< Προς Εβραιους 12 >
1 Τοιγαροῦν καὶ ἡμεῖς, τοσοῦτον ἔχοντες περικείμενον ἡμῖν νέφος μαρτύρων, ὄγκον ἀποθέμενοι πάντα καὶ τὴν εὐπερίστατον ἁμαρτίαν, δι᾽ ὑπομονῆς τρέχωμεν τὸν προκείμενον ἡμῖν ἀγῶνα,
সুতরাং, আমরা এরকম এক বিশাল সাক্ষীবাহিনী দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায়, এসো বাধাদায়ক সমস্ত বিষয় ও যেসব পাপ সহজেই আমাদের জড়িয়ে ধরে, সেগুলি ছুঁড়ে ফেলি। আর যে দৌড় আমাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এসো ধৈর্যের সঙ্গে সেই অভিমুখে ছুটে চলি।
2 ἀφορῶντες εἰς τὸν τῆς πίστεως ἀρχηγὸν καὶ τελειωτὴν Ἰησοῦν, ὃς ἀντὶ τῆς προκειμένης αὐτῷ χαρᾶς ὑπέμεινε σταυρόν, αἰσχύνης καταφρονήσας, ἐν δεξιᾷ τε τοῦ θρόνου τοῦ Θεοῦ κεκάθικεν.
এসো, আমাদের বিশ্বাসের আদি-উৎস ও সিদ্ধিদাতা যীশুর উপরে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করি, যিনি তাঁর সামনে স্থিত আনন্দের জন্য ক্রুশ সহ্য করলেন, সেই লজ্জাকে উপেক্ষা করলেন ও ঈশ্বরের সিংহাসনের ডানদিকে উপবেশন করলেন।
3 ἀναλογίσασθε γὰρ τὸν τοιαύτην ὑπομεμενηκότα ὑπὸ τῶν ἁμαρτωλῶν εἰς αὐτὸν ἀντιλογίαν, ἵνα μὴ κάμητε ταῖς ψυχαῖς ὑμῶν ἐκλυόμενοι.
পাপী মানুষের এত বিরোধিতা যিনি সহ্য করলেন, তাঁর কথা বিবেচনা করো, তাহলে তোমরাও ক্লান্তিতে অবসন্ন ও নিরুৎসাহ হবে না।
4 Οὔπω μέχρις αἵματος ἀντικατέστητε πρὸς τὴν ἁμαρτίαν ἀνταγωνιζόμενοι,
পাপের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য তোমাদের রক্তপাত করতে হয়েছে, এ ধরনের প্রতিরোধ তোমরা এখনও করোনি।
5 καὶ ἐκλέλησθε τῆς παρακλήσεως, ἥτις ὑμῖν ὡς υἱοῖς διαλέγεται· υἱέ μου, μὴ ὀλιγώρει παιδείας Κυρίου, μηδὲ ἐκλύου ὑπ᾽ αὐτοῦ ἐλεγχόμενος.
আর উৎসাহ প্রদানকারী সেই বাণী তোমরা ভুলে গিয়েছ, যা তোমাদের পুত্র বলে সম্বোধন করে: “পুত্র আমার, তুমি প্রভুর শাসন তুচ্ছ মনে কোরো না, তিনি তিরস্কার করলে নিরুৎসাহ হোয়ো না।
6 ὃν γὰρ ἀγαπᾷ Κύριος παιδεύει, μαστιγοῖ δὲ πάντα υἱὸν ὃν παραδέχεται.
কারণ প্রভু যাদের প্রেম করেন, তাদের শাসনও করেন, যাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করেন, তাকে শাস্তি প্রদানও করেন।”
7 εἰ παιδείαν ὑπομένετε, ὡς υἱοῖς ὑμῖν προσφέρεται ὁ Θεός· τίς γάρ ἐστιν υἱὸς ὃν οὐ παιδεύει πατήρ;
কষ্ট-দুর্দশাকে শাসন বলে সহ্য করো; ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে সন্তানের মতো আচরণ করেন। কারণ এমন পুত্র কেউ আছে, যাকে পিতা শাসন করেন না?
8 εἰ δὲ χωρίς ἐστε παιδείας, ἧς μέτοχοι γεγόνασι πάντες, ἄρα νόθοι ἐστὲ καὶ οὐχ υἱοί.
যদি তোমাদের শাসন করা না হয়, আর প্রত্যেক ব্যক্তিকেই শাসনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাহলে তোমরা অবৈধ সন্তান, প্রকৃত পুত্রকন্যা নও।
9 εἶτα τοὺς μὲν τῆς σαρκὸς ἡμῶν πατέρας εἴχομεν παιδευτὰς καὶ ἐνετρεπόμεθα· οὐ πολλῷ μᾶλλον ὑποταγησόμεθα τῷ πατρὶ τῶν πνευμάτων καὶ ζήσομεν;
এছাড়া, পৃথিবীতে আমাদের প্রত্যেকেরই বাবা আছেন, যাঁরা আমাদের শাসন করেছেন এবং সেজন্য আমরা তাঁদের শ্রদ্ধাও করি। তাহলে যিনি আমাদের আত্মাসকলের পিতা, তাঁর কাছে আমরা কত না আত্মসমর্পণ করব ও বেঁচে থাকব?
10 οἱ μὲν γὰρ πρὸς ὀλίγας ἡμέρας κατὰ τὸ δοκοῦν αὐτοῖς ἐπαίδευον, ὁ δὲ ἐπὶ τὸ συμφέρον, εἰς τὸ μεταλαβεῖν τῆς ἁγιότητος αὐτοῦ.
তাঁরা যেমন ভালো মনে করেছেন, তেমনই অল্পকালের জন্য আমাদের শাসন করেছেন। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের মঙ্গলের জন্য শাসন করেন, যেন আমরা তাঁর পবিত্রতার অংশীদার হতে পারি।
11 πᾶσα δὲ παιδεία πρὸς μὲν τὸ παρὸν οὐ δοκεῖ χαρᾶς εἶναι, ἀλλὰ λύπης, ὕστερον δὲ καρπὸν εἰρηνικὸν τοῖς δι᾽ αὐτῆς γεγυμνασμένοις ἀποδίδωσι δικαιοσύνης.
কোনো শাসনই তাৎক্ষণিক আনন্দদায়ক মনে হয় না, বরং যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়। যাই হোক, পরবর্তীকালে, যারা এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা লাভ করেছে, তা তাদের জন্য ধার্মিকতার ও শান্তির ফসল উৎপন্ন করে।
12 Διὸ τὰς παρειμένας χεῖρας καὶ τὰ παραλελυμένα γόνατα ἀνορθώσατε,
অতএব, তোমরা তোমাদের অশক্ত বাহু ও দুর্বল হাঁটু সবল করো।
13 καὶ τροχιὰς ὀρθὰς ποιήσατε τοῖς ποσὶν ὑμῶν, ἵνα μὴ τὸ χωλὸν ἐκτραπῇ, ἰαθῇ δὲ μᾶλλον.
“তোমাদের চলার পথ সরল করো,” যেন খোঁড়া ব্যক্তি পঙ্গু না হয়, বরং সুস্থ হতে পারে।
14 Εἰρήνην διώκετε μετὰ πάντων, καὶ τὸν ἁγιασμόν, οὗ χωρὶς οὐδεὶς ὄψεται τὸν Κύριον,
সকলের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে ও পবিত্র হওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করো। পবিত্রতা ব্যতিরেকে কেউ প্রভুর দর্শন পাবে না।
15 ἐπισκοποῦντες μή τις ὑστερῶν ἀπὸ τῆς χάριτος τοῦ Θεοῦ, μή τις ῥίζα πικρίας ἄνω φύουσα ἐνοχλῇ καὶ διὰ ταύτης μιανθῶσι πολλοί,
সতর্ক থেকো, কেউ যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত না হয়। দেখো, তিক্ততার কোনো মূল যেন অঙ্কুরিত হয়ে সমস্যার সৃষ্টি না করে ও অনেককে কলুষিত না করে।
16 μή τις πόρνος ἢ βέβηλος ὡς Ἠσαῦ, ὃς ἀντὶ βρώσεως μιᾶς ἀπέδοτο τὰ πρωτοτόκια αὐτοῦ.
সাবধান, কেউ যেন অবৈধ-সংসর্গকারী, অথবা এষৌর মতো ভক্তিহীন না হয়, যে একবারের খাবারের জন্য বড়ো ছেলের অধিকার বিক্রি করে দিয়েছিল।
17 ἴστε γὰρ ὅτι καὶ μετέπειτα, θέλων κληρονομῆσαι τὴν εὐλογίαν, ἀπεδοκιμάσθη· μετανοίας γὰρ τόπον οὐχ εὗρε, καίπερ μετὰ δακρύων ἐκζητήσας αὐτήν.
তোমরা জানো, পরে এই আশীর্বাদের অধিকারী হতে চাইলেও, সে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। যদিও সে চোখের জল ফেলে সেই আশীর্বাদের অন্বেষী হয়েছিল, কিন্তু সে মনের কোনও পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি।
18 Οὐ γὰρ προσεληλύθατε ψηλαφωμένῳ ὄρει καὶ κεκαυμένῳ πυρὶ καὶ γνόφῳ καὶ σκότῳ καὶ θυέλλῃ
তোমরা এমন কোনো পর্বতের সম্মুখীন হওনি, যা স্পর্শ করা যায়, যাতে আগুন জ্বলছে, যেখানে আছে অন্ধকার, ভীতি ও ঝড়ঝঞ্ঝা।
19 καὶ σάλπιγγος ἤχῳ καὶ φωνῇ ῥημάτων, ἧς οἱ ἀκούσαντες παρῃτήσαντο μὴ προστεθῆναι αὐτοῖς λόγον·
যারা তূরীধ্বনি শুনেছিল বা কণ্ঠস্বরের মুখোমুখি হয়েছিল, তারা প্রার্থনা করেছিল যে তাদের কাছে যেন আর কোনো কথা বলা না হয়।
20 οὐκ ἔφερον γὰρ τὸ διαστελλόμενον· κἂν θηρίον θίγῃ τοῦ ὄρους, λιθοβοληθήσεται·
কারণ এই আদেশ তারা সহ্য করতে পারেনি, “যদি একটি পশুও পর্বত স্পর্শ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই পাথরের আঘাতে মেরে ফেলা হবে।”
21 καί· οὕτω φοβερὸν ἦν τὸ φανταζόμενον! Μωϋσῆς εἶπεν· ἔκφοβός εἰμι καὶ ἔντρομος·
সেই দৃশ্য এতই ভয়ংকর ছিল যে, মোশি বলেছিলেন, “আমি ভয়ে কাঁপছি।”
22 ἀλλὰ προσεληλύθατε Σιὼν ὄρει καὶ πόλει Θεοῦ ζῶντος, Ἱερουσαλὴμ ἐπουρανίῳ, καὶ μυριάσιν ἀγγέλων,
কিন্তু তোমরা উপস্থিত হয়েছ সিয়োন পর্বতে, সেই স্বর্গীয় জেরুশালেমে, জীবন্ত ঈশ্বরের নগরে। তোমরা উপস্থিত হয়েছ হাজার হাজার স্বর্গদূতের আনন্দমুখর সমাবেশে,
23 πανηγύρει καὶ ἐκκλησίᾳ πρωτοτόκων ἐν οὐρανοῖς ἀπογεγραμμένων, καὶ κριτῇ Θεῷ πάντων, καὶ πνεύμασι δικαίων τετελειωμένων,
প্রথমজাতদের মণ্ডলীতে, যাদের নাম স্বর্গে লেখা আছে। তোমরা সব মানুষের বিচারক ঈশ্বর, সিদ্ধিপ্রাপ্ত ধার্মিকদের আত্মা ও
24 καὶ διαθήκης νέας μεσίτῃ Ἰησοῦ, καὶ αἵματι ῥαντισμοῦ κρεῖττον λαλοῦντι παρὰ τὸν Ἄβελ.
এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থতাকারী যীশু এবং তাঁর সিঞ্চিত রক্তের সম্মুখীন হয়েছ, যা হেবলের রক্তের চেয়েও উৎকৃষ্টতর কথা বলে।
25 Βλέπετε μὴ παραιτήσησθε τὸν λαλοῦντα. εἰ γὰρ ἐκεῖνοι οὐκ ἔφυγον τὸν ἐπὶ τῆς γῆς παραιτησάμενοι χρηματίζοντα, πολλῷ μᾶλλον ἡμεῖς οἱ τὸν ἀπ᾽ οὐρανῶν ἀποστρεφόμενοι·
দেখো, যিনি কথা বলেন, তাঁকে যেন তোমরা অগ্রাহ্য না করো। যিনি পৃথিবীতে তাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তাঁকে অগ্রাহ্য করে তারা যদি অব্যাহতি না পেয়ে থাকে, তাহলে যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের সতর্ক করেন, তাঁর প্রতি যদি আমরা বিমুখ হই, তাহলে নিশ্চিত যে আমরা নিষ্কৃতি পাব!
26 οὗ ἡ φωνὴ τὴν γῆν ἐσάλευσε τότε, νῦν δὲ ἐπήγγελται λέγων· ἔτι ἅπαξ ἐγὼ σείω οὐ μόνον τὴν γῆν, ἀλλὰ καὶ τὸν οὐρανόν.
সেই সময় তাঁর কণ্ঠস্বর পৃথিবীকে কম্পিত করেছিল, কিন্তু এখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, “আর একবার, আমি শুধুমাত্র পৃথিবীকে নয়, কিন্তু আকাশমণ্ডলকেও প্রকম্পিত করব।”
27 τὸ δὲ ἔτι ἅπαξ δηλοῖ τῶν σαλευομένων τὴν μετάθεσιν ὡς πεποιημένων, ἵνα μείνῃ τὰ μὴ σαλευόμενα.
“আর একবার” উক্তিটির তাৎপর্য হল, যেসব সৃষ্টবস্তু প্রকম্পিত করা যায়, সেগুলি দূর করা হবে, কিন্তু যা প্রকম্পিত করা যায় না, সেগুলি স্থায়ী হবে।
28 Διὸ βασιλείαν ἀσάλευτον παραλαμβάνοντες ἔχωμεν χάριν, δι᾽ ἧς λατρεύωμεν εὐαρέστως τῷ Θεῷ μετὰ αἰδοῦς καὶ εὐλαβείας·
অতএব, আমরা যে রাজ্য গ্রহণ করতে চলেছি, তা প্রকম্পিত হবে না; তাই এসো আমরা কৃতজ্ঞ হই এবং শ্রদ্ধায় ও সম্ভ্রমে ঈশ্বরের প্রীতিজনক উপাসনা করি।
29 καὶ γὰρ ὁ Θεὸς ἡμῶν πῦρ καταναλίσκον.
কারণ আমাদের “ঈশ্বর সবকিছু পুড়িয়ে দেওয়া আগুনের মতো।”