< Βασιλειῶν Γʹ 2 >

1 καὶ ἤγγισαν αἱ ἡμέραι Δαυιδ ἀποθανεῖν αὐτόν καὶ ἐνετείλατο τῷ Σαλωμων υἱῷ αὐτοῦ λέγων
যখন দাউদের মৃত্যুর সময়কাল ঘনিয়ে এসেছিল, তাঁর ছেলে শলোমনকে তিনি তখন কিছু নির্দেশ দিলেন।
2 ἐγώ εἰμι πορεύομαι ἐν ὁδῷ πάσης τῆς γῆς καὶ ἰσχύσεις καὶ ἔσῃ εἰς ἄνδρα
“পৃথিবীতে সবাই যে পথে যায়, আমিও সেই পথেই যাচ্ছি,” তিনি বললেন। “তাই বলবান হও, একজন পুরুষের মতো আচরণ করো,
3 καὶ φυλάξεις τὴν φυλακὴν κυρίου τοῦ θεοῦ σου τοῦ πορεύεσθαι ἐν ταῖς ὁδοῖς αὐτοῦ φυλάσσειν τὰς ἐντολὰς αὐτοῦ καὶ τὰ δικαιώματα καὶ τὰ κρίματα τὰ γεγραμμένα ἐν νόμῳ Μωυσέως ἵνα συνίῃς ἃ ποιήσεις κατὰ πάντα ὅσα ἂν ἐντείλωμαί σοι
এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যা চান, তা লক্ষ্য করো: তাঁর প্রতি বাধ্য হয়ে চলো, আর মোশির বিধানে তাঁর যে হুকুম ও আদেশ, তাঁর বিধান ও বিধিনিয়ম লেখা আছে, তা পালন করো। এরকমটি করো, যেন তুমি যা যা করো ও যেখানে যেখানে যাও, সবেতেই সফল হতে পারো
4 ἵνα στήσῃ κύριος τὸν λόγον αὐτοῦ ὃν ἐλάλησεν λέγων ἐὰν φυλάξωσιν οἱ υἱοί σου τὴν ὁδὸν αὐτῶν πορεύεσθαι ἐνώπιον ἐμοῦ ἐν ἀληθείᾳ ἐν ὅλῃ καρδίᾳ αὐτῶν καὶ ἐν ὅλῃ ψυχῇ αὐτῶν λέγων οὐκ ἐξολεθρευθήσεταί σοι ἀνὴρ ἐπάνωθεν θρόνου Ισραηλ
এবং সদাপ্রভু যেন আমার কাছে করা তাঁর সেই প্রতিজ্ঞাটি রক্ষা করতে পারেন: ‘যদি তোমার বংশধররা তাদের জীবনযাপনের প্রতি লক্ষ্য রাখতে পারে, ও যদি তারা আমার সামনে তাদের সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে বিশ্বস্ততাপূর্বক চলে, তবে ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসার জন্য তোমার কোনও উত্তরাধিকারীর অভাব হবে না।’
5 καί γε σὺ ἔγνως ὅσα ἐποίησέν μοι Ιωαβ υἱὸς Σαρουιας ὅσα ἐποίησεν τοῖς δυσὶν ἄρχουσιν τῶν δυνάμεων Ισραηλ τῷ Αβεννηρ υἱῷ Νηρ καὶ τῷ Αμεσσαϊ υἱῷ Ιεθερ καὶ ἀπέκτεινεν αὐτοὺς καὶ ἔταξεν τὰ αἵματα πολέμου ἐν εἰρήνῃ καὶ ἔδωκεν αἷμα ἀθῷον ἐν τῇ ζώνῃ αὐτοῦ τῇ ἐν τῇ ὀσφύι αὐτοῦ καὶ ἐν τῷ ὑποδήματι αὐτοῦ τῷ ἐν τῷ ποδὶ αὐτοῦ
“এখন তুমি নিজেই তো জানো সরূয়ার ছেলে যোয়াব আমার প্রতি কী করল—ইস্রায়েলী সৈন্যদলের দুই সেনাপতি, নেরের ছেলে অবনের ও যেথরের ছেলে অমাসার প্রতি সে কী করল। সে তাদের হত্যা করল, শান্তির সময়েও সে এমনভাবে তাদের রক্তপাত করল, যেন মনে হয় যুদ্ধেই তা হয়েছে, এবং সেই রক্তে সে তার কোমরের কোমরবন্ধ ও পায়ের চটিজুতো রাঙিয়ে নিয়েছিল।
6 καὶ ποιήσεις κατὰ τὴν σοφίαν σου καὶ οὐ κατάξεις τὴν πολιὰν αὐτοῦ ἐν εἰρήνῃ εἰς ᾅδου (Sheol h7585)
তোমার প্রজ্ঞা অনুসারেই তার মোকাবিলা কোরো, কিন্তু পাকাচুলে তাকে শান্তিতে কবরে যেতে দিয়ো না। (Sheol h7585)
7 καὶ τοῖς υἱοῖς Βερζελλι τοῦ Γαλααδίτου ποιήσεις ἔλεος καὶ ἔσονται ἐν τοῖς ἐσθίουσιν τὴν τράπεζάν σου ὅτι οὕτως ἤγγισάν μοι ἐν τῷ με ἀποδιδράσκειν ἀπὸ προσώπου Αβεσσαλωμ τοῦ ἀδελφοῦ σου
“কিন্তু গিলিয়দীয় বর্সিল্লয়ের ছেলেদের প্রতি দয়া দেখিয়ো এবং তারা যেন সেইসব লোকজনের মধ্যেই থাকে, যারা তোমার টেবিলে বসে ভোজনপান করবে। আমি যখন তোমার দাদা অবশালোমের কাছ থেকে পালিয়ে গেলাম, তখন তারাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।
8 καὶ ἰδοὺ μετὰ σοῦ Σεμεϊ υἱὸς Γηρα υἱὸς τοῦ Ιεμενι ἐκ Βαουριμ καὶ αὐτὸς κατηράσατό με κατάραν ὀδυνηρὰν τῇ ἡμέρᾳ ᾗ ἐπορευόμην εἰς παρεμβολάς καὶ αὐτὸς κατέβη εἰς ἀπαντήν μου εἰς τὸν Ιορδάνην καὶ ὤμοσα αὐτῷ ἐν κυρίῳ λέγων εἰ θανατώσω σε ἐν ῥομφαίᾳ
“আরও মনে রেখো, তোমার কাছে বহুরীমের অধিবাসী গেরার ছেলে বিন্যামীনীয় শিমিয়ি আছে। যেদিন আমি মহনয়িমে গেলাম, সেদিন সে আমাকে সাংঘাতিক অভিশাপ দিয়েছিল। সে যখন জর্ডন নদীর পারে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল, আমি সদাপ্রভুর নামে শপথ করে তাকে বললাম: ‘আমি তরোয়ালের আঘাতে তোমাকে হত্যা করব না।’
9 καὶ οὐ μὴ ἀθῳώσῃς αὐτόν ὅτι ἀνὴρ σοφὸς εἶ σὺ καὶ γνώσῃ ἃ ποιήσεις αὐτῷ καὶ κατάξεις τὴν πολιὰν αὐτοῦ ἐν αἵματι εἰς ᾅδου (Sheol h7585)
কিন্তু এখন, তাকে আর নির্দোষ বলে মনে কোরো না। তুমি একজন বিচক্ষণ লোক; তুমি জেনে নিয়ো, তার প্রতি কী করতে হবে। রক্তশুদ্ধ পাকাচুলে তাকে কবরে পাঠিয়ো।” (Sheol h7585)
10 καὶ ἐκοιμήθη Δαυιδ μετὰ τῶν πατέρων αὐτοῦ καὶ ἐτάφη ἐν πόλει Δαυιδ
পরে দাউদ তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল।
11 καὶ αἱ ἡμέραι ἃς ἐβασίλευσεν Δαυιδ ἐπὶ τὸν Ισραηλ τεσσαράκοντα ἔτη ἐν Χεβρων ἐβασίλευσεν ἔτη ἑπτὰ καὶ ἐν Ιερουσαλημ τριάκοντα τρία ἔτη
তিনি ইস্রায়েলে চল্লিশ বছর—সাত বছর হিব্রোণে ও তেত্রিশ বছর জেরুশালেমে—রাজত্ব করলেন।
12 καὶ Σαλωμων ἐκάθισεν ἐπὶ τοῦ θρόνου Δαυιδ τοῦ πατρὸς αὐτοῦ υἱὸς ἐτῶν δώδεκα καὶ ἡτοιμάσθη ἡ βασιλεία αὐτοῦ σφόδρα
অতএব শলোমন তাঁর বাবা দাউদের সিংহাসনে বসেছিলেন, ও তাঁর শাসনকাল স্থিতিশীল হল।
13 καὶ εἰσῆλθεν Αδωνιας υἱὸς Αγγιθ πρὸς Βηρσαβεε μητέρα Σαλωμων καὶ προσεκύνησεν αὐτῇ ἡ δὲ εἶπεν εἰρήνη ἡ εἴσοδός σου καὶ εἶπεν εἰρήνη
এদিকে হগীতের ছেলে আদোনিয় শলোমনের মা বৎশেবার কাছে গেল। বৎশেবা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি শান্তিপূর্ণভাবে এসেছ?” সে উত্তর দিয়েছিল, “হ্যাঁ, শান্তিপূর্ণভাবেই এসেছি।”
14 λόγος μοι πρὸς σέ καὶ εἶπεν αὐτῷ λάλησον
সে আরও বলল, “আপনাকে আমার কিছু বলার আছে।” “তুমি বলতে পারো,” তিনি উত্তর দিলেন।
15 καὶ εἶπεν αὐτῇ σὺ οἶδας ὅτι ἐμοὶ ἦν ἡ βασιλεία καὶ ἐπ’ ἐμὲ ἔθετο πᾶς Ισραηλ τὸ πρόσωπον αὐτοῦ εἰς βασιλέα καὶ ἐστράφη ἡ βασιλεία καὶ ἐγενήθη τῷ ἀδελφῷ μου ὅτι παρὰ κυρίου ἐγένετο αὐτῷ
“আপনি তো জানেনই,” সে বলল, “রাজ্যটি আমারই ছিল। ইস্রায়েলে সবাই আমাকেই তাদের রাজারূপে দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে পরিস্থিতি বদলে গেল, ও রাজ্যটি আমার ভাইয়ের হাতে চলে গিয়েছে; কারণ সদাপ্রভুর দিক থেকেই এটি তার কাছে এসেছে।
16 καὶ νῦν αἴτησιν μίαν ἐγὼ αἰτοῦμαι παρὰ σοῦ μὴ ἀποστρέψῃς τὸ πρόσωπόν σου καὶ εἶπεν αὐτῷ Βηρσαβεε λάλει
এখন আমি আপনার কাছে একটি অনুরোধ রাখছি। আমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন না।” “তুমি বলতে পারো,” তিনি বললেন।
17 καὶ εἶπεν αὐτῇ εἰπὸν δὴ πρὸς Σαλωμων τὸν βασιλέα ὅτι οὐκ ἀποστρέψει τὸ πρόσωπον αὐτοῦ ἀπὸ σοῦ καὶ δώσει μοι τὴν Αβισακ τὴν Σωμανῖτιν εἰς γυναῖκα
অতএব সে বলে গেল, “দয়া করে রাজা শলোমনকে বলুন—তিনি আপনার কথা অগ্রাহ্য করবেন না—তিনি যেন আমার স্ত্রী হওয়ার জন্য শূনেমীয়া অবীশগকে আমার হাতে তুলে দেন।”
18 καὶ εἶπεν Βηρσαβεε καλῶς ἐγὼ λαλήσω περὶ σοῦ τῷ βασιλεῖ
“ঠিক আছে,” বৎশেবা উত্তর দিলেন, “আমি তোমার হয়ে রাজার সঙ্গে কথা বলব।”
19 καὶ εἰσῆλθεν Βηρσαβεε πρὸς τὸν βασιλέα Σαλωμων λαλῆσαι αὐτῷ περὶ Αδωνιου καὶ ἐξανέστη ὁ βασιλεὺς εἰς ἀπαντὴν αὐτῇ καὶ κατεφίλησεν αὐτὴν καὶ ἐκάθισεν ἐπὶ τοῦ θρόνου αὐτοῦ καὶ ἐτέθη θρόνος τῇ μητρὶ τοῦ βασιλέως καὶ ἐκάθισεν ἐκ δεξιῶν αὐτοῦ
বৎশেবা যখন আদোনিয়ের হয়ে কথা বলার জন্য রাজা শলোমনের কাছে গেলেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য রাজা উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁকে প্রণাম করলেন ও নিজের সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন। তিনি রাজমাতার জন্য একটি সিংহাসন আনিয়েছিলেন, ও বৎশেবা তাঁর ডানদিকে গিয়ে বসেছিলেন।
20 καὶ εἶπεν αὐτῷ αἴτησιν μίαν μικρὰν ἐγὼ αἰτοῦμαι παρὰ σοῦ μὴ ἀποστρέψῃς τὸ πρόσωπόν σου καὶ εἶπεν αὐτῇ ὁ βασιλεύς αἴτησαι μῆτερ ἐμή ὅτι οὐκ ἀποστρέψω σε
“তোমার কাছে আমার একটি ছোটো অনুরোধ জানানোর আছে,” তিনি বললেন। “আমাকে প্রত্যাখ্যান কোরো না।” রাজা উত্তর দিলেন, “মা, বলে ফেলো; আমি তোমাকে প্রত্যাখ্যান করব না।”
21 καὶ εἶπεν δοθήτω δὲ Αβισακ ἡ Σωμανῖτις τῷ Αδωνια τῷ ἀδελφῷ σου εἰς γυναῖκα
অতএব বৎশেবা বললেন, “তোমার দাদা আদোনিয়ের সঙ্গে শূনেমীয়া অবীশগের বিয়ে দিয়ে দাও।”
22 καὶ ἀπεκρίθη Σαλωμων ὁ βασιλεὺς καὶ εἶπεν τῇ μητρὶ αὐτοῦ καὶ ἵνα τί σὺ ᾔτησαι τὴν Αβισακ τῷ Αδωνια καὶ αἴτησαι αὐτῷ τὴν βασιλείαν ὅτι οὗτος ἀδελφός μου ὁ μέγας ὑπὲρ ἐμέ καὶ αὐτῷ Αβιαθαρ ὁ ἱερεὺς καὶ αὐτῷ Ιωαβ ὁ υἱὸς Σαρουιας ὁ ἀρχιστράτηγος ἑταῖρος
রাজা শলোমন তাঁর মাকে উত্তর দিলেন, “আদোনিয়ের জন্য তুমি কেন শূনেমীয়া অবীশগকে চাইছ? তুমি তো তার জন্য রাজ্যটিও চাইতে পারো—যাই হোক না কেন, সে তো আমার বড়ো দাদা—হ্যাঁ, তার ও যাজক অবিয়াথর ও সরূয়ার ছেলে যোয়াবের জন্যও তো চাইতে পারো!”
23 καὶ ὤμοσεν ὁ βασιλεὺς Σαλωμων κατὰ τοῦ κυρίου λέγων τάδε ποιήσαι μοι ὁ θεὸς καὶ τάδε προσθείη ὅτι κατὰ τῆς ψυχῆς αὐτοῦ ἐλάλησεν Αδωνιας τὸν λόγον τοῦτον
পরে রাজা শলোমন সদাপ্রভুর নামে দিব্যি করে বললেন: “এই অনুরোধ জানানোর জন্য আদোনিয়কে যদি তার প্রাণ হারাতে না হয়, তবে যেন ঈশ্বর আমাকে কঠোর থেকে কঠোরতর দণ্ড দেন!
24 καὶ νῦν ζῇ κύριος ὃς ἡτοίμασέν με καὶ ἔθετό με ἐπὶ τὸν θρόνον Δαυιδ τοῦ πατρός μου καὶ αὐτὸς ἐποίησέν μοι οἶκον καθὼς ἐλάλησεν κύριος ὅτι σήμερον θανατωθήσεται Αδωνιας
আর এখন, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি—যিনি আমাকে পাকাপাকিভাবে আমার বাবা দাউদের সিংহাসনে বসিয়েছেন এবং তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারে এক সাম্রাজ্য স্থাপন করেছেন—আজই আদোনিয়কে মেরে ফেলা হবে!”
25 καὶ ἐξαπέστειλεν Σαλωμων ὁ βασιλεὺς ἐν χειρὶ Βαναιου υἱοῦ Ιωδαε καὶ ἀνεῖλεν αὐτόν καὶ ἀπέθανεν Αδωνιας ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ
অতএব রাজা শলোমন যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে আদেশ দিলেন, ও তিনি আদোনিয়কে আঘাত করলেন ও সে মারা গেল।
26 καὶ τῷ Αβιαθαρ τῷ ἱερεῖ εἶπεν ὁ βασιλεύς ἀπότρεχε σὺ εἰς Αναθωθ εἰς ἀγρόν σου ὅτι ἀνὴρ θανάτου εἶ σὺ ἐν τῇ ἡμέρᾳ ταύτῃ καὶ οὐ θανατώσω σε ὅτι ἦρας τὴν κιβωτὸν τῆς διαθήκης κυρίου ἐνώπιον τοῦ πατρός μου καὶ ὅτι ἐκακουχήθης ἐν ἅπασιν οἷς ἐκακουχήθη ὁ πατήρ μου
যাজক অবিয়াথরকে রাজা বললেন, “আপনি অনাথোতে আপনার ক্ষেতে ফিরে যান। আপনি মরারই যোগ্য, তবে এখন আমি আপনাকে মারছি না, কারণ আমার বাবা দাউদের কাছে থেকে আপনি সার্বভৌম সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি বহন করলেন এবং আমার বাবার সব কষ্টের সাথী হলেন।”
27 καὶ ἐξέβαλεν Σαλωμων τὸν Αβιαθαρ τοῦ μὴ εἶναι ἱερέα τοῦ κυρίου πληρωθῆναι τὸ ῥῆμα κυρίου ὃ ἐλάλησεν ἐπὶ τὸν οἶκον Ηλι ἐν Σηλωμ
অতএব শীলোতে এলির বংশের বিষয়ে সদাপ্রভু যা বলেছিলেন, তা সত্য প্রমাণিত করে শলোমন অবিয়াথরকে যাজক পদ থেকে সরিয়ে দিলেন।
28 καὶ ἡ ἀκοὴ ἦλθεν ἕως Ιωαβ τοῦ υἱοῦ Σαρουιας ὅτι Ιωαβ ἦν κεκλικὼς ὀπίσω Αδωνιου καὶ ὀπίσω Σαλωμων οὐκ ἔκλινεν καὶ ἔφυγεν Ιωαβ εἰς τὸ σκήνωμα τοῦ κυρίου καὶ κατέσχεν τῶν κεράτων τοῦ θυσιαστηρίου
এই খবরটি যখন সেই যোয়াবের কাছে পৌঁছেছিল, যিনি অবশালোমের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে শামিল না হলেও আদোনিয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে শামিল হলেন, তখন তিনি সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুতে পালিয়ে গিয়ে যজ্ঞবেদির শিংগুলি আঁকড়ে জড়িয়ে ধরলেন।
29 καὶ ἀπηγγέλη τῷ Σαλωμων λέγοντες ὅτι ἔφυγεν Ιωαβ εἰς τὴν σκηνὴν τοῦ κυρίου καὶ ἰδοὺ κατέχει τῶν κεράτων τοῦ θυσιαστηρίου καὶ ἀπέστειλεν Σαλωμων πρὸς Ιωαβ λέγων τί γέγονέν σοι ὅτι πέφευγας εἰς τὸ θυσιαστήριον καὶ εἶπεν Ιωαβ ὅτι ἐφοβήθην ἀπὸ προσώπου σου καὶ ἔφυγον πρὸς κύριον καὶ ἀπέστειλεν Σαλωμων ὁ βασιλεὺς τὸν Βαναιου υἱὸν Ιωδαε λέγων πορεύου καὶ ἄνελε αὐτὸν καὶ θάψον αὐτόν
রাজা শলোমনকে বলা হল যে যোয়াব সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুতে পালিয়ে গিয়েছেন ও যজ্ঞবেদির পাশেই আছেন। তখন শলোমন যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে আদেশ দিলেন, “যাও, তাঁকে গিয়ে আঘাত করো!”
30 καὶ ἦλθεν Βαναιου υἱὸς Ιωδαε πρὸς Ιωαβ εἰς τὴν σκηνὴν τοῦ κυρίου καὶ εἶπεν αὐτῷ τάδε λέγει ὁ βασιλεύς ἔξελθε καὶ εἶπεν Ιωαβ οὐκ ἐκπορεύομαι ὅτι ὧδε ἀποθανοῦμαι καὶ ἀπέστρεψεν Βαναιας υἱὸς Ιωδαε καὶ εἶπεν τῷ βασιλεῖ λέγων τάδε λελάληκεν Ιωαβ καὶ τάδε ἀποκέκριταί μοι
অতএব বনায় সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুতে ঢুকে যোয়াবকে বললেন, “রাজামশাই বলছেন, ‘বেরিয়ে আসুন!’” কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন, “তা হবে না, আমি এখানেই মরব।” বনায় রাজাকে খবর দিলেন, “যোয়াব এভাবেই আমার কথার উত্তর দিয়েছেন।”
31 καὶ εἶπεν αὐτῷ ὁ βασιλεύς πορεύου καὶ ποίησον αὐτῷ καθὼς εἴρηκεν καὶ ἄνελε αὐτὸν καὶ θάψεις αὐτὸν καὶ ἐξαρεῖς σήμερον τὸ αἷμα ὃ δωρεὰν ἐξέχεεν Ιωαβ ἀπ’ ἐμοῦ καὶ ἀπὸ τοῦ οἴκου τοῦ πατρός μου
তখন রাজামশাই বনায়কে আদেশ দিলেন, “তাঁর কথামতোই কাজ করো। তাঁকে আঘাত করে মেরে কবর দিয়ে দাও, ও এভাবেই যোয়াব যে নির্দোষ রক্তপাত করলেন তার দোষ থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে মুক্ত করো।
32 καὶ ἀπέστρεψεν κύριος τὸ αἷμα τῆς ἀδικίας αὐτοῦ εἰς κεφαλὴν αὐτοῦ ὡς ἀπήντησεν τοῖς δυσὶν ἀνθρώποις τοῖς δικαίοις καὶ ἀγαθοῖς ὑπὲρ αὐτὸν καὶ ἀπέκτεινεν αὐτοὺς ἐν ῥομφαίᾳ καὶ ὁ πατήρ μου Δαυιδ οὐκ ἔγνω τὸ αἷμα αὐτῶν τὸν Αβεννηρ υἱὸν Νηρ ἀρχιστράτηγον Ισραηλ καὶ τὸν Αμεσσα υἱὸν Ιεθερ ἀρχιστράτηγον Ιουδα
তিনি যে রক্তপাত করলেন, তার প্রতিফল তাঁকে সদাপ্রভুই দেবেন, কারণ আমার বাবা দাউদের অজান্তেই তিনি দুজন মানুষকে আক্রমণ করে তরোয়ালের আঘাতে তাদের মেরে ফেলেছিলেন। তারা দুজনই—নেরের ছেলে, তথা ইস্রায়েলী সৈন্যদলের সেনাপতি অবনের, এবং যেথরের ছেলে, তথা যিহূদা সৈন্যদলের সেনাপতি অমাসা—ভালো লোক ছিলেন এবং তাঁর তুলনায় বেশি সৎ ছিলেন।
33 καὶ ἐπεστράφη τὰ αἵματα αὐτῶν εἰς κεφαλὴν αὐτοῦ καὶ εἰς κεφαλὴν τοῦ σπέρματος αὐτοῦ εἰς τὸν αἰῶνα καὶ τῷ Δαυιδ καὶ τῷ σπέρματι αὐτοῦ καὶ τῷ οἴκῳ αὐτοῦ καὶ τῷ θρόνῳ αὐτοῦ γένοιτο εἰρήνη ἕως αἰῶνος παρὰ κυρίου
তাদের রক্তপাতের অপরাধ চিরকাল যেন যোয়াব ও তাঁর বংশধরদের মাথার উপরেই বর্তায়। কিন্তু দাউদ ও তাঁর বংশধরদের, তাঁর পরিবার ও তাঁর সিংহাসনের উপর যেন চিরকাল সদাপ্রভুর শান্তি বিরাজমান থাকে।”
34 καὶ ἀπήντησεν Βαναιου υἱὸς Ιωδαε τῷ Ιωαβ καὶ ἐθανάτωσεν αὐτὸν καὶ ἔθαψεν αὐτὸν ἐν τῷ οἴκῳ αὐτοῦ ἐν τῇ ἐρήμῳ
অতএব যিহোয়াদার ছেলে বনায় গিয়ে যোয়াবকে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করলেন, এবং তাঁকে গ্রামাঞ্চলে তাঁর ঘরের উঠোনে কবর দেওয়া হল।
35 καὶ ἔδωκεν ὁ βασιλεὺς τὸν Βαναιου υἱὸν Ιωδαε ἀντ’ αὐτοῦ ἐπὶ τὴν στρατηγίαν καὶ ἡ βασιλεία κατωρθοῦτο ἐν Ιερουσαλημ καὶ τὸν Σαδωκ τὸν ἱερέα ἔδωκεν ὁ βασιλεὺς εἰς ἱερέα πρῶτον ἀντὶ Αβιαθαρ
রাজামশাই যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে যোয়াবের স্থানে সৈন্যদলের সেনাপতি নিযুক্ত করলেন এবং অবিয়াথরের পরিবর্তে যাজক সাদোককে নিযুক্ত করলেন।
36 καὶ ἐκάλεσεν ὁ βασιλεὺς τὸν Σεμεϊ καὶ εἶπεν αὐτῷ οἰκοδόμησον σεαυτῷ οἶκον ἐν Ιερουσαλημ καὶ κάθου ἐκεῖ καὶ οὐκ ἐξελεύσῃ ἐκεῖθεν οὐδαμοῦ
পরে রাজামশাই শিমিয়িকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে বললেন, “জেরুশালেমে একটি বাড়ি তৈরি করে সেখানে গিয়ে থাকো, কিন্তু আর কোথাও যেয়ো না।
37 καὶ ἔσται ἐν τῇ ἡμέρᾳ τῆς ἐξόδου σου καὶ διαβήσῃ τὸν χειμάρρουν Κεδρων γινώσκων γνώσῃ ὅτι θανάτῳ ἀποθανῇ τὸ αἷμά σου ἔσται ἐπὶ τὴν κεφαλήν σου καὶ ὥρκισεν αὐτὸν ὁ βασιλεὺς ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ
যেদিন তুমি নগর ছেড়ে কিদ্রোণ উপত্যকা পার করবে, সেদিন নিশ্চিত জেনো, তুমি মরবেই মরবে; তোমার রক্তপাতের অপরাধ তোমার মাথাতেই বর্তাবে।”
38 καὶ εἶπεν Σεμεϊ πρὸς τὸν βασιλέα ἀγαθὸν τὸ ῥῆμα ὃ ἐλάλησας κύριέ μου βασιλεῦ οὕτω ποιήσει ὁ δοῦλός σου καὶ ἐκάθισεν Σεμεϊ ἐν Ιερουσαλημ τρία ἔτη
শিমিয়ি রাজাকে উত্তর দিয়েছিল, “আপনি যা বলেছেন, ভালোই বলেছেন। আমার প্রভু মহারাজ যা বলেছেন, আপনার দাস তাই করবে।” আর শিমিয়ি বেশ কিছুকাল জেরুশালেমে থেকে গেল।
39 καὶ ἐγενήθη μετὰ τρία ἔτη καὶ ἀπέδρασαν δύο δοῦλοι τοῦ Σεμεϊ πρὸς Αγχους υἱὸν Μααχα βασιλέα Γεθ καὶ ἀπηγγέλη τῷ Σεμεϊ λέγοντες ἰδοὺ οἱ δοῦλοί σου ἐν Γεθ
কিন্তু তিন বছর পর শিমিয়ির দাসদের মধ্যে দুজন দাস, মাখার ছেলে তথা গাতের রাজা আখীশের কাছে পালিয়ে গেল, এবং শিমিয়িকে বলা হল, “তোমার দাসেরা গাতে আছে।”
40 καὶ ἀνέστη Σεμεϊ καὶ ἐπέσαξε τὴν ὄνον αὐτοῦ καὶ ἐπορεύθη εἰς Γεθ πρὸς Αγχους τοῦ ἐκζητῆσαι τοὺς δούλους αὐτοῦ καὶ ἐπορεύθη Σεμεϊ καὶ ἤγαγεν τοὺς δούλους αὐτοῦ ἐκ Γεθ
একথা শুনে সে তার গাধার পিঠে জিন চাপিয়ে, তার দাসদের খোঁজে গাতে আখীশের কাছে গেল। অতএব শিমিয়ি গিয়ে গাত থেকে তার দাসদের নিয়ে এসেছিল।
41 καὶ ἀπηγγέλη τῷ Σαλωμων λέγοντες ὅτι ἐπορεύθη Σεμεϊ ἐξ Ιερουσαλημ εἰς Γεθ καὶ ἀπέστρεψεν τοὺς δούλους αὐτοῦ
শলোমনকে যখন বলা হল যে শিমিয়ি জেরুশালেম থেকে গাতে গিয়ে আবার ফিরেও এসেছে,
42 καὶ ἀπέστειλεν ὁ βασιλεὺς καὶ ἐκάλεσεν τὸν Σεμεϊ καὶ εἶπεν πρὸς αὐτόν οὐχὶ ὥρκισά σε κατὰ τοῦ κυρίου καὶ ἐπεμαρτυράμην σοι λέγων ἐν ᾗ ἂν ἡμέρᾳ ἐξέλθῃς ἐξ Ιερουσαλημ καὶ πορευθῇς εἰς δεξιὰ ἢ εἰς ἀριστερά γινώσκων γνώσῃ ὅτι θανάτῳ ἀποθανῇ
রাজামশাই শিমিয়িকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে বললেন, “আমি কি সদাপ্রভুর নামে তোমাকে শপথ করাইনি ও সাবধান করে দিইনি, ‘যেদিন তুমি অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে, তুমি নিশ্চিত থেকো, তোমাকে মরতেই হবে’? সেসময় তুমি আমাকে বললে, ‘আপনি যা বলেছেন, ভালোই বলেছেন। আমি এর বাধ্য হব।’
43 καὶ τί ὅτι οὐκ ἐφύλαξας τὸν ὅρκον κυρίου καὶ τὴν ἐντολήν ἣν ἐνετειλάμην κατὰ σοῦ
তবে কেন তুমি সদাপ্রভুর কাছে করা শপথ রক্ষা করোনি এবং আমার দেওয়া আদেশের বাধ্য হওনি?”
44 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς πρὸς Σεμεϊ σὺ οἶδας πᾶσαν τὴν κακίαν σου ἣν ἔγνω ἡ καρδία σου ἃ ἐποίησας τῷ Δαυιδ τῷ πατρί μου καὶ ἀνταπέδωκεν κύριος τὴν κακίαν σου εἰς κεφαλήν σου
রাজামশাই শিমিয়িকে আরও বললেন, “আমার বাবা দাউদের প্রতি তুমি যে অন্যায় করলে তা তো তুমি বিলক্ষণ জানো। এখন সদাপ্রভুই তোমার অন্যায় কাজের প্রতিফল দেবেন।
45 καὶ ὁ βασιλεὺς Σαλωμων ηὐλογημένος καὶ ὁ θρόνος Δαυιδ ἔσται ἕτοιμος ἐνώπιον κυρίου εἰς τὸν αἰῶνα
কিন্তু রাজা শলোমন আশীর্বাদধন্য হবেন, এবং সদাপ্রভুর সামনে দাউদের সিংহাসন চিরকাল সুরক্ষিত থাকবে।”
46 καὶ ἐνετείλατο ὁ βασιλεὺς Σαλωμων τῷ Βαναια υἱῷ Ιωδαε καὶ ἐξῆλθεν καὶ ἀνεῖλεν αὐτόν καὶ ἀπέθανεν καὶ ἦν ὁ βασιλεὺς Σαλωμων φρόνιμος σφόδρα
পরে রাজামশাই যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে আদেশ দিলেন, এবং তিনি বাইরে গিয়ে শিমিয়িকে আঘাত করলেন ও সে মারা গেল। অতএব শলোমনের হাতে রাজ্য সুস্থির হল।

< Βασιλειῶν Γʹ 2 >