< Job 20 >
1 Nun nahm Zophar von Naama das Wort und sagte:
পরে নামাথীয় সোফর উত্তর দিলেন:
2 »Eben darum veranlassen meine Gedanken mich zu einer Antwort, und eben deswegen bin ich innerlich erregt:
“আমার বিক্ষুব্ধ চিন্তাভাবনা আমাকে উত্তর দিতে উত্তেজিত করছে যেহেতু আমি খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছি।
3 eine mich beschimpfende Zurechtweisung muß ich hören! Doch der Geist gibt mir eine Antwort aus meiner Einsicht ein.«
আমি এমন তিরস্কার শুনেছি যা আমাকে অসম্মানিত করেছে, ও আমার বুদ্ধি-বিবেচনা আমাকে উত্তর দিতে অনুপ্রাণিত করছে।
4 »Kennst du nicht die Wahrheit von alters her, seitdem der Mensch seinen Wohnsitz auf der Erde hat,
“তুমি নিশ্চয় জানো যে প্রাচীনকাল থেকে, পৃথিবীতে যখন মানবজাতিকে স্থাপন করা হয়েছিল তখন থেকেই কীভাবে,
5 daß das Frohlocken der Frevler von kurzer Dauer ist und die Freude der Ruchlosen nur einen Augenblick währt?
দুষ্টদের হাসিখুশি ভাব ক্ষণস্থায়ী হয়ে আসছে, অধার্মিকদের আনন্দ শুধু এক মুহূর্তের জন্য স্থায়ী হয়ে আসছে।
6 Sollte auch sein Dünkel sich bis zum Himmel erheben und sein Haupt bis an die Wolken reichen,
অধার্মিকের গর্ব যদিও আকাশমণ্ডল পর্যন্ত পৌঁছায় ও তার মাথা মেঘ স্পর্শ করে,
7 so vergeht er doch wie sein Unrat für immer, und die ihn gekannt haben, werden fragen: ›Wo ist er geblieben?‹
তাও সে তার নিজের মলের মতো চিরতরে বিনষ্ট হবে; যারা তাকে চিনত, তারা বলবে, ‘সে কোথায় গেল?’
8 Wie ein Traum verfliegt er, so daß man ihn nicht mehr findet, und er wird hinweggescheucht wie ein Nachtgesicht:
স্বপ্নের মতো সে অদৃশ্য হয়ে যাবে, আর কখনও তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, রাতের দর্শনের মতো তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
9 das Auge, das ihn gesehen, erblickt ihn nimmer wieder, und seine Stätte gewahrt ihn nicht mehr.
যে চোখ তাকে দেখেছিল তা আর তাকে দেখতে পাবে না; তার বাসস্থানও আর তার দিকে তাকাবে না।
10 Seine Söhne müssen die (durch ihn) Verarmten mit Bitten beschwichtigen und seine eigenen Hände sein Vermögen wieder herausgeben.
তার সন্তানেরা দরিদ্রদের ক্ষতিপূরণ করবে; তার নিজের হাতই তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেবে।
11 Mögen auch seine Glieder von Jugendkraft strotzen: sie muß sich doch mit ihm in den Staub legen.
তারুণ্যে ভরপুর যে প্রাণশক্তিতে তার অস্থি পরিপূর্ণ ছিল তা তারই সাথে ধুলোয় মিশে যাবে।
12 Mag das Böse auch seinem Munde süß schmecken, so daß er es lange unter seiner Zunge birgt,
“দুষ্টতা যদিও তার মুখে মিষ্টি লাগে ও তা সে তার জিভের নিচে লুকিয়ে রাখে,
13 daß er es schonend hegt und es nicht fahren lassen will, sondern es an seinem Gaumen zurückhält,
সে যদিও তা বাইরে বেরিয়ে যেতে দিতে চায় না ও তার মুখেই তা দীর্ঘ সময় ধরে রেখে দেয়,
14 so verwandelt sich doch seine Speise in seinen Eingeweiden: zu Otterngalle wird sie in seinem Leibe.
তবুও তার খাদ্যদ্রব্য তার পেটে গিয়ে টকে যাবে; তার দেহের মধ্যে তা সাপের বিষে পরিণত হবে।
15 Den Reichtum, den er verschlungen hat, muß er wieder ausspeien: aus seinem Bauche treibt Gott ihn wieder heraus.
সে যে ঐশ্বর্য কবলিত করেছিল তা সে থু থু করে ফেলবে; ঈশ্বর তার পেট থেকে সেসব বমি করিয়ে বের করবেন।
16 Otterngift hat er eingesogen: nun gibt ihm die Zunge der Viper den Tod.
সে সাপের বিষ চুষবে; বিষধর সাপের বিষদাঁত তাকে হত্যা করবে।
17 Nicht darf er seine Lust mehr sehen an den Bächen, an den wogenden Strömen von Honig und Sahne.
সে জলপ্রবাহ উপভোগ করবে না, মধু ও ননী-প্রবাহিত নদীও উপভোগ করবে না।
18 Das Erraffte muß er wieder herausgeben, ohne es verschlucken zu können; wieviel Gut er auch erworben hat, er darf nicht frohlocken.
তার পরিশ্রমের ফল তাকে না খেয়ে ফিরিয়ে দিতে হবে; তার বেচাকেনার লাভ সে ভোগ করবে না।
19 Denn er hat die Armen niedergeschlagen und hilflos verkommen lassen, hat Häuser an sich gerissen, wird sie aber nicht häuslich einrichten dürfen;
যেহেতু সে দরিদ্রদের উপর অত্যাচার করে তাদের নিঃস্ব করে ছেড়েছে; সে সেই বাড়িগুলি দখল করেছে যেগুলি সে নির্মাণ করেনি।
20 denn er kannte keine Befriedigung in seiner Gier: darum wird er auch von seinen Kostbarkeiten nichts davonbringen.
“সে নিশ্চয় তার তীব্র আকাঙ্ক্ষার হাত থেকে রেহাই পাবে না; সে তার ধন দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারবে না।
21 Nichts entging seinem Fressen: darum hat sein Wohlstand keine Dauer.
গ্রাস করার জন্য তার কাছে আর কিছু অবশিষ্ট নেই; তার সমৃদ্ধি স্থায়ী হবে না।
22 In der Fülle seines Überflusses wird ihm enge: die ganze Gewalt des Unheils kommt über ihn.
তার প্রাচুর্যের মধ্যেই, চরম দুর্দশা তাকে ধরে ফেলবে; দুর্বিপাক সবলে তার উপরে এসে পড়বে।
23 Da entfesselt Gott dann, um ihm den Bauch zu füllen, seine Zornesglut gegen ihn und läßt sie als seine Speise auf ihn regnen.
তার পেট ভরে যাওয়ার পর, ঈশ্বর তাঁর জ্বলন্ত ক্রোধ তার উপর ঢেলে দেবেন ও তার উপর তাঁর আঘাত বর্ষণ করবেন।
24 Flieht er vor der eisernen Rüstung, so durchbohrt ihn der eherne Bogen;
যদিও সে লৌহাস্ত্র থেকে পালাবে, ব্রোঞ্জের ফলাযুক্ত তির তাকে বিদ্ধ করবে।
25 er zieht den Pfeil heraus, da fährt’s aus seinem Rücken hervor: ein Blutstrahl schießt aus seiner Galle, Todesschrecken brechen über ihn herein.
সে তার পিঠ থেকে সেটি টেনে বের করবে, তার যকৃৎ থেকে সেই চক্মকে ফলাটি বের করবে। আতঙ্ক তার উপরে নেমে আসবে;
26 Alles Unheil ist seinen Schätzen aufgespart: ein Feuer, das nicht (von Menschen) angefacht ist, frißt sie und verzehrt, was in seinem Zelt noch übriggeblieben ist.
তার ধনসম্পদের জন্য সর্বাত্মক অন্ধকার অপেক্ষা করে আছে। দাবানল তাকে গ্রাস করবে ও তার তাঁবুর অবশিষ্ট সবকিছু গিলে খাবে।
27 Der Himmel deckt Sündenschuld auf, und die Erde erhebt sich gegen ihn.
আকাশমণ্ডল তার দোষ প্রকাশ করে দেবে; পৃথিবী তার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াবে।
28 Was in seinem Hause zusammengescharrt liegt, wird weggeschleppt, zerrinnt (wie Wasser) am Tage des göttlichen Zorngerichts.
বন্যা এসে তার বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, ঈশ্বরের ক্রোধের দিনে বেগে ধাবমান জলস্রোত নেমে আসবে।
29 Das ist des ruchlosen Menschen Teil von seiten Gottes und das vom Allherrn ihm zugesprochene Erbe.«
দুষ্ট লোকেদের এই হল ঈশ্বর-নিরূপিত পরিণতি, ঈশ্বর দ্বারা এই উত্তরাধিকারই তাদের জন্য নিরূপিত হয়ে আছে।”