< Βασιλειῶν Αʹ 20 >

1 καὶ ἀπέδρα Δαυιδ ἐκ Ναυαθ ἐν Ραμα καὶ ἔρχεται ἐνώπιον Ιωναθαν καὶ εἶπεν τί πεποίηκα καὶ τί τὸ ἀδίκημά μου καὶ τί ἡμάρτηκα ἐνώπιον τοῦ πατρός σου ὅτι ἐπιζητεῖ τὴν ψυχήν μου
পরে দায়ূদ রামার নায়োৎ থেকে পালিয়ে যোনাথনের কাছে গেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি করেছি? আমার দোষ কি? তোমার বাবার বিরুদ্ধে আমি কি পাপ করেছি যে, তিনি আমাকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করেছেন?”
2 καὶ εἶπεν αὐτῷ Ιωναθαν μηδαμῶς σοι οὐ μὴ ἀποθάνῃς ἰδοὺ οὐ μὴ ποιήσῃ ὁ πατήρ μου ῥῆμα μέγα ἢ μικρὸν καὶ οὐκ ἀποκαλύψει τὸ ὠτίον μου καὶ τί ὅτι κρύψει ὁ πατήρ μου τὸ ῥῆμα τοῦτο οὐκ ἔστιν τοῦτο
যোনাথন বললেন, “এমন না হোক, তুমি মরবে না। দেখ, আমার বাবা আমাকে না জানিয়ে ছোট বড় কোন কাজই করেন না। তবে এই কথা তিনি আমার কাছ থেকে কেন লুকাবেন? এ হতেই পারে না।”
3 καὶ ἀπεκρίθη Δαυιδ τῷ Ιωναθαν καὶ εἶπεν γινώσκων οἶδεν ὁ πατήρ σου ὅτι εὕρηκα χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς σου καὶ εἶπεν μὴ γνώτω τοῦτο Ιωναθαν μὴ οὐ βούληται ἀλλὰ ζῇ κύριος καὶ ζῇ ἡ ψυχή σου ὅτι καθὼς εἶπον ἐμπέπλησται ἀνὰ μέσον μου καὶ τοῦ θανάτου
তাতে দায়ূদ আবার দিব্যি করে বললেন, “তোমার বাবা খুব ভাল করেই জানেন যে, আমি তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়েছি। তাই হয়তো তিনি মনে মনে ভেবেছেন, যোনাথনকে এই বিষয়ে না জানানোই ভাল, যদি সে দুঃখ পায়। কিন্তু জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি এবং তোমার প্রাণের দিব্যি দিয়ে আমি বলছি যে, মৃত্যু আমার কাছ থেকে মাত্র এক পা দূরে।”
4 καὶ εἶπεν Ιωναθαν πρὸς Δαυιδ τί ἐπιθυμεῖ ἡ ψυχή σου καὶ τί ποιήσω σοι
যোনাথন দায়ূদকে বললেন, “তোমার প্রাণ যা বলবে আমি তোমার জন্য তাই করব।”
5 καὶ εἶπεν Δαυιδ πρὸς Ιωναθαν ἰδοὺ δὴ νεομηνία αὔριον καὶ ἐγὼ καθίσας οὐ καθήσομαι μετὰ τοῦ βασιλέως φαγεῖν καὶ ἐξαποστελεῖς με καὶ κρυβήσομαι ἐν τῷ πεδίῳ ἕως δείλης
তখন দায়ূদ যোনাথনকে বললেন, “দেখ, কাল অমাবস্যার উৎসব। রাজার সঙ্গে আমার খেতে বসতেই হবে। কিন্তু তুমি আমাকে যেতে দাও। আমি পরশু সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের মধ্যে লুকিয়ে থাকব।
6 ἐὰν ἐπισκεπτόμενος ἐπισκέψηταί με ὁ πατήρ σου καὶ ἐρεῖς παραιτούμενος παρῃτήσατο ἀπ’ ἐμοῦ Δαυιδ δραμεῖν ἕως εἰς Βηθλεεμ τὴν πόλιν αὐτοῦ ὅτι θυσία τῶν ἡμερῶν ἐκεῖ ὅλῃ τῇ φυλῇ
যদি তোমার বাবা আমার খোঁজ করেন তবে তুমি তাঁকে বলবে, ‘দায়ূদ বৈৎলেহমে তার বাড়িতে তাড়াতাড়ি যাবে বলে আমার কাছে মিনতি করে অনুমতি চেয়েছিল, কারণ সেখানে তাদের বংশের জন্য বাৎসরিক যজ্ঞ হচ্ছে।’
7 ἐὰν τάδε εἴπῃ ἀγαθῶς εἰρήνη τῷ δούλῳ σου καὶ ἐὰν σκληρῶς ἀποκριθῇ σοι γνῶθι ὅτι συντετέλεσται ἡ κακία παρ’ αὐτοῦ
তিনি যদি বলেন, ‘ভাল,’ তবে তোমার দাস আমি নিরাপদ; কিন্তু যদি খুব রেগে ওঠেন তবে তুমি জেনো যে, তিনি আমার ক্ষতি করবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন।
8 καὶ ποιήσεις ἔλεος μετὰ τοῦ δούλου σου ὅτι εἰσήγαγες εἰς διαθήκην κυρίου τὸν δοῦλόν σου μετὰ σεαυτοῦ καὶ εἰ ἔστιν ἀδικία ἐν τῷ δούλῳ σου θανάτωσόν με σύ καὶ ἕως τοῦ πατρός σου ἵνα τί οὕτως εἰσάγεις με
তাই তুমি এখন আমার প্রতি বিশ্বস্ত হও, কারণ সদাপ্রভুকে সাক্ষী রেখে তুমি আমার সঙ্গে একটা চুক্তি করেছ। আমি যদি দোষ করে থাকি তবে তুমি নিজেই আমাকে মেরে ফেল, তুমি কেন তোমার বাবার কাছে আমাকে নিয়ে যাবে?”
9 καὶ εἶπεν Ιωναθαν μηδαμῶς σοι ὅτι ἐὰν γινώσκων γνῶ ὅτι συντετέλεσται ἡ κακία παρὰ τοῦ πατρός μου τοῦ ἐλθεῖν ἐπὶ σέ καὶ ἐὰν μή εἰς τὰς πόλεις σου ἐγὼ ἀπαγγελῶ σοι
যোনাথন বললেন, “তুমি কখনও এমন চিন্তা কোরো না। যদি আমি জানতে পারি যে, আমার বাবা তোমার ক্ষতি করাই স্থির করেছেন, তবে নিশ্চয়ই আমি কি তা তোমাকে জানাব না?”
10 καὶ εἶπεν Δαυιδ πρὸς Ιωναθαν τίς ἀπαγγελεῖ μοι ἐὰν ἀποκριθῇ ὁ πατήρ σου σκληρῶς
১০তখন দায়ূদ বললেন, “এই ব্যাপারে তোমার বাবা যদি তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, তবে কে তা আমাকে জানাবে?”
11 καὶ εἶπεν Ιωναθαν πρὸς Δαυιδ πορεύου καὶ μένε εἰς ἀγρόν καὶ ἐκπορεύονται ἀμφότεροι εἰς ἀγρόν
১১যোনাথন বললেন, “চল, আমরা মাঠে যাই।” এই বলে তাঁরা দুইজনে বের হয়ে একসঙ্গে মাঠে গেলেন।
12 καὶ εἶπεν Ιωναθαν πρὸς Δαυιδ κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ οἶδεν ὅτι ἀνακρινῶ τὸν πατέρα μου ὡς ἂν ὁ καιρὸς τρισσῶς καὶ ἰδοὺ ἀγαθὸν ᾖ περὶ Δαυιδ καὶ οὐ μὴ ἀποστείλω πρὸς σὲ εἰς ἀγρόν
১২তারপর যোনাথন দায়ূদকে বললেন, “ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর সদাপ্রভু সাক্ষী, কাল কিম্বা পরশু এই দিনের আমি আমার বাবার সঙ্গে কথা বলে দেখব। যদি তোমার পক্ষে ভাল বুঝি তবে আমি তখনই লোক পাঠিয়ে তোমাকে জানাব।
13 τάδε ποιήσαι ὁ θεὸς τῷ Ιωναθαν καὶ τάδε προσθείη ὅτι ἀνοίσω τὰ κακὰ ἐπὶ σὲ καὶ ἀποκαλύψω τὸ ὠτίον σου καὶ ἐξαποστελῶ σε καὶ ἀπελεύσῃ εἰς εἰρήνην καὶ ἔσται κύριος μετὰ σοῦ καθὼς ἦν μετὰ τοῦ πατρός μου
১৩যদি আমার বাবা তোমার ক্ষতি করতে চান আর আমি তোমাকে না জানাই এবং নিরাপদে তোমাকে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা না করি তবে সদাপ্রভু যেন আমাকে শাস্তি দেন এবং তার থেকেও বেশি শাস্তি দিন। সদাপ্রভু যেমন আমার বাবার সঙ্গে ছিলেন তেমনি তোমার সঙ্গেও থাকুন।
14 καὶ μὲν ἔτι μου ζῶντος καὶ ποιήσεις ἔλεος μετ’ ἐμοῦ καὶ ἐὰν θανάτῳ ἀποθάνω
১৪আমি যদি বেঁচে থাকি তবে সদাপ্রভু যেমন বিশ্বস্ত তেমনি তুমি আমার প্রতি বিশ্বস্ত থেকো। কিন্তু যদি আমি মারা যাই তবে আমার বংশের প্রতিও কোন ত্রুটি কর না
15 οὐκ ἐξαρεῖς ἔλεός σου ἀπὸ τοῦ οἴκου μου ἕως τοῦ αἰῶνος καὶ εἰ μὴ ἐν τῷ ἐξαίρειν κύριον τοὺς ἐχθροὺς Δαυιδ ἕκαστον ἀπὸ προσώπου τῆς γῆς
১৫চিরকাল বিশ্বস্ত থেকো; এমন কি, সদাপ্রভু যখন পৃথিবীর বুক থেকে দায়ূদের প্রতিটি শত্রুকে শেষ করে দেবেন তখনও বিশ্বস্ত থেকো।”
16 ἐξαρθῆναι τὸ ὄνομα τοῦ Ιωναθαν ἀπὸ τοῦ οἴκου Δαυιδ καὶ ἐκζητήσαι κύριος ἐχθροὺς τοῦ Δαυιδ
১৬যোনাথন তখন দায়ূদ ও তাঁর বংশধরদের সঙ্গে এই বলে চুক্তি করলেন, “সদাপ্রভু যেন দায়ূদের শত্রুদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করেন।”
17 καὶ προσέθετο ἔτι Ιωναθαν ὀμόσαι τῷ Δαυιδ ὅτι ἠγάπησεν ψυχὴν ἀγαπῶντος αὐτόν
১৭যোনাথন দায়ূদকে নিজের মতই ভালবাসতেন বলে তিনি দায়ূদকে দিয়ে তাঁর প্রতি দায়ূদের ভালবাসার শপথ আবার করিয়ে নিলেন।
18 καὶ εἶπεν Ιωναθαν αὔριον νουμηνία καὶ ἐπισκεπήσῃ ὅτι ἐπισκεπήσεται καθέδρα σου
১৮পরে যোনাথন দায়ূদকে বললেন, “আগামীকাল অমাবস্যার উৎসব। সেখানে তোমার আসন খালি থাকলে তুমি যে নেই তা চোখে পড়বে।
19 καὶ τρισσεύσεις καὶ ἐπισκέψῃ καὶ ἥξεις εἰς τὸν τόπον σου οὗ ἐκρύβης ἐν τῇ ἡμέρᾳ τῇ ἐργασίμῃ καὶ καθήσῃ παρὰ τὸ εργαβ ἐκεῖνο
১৯তুমি আগে যেখানে লুকিয়ে ছিলে পরশু দিন তাড়াতাড়ি সেখানে গিয়ে এষল নামে বড় পাথরটার কাছে অপেক্ষা কোরো।
20 καὶ ἐγὼ τρισσεύσω ταῖς σχίζαις ἀκοντίζων ἐκπέμπων εἰς τὴν αματταρι
২০আমি যেন কোন কিছু লক্ষ্য করে তীর ছুঁড়ছি এই ভাবে সেই পাথরের পাশে তিনটে তীর ছুঁড়ব।
21 καὶ ἰδοὺ ἀποστελῶ τὸ παιδάριον λέγων δεῦρο εὑρέ μοι τὴν σχίζαν ἐὰν εἴπω λέγων τῷ παιδαρίῳ ὧδε ἡ σχίζα ἀπὸ σοῦ καὶ ὧδε λαβὲ αὐτήν παραγίνου ὅτι εἰρήνη σοι καὶ οὐκ ἔστιν λόγος ζῇ κύριος
২১তারপর একটা ছেলেকে এই বলে পাঠিয়ে দেব, ‘যাও, তীরগুলো খুঁজে নিয়ে এসো।’ যদি আমি তাকে বলি, ‘তীরগুলো তোমার এদিকে আছে, নিয়ে এস,’ তাহলে তুমি চলে এসো, কারণ জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি তুমি নিরাপদ, তোমার কোন ভয় নেই।
22 ἐὰν τάδε εἴπω τῷ νεανίσκῳ ὧδε ἡ σχίζα ἀπὸ σοῦ καὶ ἐπέκεινα πορεύου ὅτι ἐξαπέσταλκέν σε κύριος
২২কিন্তু যদি ছেলেটিকে বলি, ‘তোমার ঐদিকে তীরগুলো রয়েছে,’ তাহলে তুমি চলে যেয়ো, বুঝবে সদাপ্রভুই তোমাকে চলে যেতে বলছেন।
23 καὶ τὸ ῥῆμα ὃ ἐλαλήσαμεν ἐγὼ καὶ σύ ἰδοὺ κύριος μάρτυς ἀνὰ μέσον ἐμοῦ καὶ σοῦ ἕως αἰῶνος
২৩মনে রেখো, তোমার ও আমার মধ্যে এই যে চুক্তি হল সদাপ্রভুই তার চিরকালের সাক্ষী হয়ে রইলেন।”
24 καὶ κρύπτεται Δαυιδ ἐν ἀγρῷ καὶ παραγίνεται ὁ μήν καὶ ἔρχεται ὁ βασιλεὺς ἐπὶ τὴν τράπεζαν τοῦ φαγεῖν
২৪এর পর দায়ূদ মাঠে গিয়ে লুকিয়ে থাকলেন। এদিকে অমাবস্যার উৎসব উপস্থিত হলে রাজা অন্যান্য বারের মত দেয়ালের পাশে নিজের আসনে খেতে বসলেন।
25 καὶ ἐκάθισεν ὁ βασιλεὺς ἐπὶ τὴν καθέδραν αὐτοῦ ὡς ἅπαξ καὶ ἅπαξ ἐπὶ τῆς καθέδρας παρὰ τοῖχον καὶ προέφθασεν τὸν Ιωναθαν καὶ ἐκάθισεν Αβεννηρ ἐκ πλαγίων Σαουλ καὶ ἐπεσκέπη ὁ τόπος Δαυιδ
২৫যোনাথন উঠে দাঁড়ালেন যেন অবনের গিয়ে শৌলের পাশে বসতে পারেন। দায়ূদের আসনটা কিন্তু খালি থাকল।
26 καὶ οὐκ ἐλάλησεν Σαουλ οὐδὲν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ ὅτι εἶπεν σύμπτωμα φαίνεται μὴ καθαρὸς εἶναι ὅτι οὐ κεκαθάρισται
২৬শৌল সেই দিন কিছুই বললেন না, কারণ তিনি ভাবলেন, হয়তো এমন কিছু হয়ে গেছে যাতে দায়ূদ অশুচি হয়েছে; নিশ্চয়ই সে শুচি অবস্থায় নেই।
27 καὶ ἐγενήθη τῇ ἐπαύριον τοῦ μηνὸς τῇ ἡμέρᾳ τῇ δευτέρᾳ καὶ ἐπεσκέπη ὁ τόπος τοῦ Δαυιδ καὶ εἶπεν Σαουλ πρὸς Ιωναθαν τὸν υἱὸν αὐτοῦ τί ὅτι οὐ παραγέγονεν ὁ υἱὸς Ιεσσαι καὶ ἐχθὲς καὶ σήμερον ἐπὶ τὴν τράπεζαν
২৭পরের দিন, অর্থাৎ অমাবস্যা-উৎসবের দ্বিতীয় দিনের ও দায়ূদের আসনটা খালি পড়ে রইল। তখন শৌল তাঁর ছেলে যোনাথনকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যিশয়ের ছেলে খেতে আসে নি কেন? কালও আসে নি, আজও আসে নি।”
28 καὶ ἀπεκρίθη Ιωναθαν τῷ Σαουλ καὶ εἶπεν αὐτῷ παρῄτηται Δαυιδ παρ’ ἐμοῦ ἕως εἰς Βηθλεεμ τὴν πόλιν αὐτοῦ πορευθῆναι
২৮যোনাথন উত্তরে বললেন, “দায়ূদ বৈৎলেহমে যাবার অনুমতি চেয়ে আমাকে খুব মিনতি করেছিল।
29 καὶ εἶπεν ἐξαπόστειλον δή με ὅτι θυσία τῆς φυλῆς ἡμῖν ἐν τῇ πόλει καὶ ἐνετείλαντο πρός με οἱ ἀδελφοί μου καὶ νῦν εἰ εὕρηκα χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς σου διασωθήσομαι δὴ καὶ ὄψομαι τοὺς ἀδελφούς μου διὰ τοῦτο οὐ παραγέγονεν ἐπὶ τὴν τράπεζαν τοῦ βασιλέως
২৯সে আমাকে বলেছিল, ‘দয়া করে আমাকে যেতে দাও; আমাদের বংশের লোকেদের একটা যজ্ঞ আছে এবং আমার ভাই আমাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে আদেশ করেছেন। যদি আমার প্রতি তোমার মনে একটু দয়া থাকে তবে আমাকে গিয়ে আমার ভাইদের দেখে আসবার অনুমতি দাও।’ সেইজন্যই সে মহারাজার ভোজে আসে নি।”
30 καὶ ἐθυμώθη ὀργῇ Σαουλ ἐπὶ Ιωναθαν σφόδρα καὶ εἶπεν αὐτῷ υἱὲ κορασίων αὐτομολούντων οὐ γὰρ οἶδα ὅτι μέτοχος εἶ σὺ τῷ υἱῷ Ιεσσαι εἰς αἰσχύνην σου καὶ εἰς αἰσχύνην ἀποκαλύψεως μητρός σου
৩০এই কথা শুনে শৌল যোনাথনের উপর রেগে আগুন হয়ে গেলেন। তিনি তাঁকে বললেন, “ওরে বিদ্রোহিনী স্ত্রীলোকের জারজ সন্তান! আমি কি জানি না যে, তুই যিশয়ের ছেলের পক্ষ নিয়েছিস্‌ আর তাতে তুই নিজের উপর এবং তোর মায়ের উপর লজ্জা ডেকে এনেছিস?
31 ὅτι πάσας τὰς ἡμέρας ἃς ὁ υἱὸς Ιεσσαι ζῇ ἐπὶ τῆς γῆς οὐχ ἑτοιμασθήσεται ἡ βασιλεία σου νῦν οὖν ἀποστείλας λαβὲ τὸν νεανίαν ὅτι υἱὸς θανάτου οὗτος
৩১যতদিন যিশয়ের ছেলে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে ততদিন তুই স্থির থাকবি না, তোর রাজ্যও স্থির থাকবে না। কাজেই এখনই লোক পাঠিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আয়, তাকে মরতেই হবে।”
32 καὶ ἀπεκρίθη Ιωναθαν τῷ Σαουλ ἵνα τί ἀποθνῄσκει τί πεποίηκεν
৩২যোনাথন তাঁর বাবাকে বললেন, “কেন তাকে মরতে হবে? সে কি করেছে?”
33 καὶ ἐπῆρεν Σαουλ τὸ δόρυ ἐπὶ Ιωναθαν τοῦ θανατῶσαι αὐτόν καὶ ἔγνω Ιωναθαν ὅτι συντετέλεσται ἡ κακία αὕτη παρὰ τοῦ πατρὸς αὐτοῦ θανατῶσαι τὸν Δαυιδ
৩৩তখন শৌল যোনাথনকে মেরে ফেলার জন্য বর্শা ছুঁড়লেন। এতে যোনাথন বুঝতে পারলেন, তাঁর বাবা দায়ূদকে মেরে ফেলবেন বলে ঠিক করেছেন।
34 καὶ ἀνεπήδησεν Ιωναθαν ἀπὸ τῆς τραπέζης ἐν ὀργῇ θυμοῦ καὶ οὐκ ἔφαγεν ἐν τῇ δευτέρᾳ τοῦ μηνὸς ἄρτον ὅτι ἐθραύσθη ἐπὶ τὸν Δαυιδ ὅτι συνετέλεσεν ἐπ’ αὐτὸν ὁ πατὴρ αὐτοῦ
৩৪তখন যোনাথন ভীষণ রেগে গিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে গেলেন এবং সেই দিনের র ভোজে কিছুই খেলেন না। তাঁর বাবা দায়ূদকে অপমান করেছিলেন বলে তাঁর মনে খুব দুঃখ হল।
35 καὶ ἐγενήθη πρωὶ καὶ ἐξῆλθεν Ιωναθαν εἰς ἀγρόν καθὼς ἐτάξατο εἰς τὸ μαρτύριον Δαυιδ καὶ παιδάριον μικρὸν μετ’ αὐτοῦ
৩৫দায়ূদের সঙ্গে যোনাথনের যে ব্যবস্থা হয়েছিল সেই অনুসারে পরদিন সকালে যোনাথন বের হয়ে মাঠে গেলেন। তাঁর সঙ্গে একটি ছোট ছেলে ছিল।
36 καὶ εἶπεν τῷ παιδαρίῳ δράμε εὑρέ μοι τὰς σχίζας ἐν αἷς ἐγὼ ἀκοντίζω καὶ τὸ παιδάριον ἔδραμε καὶ αὐτὸς ἠκόντιζε τῇ σχίζῃ καὶ παρήγαγεν αὐτήν
৩৬তিনি ছেলেটিকে বললেন, “আমি যে তীর ছুঁড়ব তুমি দৌড়ে গিয়ে তা খুঁজে আন।” ছেলেটি যখন দৌড়াচ্ছিল তখন তিনি ছেলেটিকে ছাড়িয়ে সামনের দিকে তীর ছুঁড়লেন।
37 καὶ ἦλθεν τὸ παιδάριον ἕως τοῦ τόπου τῆς σχίζης οὗ ἠκόντιζεν Ιωναθαν καὶ ἀνεβόησεν Ιωναθαν ὀπίσω τοῦ νεανίου καὶ εἶπεν ἐκεῖ ἡ σχίζα ἀπὸ σοῦ καὶ ἐπέκεινα
৩৭যোনাথনের তীরটা যেখানে পড়েছিল ছেলেটি সেখানে গেলে পর তিনি তাকে ডেকে বললেন, “তোমার ঐদিকে কি তীর নেই।”
38 καὶ ἀνεβόησεν Ιωναθαν ὀπίσω τοῦ παιδαρίου αὐτοῦ λέγων ταχύνας σπεῦσον καὶ μὴ στῇς καὶ ἀνέλεξεν τὸ παιδάριον Ιωναθαν τὰς σχίζας πρὸς τὸν κύριον αὐτοῦ
৩৮তারপর তিনি চেঁচিয়ে বললেন, “শিগ্‌গির দৌড়ে যাও, থেমো না।” ছেলেটি তীর কুড়িয়ে নিয়ে তার মনিবের কাছে ফিরে আসল।
39 καὶ τὸ παιδάριον οὐκ ἔγνω οὐθέν πάρεξ Ιωναθαν καὶ Δαυιδ ἔγνωσαν τὸ ῥῆμα
৩৯ছেলেটি এই সব বিষয়ের কিছুই বুঝল না, বুঝলেন কেবল যোনাথন আর দায়ূদ।
40 καὶ Ιωναθαν ἔδωκεν τὰ σκεύη αὐτοῦ ἐπὶ τὸ παιδάριον αὐτοῦ καὶ εἶπεν τῷ παιδαρίῳ αὐτοῦ πορεύου εἴσελθε εἰς τὴν πόλιν
৪০এর পর যোনাথন তাঁর তীর-ধনুক ছেলেটির হাতে দিয়ে বললেন, “তুমি এগুলো নিয়ে হিবিয়া শহরে ফিরে যাও।”
41 καὶ ὡς εἰσῆλθεν τὸ παιδάριον καὶ Δαυιδ ἀνέστη ἀπὸ τοῦ εργαβ καὶ ἔπεσεν ἐπὶ πρόσωπον αὐτοῦ καὶ προσεκύνησεν αὐτῷ τρίς καὶ κατεφίλησεν ἕκαστος τὸν πλησίον αὐτοῦ καὶ ἔκλαυσεν ἕκαστος τῷ πλησίον αὐτοῦ ἕως συντελείας μεγάλης
৪১ছেলেটি চলে গেলে পর দায়ূদ সেই পাথরটার দক্ষিণ দিক থেকে উঠে আসলেন। তিনি যোনাথনের সামনে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে তিনবার তাঁকে প্রণাম করলেন। তারপর তাঁরা একে অন্যকে চুম্বন করে কাঁদতে লাগলেন, তবে দায়ূদই বেশী কাঁদলেন।
42 καὶ εἶπεν Ιωναθαν πορεύου εἰς εἰρήνην καὶ ὡς ὀμωμόκαμεν ἡμεῖς ἀμφότεροι ἐν ὀνόματι κυρίου λέγοντες κύριος ἔσται μάρτυς ἀνὰ μέσον ἐμοῦ καὶ σοῦ καὶ ἀνὰ μέσον τοῦ σπέρματός μου καὶ ἀνὰ μέσον τοῦ σπέρματός σου ἕως αἰῶνος καὶ ἀνέστη Δαυιδ καὶ ἀπῆλθεν καὶ Ιωναθαν εἰσῆλθεν εἰς τὴν πόλιν
৪২পরে যোনাথন দায়ূদকে বললেন, “তুমি নির্ভয়ে চলে যাও, কারণ আমরা সদাপ্রভুর নাম করে একে অন্যের কাছে শপথ করে বলেছি, ‘সদাপ্রভু তোমার ও আমার মধ্যে এবং তোমার ও আমার বংশধরদের মধ্যে চিরকাল সাক্ষী থাকবেন’।” পরে তিনি চলেগেলেন আর যোনাথন শহরে ফিরে গেলেন।

< Βασιλειῶν Αʹ 20 >