< Job 30 >

1 "Und jetzt verlachen solche mich, die jünger sind als ich, ja solche, deren Väter ich nicht beigesellen möchte meinen Herdenhunden!
“কিন্তু এখন তারাই আমাকে বিদ্রুপ করে, যারা আমার থেকে বয়সে ছোটো, যাদের বাবাদের আমি আমার মেষপাল-রক্ষক কুকুরদের সাথে রাখতেও অবজ্ঞা করতাম।
2 Was sollte mir selbst ihrer Hände Kraft, denn Rüstigkeit geht ihnen doch verloren!
তাদের হাতের শক্তি আমার কী কাজে লাগত, যেহেতু তাদের প্রাণশক্তি তো তাদের কাছ থেকে চলে গিয়েছে?
3 Durch Mangel und durch harten Hunger sollen sie sich Nahrung aus der Wüste holen, dem Lande des Orkans und Sturmes.
অভাব ও খিদের জ্বালায় জীর্ণশীর্ণ হয়ে তারা রাতের বেলায় রৌদ্রদগ্ধ জমিতে ও জনশূন্য পতিত জমিতে ঘুরে বেড়াত।
4 Sie sollten Melde pflücken am Gesträuche, und ihre Nahrung seien Ginsterwurzeln!
ঝাড়-জঙ্গলে তারা লবণাক্ত শাক সংগ্রহ করত, ও খেংরা ঝোপের মূল তাদের খাদ্য হয়েছিল।
5 Von Wasserstellen sollten sie vertrieben werden! Man schreie über sie wie Diebe,
মানবসমাজ থেকে তারা বিতাড়িত হয়েছিল, লোকজন যেভাবে চোরের পিছনে চিৎকার করে, সেভাবে তাদেরও পিছনেও চিৎকার করত।
6 daß sie in schauerlichen Schluchten, in Erdlöchern und Felsenhöhlen siedeln,
তারা শুকনো নদীখাতে, পাষাণ-পাথরের খাঁজে ও জমির ফাটলে বসবাস করতে বাধ্য হত।
7 und daß sie im Gebüsche gröhlen und unter Nesseln sich zusammenkauern!
ঝোপঝাড়ে তারা পশুদের মতো ডাক দিয়ে বেড়াত ও লতাগুল্মের জঙ্গলে গাদাগাদি করে থাকত।
8 Sie, eine Brut so schlecht und ehrlos, sie sollten tief im Staube liegen!
এক হীন ও অখ্যাত কুল হয়ে, তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
9 Und jetzt bin ich ihr Spottgesang; ich diene ihnen zum Gerede.
“আর এখন সেই যুবকেরা গান গেয়ে গেয়ে আমাকে বিদ্রুপ করে; আমি তাদের মাঝে এক জনশ্রুতিতে পরিণত হয়েছি।
10 Ja, sie verabscheun mich und rücken fern von mir und scheun sich nicht, mir ins Gesicht zu speien.
তারা আমাকে ঘৃণা করে ও আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকে; আমার মুখে থুতু ছিটাতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না।
11 Er löste mir das Diadem und warf mich auf den Boden, daß sie den Zügel vor mir schießen lassen konnten.
এখন যেহেতু ঈশ্বর আমার ধনুক বিতন্ত্রিত করেছেন ও আমাকে দুর্দশাগ্রস্ত করেছেন, তাই আমার সামনে তারা সংযম ঝেড়ে ফেলেছে।
12 Zur Prüfung stehn die Gegner auf; sie lähmen mir die Füße und werfen gegen mich die Wege für ihr Unheil auf.
আমার ডানদিকে উপজাতিরা আক্রমণ করে; তারা আমার পায়ের জন্য ফাঁদ বিছায়, আমার বিরুদ্ধে তারা তাদের অবরোধ-পথ নির্মাণ করে।
13 Sie reißen meine Pfade auf, verhelfen mir zum Falle, und niemand hindert sie.
তারা আমার পথ অবরুদ্ধ করে; তারা আমাকে ধ্বংস করতে সফল হয়। ‘কেউ তাকে সাহায্য করতে পারবে না,’ তারা বলে।
14 Sie kommen wie ein breiter Dammbruch her; sie wälzen sich mit Ungestüm heran.
তারা যেন এক প্রশস্ত ফাটলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে আসে; ধ্বংসাবশেষের মাঝখান দিয়ে তারা ঘূর্ণিবেগে আসে।
15 Da kommen Schrecken über mich; dem Wind gleich jagt mein Glück davon; fort zieht mein Heil wie eine Wolke.
আতঙ্ক আমাকে অভিভূত করে; আমার সম্মান যেন বাতাসে উড়ে গিয়েছে, আমার নিরাপত্তা মেঘের মতো অদৃশ্য হয়ে যায়।
16 Mein Leben ist in mir zerflossen, und jammervolle Tage halten mich gefesselt.
“আর এখন আমার জীবনে ভাটার টান এসেছে; কষ্টভোগের দিন আমাকে গ্রাস করেছে।
17 Des Nachts bohrt's mir in dem Gebein; auf meinen bloßgelegten Knochen kann ich nimmer liegen.
রাতের বেলায় আমার অস্থি বিদ্ধ হয়; আমার বিরক্তিকর যন্ত্রণা কখনও বিশ্রাম নেয় না।
18 Mit Allgewalt packt er mich an und schnürt mich in des Unterkleides Schlitze ein.
ঈশ্বর তাঁর মহাপরাক্রমে আমার কাছে পোশাকের মতো হয়ে গিয়েছেন; আমার জামার গলবন্ধের মতো তিনি আমাকে বেঁধে রেখেছেন।
19 Er wirft mich in den Schmutz; dem Staub, der Asche bin ich gleich. -
তিনি আমাকে কাদায় ছুঁড়ে ফেলেছেন, ও আমি ধুলো ও ভস্মের মতো হয়ে গিয়েছি।
20 Ich schreie auf zu Dir. Doch Du hörst nicht auf mich. Ich halte ein; da gibst Du auf mich acht.
“হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে আর্তনাদ করেছি, কিন্তু তুমি উত্তর দাওনি; আমি উঠে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু তুমি শুধু আমার দিকে তাকিয়েছ।
21 Du zeigst Dich grausam gegen mich und geißelst mich mit Deiner starken Hand.
নির্মমভাবে তুমি আমার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছ; তোমার হাতের শক্তি দিয়ে তুমি আমাকে আক্রমণ করেছ।
22 Du schickst den Wind, mich zu entführen; der Sturm fährt mit mir auf und ab.
আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে তুমি আমাকে বাতাসের সামনে চালান করেছ; তুমি আমাকে ঝড়ের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়েছ।
23 Ich weiß ja wohl: Du willst zum Tod mich treiben, in das Versammlungshaus für alles Lebende.
আমি জানি তুমি আমাকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে যাবে, সেই স্থানে নিয়ে যাবে, যা সব জীবিতজনের জন্য নিরূপিত হয়ে আছে।
24 Auf Wunsch jedoch greift er nicht zu, schreit man in seinem Unglück drob um Hilfe. -
“একজন বিদীর্ণ মানুষ যখন তার চরম দুর্দশায় সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করে তখন নিশ্চয় তার উপরে কেউ হস্তক্ষেপ করে না।
25 Beweinte ich nicht den Unseligen; war nicht mein Herz des Armen wegen sehr betrübt? -
আমি কি বিপদগ্রস্তদের জন্য কাঁদিনি? দরিদ্রদের জন্য আমার প্রাণ কি ব্যথিত হয়নি?
26 Weil ich auf Glück gehofft, doch Unheil kam; auf Licht geharrt, doch Dunkel kam,
অথচ আমি যখন মঙ্গলের প্রত্যাশা করেছি, তখন অমঙ্গল এসেছে; আমি যখন আলোর খোঁজ করেছি, তখন অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে।
27 so ist im Aufruhr ohne Unterlaß mein Inneres. Des Leidens Tage überfielen mich.
আমার ভিতরের মন্থন কখনও থামেনি; দিনের পর দিন আমাকে যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
28 Tieftraurig wandle ich einher, wo keine Sonne scheint. Ich trete dem Vereine bei, wo ich nur heulen kann.
আমি কলঙ্কিত হয়েছি, কিন্তু সূর্যের দ্বারা নয়; জনসমাবেশে দাঁড়িয়ে আমি সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করেছি।
29 Der Schakale Vereinsbruder bin ich und ein Gesell dem Vogel Strauß.
আমি শিয়ালদের ভাই হয়েছি, প্যাঁচাদের সঙ্গী হয়েছি।
30 Zu schwarz ward meine Haut, daß sie mir bliebe, und mein Gebein ist mir von Glut verbrannt.
আমার চামড়া কালো হয়ে গিয়ে তাতে খোসা ছাড়ছে; আমার শরীর জ্বরে পুড়ছে।
31 So diente meine Harfe mir zum Trauerliede, zu bitterem Schluchzen die Schalmei."
আমার বীণা শোকের সুর তুলছে, ও আমার বাঁশি হাহাকারের শব্দ করছে।

< Job 30 >