< Βασιλειῶν Γʹ 18 >

1 καὶ ἐγένετο μεθ’ ἡμέρας πολλὰς καὶ ῥῆμα κυρίου ἐγένετο πρὸς Ηλιου ἐν τῷ ἐνιαυτῷ τῷ τρίτῳ λέγων πορεύθητι καὶ ὄφθητι τῷ Αχααβ καὶ δώσω ὑετὸν ἐπὶ πρόσωπον τῆς γῆς
বেশ কিছু সময় পার হয়ে যাওয়ার পর, তৃতীয় বছরে সদাপ্রভুর এই বাক্য এলিয়ের কাছে এসেছিল: “যাও, নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করো, আর আমি দেশে বৃষ্টি পাঠাব।”
2 καὶ ἐπορεύθη Ηλιου τοῦ ὀφθῆναι τῷ Αχααβ καὶ ἡ λιμὸς κραταιὰ ἐν Σαμαρείᾳ
অতএব এলিয় নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করতে গেলেন। ইত্যবসরে শমরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করল,
3 καὶ ἐκάλεσεν Αχααβ τὸν Αβδιου τὸν οἰκονόμον καὶ Αβδιου ἦν φοβούμενος τὸν κύριον σφόδρα
এবং আহাব তাঁর প্রাসাদের প্রশাসক ওবদিয়কে ডেকে পাঠালেন। (ওবদিয় সদাপ্রভুর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক বিশ্বাসী ছিলেন।
4 καὶ ἐγένετο ἐν τῷ τύπτειν τὴν Ιεζαβελ τοὺς προφήτας κυρίου καὶ ἔλαβεν Αβδιου ἑκατὸν ἄνδρας προφήτας καὶ ἔκρυψεν αὐτοὺς κατὰ πεντήκοντα ἐν σπηλαίῳ καὶ διέτρεφεν αὐτοὺς ἐν ἄρτῳ καὶ ὕδατι
ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মেরে ফেলছিল, ওবদিয় তখন একশো জন ভাববাদীকে নিয়ে গিয়ে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখেছিলেন, এবং তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করেছিলেন)।
5 καὶ εἶπεν Αχααβ πρὸς Αβδιου δεῦρο καὶ διέλθωμεν ἐπὶ τὴν γῆν ἐπὶ πηγὰς τῶν ὑδάτων καὶ ἐπὶ χειμάρρους ἐάν πως εὕρωμεν βοτάνην καὶ περιποιησώμεθα ἵππους καὶ ἡμιόνους καὶ οὐκ ἐξολοθρευθήσονται ἀπὸ τῶν κτηνῶν
আহাব ওবদিয়কে বললেন, “দেশে যত জলের উৎস ও উপত্যকা আছে, তুমি সেসব স্থানে যাও। হয়তো আমাদের ঘোড়া ও খচ্চরগুলি বাঁচিয়ে রাখার উপযোগী কিছু ঘাসপাতা আমরা পেয়েও যেতে পারি, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও পশু আর হয়তো আমাদের মারতে হবে না।”
6 καὶ ἐμέρισαν ἑαυτοῖς τὴν ὁδὸν τοῦ διελθεῖν αὐτήν Αχααβ ἐπορεύθη ἐν ὁδῷ μιᾷ μόνος καὶ Αβδιου ἐπορεύθη ἐν ὁδῷ ἄλλῃ μόνος
অতএব দেশের যে এলাকাগুলিতে তাদের যেতে হত, সেগুলি তারা দুই ভাগে বিভক্ত করে নিয়েছিলেন। আহাব একদিকে গেলেন ও ওবদিয় অন্যদিকে গেলেন।
7 καὶ ἦν Αβδιου ἐν τῇ ὁδῷ μόνος καὶ ἦλθεν Ηλιου εἰς συνάντησιν αὐτοῦ μόνος καὶ Αβδιου ἔσπευσεν καὶ ἔπεσεν ἐπὶ πρόσωπον αὐτοῦ καὶ εἶπεν εἰ σὺ εἶ αὐτός κύριέ μου Ηλιου
ওবদিয় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তাঁর সঙ্গে এলিয়ের দেখা হল। ওবদিয় তাঁকে চিনতে পেরে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বললেন, “হে আমার প্রভু এলিয়, এ কি সত্যিই আপনি?”
8 καὶ εἶπεν Ηλιου αὐτῷ ἐγώ πορεύου λέγε τῷ κυρίῳ σου ἰδοὺ Ηλιου
“হ্যাঁ, আমিই,” তিনি উত্তর দিলেন। “যাও, গিয়ে তোমার মনিবকে বলো, ‘এলিয় এখানেই আছেন।’”
9 καὶ εἶπεν Αβδιου τί ἡμάρτηκα ὅτι δίδως τὸν δοῦλόν σου εἰς χεῖρα Αχααβ τοῦ θανατῶσαί με
“আমি কী দোষ করেছি,” ওবদিয় জিজ্ঞাসা করলেন, “যে আপনি আপনার এই দাসকে মেরে ফেলার জন্য আহাবের হাতে তুলে দিচ্ছেন?
10 ζῇ κύριος ὁ θεός σου εἰ ἔστιν ἔθνος ἢ βασιλεία οὗ οὐκ ἀπέσταλκεν ὁ κύριός μου ζητεῖν σε καὶ εἶπον οὐκ ἔστιν καὶ ἐνέπρησεν τὴν βασιλείαν καὶ τὰς χώρας αὐτῆς ὅτι οὐχ εὕρηκέν σε
আপনার ঈশ্বর জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, এমন কোনও দেশ বা রাজ্য বাকি নেই, যেখানে আমার মনিব আপনার খোঁজে লোক পাঠাননি। আর যখনই কোনও দেশ বা রাজ্য দাবি করেছে আপনি সেখানে নেই, তখনই তিনি তাদের দিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন, যে সত্যিই তারা আপনাকে খুঁজে পায়নি।
11 καὶ νῦν σὺ λέγεις πορεύου ἀνάγγελλε τῷ κυρίῳ σου ἰδοὺ Ηλιου
কিন্তু এখন আপনি আমায় বলছেন, আমি যেন গিয়ে আমার মনিবকে বলি, ‘এলিয় এখানে আছেন।’
12 καὶ ἔσται ἐὰν ἐγὼ ἀπέλθω ἀπὸ σοῦ καὶ πνεῦμα κυρίου ἀρεῖ σε εἰς γῆν ἣν οὐκ οἶδα καὶ εἰσελεύσομαι ἀπαγγεῖλαι τῷ Αχααβ καὶ ἀποκτενεῖ με καὶ ὁ δοῦλός σού ἐστιν φοβούμενος τὸν κύριον ἐκ νεότητος αὐτοῦ
আমি জানি না, আপনার কাছ থেকে আমি চলে যাওয়ার পর সদাপ্রভুর আত্মা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে। আমি যদি আহাবকে গিয়ে বলি এবং তিনি আপনাকে খুঁজে না পান, তবে তিনি আমাকেই হত্যা করবেন। অথচ আপনার এই দাস আমি আমার যৌবনকাল থেকেই সদাপ্রভুর আরাধনা করে আসছি।
13 ἦ οὐκ ἀπηγγέλη σοι τῷ κυρίῳ μου οἷα πεποίηκα ἐν τῷ ἀποκτείνειν Ιεζαβελ τοὺς προφήτας κυρίου καὶ ἔκρυψα ἀπὸ τῶν προφητῶν κυρίου ἑκατὸν ἄνδρας ἀνὰ πεντήκοντα ἐν σπηλαίῳ καὶ ἔθρεψα ἐν ἄρτοις καὶ ὕδατι
হে আমার প্রভু, আপনি কি শোনেননি ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের হত্যা করছিল তখন আমি কী করেছিলাম? আমি সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে একশো জনকে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখে তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।
14 καὶ νῦν σὺ λέγεις μοι πορεύου λέγε τῷ κυρίῳ σου ἰδοὺ Ηλιου καὶ ἀποκτενεῖ με
আর এখন কি না আপনি আমাকে আমার মনিবের কাছে গিয়ে একথা বলতে বলছেন, ‘এলিয় এখানে আছেন।’ তিনি তো আমায় মেরে ফেলবেন!”
15 καὶ εἶπεν Ηλιου ζῇ κύριος τῶν δυνάμεων ᾧ παρέστην ἐνώπιον αὐτοῦ ὅτι σήμερον ὀφθήσομαι αὐτῷ
এলিয় বললেন, “আমি যাঁর সেবা করি, সেই সর্বশক্তিমান জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি অবশ্যই আজ আহাবের সামনে নিজেকে উপস্থিত করব।”
16 καὶ ἐπορεύθη Αβδιου εἰς συναντὴν τῷ Αχααβ καὶ ἀπήγγειλεν αὐτῷ καὶ ἐξέδραμεν Αχααβ καὶ ἐπορεύθη εἰς συνάντησιν Ηλιου
অতএব ওবদিয় গিয়ে আহাবের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব কথা বললেন, এবং আহাবও এলিয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
17 καὶ ἐγένετο ὡς εἶδεν Αχααβ τὸν Ηλιου καὶ εἶπεν Αχααβ πρὸς Ηλιου εἰ σὺ εἶ αὐτὸς ὁ διαστρέφων τὸν Ισραηλ
এলিয়ের দেখা পেয়ে আহাব তাঁকে বললেন, “ওহে ইস্রায়েলের অসুবিধা সৃষ্টিকারী লোক, এ কি তুমি?”
18 καὶ εἶπεν Ηλιου οὐ διαστρέφω τὸν Ισραηλ ὅτι ἀλλ’ ἢ σὺ καὶ ὁ οἶκος τοῦ πατρός σου ἐν τῷ καταλιμπάνειν ὑμᾶς τὸν κύριον θεὸν ὑμῶν καὶ ἐπορεύθης ὀπίσω τῶν Βααλιμ
“আমি ইস্রায়েলে অসুবিধা সৃষ্টি করিনি,” এলিয় উত্তর দিলেন। “কিন্তু আপনি ও আপনার বাবার কুলই তা করেছেন। আপনারা সদাপ্রভুর আদেশ পরিত্যাগ করে বায়াল-দেবদের অনুগামী হয়েছেন।
19 καὶ νῦν ἀπόστειλον συνάθροισον πρός με πάντα Ισραηλ εἰς ὄρος τὸ Καρμήλιον καὶ τοὺς προφήτας τῆς αἰσχύνης τετρακοσίους καὶ πεντήκοντα καὶ τοὺς προφήτας τῶν ἀλσῶν τετρακοσίους ἐσθίοντας τράπεζαν Ιεζαβελ
এখন ইস্রায়েলের সর্বত্র খবর পাঠিয়ে লোকদের ডেকে আনুন, যেন তারা কর্মিল পাহাড়ে আমার সাথে দেখা করে। আর বায়ালের সেই 450 জন ও আশেরার সেই 400 জন ভাববাদীকেও নিয়ে আসুন, যারা ঈষেবলের টেবিলে বসে ভোজনপান করে।”
20 καὶ ἀπέστειλεν Αχααβ εἰς πάντα Ισραηλ καὶ ἐπισυνήγαγεν πάντας τοὺς προφήτας εἰς ὄρος τὸ Καρμήλιον
অতএব আহাব সমস্ত ইস্রায়েলে খবর পাঠিয়ে ভাববাদীদের কর্মিল পাহাড়ে সমবেত করলেন।
21 καὶ προσήγαγεν Ηλιου πρὸς πάντας καὶ εἶπεν αὐτοῖς Ηλιου ἕως πότε ὑμεῖς χωλανεῖτε ἐπ’ ἀμφοτέραις ταῖς ἰγνύαις εἰ ἔστιν κύριος ὁ θεός πορεύεσθε ὀπίσω αὐτοῦ εἰ δὲ ὁ Βααλ αὐτός πορεύεσθε ὀπίσω αὐτοῦ καὶ οὐκ ἀπεκρίθη ὁ λαὸς λόγον
এলিয় লোকদের সামনে গিয়ে বললেন, “আর কত দিন তোমরা দুটি অভিমতের মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থাকবে? সদাপ্রভু যদি ঈশ্বর হন, তবে তাঁর অনুগামী হও; কিন্তু বায়াল যদি ঈশ্বর হয়, তবে তারই অনুগামী হও।” কিন্তু লোকেরা কিছুই বলেনি।
22 καὶ εἶπεν Ηλιου πρὸς τὸν λαόν ἐγὼ ὑπολέλειμμαι προφήτης τοῦ κυρίου μονώτατος καὶ οἱ προφῆται τοῦ Βααλ τετρακόσιοι καὶ πεντήκοντα ἄνδρες καὶ οἱ προφῆται τοῦ ἄλσους τετρακόσιοι
তখন এলিয় তাদের বললেন, “সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে এখানে একমাত্র আমিই আছি, কিন্তু বায়ালের ভাববাদীরা সংখ্যায় 450 জন।
23 δότωσαν ἡμῖν δύο βόας καὶ ἐκλεξάσθωσαν ἑαυτοῖς τὸν ἕνα καὶ μελισάτωσαν καὶ ἐπιθέτωσαν ἐπὶ τῶν ξύλων καὶ πῦρ μὴ ἐπιθέτωσαν καὶ ἐγὼ ποιήσω τὸν βοῦν τὸν ἄλλον καὶ πῦρ οὐ μὴ ἐπιθῶ
আমাদের জন্য দুটি বলদ নিয়ে এসো। বায়ালের ভাববাদীরা নিজেদের জন্য একটি বলদ বেছে নিক, ও সেটি কেটে টুকরো টুকরো করে কাঠের উপর সাজিয়ে রাখুক কিন্তু তাতে যেন তারা আগুন না ধরায়। আমিও অন্য বলদটি প্রস্তুত করে সেটি কাঠের উপর সাজিয়ে রাখব কিন্তু তাতে আগুন দেব না।
24 καὶ βοᾶτε ἐν ὀνόματι θεῶν ὑμῶν καὶ ἐγὼ ἐπικαλέσομαι ἐν ὀνόματι κυρίου τοῦ θεοῦ μου καὶ ἔσται ὁ θεός ὃς ἐὰν ἐπακούσῃ ἐν πυρί οὗτος θεός καὶ ἀπεκρίθησαν πᾶς ὁ λαὸς καὶ εἶπον καλὸν τὸ ῥῆμα ὃ ἐλάλησας
পরে তোমরা নিজেদের দেবতার নাম ধরে ডেকো, ও আমিও সদাপ্রভুর নাম ধরে ডাকব। যিনি আগুনের দ্বারা উত্তর দেবেন, তিনিই ঈশ্বর।” তখন সব লোকজন বলে উঠেছিল, “আপনি ভালো কথাই বলেছেন।”
25 καὶ εἶπεν Ηλιου τοῖς προφήταις τῆς αἰσχύνης ἐκλέξασθε ἑαυτοῖς τὸν μόσχον τὸν ἕνα καὶ ποιήσατε πρῶτοι ὅτι πολλοὶ ὑμεῖς καὶ ἐπικαλέσασθε ἐν ὀνόματι θεοῦ ὑμῶν καὶ πῦρ μὴ ἐπιθῆτε
এলিয় বায়ালের ভাববাদীদের বললেন, “একটি বলদ বেছে নিয়ে তোমরা প্রথমে সেটি প্রস্তুত করো, যেহেতু সংখ্যায় তোমরাই বেশি। তোমাদের দেবতার নাম ধরে ডাকো, কিন্তু আগুন জ্বালিয়ো না।”
26 καὶ ἔλαβον τὸν μόσχον καὶ ἐποίησαν καὶ ἐπεκαλοῦντο ἐν ὀνόματι τοῦ Βααλ ἐκ πρωίθεν ἕως μεσημβρίας καὶ εἶπον ἐπάκουσον ἡμῶν ὁ Βααλ ἐπάκουσον ἡμῶν καὶ οὐκ ἦν φωνὴ καὶ οὐκ ἦν ἀκρόασις καὶ διέτρεχον ἐπὶ τοῦ θυσιαστηρίου οὗ ἐποίησαν
অতএব যে বলদটি তাদের দেওয়া হল, সেটি তারা প্রস্তুত করে রেখেছিল। পরে তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বায়ালের নাম ধরে ডেকেছিল। “হে বায়ালদেব, আমাদের উত্তর দাও!” এই বলে তারা চিৎকার করছিল। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি; কেউ উত্তর দেয়নি। তারা আবার তাদের তৈরি করা যজ্ঞবেদি ঘিরে নাচতেও লাগল।
27 καὶ ἐγένετο μεσημβρίᾳ καὶ ἐμυκτήρισεν αὐτοὺς Ηλιου ὁ Θεσβίτης καὶ εἶπεν ἐπικαλεῖσθε ἐν φωνῇ μεγάλῃ ὅτι θεός ἐστιν ὅτι ἀδολεσχία αὐτῷ ἐστιν καὶ ἅμα μήποτε χρηματίζει αὐτός ἢ μήποτε καθεύδει αὐτός καὶ ἐξαναστήσεται
দুপুর হতে না হতেই এলিয় তাদের বিদ্রুপের খোঁচা দিতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, “আরও জোরে চিৎকার করো! সে তো অবশ্যই একজন দেবতা! হয়তো সে গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে আছে, হয়তো বা সে খুব ব্যস্ত, বা কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। হতে পারে সে হয়তো ঘুমাচ্ছে আর তাকে জাগাতে হবে।”
28 καὶ ἐπεκαλοῦντο ἐν φωνῇ μεγάλῃ καὶ κατετέμνοντο κατὰ τὸν ἐθισμὸν αὐτῶν ἐν μαχαίραις καὶ σειρομάσταις ἕως ἐκχύσεως αἵματος ἐπ’ αὐτούς
তাই তারা আরও জোরে চিৎকার করতে শুরু করল এবং তাদের লোকাচার অনুসারে, রক্তের ধারা প্রবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তরোয়াল ও বর্শা দিয়ে নিজেদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছিল।
29 καὶ ἐπροφήτευον ἕως οὗ παρῆλθεν τὸ δειλινόν καὶ ἐγένετο ὡς ὁ καιρὸς τοῦ ἀναβῆναι τὴν θυσίαν καὶ οὐκ ἦν φωνή καὶ ἐλάλησεν Ηλιου ὁ Θεσβίτης πρὸς τοὺς προφήτας τῶν προσοχθισμάτων λέγων μετάστητε ἀπὸ τοῦ νῦν καὶ ἐγὼ ποιήσω τὸ ὁλοκαύτωμά μου καὶ μετέστησαν καὶ ἀπῆλθον
দুপুর গড়িয়ে গেল, তবু তারা সন্ধ্যাকালীন বলিদানের সময় পর্যন্ত তাদের ক্ষিপ্ত ভাববাণী আউড়ে গেল। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি, কেউ উত্তর দেয়নি, কেউ তাতে মনোযোগ দেয়নি।
30 καὶ εἶπεν Ηλιου πρὸς τὸν λαόν προσαγάγετε πρός με καὶ προσήγαγεν πᾶς ὁ λαὸς πρὸς αὐτόν
তখন এলিয় সব লোকজনকে বললেন, “এখানে আমার কাছে এসো।” তারা তাঁর কাছে এসেছিল, ও তিনি ভেঙে পড়ে থাকা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি মেরামত করলেন।
31 καὶ ἔλαβεν Ηλιου δώδεκα λίθους κατ’ ἀριθμὸν φυλῶν τοῦ Ισραηλ ὡς ἐλάλησεν κύριος πρὸς αὐτὸν λέγων Ισραηλ ἔσται τὸ ὄνομά σου
সেই যাকোব থেকে উৎপন্ন বংশের সংখ্যানুসারে এলিয় বারোটি পাথর হাতে তুলে নিয়েছিলেন, যাঁর কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল, “তোমার নাম হবে ইস্রায়েল।”
32 καὶ ᾠκοδόμησεν τοὺς λίθους ἐν ὀνόματι κυρίου καὶ ἰάσατο τὸ θυσιαστήριον τὸ κατεσκαμμένον καὶ ἐποίησεν θααλα χωροῦσαν δύο μετρητὰς σπέρματος κυκλόθεν τοῦ θυσιαστηρίου
সেই পাথরগুলি দিয়ে তিনি সদাপ্রভুর নামে একটি যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন, এবং সেটির চারপাশে দুই কাঠা বীজ ধারণ করতে পারে, এত বড়ো একটি নালা কেটে দিলেন।
33 καὶ ἐστοίβασεν τὰς σχίδακας ἐπὶ τὸ θυσιαστήριον ὃ ἐποίησεν καὶ ἐμέλισεν τὸ ὁλοκαύτωμα καὶ ἐπέθηκεν ἐπὶ τὰς σχίδακας καὶ ἐστοίβασεν ἐπὶ τὸ θυσιαστήριον
তিনি কাঠ সাজিয়ে, বলদটি টুকরো টুকরো করে কেটে কাঠের উপর সাজিয়ে রেখেছিলেন। পরে তিনি তাদের বললেন, “চারটি বড়ো বড়ো বয়ামে জল ভরে সেই জল বলির পশু ও কাঠের উপর ঢেলে দাও।”
34 καὶ εἶπεν λάβετέ μοι τέσσαρας ὑδρίας ὕδατος καὶ ἐπιχέετε ἐπὶ τὸ ὁλοκαύτωμα καὶ ἐπὶ τὰς σχίδακας καὶ ἐποίησαν οὕτως καὶ εἶπεν δευτερώσατε καὶ ἐδευτέρωσαν καὶ εἶπεν τρισσώσατε καὶ ἐτρίσσευσαν
“আবার এরকম করো,” তিনি বললেন, ও তারা আবার তা করল। “তৃতীয়বারও এরকম করো,” তিনি আদেশ দিলেন, ও তারা তৃতীয়বার তা করল।
35 καὶ διεπορεύετο τὸ ὕδωρ κύκλῳ τοῦ θυσιαστηρίου καὶ τὴν θααλα ἔπλησαν ὕδατος
বেদি উপচে জল গড়িয়ে পড়েছিল ও এমনকি নালাও ভরিয়ে তুলেছিল।
36 καὶ ἀνεβόησεν Ηλιου εἰς τὸν οὐρανὸν καὶ εἶπεν κύριε ὁ θεὸς Αβρααμ καὶ Ισαακ καὶ Ισραηλ ἐπάκουσόν μου κύριε ἐπάκουσόν μου σήμερον ἐν πυρί καὶ γνώτωσαν πᾶς ὁ λαὸς οὗτος ὅτι σὺ εἶ κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ κἀγὼ δοῦλός σου καὶ διὰ σὲ πεποίηκα τὰ ἔργα ταῦτα
বলিদান উৎসর্গ করার সময় ভাববাদী এলিয় এগিয়ে এসে প্রার্থনা করলেন: “হে সদাপ্রভু, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, লোকেরা আজ জানুক যে ইস্রায়েলে তুমিই ঈশ্বর এবং আমি তোমার দাস ও আমি তোমার আদেশেই এসব কাজ করেছি।
37 ἐπάκουσόν μου κύριε ἐπάκουσόν μου ἐν πυρί καὶ γνώτω ὁ λαὸς οὗτος ὅτι σὺ εἶ κύριος ὁ θεὸς καὶ σὺ ἔστρεψας τὴν καρδίαν τοῦ λαοῦ τούτου ὀπίσω
আমায় উত্তর দাও, হে সদাপ্রভু, আমায় উত্তর দাও, যেন এইসব লোক জানতে পারে যে তুমি তাদের অন্তর আবার ফিরাতে চলেছ।”
38 καὶ ἔπεσεν πῦρ παρὰ κυρίου ἐκ τοῦ οὐρανοῦ καὶ κατέφαγεν τὸ ὁλοκαύτωμα καὶ τὰς σχίδακας καὶ τὸ ὕδωρ τὸ ἐν τῇ θααλα καὶ τοὺς λίθους καὶ τὸν χοῦν ἐξέλιξεν τὸ πῦρ
তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন নেমে এসেছিল এবং বলির পশু, কাঠ, পাথর ও মাটি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল, এবং নালার জলও নিকেশ করে ফেলেছিল।
39 καὶ ἔπεσεν πᾶς ὁ λαὸς ἐπὶ πρόσωπον αὐτῶν καὶ εἶπον ἀληθῶς κύριός ἐστιν ὁ θεός αὐτὸς ὁ θεός
সব লোকজন যখন এই দৃশ্য দেখেছিল, তারা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে চিৎকার করে উঠেছিল, “সদাপ্রভুই ঈশ্বর! সদাপ্রভুই ঈশ্বর!”
40 καὶ εἶπεν Ηλιου πρὸς τὸν λαόν συλλάβετε τοὺς προφήτας τοῦ Βααλ μηθεὶς σωθήτω ἐξ αὐτῶν καὶ συνέλαβον αὐτούς καὶ κατάγει αὐτοὺς Ηλιου εἰς τὸν χειμάρρουν Κισων καὶ ἔσφαξεν αὐτοὺς ἐκεῖ
তখন এলিয় তাদের আদেশ দিলেন, “বায়ালের ভাববাদীদের ধরে ফেলো। কেউ যেন পালাতে না পারে!” তারা তাদের ধরে ফেলেছিল, ও এলিয় তাদের কীশোন উপত্যকায় নামিয়ে এনে সেখানে তাদের হত্যা করলেন।
41 καὶ εἶπεν Ηλιου τῷ Αχααβ ἀνάβηθι καὶ φάγε καὶ πίε ὅτι φωνὴ τῶν ποδῶν τοῦ ὑετοῦ
আর এলিয় আহাবকে বললেন, “যান, ভোজনপান করুন, কারণ প্রবল বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।”
42 καὶ ἀνέβη Αχααβ τοῦ φαγεῖν καὶ πιεῖν καὶ Ηλιου ἀνέβη ἐπὶ τὸν Κάρμηλον καὶ ἔκυψεν ἐπὶ τὴν γῆν καὶ ἔθηκεν τὸ πρόσωπον ἑαυτοῦ ἀνὰ μέσον τῶν γονάτων ἑαυτοῦ
অতএব আহাব ভোজনপান করতে চলে গেলেন, কিন্তু এলিয় কর্মিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গিয়ে, মাটিতে হাঁটু মুড়ে, নিজের মুখটি দুই হাঁটুর মাঝখানে রেখে বসেছিলেন।
43 καὶ εἶπεν τῷ παιδαρίῳ αὑτοῦ ἀνάβηθι καὶ ἐπίβλεψον ὁδὸν τῆς θαλάσσης καὶ ἐπέβλεψεν τὸ παιδάριον καὶ εἶπεν οὐκ ἔστιν οὐθέν καὶ εἶπεν Ηλιου καὶ σὺ ἐπίστρεψον ἑπτάκι καὶ ἐπέστρεψεν τὸ παιδάριον ἑπτάκι
“যাও, সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকো,” তিনি তাঁর দাসকে বললেন। আর সে গিয়ে তাকিয়ে থেকেছিল। “সেখানে কিছুই নেই,” সে বলল। সাতবার এলিয় বললেন, “তুমি ফিরে যাও।”
44 καὶ ἐγένετο ἐν τῷ ἑβδόμῳ καὶ ἰδοὺ νεφέλη μικρὰ ὡς ἴχνος ἀνδρὸς ἀνάγουσα ὕδωρ καὶ εἶπεν ἀνάβηθι καὶ εἰπὸν τῷ Αχααβ ζεῦξον τὸ ἅρμα σου καὶ κατάβηθι μὴ καταλάβῃ σε ὁ ὑετός
সপ্তমবারে সেই দাস এসে খবর দিয়েছিল, “মানুষের হাতের মতো ছোটো একখণ্ড মেঘ সমুদ্র থেকে উঠে আসছে।” অতএব এলিয় বললেন, “যাও, আহাবকে গিয়ে বলো, ‘হ্যাঁচকা টান মেরে আপনার রথটি ওঠান ও বৃষ্টি বাধ সাধার আগেই আপনি চলে যান।’”
45 καὶ ἐγένετο ἕως ὧδε καὶ ὧδε καὶ ὁ οὐρανὸς συνεσκότασεν νεφέλαις καὶ πνεύματι καὶ ἐγένετο ὑετὸς μέγας καὶ ἔκλαιεν καὶ ἐπορεύετο Αχααβ εἰς Ιεζραελ
এদিকে, আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল, বাতাস উঠেছিল, প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হল এবং আহাব রথে চড়ে যিষ্রিয়েলে চলে গেলেন।
46 καὶ χεὶρ κυρίου ἐπὶ τὸν Ηλιου καὶ συνέσφιγξεν τὴν ὀσφὺν αὐτοῦ καὶ ἔτρεχεν ἔμπροσθεν Αχααβ ἕως Ιεζραελ
সদাপ্রভুর শক্তি এলিয়ের উপর নেমে এসেছিল, এবং নিজের আলখাল্লাটি কোমরবন্ধে গুঁজে নিয়ে তিনি আহাবের আগেই দৌড়ে যিষ্রিয়েলে পৌঁছে গেলেন।

< Βασιλειῶν Γʹ 18 >