Sprueche 21
1 Gleich Wasserbächen ist das Herz des Königs in der Hand des HERRN: wohin immer er will, leitet er es. –
রাজার হৃদয় সদাপ্রভুর হাতে ধরা এমন এক জলপ্রবাহ যা তিনি তাদের সবার দিকে প্রবাহিত হতে দেন যারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে।
2 Alle seine Wege mag ein Mensch für recht halten, aber der HERR wägt die Herzen. –
মানুষ মনে করতে পারে যে তাদের পথই ঠিক, কিন্তু সদাপ্রভুই অন্তর মাপেন।
3 Recht und Gerechtigkeit üben ist dem HERRN wohlgefälliger als Schlachtopfer. –
বলিদানের পরিবর্তে যা যথার্থ ও ন্যায্য, তা করাই সদাপ্রভুর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।
4 Stolze Augen und ein aufgeblasenes Herz: das neue Leben der Gottlosen ist doch wieder Sünde. –
উদ্ধত দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়— দুষ্টদের অকর্ষিত জমি—পাপ উৎপন্ন করে।
5 Die Bestrebungen des Fleißigen bringen nur Gewinn; wer sich aber überstürzt, hat nur Schaden davon. –
পরিশ্রমীদের পরিকল্পনা লাভের মুখ দেখে ঠিক যেভাবে হঠকারিতা দারিদ্র নিয়ে আসে।
6 Erwerb von Schätzen durch lügnerische Zunge ist wie ein verwehender Hauch, Schlingen des Todes. –
মিথ্যাবাদী জিভ দ্বারা যে প্রচুর ধন অর্জিত হয় তা অস্থায়ী বাষ্প ও সাংঘাতিক ফাঁদবিশেষ।
7 Die Gottlosen rafft ihre Gewalttätigkeit hinweg, weil sie sich weigern zu tun, was recht ist. –
দুষ্টদের হিংস্রতা তাদেরই টেনে নিয়ে যাবে, কারণ তারা যা ন্যায্য তা করতে অস্বীকার করে।
8 Vielgewunden ist der Weg eines schuldbeladenen Menschen; wer aber redlich ist, dessen Tun ist gerade. –
অপরাধীদের পথ সর্পিল, কিন্তু নিরপরাধ মানুষের আচরণ ন্যায়নিষ্ঠ।
9 Besser ist es, auf dem Dach in einem Winkel zu wohnen, als mit einem zänkischen Weibe in gemeinsamem Haus. –
কলহপ্রিয়া স্ত্রীর সঙ্গে এক বাড়িতে থাকার চেয়ে ছাদের এক কোনায় বসবাস করা ভালো।
10 Der Sinn des Gottlosen trachtet nach Bösem; sein Nächster findet kein Erbarmen in seinen Augen. –
দুষ্টেরা অনিষ্টের আকাঙ্ক্ষা করে; তাদের প্রতিবেশীরা তাদের কাছ থেকে কোনও দয়া পায় না।
11 Durch Bestrafung des Spötters wird der Unverständige gewitzigt; und wenn man den Weisen belehrt, so nimmt er Einsicht an. –
যখন বিদ্রুপকারী শাস্তি পায়, অনভিজ্ঞ লোকেরা জ্ঞানার্জন করে; জ্ঞানবানদের প্রতি মনোযোগ দিয়ে তারা জ্ঞান লাভ করে।
12 Es ist ein Gerechter da, der auf das Haus des Gottlosen achtet und die Gottlosen ins Verderben stürzt. –
ধর্মময় জন দুষ্টদের বাড়ির দিকে নজর রাখেন ও দুষ্টদের সর্বনাশ করেন।
13 Wer sein Ohr vor dem Hilferuf des Armen verstopft, der wird ebenfalls, wenn er selber ruft, kein Gehör finden. –
যারা দরিদ্রদের কান্না শুনেও কান বন্ধ করে রাখে তারাও কাঁদবে ও কোনও উত্তর পাবে না।
14 Eine Gabe im geheimen beschwichtigt den Zorn und ein Geschenk im Busen den heftigsten Grimm. –
গোপনে দত্ত উপহার ক্রোধ প্রশমিত করে, ও আলখাল্লার নিচে লুকিয়ে রাখা ঘুস প্রচণ্ড ক্রোধ শান্ত করে।
15 Für die Gerechten ist es eine Freude, wenn Recht geschafft wird, aber für die Übeltäter ein Entsetzen. –
যখন ন্যায়বিচার করা হয়, তা ধার্মিকদের জীবনে আনন্দ এনে দেয় কিন্তু অনিষ্টকারীদের জীবনে আতঙ্ক জাগায়।
16 Ein Mensch, der vom Wege der Einsicht abirrt, wird (bald) in der Versammlung der Schatten ruhen. –
যে দূরদর্শিতার পথ থেকে দূরে সরে যায় সে মৃত মানুষদের সমাজে এসে বিশ্রাম নেয়।
17 Wer Lustbarkeiten liebt, wird Mangel leiden; wer Wein und Salböl liebt, wird nicht reich. –
যে তুচ্ছ আমোদ-প্রমোদ ভালোবাসে সে দরিদ্র হয়ে যাবে; যে দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেল ভালোবাসে সে কখনও ধনবান হবে না।
18 Der Gottlose ist ein Lösegeld für den Gerechten, und der Betrüger tritt an die Stelle (des Unglücks) der Redlichen. –
দুষ্টেরা ধার্মিকদের জন্য, ও বিশ্বাসঘাতকেরা ন্যায়পরায়ণদের জন্য মুক্তিপণ হবে।
19 Besser ist es, (einsam) in einem wüsten Lande zu wohnen als bei einem zänkischen und grämlichen Weibe. –
কলহপ্রিয়া ও খুঁতখুঁতে স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করার চেয়ে বরং মরুভূমিতে বসবাস করা ভালো।
20 Kostbare Schätze sind in der Wohnung des Weisen, aber ein törichter Mensch vergeudet sie. –
জ্ঞানবানেরা পছন্দসই খাদ্যদ্রব্য ও জলপাই তেল সঞ্চয় করে রাখে, কিন্তু মূর্খেরা তাদের কাছে যা কিছু থাকে সেসব গ্রাস করে ফেলে।
21 Wer sich der Gerechtigkeit und Güte befleißigt, erlangt Leben, Heil und Ehre. –
যে ধার্মিকতা ও ভালোবাসার পশ্চাদ্ধাবন করে সে জীবন, সমৃদ্ধি ও সম্মান পায়।
22 Ein Weiser ersteigt die feste Stadt von Kriegshelden und bringt das Bollwerk, auf das sie sich verließ, zu Fall. –
যে জ্ঞানবান সে বলশালীদের নগর আক্রমণ করতে পারে ও সেই বলশালীরা যে দুর্গের উপরে নির্ভর করে থাকে, সেগুলিও চূর্ণ করে দিতে পারে।
23 Wer seinen Mund und seine Zunge hütet, behütet sein Leben vor Fährlichkeiten. –
যারা তাদের মুখ ও জিভ সংযত রাখে তারা নিজেদেরকে চরম দুর্দশা থেকে রক্ষা করে।
24 Ein aufgeblasener und frecher Mensch – Spötter ist sein Name – handelt in vermessenem Übermut. –
অহংকারী ও দাম্ভিক মানুষ—তার নাম “বিদ্রুপকারী”— অশিষ্ট উন্মত্ততাপূর্ণ আচরণ করে।
25 Dem Faulen bringt sein Gelüsten den Tod, weil seine Hände sich vor der Arbeit scheuen. –
অলসের তীব্র আকাঙ্ক্ষা তার মৃত্যু ডেকে আনে, কারণ তার হাত দুটি কাজ করতে অস্বীকার করে।
26 Unaufhörlich wird gebettelt und gebettelt; dennoch gibt der Gerechte, ohne zu geizen. –
সারাটি দিন ধরে সে আরও বেশি কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে, কিন্তু ধার্মিকেরা অকাতরে দান করে।
27 Das Opfer der Gottlosen ist (dem HERRN) ein Greuel, zumal wenn sie es um einer Schandtat willen darbringen. –
দুষ্টদের বলিদান ঘৃণার্হ— মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে যখন তা আনা হয় তখন তা আরও কত না বেশি ঘৃণার্হ হয়ে যায়!
28 Ein lügenhafter Zeuge geht zugrunde, aber ein Mann, der Ohrenzeuge gewesen, mag allezeit reden. –
মিথ্যাসাক্ষী ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু মনোযোগী শ্রোতা সফলতাপূর্বক সাক্ষ্য দেবে।
29 Ein gottloser Mensch trägt ein freches Angesicht zur Schau, ein Rechtschaffener aber gibt seinem Wege eine feste Richtung. –
দুষ্টেরা দুঃসাহসিক ধৃষ্টতা খাড়া করে, কিন্তু ন্যায়পরায়ণরা তাদের জীবনযাত্রার ধরনের কথা ভেবে চলে।
30 Es gibt weder Weisheit noch Einsicht noch einen klugen Anschlag gegenüber dem HERRN. –
এমন কোনও প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা বা পরিকল্পনা নেই যা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে সফল হতে পারে।
31 Das Roß wird für den Tag der Schlacht gerüstet, aber der Sieg steht bei dem HERRN.
ঘোড়াকে যুদ্ধের দিনের জন্য তৈরি করে রাখা হয়। কিন্তু বিজয় নির্ভর করে সদাপ্রভুর উপরে।
