Βασιλειῶν Αʹ 16
1 καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Σαμουηλ ἕως πότε σὺ πενθεῖς ἐπὶ Σαουλ κἀγὼ ἐξουδένωκα αὐτὸν μὴ βασιλεύειν ἐπὶ Ισραηλ πλῆσον τὸ κέρας σου ἐλαίου καὶ δεῦρο ἀποστείλω σε πρὸς Ιεσσαι ἕως εἰς Βηθλεεμ ὅτι ἑόρακα ἐν τοῖς υἱοῖς αὐτοῦ ἐμοὶ βασιλεύειν
সদাপ্রভু শমূয়েলকে বললেন, “ইস্রায়েলের রাজারূপে আমি শৌলকে অগ্রাহ্য করেছি, তাই তুমি আর কত দিন তার জন্য কান্নাকাটি করবে? তোমার শিঙায় তেল ভরে নাও ও বেরিয়ে পড়ো; আমি তোমাকে বেথলেহেমে যিশয়ের কাছে পাঠাচ্ছি। আমি তার ছেলেদের মধ্যে একজনকে রাজা হওয়ার জন্য মনোনীত করেছি।”
2 καὶ εἶπεν Σαμουηλ πῶς πορευθῶ καὶ ἀκούσεται Σαουλ καὶ ἀποκτενεῖ με καὶ εἶπεν κύριος δάμαλιν βοῶν λαβὲ ἐν τῇ χειρί σου καὶ ἐρεῖς θῦσαι τῷ κυρίῳ ἥκω
কিন্তু শমূয়েল বললেন, “আমি কীভাবে যাব? শৌল যদি শুনতে পায়, তবে সে আমাকে মেরে ফেলবে।” সদাপ্রভু বললেন, “তুমি সাথে করে একটি বকনা-বাছুর নিয়ে গিয়ে বলো, ‘আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলিদান উৎসর্গ করতে এসেছি।’
3 καὶ καλέσεις τὸν Ιεσσαι εἰς τὴν θυσίαν καὶ γνωριῶ σοι ἃ ποιήσεις καὶ χρίσεις ὃν ἐὰν εἴπω πρὸς σέ
বলিদানের অনুষ্ঠানে যিশয়কে নিমন্ত্রণ কোরো, আর আমি তোমায় জানিয়ে দেব ঠিক কী করতে হবে। আমি যার দিকে ইঙ্গিত করব, তুমি তাকেই অভিষিক্ত করবে।”
4 καὶ ἐποίησεν Σαμουηλ πάντα ἃ ἐλάλησεν αὐτῷ κύριος καὶ ἦλθεν εἰς Βηθλεεμ καὶ ἐξέστησαν οἱ πρεσβύτεροι τῆς πόλεως τῇ ἀπαντήσει αὐτοῦ καὶ εἶπαν εἰρήνη ἡ εἴσοδός σου ὁ βλέπων
সদাপ্রভু যা বললেন শমূয়েল ঠিক তাই করলেন। তিনি বেথলেহেমে পৌঁছালে, তাঁকে দেখে নগরের প্রাচীনেরা শিহরিত হলেন। তাঁরা প্রশ্ন করলেন, “আপনি শান্তিভাব নিয়ে এসেছেন তো?”
5 καὶ εἶπεν εἰρήνη θῦσαι τῷ κυρίῳ ἥκω ἁγιάσθητε καὶ εὐφράνθητε μετ’ ἐμοῦ σήμερον καὶ ἡγίασεν τὸν Ιεσσαι καὶ τοὺς υἱοὺς αὐτοῦ καὶ ἐκάλεσεν αὐτοὺς εἰς τὴν θυσίαν
শমূয়েল উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, শান্তিভাব নিয়েই এসেছি; আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলিদান উৎসর্গ করতে এসেছি। তোমরা নিজেদের শুচিশুদ্ধ করো ও আমার সঙ্গে বলিদান উৎসর্গ করতে চলো।” পরে তিনি যিশয় ও তাঁর ছেলেদের শুদ্ধকরণ করে বলিদান উৎসর্গ করার জন্য তাঁদের নিমন্ত্রণ জানালেন।
6 καὶ ἐγενήθη ἐν τῷ αὐτοὺς εἰσιέναι καὶ εἶδεν τὸν Ελιαβ καὶ εἶπεν ἀλλὰ καὶ ἐνώπιον κυρίου χριστὸς αὐτοῦ
তাঁরা সেখানে পৌঁছালে, শমূয়েল ইলীয়াবকে দেখে ভাবলেন, “সদাপ্রভুর অভিষিক্ত ব্যক্তিই নিশ্চয় এখানে সদাপ্রভুর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।”
7 καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Σαμουηλ μὴ ἐπιβλέψῃς ἐπὶ τὴν ὄψιν αὐτοῦ μηδὲ εἰς τὴν ἕξιν μεγέθους αὐτοῦ ὅτι ἐξουδένωκα αὐτόν ὅτι οὐχ ὡς ἐμβλέψεται ἄνθρωπος ὄψεται ὁ θεός ὅτι ἄνθρωπος ὄψεται εἰς πρόσωπον ὁ δὲ θεὸς ὄψεται εἰς καρδίαν
কিন্তু সদাপ্রভু শমূয়েলকে বললেন, “এর চেহারা বা উচ্চতা দেখতে যেয়ো না, কারণ আমি একে অগ্রাহ্য করেছি। মানুষ যা দেখে সদাপ্রভু তা দেখেন না। মানুষ বাইরের চেহারাই দেখে, কিন্তু সদাপ্রভু অন্তর দেখেন।”
8 καὶ ἐκάλεσεν Ιεσσαι τὸν Αμιναδαβ καὶ παρῆλθεν κατὰ πρόσωπον Σαμουηλ καὶ εἶπεν οὐδὲ τοῦτον ἐξελέξατο κύριος
পরে যিশয় অবীনাদবকে ডেকে তাকে শমূয়েলের সামনে দিয়ে হাঁটালেন। কিন্তু শমূয়েল বললেন, “সদাপ্রভু একেও মনোনীত করেননি।”
9 καὶ παρήγαγεν Ιεσσαι τὸν Σαμα καὶ εἶπεν καὶ ἐν τούτῳ οὐκ ἐξελέξατο κύριος
যিশয় পরে শম্মকে হাঁটালেন, কিন্তু শমূয়েল বললেন, “সদাপ্রভু একেও মনোনীত করেননি।”
10 καὶ παρήγαγεν Ιεσσαι τοὺς ἑπτὰ υἱοὺς αὐτοῦ ἐνώπιον Σαμουηλ καὶ εἶπεν Σαμουηλ οὐκ ἐξελέξατο κύριος ἐν τούτοις
যিশয় তাঁর সাত ছেলেদের প্রত্যেককেই শমূয়েলের সামনে দিয়ে হাঁটালেন, কিন্তু শমূয়েল তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভু এদের কাউকেই মনোনীত করেননি।”
11 καὶ εἶπεν Σαμουηλ πρὸς Ιεσσαι ἐκλελοίπασιν τὰ παιδάρια καὶ εἶπεν ἔτι ὁ μικρὸς ἰδοὺ ποιμαίνει ἐν τῷ ποιμνίῳ καὶ εἶπεν Σαμουηλ πρὸς Ιεσσαι ἀπόστειλον καὶ λαβὲ αὐτόν ὅτι οὐ μὴ κατακλιθῶμεν ἕως τοῦ ἐλθεῖν αὐτόν
অতএব তিনি যিশয়কে প্রশ্ন করলেন, “তোমার কি এই কটিই ছেলে আছে?” “সবচেয়ে ছোটো একজন আছে,” যিশয় উত্তর দিলেন। “সে তো মেষ চরাচ্ছে।” শমূয়েল বললেন, “তাকে ডেকে পাঠাও; সে না আসা পর্যন্ত আমরা খেতে বসব না।”
12 καὶ ἀπέστειλεν καὶ εἰσήγαγεν αὐτόν καὶ οὗτος πυρράκης μετὰ κάλλους ὀφθαλμῶν καὶ ἀγαθὸς ὁράσει κυρίῳ καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Σαμουηλ ἀνάστα καὶ χρῖσον τὸν Δαυιδ ὅτι οὗτος ἀγαθός ἐστιν
অতএব যিশয় লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনালেন। সে ছিল সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও তার চোখদুটি ছিল সুন্দর এবং দেখতেও সে ছিল রূপবান। তখন সদাপ্রভু বলে উঠলেন, “ওঠো ও একে অভিষিক্ত করো; এই সেই লোক।”
13 καὶ ἔλαβεν Σαμουηλ τὸ κέρας τοῦ ἐλαίου καὶ ἔχρισεν αὐτὸν ἐν μέσῳ τῶν ἀδελφῶν αὐτοῦ καὶ ἐφήλατο πνεῦμα κυρίου ἐπὶ Δαυιδ ἀπὸ τῆς ἡμέρας ἐκείνης καὶ ἐπάνω καὶ ἀνέστη Σαμουηλ καὶ ἀπῆλθεν εἰς Αρμαθαιμ
তাই শমূয়েল তেলের শিঙা নিয়ে তাকে তার দাদাদের উপস্থিতিতে অভিষিক্ত করলেন, আর সেইদিন থেকেই সদাপ্রভুর আত্মা দাউদের উপর সপরাক্রমে নেমে এলেন। পরে শমূয়েল রামায় চলে গেলেন।
14 καὶ πνεῦμα κυρίου ἀπέστη ἀπὸ Σαουλ καὶ ἔπνιγεν αὐτὸν πνεῦμα πονηρὸν παρὰ κυρίου
ইত্যবসরে সদাপ্রভুর আত্মা শৌলকে ছেড়ে গেলেন, এবং সদাপ্রভুর কাছ থেকে এক মন্দ আত্মা এসে তাঁকে উত্যক্ত করল।
15 καὶ εἶπαν οἱ παῖδες Σαουλ πρὸς αὐτόν ἰδοὺ δὴ πνεῦμα κυρίου πονηρὸν πνίγει σε
শৌলের পরিচারকেরা তাঁকে বলল, “দেখুন, ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা এক মন্দ-আত্মা আপনাকে উত্যক্ত করছে।
16 εἰπάτωσαν δὴ οἱ δοῦλοί σου ἐνώπιόν σου καὶ ζητησάτωσαν τῷ κυρίῳ ἡμῶν ἄνδρα εἰδότα ψάλλειν ἐν κινύρᾳ καὶ ἔσται ἐν τῷ εἶναι πνεῦμα πονηρὸν ἐπὶ σοὶ καὶ ψαλεῖ ἐν τῇ κινύρᾳ αὐτοῦ καὶ ἀγαθόν σοι ἔσται καὶ ἀναπαύσει σε
আমাদের প্রভু এখানে তাঁর দাসদের আদেশ করুন, আমরা এমন একজনকে খুঁজে আনি যে বীণা বাজাতে পারে। মন্দ আত্মাটি যখন ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনার উপর নেমে আসবে তখন সে বীণা বাজাবে, এবং আপনার ভালো লাগবে।”
17 καὶ εἶπεν Σαουλ πρὸς τοὺς παῖδας αὐτοῦ ἴδετε δή μοι ἄνδρα ὀρθῶς ψάλλοντα καὶ εἰσαγάγετε αὐτὸν πρὸς ἐμέ
অতএব শৌল তাঁর পরিচারকদের বললেন, “এমন কাউকে খুঁজে বের করো যে বেশ ভালো বাজাতে জানে এবং তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো।”
18 καὶ ἀπεκρίθη εἷς τῶν παιδαρίων αὐτοῦ καὶ εἶπεν ἰδοὺ ἑόρακα υἱὸν τῷ Ιεσσαι Βηθλεεμίτην καὶ αὐτὸν εἰδότα ψαλμόν καὶ ὁ ἀνὴρ συνετός καὶ ὁ ἀνὴρ πολεμιστὴς καὶ σοφὸς λόγῳ καὶ ἀνὴρ ἀγαθὸς τῷ εἴδει καὶ κύριος μετ’ αὐτοῦ
দাসদের মধ্যে একজন উত্তর দিল, “আমি বেথলেহেম নিবাসী যিশয়ের ছেলেদের মধ্যে একজনকে দেখেছি যে বীণা বাজাতে জানে। সে একজন বীরপুরুষ ও এক যোদ্ধাও। সে বেশ ভালো কথা বলে ও রূপবানও বটে। সদাপ্রভুও তার সহবর্তী।”
19 καὶ ἀπέστειλεν Σαουλ ἀγγέλους πρὸς Ιεσσαι λέγων ἀπόστειλον πρός με τὸν υἱόν σου Δαυιδ τὸν ἐν τῷ ποιμνίῳ σου
তখন শৌল যিশয়ের কাছে দূত পাঠিয়ে বললেন, “আমার কাছে তোমার ছেলে সেই দাউদকে পাঠিয়ে দাও, যে মেষপাল দেখাশোনা করছে।”
20 καὶ ἔλαβεν Ιεσσαι γομορ ἄρτων καὶ ἀσκὸν οἴνου καὶ ἔριφον αἰγῶν ἕνα καὶ ἐξαπέστειλεν ἐν χειρὶ Δαυιδ τοῦ υἱοῦ αὐτοῦ πρὸς Σαουλ
অতএব যিশয় একটি গাধার পিঠে কিছু রুটি ও এক মশক ভরা দ্রাক্ষারস, এবং একটি কচি পাঁঠা সমেত তাঁর ছেলে দাউদকে শৌলের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
21 καὶ εἰσῆλθεν Δαυιδ πρὸς Σαουλ καὶ παρειστήκει ἐνώπιον αὐτοῦ καὶ ἠγάπησεν αὐτὸν σφόδρα καὶ ἐγενήθη αὐτῷ αἴρων τὰ σκεύη αὐτοῦ
দাউদ শৌলের কাছে এসে তাঁর সেবাকাজে বহাল হলেন। শৌলের তাকে খুব পছন্দ হল, এবং দাউদ তাঁর অস্ত্র-বহনকারীদের মধ্যে একজন হয়ে গেলেন।
22 καὶ ἀπέστειλεν Σαουλ πρὸς Ιεσσαι λέγων παριστάσθω δὴ Δαυιδ ἐνώπιον ἐμοῦ ὅτι εὗρεν χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς μου
পরে শৌল যিশয়কে বলে পাঠালেন, “দাউদকে আমার সেবাকাজে বহাল থাকতে দাও, কারণ আমার ওকে ভালো লেগেছে।”
23 καὶ ἐγενήθη ἐν τῷ εἶναι πνεῦμα πονηρὸν ἐπὶ Σαουλ καὶ ἐλάμβανεν Δαυιδ τὴν κινύραν καὶ ἔψαλλεν ἐν τῇ χειρὶ αὐτοῦ καὶ ἀνέψυχεν Σαουλ καὶ ἀγαθὸν αὐτῷ καὶ ἀφίστατο ἀπ’ αὐτοῦ τὸ πνεῦμα τὸ πονηρόν
যখনই ঈশ্বরের কাছ থেকে আত্মাটি নেমে আসত, দাউদ তার বীণাটি নিয়ে বাজাতে শুরু করতেন। তখনই শৌল স্বস্তি পেতেন; তাঁর ভালো লাগত, ও মন্দ আত্মাটি তাঁকে ছেড়ে চলে যেত।
