< Βασιλειῶν Γʹ 3 >
১শলোমন মিশরের রাজা ফরৌণের মেয়েকে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করলেন। শলোমনের রাজবাড়ী, সদাপ্রভুর ঘর এবং যিরূশালেমের চারপাশের দেয়াল গাঁথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর স্ত্রীকে দায়ূদ শহরেই রাখলেন।
2 πλὴν ὁ λαὸς ἦσαν θυμιῶντες ἐπὶ τοῖς ὑψηλοῖς ὅτι οὐκ ᾠκοδομήθη οἶκος τῷ ὀνόματι κυρίου ἕως νῦν
২লোকেরা তখনও উপাসনার উঁচু জায়গাগুলোতে তাদের পশু বলিদানের অনুষ্ঠান করত, কারণ তখনও সদাপ্রভুর উপাসনার জন্য কোনো ঘর তৈরী করা হয়নি।
3 καὶ ἠγάπησεν Σαλωμων τὸν κύριον πορεύεσθαι ἐν τοῖς προστάγμασιν Δαυιδ τοῦ πατρὸς αὐτοῦ πλὴν ἐν τοῖς ὑψηλοῖς ἔθυεν καὶ ἐθυμία
৩শলোমন সদাপ্রভুকে ভালবাসতেন, সেইজন্য তাঁর বাবা দায়ূদের আদেশ অনুসারে জীবনযাপন করতেন; কিন্তু তিনি উপাসনার উঁচু জায়গাগুলোতে পশু বলিদান করতেন এবং ধূপ জ্বালাতেন।
4 καὶ ἀνέστη καὶ ἐπορεύθη εἰς Γαβαων θῦσαι ἐκεῖ ὅτι αὐτὴ ὑψηλοτάτη καὶ μεγάλη χιλίαν ὁλοκαύτωσιν ἀνήνεγκεν Σαλωμων ἐπὶ τὸ θυσιαστήριον ἐν Γαβαων
৪রাজা একদিন পশু বলিদানের জন্য গিবিয়োনে গিয়েছিলেন, কারণ উৎসর্গের জন্য সেখানকার উপাসনার উঁচু স্থানটা ছিল প্রধান। শলোমন সেখানে এক হাজার পশু দিয়ে হোমবলির অনুষ্ঠান করলেন।
5 καὶ ὤφθη κύριος τῷ Σαλωμων ἐν ὕπνῳ τὴν νύκτα καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Σαλωμων αἴτησαί τι αἴτημα σαυτῷ
৫গিবিয়োনে রাতের বেলা সদাপ্রভু স্বপ্নের মধ্যে শলোমনের কাছে উপস্থিত হলেন। ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “বল, আমি তোমাকে কি দেব?”
6 καὶ εἶπεν Σαλωμων σὺ ἐποίησας μετὰ τοῦ δούλου σου Δαυιδ τοῦ πατρός μου ἔλεος μέγα καθὼς διῆλθεν ἐνώπιόν σου ἐν ἀληθείᾳ καὶ ἐν δικαιοσύνῃ καὶ ἐν εὐθύτητι καρδίας μετὰ σοῦ καὶ ἐφύλαξας αὐτῷ τὸ ἔλεος τὸ μέγα τοῦτο δοῦναι τὸν υἱὸν αὐτοῦ ἐπὶ τοῦ θρόνου αὐτοῦ ὡς ἡ ἡμέρα αὕτη
৬উত্তরে শলোমন বললেন, “তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদকে তুমি অনেক বিশ্বস্ততা দেখিয়েছ, কারণ তিনি তোমার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন এবং খাঁটি ও সৎ ছিলেন। আজ তাঁর সিংহাসনে বসবার জন্য তুমি তাঁকে একটি ছেলে দিয়েছ এবং এই ভাবে তোমার সেই সীমাহীন বিশ্বস্ততা তাঁকে দেখিয়ে যাচ্ছ।
7 καὶ νῦν κύριε ὁ θεός μου σὺ ἔδωκας τὸν δοῦλόν σου ἀντὶ Δαυιδ τοῦ πατρός μου καὶ ἐγώ εἰμι παιδάριον μικρὸν καὶ οὐκ οἶδα τὴν ἔξοδόν μου καὶ τὴν εἴσοδόν μου
৭হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমার বাবা দায়ূদের জায়গায় তুমি এখন তোমার দাসকে রাজা করেছ। কিন্তু বয়স আমার খুবই কম, আমি জানি না কি করে বাইরে যেতে হয় এবং ভিতরে আসতে হয়।
8 ὁ δὲ δοῦλός σου ἐν μέσῳ τοῦ λαοῦ σου ὃν ἐξελέξω λαὸν πολύν ὃς οὐκ ἀριθμηθήσεται
৮এখানে তোমার দাস তোমার বেছে নেওয়া লোকদের মধ্যে রয়েছে। তারা এমন একটা মহাজাতি যে, তাদের সংখ্যা গণনা করা যায় না।
9 καὶ δώσεις τῷ δούλῳ σου καρδίαν ἀκούειν καὶ διακρίνειν τὸν λαόν σου ἐν δικαιοσύνῃ τοῦ συνίειν ἀνὰ μέσον ἀγαθοῦ καὶ κακοῦ ὅτι τίς δυνήσεται κρίνειν τὸν λαόν σου τὸν βαρὺν τοῦτον
৯সেইজন্য তোমার লোকদের শাসন করবার জন্য এবং কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল তা জানবার জন্য তুমি তোমার দাসের মনে বোঝবার ক্ষমতা দাও। কারণ কার সাধ্য আছে তোমার এই মহাজাতির বিচার করে?”
10 καὶ ἤρεσεν ἐνώπιον κυρίου ὅτι ᾐτήσατο Σαλωμων τὸ ῥῆμα τοῦτο
১০শলোমনের এই অনুরোধ সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করল।
11 καὶ εἶπεν κύριος πρὸς αὐτόν ἀνθ’ ὧν ᾐτήσω παρ’ ἐμοῦ τὸ ῥῆμα τοῦτο καὶ οὐκ ᾐτήσω σαυτῷ ἡμέρας πολλὰς καὶ οὐκ ᾐτήσω πλοῦτον οὐδὲ ᾐτήσω ψυχὰς ἐχθρῶν σου ἀλλ’ ᾐτήσω σαυτῷ σύνεσιν τοῦ εἰσακούειν κρίμα
১১ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “তুমি অনেক আয়ু, কিম্বা নিজের জন্য ধন সম্পদ, কিম্বা তোমার শত্রুদের মৃত্যু না চেয়ে যখন সুবিচার করবার জন্য বোঝবার ক্ষমতা চেয়েছ,
12 ἰδοὺ πεποίηκα κατὰ τὸ ῥῆμά σου ἰδοὺ δέδωκά σοι καρδίαν φρονίμην καὶ σοφήν ὡς σὺ οὐ γέγονεν ἔμπροσθέν σου καὶ μετὰ σὲ οὐκ ἀναστήσεται ὅμοιός σοι
১২তখন তুমি যা চেয়েছ তাই আমি তোমাকে দেব। আমি তোমার অন্তরে এমন জ্ঞান ও বিচারবুদ্ধি দিলাম যার জন্য দেখা যাবে যে, এর আগে তোমার মত আর কেউ ছিল না আর পরেও হবে না।
13 καὶ ἃ οὐκ ᾐτήσω δέδωκά σοι καὶ πλοῦτον καὶ δόξαν ὡς οὐ γέγονεν ἀνὴρ ὅμοιός σοι ἐν βασιλεῦσιν
১৩আমি তোমাকে সেটা দিলাম যেটা তুমি চাওনি। আমি তোমাকে এমন ধন সম্পদ ও সম্মান দিলাম যার ফলে তোমার জীবনকালে রাজাদের মধ্যে আর কেউ তোমার সমান হবে না।
14 καὶ ἐὰν πορευθῇς ἐν τῇ ὁδῷ μου φυλάσσειν τὰς ἐντολάς μου καὶ τὰ προστάγματά μου ὡς ἐπορεύθη Δαυιδ ὁ πατήρ σου καὶ πληθυνῶ τὰς ἡμέρας σου
১৪তোমার বাবা দায়ূদের মত করে যদি তুমি আমার সব নিয়ম ও আদেশ পালন করার জন্য আমার পথে চল তবে আমি তোমাকে অনেক আয়ু দেব।”
15 καὶ ἐξυπνίσθη Σαλωμων καὶ ἰδοὺ ἐνύπνιον καὶ ἀνέστη καὶ παραγίνεται εἰς Ιερουσαλημ καὶ ἔστη κατὰ πρόσωπον τοῦ θυσιαστηρίου τοῦ κατὰ πρόσωπον κιβωτοῦ διαθήκης κυρίου ἐν Σιων καὶ ἀνήγαγεν ὁλοκαυτώσεις καὶ ἐποίησεν εἰρηνικὰς καὶ ἐποίησεν πότον μέγαν ἑαυτῷ καὶ πᾶσιν τοῖς παισὶν αὐτοῦ
১৫এর পর শলোমন জেগে উঠলেন আর বুঝতে পারলেন যে, ওটা একটা স্বপ্ন ছিল। পরে শলোমন যিরূশালেমে ফিরে গিয়ে সদাপ্রভুর সাক্ষ্য সিন্দুকের সামনে দাঁড়ালেন এবং অনেক পশু দিয়ে হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলির অনুষ্ঠান করলেন। তারপর তাঁর সমস্ত কর্মচারীদের জন্য একটা ভোজ দিলেন।
16 τότε ὤφθησαν δύο γυναῖκες πόρναι τῷ βασιλεῖ καὶ ἔστησαν ἐνώπιον αὐτοῦ
১৬সেই দিনের দুইজন বেশ্যা স্ত্রীলোক এসে রাজার সামনে দাঁড়াল।
17 καὶ εἶπεν ἡ γυνὴ ἡ μία ἐν ἐμοί κύριε ἐγὼ καὶ ἡ γυνὴ αὕτη οἰκοῦμεν ἐν οἴκῳ ἑνὶ καὶ ἐτέκομεν ἐν τῷ οἴκῳ
১৭তাদের মধ্যে একজন বলল, “হে আমার প্রভু, এই স্ত্রীলোকটী এবং আমি একই ঘরে থাকি। সে সেখানে থাকবার দিন আমার একটি সন্তান প্রসব হয়।
18 καὶ ἐγενήθη ἐν τῇ ἡμέρᾳ τῇ τρίτῃ τεκούσης μου καὶ ἔτεκεν καὶ ἡ γυνὴ αὕτη καὶ ἡμεῖς κατὰ τὸ αὐτό καὶ οὐκ ἔστιν οὐθεὶς μεθ’ ἡμῶν πάρεξ ἀμφοτέρων ἡμῶν ἐν τῷ οἴκῳ
১৮আমার প্রসবের তিন দিন পরে এই স্ত্রীলোকটিও প্রসব করল। ঘরে আর কেউ ছিল না, শুধু আমরা দুইজনই ছিলাম।
19 καὶ ἀπέθανεν ὁ υἱὸς τῆς γυναικὸς ταύτης τὴν νύκτα ὡς ἐπεκοιμήθη ἐπ’ αὐτόν
১৯রাতের বেলা এই স্ত্রীলোকটী ছেলেটির উপর শুয়ে পড়ায় তার সন্তানটি মারা গেল।
20 καὶ ἀνέστη μέσης τῆς νυκτὸς καὶ ἔλαβεν τὸν υἱόν μου ἐκ τῶν ἀγκαλῶν μου καὶ ἐκοίμισεν αὐτὸν ἐν τῷ κόλπῳ αὐτῆς καὶ τὸν υἱὸν αὐτῆς τὸν τεθνηκότα ἐκοίμισεν ἐν τῷ κόλπῳ μου
২০মাঝ রাতে আপনার দাসী আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম, তখন সে উঠে আমার পাশ থেকে আমার সন্তানকে নিয়ে নিজের বুকের কাছে রাখল আর তার মরা সন্তানকে নিয়ে আমার বুকের কাছে রাখল।
21 καὶ ἀνέστην τὸ πρωὶ θηλάσαι τὸν υἱόν μου καὶ ἐκεῖνος ἦν τεθνηκώς καὶ ἰδοὺ κατενόησα αὐτὸν πρωί καὶ ἰδοὺ οὐκ ἦν ὁ υἱός μου ὃν ἔτεκον
২১ভোররাতে আমার সন্তানকে দুধ খাওয়াতে উঠে দেখলাম ছেলেটি মরা। সকালের আলোতে আমি যখন তাকে ভাল করে দেখলাম তখন বুঝলাম সে আমার নিজের জন্ম দেওয়া ছেলে নয়।”
22 καὶ εἶπεν ἡ γυνὴ ἡ ἑτέρα οὐχί ἀλλὰ ὁ υἱός μου ὁ ζῶν ὁ δὲ υἱός σου ὁ τεθνηκώς καὶ ἐλάλησαν ἐνώπιον τοῦ βασιλέως
২২তখন অন্য স্ত্রীলোকটী বলল, “না, না, জীবিত ছেলেটি আমার আর মরাটা তোমার।” কিন্তু প্রথমজন জোর দিয়ে বলল, “না, মরাটা তোমার আর জীবিতটা আমার।” এই ভাবে রাজার সামনেই তারা কথা বলতে লাগল।
23 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς αὐταῖς σὺ λέγεις οὗτος ὁ υἱός μου ὁ ζῶν καὶ ὁ υἱὸς ταύτης ὁ τεθνηκώς καὶ σὺ λέγεις οὐχί ἀλλὰ ὁ υἱός μου ὁ ζῶν καὶ ὁ υἱός σου ὁ τεθνηκώς
২৩রাজা বললেন, “এ বলছে, ‘আমার ছেলে বেঁচে আছে আর তোমারটা মারা গেছে।’ আবার ও বলছে, ‘না, না, তোমার ছেলে মারা গেছে আমারটা বেঁচে আছে’।”
24 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς λάβετέ μοι μάχαιραν καὶ προσήνεγκαν τὴν μάχαιραν ἐνώπιον τοῦ βασιλέως
২৪তখন রাজা বললেন, “আমাকে একটা তলোয়ার দাও।” তখন রাজার কাছে একটা তলোয়ার আনা হল।
25 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς διέλετε τὸ παιδίον τὸ θηλάζον τὸ ζῶν εἰς δύο καὶ δότε τὸ ἥμισυ αὐτοῦ ταύτῃ καὶ τὸ ἥμισυ αὐτοῦ ταύτῃ
২৫তিনি হুকুম দিলেন, “জীবিত ছেলেটিকে কেটে দুইভাগ কর এবং একে অর্ধেক আর ওকে অর্ধেক দাও।”
26 καὶ ἀπεκρίθη ἡ γυνή ἧς ἦν ὁ υἱὸς ὁ ζῶν καὶ εἶπεν πρὸς τὸν βασιλέα ὅτι ἐταράχθη ἡ μήτρα αὐτῆς ἐπὶ τῷ υἱῷ αὐτῆς καὶ εἶπεν ἐν ἐμοί κύριε δότε αὐτῇ τὸ παιδίον καὶ θανάτῳ μὴ θανατώσητε αὐτόν καὶ αὕτη εἶπεν μήτε ἐμοὶ μήτε αὐτῇ ἔστω διέλετε
২৬যার ছেলেটি বেঁচে ছিল ছেলের জন্য সেই স্ত্রীলোকের হৃদয় অনুকম্পায় ভরে যাওয়াতে সে রাজাকে বলল, “হে আমার প্রভু, মিনতি করি, ওকেই আপনি জীবিত ছেলেটি দিয়ে দিন; ছেলেটিকে মেরে ফেলবেন না।” কিন্তু অন্য স্ত্রীলোকটী বলল, “ও তোমারও না হোক আর আমারও না হোক। ওকে কেটে দুই টুকরো কর।”
27 καὶ ἀπεκρίθη ὁ βασιλεὺς καὶ εἶπεν δότε τὸ παιδίον τῇ εἰπούσῃ δότε αὐτῇ αὐτὸ καὶ θανάτῳ μὴ θανατώσητε αὐτόν αὐτὴ ἡ μήτηρ αὐτοῦ
২৭রাজা তখন তাঁর রায় দিয়ে বললেন, “জীবিত ছেলেটি ঐ প্রথম স্ত্রীলোকটীকে দাও। ওকে কেটো না; ওই ওর মা।”
28 καὶ ἤκουσαν πᾶς Ισραηλ τὸ κρίμα τοῦτο ὃ ἔκρινεν ὁ βασιλεύς καὶ ἐφοβήθησαν ἀπὸ προσώπου τοῦ βασιλέως ὅτι εἶδον ὅτι φρόνησις θεοῦ ἐν αὐτῷ τοῦ ποιεῖν δικαίωμα
২৮রাজার দেওয়া রায় শুনে ইস্রায়েলের সকলের মনে রাজার প্রতি ভক্তিপূর্ণ ভয় জেগে উঠল, কারণ তারা দেখতে পেল যে, সুবিচার করবার জন্য তাঁর মনে ঈশ্বরের দেওয়া জ্ঞান রয়েছে।