাকার জন্য উসকানি দিয়েছিল, যেমনটি সে আজ করেছে।”
9 καὶ ἀποκρίνεται Δωηκ ὁ Σύρος ὁ καθεστηκὼς ἐπὶ τὰς ἡμιόνους Σαουλ καὶ εἶπεν ἑόρακα τὸν υἱὸν Ιεσσαι παραγινόμενον εἰς Νομβα πρὸς Αβιμελεχ υἱὸν Αχιτωβ τὸν ἱερέα
কিন্তু শৌলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে দাঁড়িয়েছিল, সেই ইদোমীয় দোয়েগ বলল, “আমি নোবে অহীটূবের ছেলে অহীমেলকের কাছে যিশয়ের ছেলেকে আসতে দেখেছিলাম।
10 καὶ ἠρώτα αὐτῷ διὰ τοῦ θεοῦ καὶ ἐπισιτισμὸν ἔδωκεν αὐτῷ καὶ τὴν ῥομφαίαν Γολιαδ τοῦ ἀλλοφύλου ἔδωκεν αὐτῷ
অহীমেলক ওর হয়ে সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ নিয়েছিল; সে ওকে খাদ্যদ্রব্য এবং ফিলিস্তিনী গলিয়াতের তরোয়ালটিও দিয়েছিল।”
11 καὶ ἀπέστειλεν ὁ βασιλεὺς καλέσαι τὸν Αβιμελεχ υἱὸν Αχιτωβ καὶ πάντας τοὺς υἱοὺς τοῦ πατρὸς αὐτοῦ τοὺς ἱερεῖς τοὺς ἐν Νομβα καὶ παρεγένοντο πάντες πρὸς τὸν βασιλέα
তখন রাজামশাই নোবে যাঁরা যাজকের কাজ করতেন, সেই অহীটূবের ছেলে যাজক অহীমেলক ও তাঁর পরিবারের সব পুরুষ সদস্যকে ডেকে আনার জন্য লোক পাঠালেন, এবং তাঁরা সবাই রাজামশায়ের কাছে এলেন।
12 καὶ εἶπεν Σαουλ ἄκουε δή υἱὲ Αχιτωβ καὶ εἶπεν ἰδοὺ ἐγώ λάλει κύριε
শৌল বললেন, “ওহে অহীটূবের ছেলে, শোনো।” “হ্যাঁ, প্রভু,” তিনি উত্তর দিলেন।
13 καὶ εἶπεν αὐτῷ Σαουλ ἵνα τί συνέθου κατ’ ἐμοῦ σὺ καὶ ὁ υἱὸς Ιεσσαι δοῦναί σε αὐτῷ ἄρτον καὶ ῥομφαίαν καὶ ἐρωτᾶν αὐτῷ διὰ τοῦ θεοῦ θέσθαι αὐτὸν ἐπ’ ἐμὲ εἰς ἐχθρὸν ὡς ἡ ἡμέρα αὕτη
শৌল তাঁকে বললেন, “তোমরা কেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছ, তুমি ও যিশয়ের সেই ছেলে; তুমি তাকে রুটি দিয়েছ, তরোয়াল দিয়েছ, আবার তার হয়ে ঈশ্বরের কাছে খোঁজও নিয়েছ, যেন সে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে ও আমার বিরুদ্ধে ঘাঁটি পেতে বসে থাকতে পারে, যেমনটি সে আজ করেছে?”
14 καὶ ἀπεκρίθη τῷ βασιλεῖ καὶ εἶπεν καὶ τίς ἐν πᾶσιν τοῖς δούλοις σου ὡς Δαυιδ πιστὸς καὶ γαμβρὸς τοῦ βασιλέως καὶ ἄρχων παντὸς παραγγέλματός σου καὶ ἔνδοξος ἐν τῷ οἴκῳ σου
অহীমেলক রাজামশাইকে উত্তর দিলেন, “আপনার দাসদের মধ্যে দাউদের মতো এত অনুগত আর কে আছেন, তিনি তো মহারাজের জামাই, আপনার দেহরক্ষীদের সর্দার ও আপনার পরিবারের সমস্ত লোকজনের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত একজন ব্যক্তি?
15 ἦ σήμερον ἦργμαι ἐρωτᾶν αὐτῷ διὰ τοῦ θεοῦ μηδαμῶς μὴ δότω ὁ βασιλεὺς κατὰ τοῦ δούλου αὐτοῦ λόγον καὶ ἐφ’ ὅλον τὸν οἶκον τοῦ πατρός μου ὅτι οὐκ ᾔδει ὁ δοῦλος ὁ σὸς ἐν πᾶσιν τούτοις ῥῆμα μικρὸν ἢ μέγα
সেদিনই কি প্রথমবার আমি তাঁর হয়ে ঈশ্বরের কাছে খোঁজ নিয়েছিলাম? তা নিশ্চয় নয়! মহারাজ যেন আপনার দাসকে বা তার বাবার পরিবারের কাউকে দোষ না দেন, কারণ আপনার দাস এই গোটা ঘটনাটির বিন্দুবিসর্গও জানে না।”
16 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς Σαουλ θανάτῳ ἀποθανῇ Αβιμελεχ σὺ καὶ πᾶς ὁ οἶκος τοῦ πατρός σου
কিন্তু রাজামশাই বললেন, “অহীমেলক, তোমাকে মরতেই হবে, তোমাকে আর তোমার পুরো পরিবারকেই মরতে হবে।”
17 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς τοῖς παρατρέχουσιν τοῖς ἐφεστηκόσιν ἐπ’ αὐτόν προσαγάγετε καὶ θανατοῦτε τοὺς ἱερεῖς τοῦ κυρίου ὅτι ἡ χεὶρ αὐτῶν μετὰ Δαυιδ καὶ ὅτι ἔγνωσαν ὅτι φεύγει αὐτός καὶ οὐκ ἀπεκάλυψαν τὸ ὠτίον μου καὶ οὐκ ἐβουλήθησαν οἱ παῖδες τοῦ βασιλέως ἐπενεγκεῖν τὰς χεῖρας αὐτῶν ἀπαντῆσαι εἰς τοὺς ἱερεῖς κυρίου
পরে রাজামশাই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাহারাদারদের আদেশ দিলেন: “ঘুরে গিয়ে সদাপ্রভুর যাজকদের হত্যা করো, কারণ এরাও দাউদের পক্ষ নিয়েছে। ওরা জানত যে সে পালাচ্ছে, অথচ ওরা আমাকে সেকথা বলেনি।” কিন্তু রাজার কর্মচারীরা সদাপ্রভুর যাজকদের উপর হাত তুলতে চায়নি।
18 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς τῷ Δωηκ ἐπιστρέφου σὺ καὶ ἀπάντα εἰς τοὺς ἱερεῖς καὶ ἐπεστράφη Δωηκ ὁ Σύρος καὶ ἐθανάτωσεν τοὺς ἱερεῖς κυρίου ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ τριακοσίους καὶ πέντε ἄνδρας πάντας αἴροντας εφουδ
তখন রাজামশাই দোয়েগকে আদেশ দিলেন, “তুমি ঘুরে গিয়ে যাজকদের আঘাত করো।” ইদোমীয় দোয়েগ তখন ঘুরে গিয়ে আঘাত করে তাঁদের ধরাশায়ী করে ফেলেছিল। সেদিন সে মসিনার এফোদ গায়ে দেওয়া পঁচাশি জনকে হত্যা করল।
19 καὶ τὴν Νομβα τὴν πόλιν τῶν ἱερέων ἐπάταξεν ἐν στόματι ῥομφαίας ἀπὸ ἀνδρὸς ἕως γυναικός ἀπὸ νηπίου ἕως θηλάζοντος καὶ μόσχου καὶ ὄνου καὶ προβάτου
এছাড়াও সে যাজকদের নগর নোবের উপর তরোয়াল চালিয়ে সেখানকার স্ত্রী-পুরুষ, ছেলেমেয়ে ও শিশু সন্তানদের, এবং পশুপাল, গাধা ও মেষদেরও শেষ করে ফেলেছিল।
20 καὶ διασῴζεται υἱὸς εἷς τῷ Αβιμελεχ υἱῷ Αχιτωβ καὶ ὄνομα αὐτῷ Αβιαθαρ καὶ ἔφυγεν ὀπίσω Δαυιδ
কিন্তু অহীটূবের ছেলে অহীমেলকের একমাত্র ছেলে অবিয়াথর কোনোমতে রক্ষা পেয়ে দাউদের কাছে পালিয়ে গেলেন।
21 καὶ ἀπήγγειλεν Αβιαθαρ τῷ Δαυιδ ὅτι ἐθανάτωσεν Σαουλ πάντας τοὺς ἱερεῖς τοῦ κυρίου
তিনি দাউদকে বললেন, শৌল সদাপ্রভুর যাজকদের হত্যা করেছেন।
22 καὶ εἶπεν Δαυιδ τῷ Αβιαθαρ ἤιδειν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ ὅτι Δωηκ ὁ Σύρος ὅτι ἀπαγγέλλων ἀπαγγελεῖ τῷ Σαουλ ἐγώ εἰμι αἴτιος τῶν ψυχῶν οἴκου τοῦ πατρός σου
তখন দাউদ অবিয়াথরকে বললেন, “ইদোমীয় দোয়েগকে সেদিন যখন আমি সেখানে দেখেছিলাম, তখনই বুঝেছিলাম যে সে নিশ্চয় শৌলকে বলে দেবে। আপনার পুরো পরিবারের মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী।
23 κάθου μετ’ ἐμοῦ μὴ φοβοῦ ὅτι οὗ ἐὰν ζητῶ τῇ ψυχῇ μου τόπον ζητήσω καὶ τῇ ψυχῇ σου ὅτι πεφύλαξαι σὺ παρ’ ἐμοί
আপনি আমার সঙ্গেই থাকুন; ভয় পাবেন না। যে আপনাকে হত্যা করতে চাইছে সে আমাকেও হত্যা করার চেষ্টা করছে। আপনি আমার কাছে নিরাপদেই থাকবেন।”