< Matthaeus 5 >
1 Als Jesus nun die Volksscharen sah, ging er ins Gebirge hinauf, und nachdem er sich dort gesetzt hatte, traten seine Jünger zu ihm.
১তিনি প্রচুর লোক দেখে পাহাড়ে উঠলেন; আর তিনি বসার পর তাঁর শিষ্যেরা তাঁর কাছে এলেন।
2 Da tat er seinen Mund auf und lehrte sie mit den Worten:
২তখন তিনি মুখ খুলে তাদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন
3 »Selig sind die geistlich Armen, denn ihnen wird das Himmelreich zuteil!
৩ধন্য যারা আত্মাতে গরিব, কারণ স্বর্গ রাজ্য তাদেরই।
4 Selig sind die Bekümmerten, denn sie werden getröstet werden! –
৪ধন্য যারা দুঃখ করে, কারণ তারা সান্ত্বনা পাবে।
5 Selig sind die Sanftmütigen, denn sie werden das Land ererben!
৫ধন্য যারা বিনয়ী, কারণ তারা ভূমির অধিকারী হবে।
6 Selig sind, die nach der Gerechtigkeit hungern und dürsten, denn sie werden gesättigt werden! –
৬ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত, কারণ তারা পরিতৃপ্ত হবে।
7 Selig sind die Barmherzigen, denn sie werden Barmherzigkeit erlangen!
৭ধন্য যারা দয়াশীল, কারণ তারা দয়া পাবে।
8 Selig sind, die reinen Herzens sind, denn sie werden Gott schauen!
৮ধন্য তারা যাদের মন শুদ্ধ, কারণ তারা ঈশ্বরের দর্শন পাবে।
9 Selig sind die Friedfertigen, denn sie werden Söhne Gottes heißen! –
৯ধন্য যারা মিলন করে দেয়, কারণ তারা ঈশ্বরের সন্তান বলে পরিচিত হবে।
10 Selig sind, die um der Gerechtigkeit willen Verfolgung erleiden, denn ihnen wird das Himmelreich zuteil!
১০ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য নির্যাতিত হয়েছে, কারণ স্বর্গরাজ্য তাদেরই।
11 Selig seid ihr, wenn man euch um meinetwillen schmäht und verfolgt und euch lügnerisch alles Böse nachredet!
১১ধন্য তোমরা, যখন লোকে আমার জন্য তোমাদের নিন্দা ও নির্যাতন করে এবং মিথ্যা করে তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বরকম খারাপ কথা বলে।
12 Freuet euch darüber und jubelt, denn euer Lohn ist groß im Himmel! Ebenso hat man ja auch die Propheten vor euch verfolgt.«
১২আনন্দ করো, খুশি হও, কারণ স্বর্গে তোমাদের পুরষ্কার প্রচুর; কারণ তোমাদের আগে যে ভাববাদীরা ছিলেন, তাদের তারা সেইভাবে নির্যাতন করত।
13 »Ihr seid das Salz der Erde! Wenn aber das Salz fade geworden ist, womit soll es wieder gesalzen werden? Es taugt zu nichts mehr, als aus dem Hause geworfen und von den Leuten zertreten zu werden. –
১৩তোমরা পৃথিবীর লবণ, কিন্তু লবণের স্বাদ যদি যায়, তবে তা কিভাবে লবণের গুনবিশিষ্ট করা যাবে? তা আর কোনো কাজে লাগে না, কেবল বাইরে ফেলে দেবার ও লোকের পায়ের তলায় দলিত হবার যোগ্য হয়।
14 Ihr seid das Licht der Welt! Eine Stadt, die oben auf einem Berge liegt, kann nicht verborgen bleiben.
১৪তোমরা জগতের আলো; পর্বতের উপরে অবস্থিত শহর গোপন থাকতে পারে না।
15 Man zündet auch nicht ein Licht an und stellt es unter den Scheffel, sondern auf den Leuchter: dann leuchtet es allen, die im Hause sind.
১৫আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়ে ঝুড়ির নীচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাতে তা ঘরের সব লোককে আলো দেয়।
16 Ebenso soll auch euer Licht vor den Menschen leuchten, damit sie eure guten Werke sehen und euren Vater, der im Himmel ist, preisen.«
১৬সেইভাবে তোমাদের আলো মানুষদের সামনে উজ্জ্বল হোক, যেন তারা তোমাদের ভাল কাজ দেখে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
17 »Denkt nicht, daß ich gekommen sei, das Gesetz oder die Propheten aufzulösen! Ich bin nicht gekommen aufzulösen, sondern zu erfüllen.
১৭মনে কর না যে, আমি আইন কি ভাববাদীগ্রন্থ ধ্বংস করতে এসেছি; আমি ধ্বংস করতে আসিনি, কিন্তু সম্পূর্ণ করতে এসেছি।
18 Denn wahrlich ich sage euch: Bis Himmel und Erde vergehen, wird vom Gesetz nicht ein einziges Jota und kein Strichlein vergehen, bis alles in Erfüllung gegangen ist.
১৮কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হবে, সে পর্যন্ত আইনের এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হবে না, সবই সফল হবে।
19 Wer also ein einziges von diesen Geboten – und wäre es das geringste – auflöst und die Menschen demgemäß lehrt, der wird der Geringste im Himmelreich heißen; wer sie aber tut und (die Menschen) so lehrt, der wird groß im Himmelreich heißen.
১৯অতএব যে কেউ এই সব ছোট আদেশের মধ্যে কোন একটি আদেশ অমান্য করে ও লোকদেরকে সেইভাবে শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গরাজ্যে অতি ছোট বলা যাবে; কিন্তু যে কেউ সে সব পালন করে ও শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গরাজ্যে মহান বলা যাবে।
20 Denn ich sage euch: Wenn es mit eurer Gerechtigkeit nicht weit besser bestellt ist als bei den Schriftgelehrten und Pharisäern, so werdet ihr nimmermehr ins Himmelreich eingehen!«
২০কারণ আমি তোমাদের বলছি, ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্ম্মিকতা যদি বেশি না হয়, তবে তোমরা কোনো মতে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
21 »Ihr habt gehört, daß den Alten geboten worden ist: ›Du sollst nicht töten‹, wer aber tötet, soll dem Gericht verfallen sein.
২১তোমরা শুনেছ, আগের কালের লোকদের কাছে বলা হয়েছিল, “তুমি নরহত্যা কর না,” আর যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে।
22 Ich dagegen sage euch: Wer seinem Bruder auch nur zürnt, der soll dem Gericht verfallen sein; und wer zu seinem Bruder ›Dummkopf‹ sagt, soll dem Hohen Rat verfallen sein; und wer ›du Narr‹ zu ihm sagt, soll der Feuerhölle verfallen sein. (Geenna )
২২কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ নিজের ভাইয়ের প্রতি রাগ করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে; আর যে কেউ নিজের ভাইকে বলে, রে বোকা, সে মহাসভার দায়ে পড়বে। আর যে কেউ বলে রে মূর্খ সে নরকের আগুনের দায়ে পড়বে। (Geenna )
23 Wenn du also deine Opfergabe zum Altar bringst und dich dort erinnerst, daß dein Bruder etwas gegen dich hat,
২৩অতএব তুমি যখন যজ্ঞবেদির কাছে নিজের নৈবেদ্য উৎসর্গ করছ, তখন সেই জায়গায় যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কোন কথা আছে,
24 so laß deine Gabe dort vor dem Altar und gehe zunächst hin und versöhne dich mit deinem Bruder; alsdann geh hin und opfere deine Gabe!
২৪তবে সেই জায়গায় বেদির সামনে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলে যাও, প্রথমে তোমার ভাইয়ের সাথে আবার মিলন হও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ কর।
25 Sei zum Vergleich mit deinem Widersacher ohne Säumen bereit, solange du mit ihm noch auf dem Wege (zum Richter) bist, damit dein Widersacher dich nicht dem Richter übergibt und der Richter dich dem Gerichtsdiener (überantwortet) und du ins Gefängnis gesetzt wirst.
২৫তুমি যখন বিপক্ষের সঙ্গে পথে থাক, তখন তার সাথে তাড়াতাড়ি মিল কর, যদি বিপক্ষ তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দেয় ও বিচারক তোমাকে রক্ষীর হাতে তুলে দেয়, আর তুমি কারাগারে বন্দী হও।
26 Wahrlich ich sage dir: Du wirst von dort sicherlich nicht herauskommen, bis du den letzten Pfennig bezahlt hast.
২৬আমি তোমাকে সত্য বলছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ পয়সাটা শোধ করবে, ততক্ষণ তুমি কোন মতে সেখান থেকে বাইরে আসতে পারবে না।
27 Ihr habt gehört, daß (den Alten) geboten worden ist: ›Du sollst nicht ehebrechen!‹
২৭তোমরা শুনেছ যে এটা বলা হয়েছিল, “তুমি ব্যভিচার করও না।”
28 Ich dagegen sage euch: Wer eine Ehefrau auch nur mit Begehrlichkeit anblickt, hat damit schon in seinem Herzen Ehebruch an ihr begangen.
২৮কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ কোনো স্ত্রীলোকের দিকে লালসাপূর্ণ ভাবে দেখে, তখনই সে হৃদয়ে তার সাথে ব্যভিচার করল।
29 Wenn dich also dein rechtes Auge ärgert, so reiß es aus und wirf es weg von dir; denn es ist besser für dich, daß eines deiner Glieder (dir) verloren geht, als daß dein ganzer Leib in die Hölle geworfen wird. (Geenna )
২৯আর তোমার ডান চোখ যদি তোমায় পাপ করায়, তবে তা উপড়ে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়া চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল। (Geenna )
30 Und wenn deine rechte Hand dich ärgert, so haue sie ab und wirf sie weg von dir; denn es ist besser für dich, daß eines deiner Glieder (dir) verloren geht, als daß dein ganzer Leib in die Hölle geworfen wird. – (Geenna )
৩০আর তোমার ডান হাত যদি তোমাকে পাপ করায়, তবে তা কেটে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল। (Geenna )
31 Ferner ist (zu den Alten) gesagt worden: ›Wer seine Ehefrau entläßt, der soll ihr einen Scheidebrief geben!‹
৩১আর বলা হয়েছিল, “যে কেউ নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাকে ত্যাগপত্র দিক।”
32 Ich dagegen sage euch: Wer sich von seiner Frau scheidet – außer auf Grund von Unzucht –, der verschuldet es, daß dann Ehebruch mit ihr verübt wird; und wer eine entlassene Frau heiratet, der begeht Ehebruch.
৩২কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ ব্যভিচার ছাড়া অন্য কারণে নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাকে ব্যাভিচারিনী করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে।
33 Ihr habt weiter gehört, daß den Alten geboten worden ist: ›Du sollst nicht falsch schwören‹, ›sollst aber dem Herrn deine Eide erfüllen!‹
৩৩আবার তোমরা শুনেছ, আগের কালের লোকদের কাছে বলা হয়েছিল, তুমি মিথ্যা দিব্যি কর না, কিন্তু প্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার সমস্ত প্রতিজ্ঞা পালন কর।
34 Ich dagegen sage euch: Ihr sollt überhaupt nicht schwören, weder beim Himmel, denn er ist Gottes Thron,
৩৪কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, কোন দিব্যি করো না; স্বর্গের দিব্যি কর না, কারণ তা ঈশ্বরের সিংহাসন এবং পৃথিবীর দিব্যি কর না, কারণ তা তাঁর পা রাখার জায়গা;
35 noch bei der Erde, denn sie ist der Schemel seiner Füße, noch bei Jerusalem, denn es ist die Stadt des großen Königs.
৩৫আর যিরুশালেমের দিব্যি কর না, কারণ তা মহান রাজার শহর।
36 Auch bei deinem Haupte sollst du nicht schwören, denn du vermagst kein einziges Haar weiß oder schwarz zu machen.
৩৬আর তোমার মাথার দিব্যি কর না, কারণ একগাছা চুল সাদা কি কালো করবার সাধ্য তোমার নেই।
37 Eure Rede sei vielmehr ›ja ja – nein nein‹; jeder weitere Zusatz ist vom Übel.
৩৭কিন্তু তোমাদের কথা হ্যাঁ, হ্যাঁ, না, না, হোক; এর বেশি যা, তা শয়তান থেকে জন্মায়।
38 Ihr habt gehört, daß (den Alten) geboten worden ist: ›Auge um Auge und Zahn um Zahn!‹
৩৮তোমরা শুনেছ বলা হয়েছিল, “চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত।”
39 Ich dagegen sage euch: Ihr sollt dem Bösen keinen Widerstand leisten; sondern wer dich auf die rechte Wange schlägt, dem halte auch die andere hin,
৩৯কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা মন্দ লোককে বাধা দিয়ো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে, অন্য গাল তার দিকে ফিরিয়ে দাও।
40 und wer mit dir einen Rechtsstreit anfangen und dir den Rock nehmen will, dem überlaß auch noch den Mantel,
৪০আর যে তোমার সাথে বিচারের জায়গায় ঝগড়া করে তোমার পোষাক নিতে চায়, তাকে তোমার চাদরও দিয়ে দাও।
41 und wer dich zu einer Meile Weges nötigt, mit dem gehe zwei.
৪১আর যে কেউ এক মাইল যেতে তোমাকে জোর করে, তার সঙ্গে দুই মাইল যাও।
42 Wer dich (um etwas) bittet, dem gib, und wer (Geld) von dir borgen will, den weise nicht ab!
৪২যে তোমার কাছে কিছু চায়, তাকে সেটা দাও এবং যে তোমার কাছে ধার চায়, তা থেকে বিমুখ হয়ো না।
43 Ihr habt gehört, daß (den Alten) geboten worden ist; ›Du sollst deinen Nächsten lieben, und deinen Feind hassen!‹
৪৩তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছিল, “তোমার প্রতিবেশীকে প্রেম করবে এবং তোমার শত্রুকে ঘৃণা করবে।”
44 Ich dagegen sage euch: Liebet eure Feinde und betet für eure Verfolger,
৪৪কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা নিজের নিজের শত্রুদেরকে ভালবেস এবং যারা তোমাদের ঘৃণা করে, তাদের জন্য প্রার্থনা কর;
45 damit ihr euch als Söhne eures himmlischen Vaters erweist. Denn er läßt seine Sonne über Böse und Gute aufgehen und läßt regnen auf Gerechte und Ungerechte.
৪৫যেন তোমরা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার সন্তান হও, কারণ তিনি ভাল মন্দ লোকদের উপরে নিজের সূর্য্য উদয় করেন এবং ধার্মিক অধার্মিকদের উপরে বৃষ্টি দেন।
46 Denn wenn ihr (nur) die liebt, die euch lieben, welches Verdienst habt ihr da? Tun das nicht auch die Zöllner?
৪৬কারণ যারা তোমাদের ভালবাসে, যদি শুধু তাদেরই ভালবাসো তবে তোমাদের কি পুরষ্কার হবে? কর আদায়কারীরাও কি সেই মত করে না?
47 Und wenn ihr nur eure Freunde grüßt, was tut ihr da Besonderes? Tun das nicht auch die Heiden?
৪৭আর তোমরা যদি কেবল নিজের নিজের ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাও, তবে বেশি কি কাজ কর? অইহূদিরাও কি সেইভাবে করে না?
48 Darum sollt ihr vollkommen sein, wie euer himmlischer Vater vollkommen ist.«
৪৮অতএব তোমাদের স্বর্গীয় পিতা যেমন সিদ্ধ, তোমরাও তেমনি সিদ্ধ হও।