< Jesaja 42 >
1 Siehe, mein Knecht, den ich stütze, mein Auserwählter, an welchem meine Seele Wohlgefallen hat: Ich habe meinen Geist auf ihn gelegt, er wird den Nationen das Recht kundtun. [Eig. das Recht hinausbringen zu den Nationen]
“এই আমার দাস, যাঁকে আমি ধরে রাখি, আমার মনোনীত জন, যাঁর কারণে আমি আনন্দ পাই; আমি তাঁর উপরে আমার আত্মা স্থাপন করব, তিনি জাতিসমূহের জন্য ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন।
2 Er wird nicht schreien und nicht erheben noch seine Stimme hören lassen auf der Straße.
তিনি চিৎকার বা উচ্চশব্দ করবেন না, কিংবা পথে পথে নিজের কণ্ঠস্বর শোনাবেন না।
3 Das geknickte Rohr wird er nicht zerbrechen, und den glimmenden Docht wird er nicht auslöschen; er wird der Wahrheit gemäß das Recht kundtun. [Eig. hervorgehen lassen]
তিনি দলিত নলখাগড়া ভেঙে ফেলবেন না, এবং ধূমায়িত সলতে নির্বাপিত করবেন না। বিশ্বস্ততায় তিনি ন্যায়বিচার আনয়ন করবেন;
4 Er wird nicht ermatten [Eig. verglimmen] noch niedersinken, [Eig. knicken] bis er das Recht auf Erden gegründet hat; und die Inseln werden auf seine Lehre harren. -
তিনি মনোবল হারাবেন না বা হতাশ হবেন না, যতক্ষণ না পৃথিবীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেন। দ্বীপপুঞ্জ তাঁর বিধিবিধানে আস্থা রাখবে।”
5 So spricht Gott, [Eig. der Gott [El]] Jehova, der die Himmel schuf und sie ausspannte, der die Erde ausbreitete mit ihren Gewächsen, dem Volke auf ihr den Odem gab, [O. gibt] und den Lebenshauch denen, die darauf wandeln:
সদাপ্রভু ঈশ্বর এই কথা বলেন, সেই সদাপ্রভু, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করে তা প্রসারিত করেছেন, যিনি পৃথিবী ও তার অভ্যন্তরস্থ সবকিছুই বিছিয়ে দিয়েছেন, যিনি তাঁর লোকেদের মধ্যে শ্বাসবায়ু সঞ্চার করেন ও তার মধ্যে জীবনযাপনকারী সকলকে জীবন দেন:
6 Ich, Jehova, ich habe dich gerufen in Gerechtigkeit und ergriff dich bei der Hand; und ich werde dich behüten und dich setzen zum Bunde des Volkes, [Vergl. Kap. 49,8] zum Licht der Nationen:
“আমি সদাপ্রভু ধার্মিকতায় তোমাকে আহ্বান করেছি; আমি তোমার হাত ধরে থাকব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং তোমাকে প্রজাদের জন্য এক চুক্তি এবং অইহুদি জাতিদের জন্য এক জ্যোতিস্বরূপ করব,
7 um blinde Augen aufzutun, um Gefangene aus dem Kerker herauszuführen, und aus dem Gefängnis, die in der Finsternis sitzen. - [Eig. die Bewohner der Finsternis]
যেন অন্ধদের দৃষ্টি উন্মোচন করা হয়, কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্ত করা হয় এবং যারা কারাকূপের অন্ধকারে বসে থাকে, তাদের মুক্ত করা হয়।
8 Ich bin Jehova, das ist mein Name; und meine Ehre gebe ich keinem anderen, noch meinen Ruhm den geschnitzten Bildern.
“আমি সদাপ্রভু; এই আমার নাম! আমার মহিমা আমি অন্য কাউকে দেব না, বা আমার প্রশংসা ক্ষোদিত প্রতিমাদের দেব না।
9 Das Frühere, siehe, es ist eingetroffen, und Neues verkündige ich; ehe es hervorsproßt, lasse ich es euch hören.
দেখো, পূর্বের বিষয়গুলি পূর্ণ হয়েছে এবং নতুন সব বিষয় আমি ঘোষণা করছি; সেগুলি ঘটবার পূর্বেই আমি সেগুলি তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি।”
10 Singet Jehova ein neues Lied, seinen Ruhm vom Ende der Erde: die ihr das Meer befahret, und alles, was es erfüllt, ihr Inseln und ihre Bewohner!
সমুদ্রযাত্রী ও সমুদ্রের অভ্যন্তরস্থ সবকিছু, দ্বীপপুঞ্জ ও সেগুলির মধ্যে বসবাসকারী সকলে, তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক নতুন গীত গাও, পৃথিবীর প্রান্তসীমা থেকে তাঁর প্রশংসা ধ্বনিত হোক।
11 Es mögen ihre Stimme erheben die Steppe und ihre Städte, die Dörfer, welche Kedar [S. die Anm. zu Hes. 27,21] bewohnt; jubeln mögen die Bewohner von Sela, [d. i. der felsigen Gegend] jauchzen vom Gipfel der Berge her!
মরুভূমি ও তার নগরগুলি তাদের কণ্ঠস্বর তুলুক, কেদরের উপনিবেশগুলিতে বসবাসকারী লোকেরা উল্লসিত হোক। সেলা-র লোকেরা আনন্দে গান করুক; পর্বতশিখরগুলি থেকে তারা চিৎকার করুক।
12 Man möge Jehova Ehre geben und seinen Ruhm verkündigen auf den Inseln.
তারা সদাপ্রভুকে মহিমা প্রদান করুক, দ্বীপগুলিতে তাঁর প্রশংসা ঘোষণা করুক।
13 Jehova wird ausziehen wie ein Held, wie ein Kriegsmann den Eifer anfachen; er wird einen Schlachtruf, ja, ein gellendes Kriegsgeschrei erheben, sich als Held beweisen gegen seine Feinde.
পরাক্রান্ত বীরের মতো সদাপ্রভু অভিযান করবেন, যোদ্ধার মতোই তাঁর উদ্যম আলোড়িত হবে; রণনাদে তিনি মহা চিৎকার করবেন এবং তাঁর সব শত্রুর উপরে তিনি বিজয়ী হবেন।
14 Von lange her [Eig. Ewig lang] habe ich geschwiegen, war still, habe an mich gehalten. Gleich einer Gebärenden will ich tief aufatmen, schnauben und schnaufen zumal.
“দীর্ঘ সময় ধরে আমি নিশ্চুপ আছি, আমি শান্ত থেকে নিজেকে দমন করেছি। কিন্তু এখন, প্রসববেদনাতুরা স্ত্রীর মতো, আমি চিৎকার করছি, হাঁপাচ্ছি ও দীর্ঘশ্বাস ফেলছি।
15 Ich will Berge und Hügel öde machen und all ihr Kraut vertrocknen lassen; und ich will Ströme zu Inseln machen; und Seen trocken legen.
আমি পাহাড় ও পর্বতগুলিকে বৃক্ষহীন করব এবং তাদের সব গাছপালাকে শুকিয়ে ফেলব; আমি নদীগুলিকে দ্বীপপুঞ্জে পরিণত করব ও পুকুরগুলিকে শুকিয়ে ফেলব।
16 Und ich will die Blinden auf einem Wege führen, den sie nicht kennen; auf Steigen, die sie nicht kennen, will ich sie schreiten lassen; die Finsternis vor ihnen will ich zum Lichte machen, und das Höckerichte zur Ebene. Das sind die Dinge, die ich tun und nicht unterlassen werde.
আমি অন্ধদের, তাদের অজানা পথে চালাব, অপরিচিত পথগুলিতে আমি তাদের পরিচালিত করব; আমি তাদের সামনে অন্ধকারকে আলোয় পরিণত ও অসমতল স্থানকে মসৃণ করে দেব। আমি এসব কাজ করব; আমি তাদের পরিত্যাগ করব না।
17 Die auf das geschnitzte Bild vertrauen, die zu dem gegossenen Bilde sagen: Du bist unser Gott! werden zurückweichen, werden gänzlich beschämt werden.
কিন্তু যারা প্রতিমাদের উপরে নির্ভর করে, যারা প্রতিমাদের কাছে বলে, ‘তোমরা আমাদের দেবতা,’ চরম লজ্জায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
18 Höret, ihr Tauben! und ihr Blinden, schauet her, um zu sehen!
“ওহে বধির সব, তোমরা শোনো; ওহে যারা অন্ধ, তোমরা দেখতে থাকো!
19 Wer ist blind, als nur mein Knecht? und taub wie mein Bote, den ich sende? Wer ist blind wie der Vertraute, und blind wie der Knecht Jehovas?
আমার দাস ছাড়া আর অন্ধ কে? আমার প্রেরিত দূত ছাড়া আর বধির কে? যে আমার প্রতি সমর্পিত, তার থেকে আর অন্ধ কে? সদাপ্রভুর দাসের মতো অন্ধ আর কে আছে?
20 Du hast vieles gesehen, aber du beachtest es nicht; bei offenen Ohren hört er nicht.
তুমি অনেক কিছু দেখে থাকলেও কোনো মনোযোগ করোনি; তোমার কান তো খোলা, কিন্তু তুমি কিছুই শুনতে পাও না।”
21 Jehova gefiel es um seiner Gerechtigkeit willen, das Gesetz groß und herrlich zu machen. [And. üb.: Jehova hatte Gefallen an ihm um seiner Gerechtigkeit willen; er machte das Gesetz groß usw.]
সদাপ্রভু প্রীত হলেন, তাঁর ধার্মিকতার গুণে তাঁর বিধানকে মহৎ ও গৌরবান্বিত করতে।
22 Und doch ist es ein beraubtes und ausgeplündertes Volk; sie sind in Löchern gefesselt allesamt und in Kerkern versteckt; sie sind zur Beute geworden, und kein Erretter ist da, zur Plünderung, und niemand spricht: Gib wieder heraus!
কিন্তু এই জাতির লোকেদের লুণ্ঠন করে সবকিছু নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তারা সকলেই গর্তের ফাঁদে পড়েছে অথবা তাদের কারাগারে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারাই লুণ্ঠনের বস্তু হয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী কেউই ছিল না; তাদের লুণ্ঠনের বস্তু করা হয়েছে, কেউ বলে না, “ওদের ফেরত পাঠাও।”
23 Wer unter euch will dieses zu Ohren nehmen, will aufmerken und in Zukunft hören?
তোমাদের মধ্যে কে একথা শুনবে? মনোযোগ দিয়ে কে ভবিষ্যতের জন্য শুনে রাখবে?
24 Wer hat Jakob der Plünderung hingegeben und Israel den Räubern? Nicht Jehova, gegen den wir gesündigt haben? Und sie wollten nicht auf seinen Wegen wandeln, und hörten nicht auf sein Gesetz.
কে যাকোবকে লুণ্ঠনের বিষয় হওয়ার জন্য সমর্পণ করেছেন এবং ইস্রায়েলকে লুণ্ঠনকারীদের হাতে সমর্পণ করেছেন? তিনি কি সদাপ্রভু নন, যাঁর বিরুদ্ধে আমরা পাপ করেছি? কারণ তারা তাঁর পথসকলে চলতে চায়নি, তারা তাঁর বিধান মান্য করেনি।
25 Da hat er die Glut seines Zornes [O. in Glut seinen Zorn; wie Kap. 66,15] und die Gewalt des Krieges über ihn ausgegossen; und diese hat ihn ringsum angezündet, aber er ist nicht zur Erkenntnis gekommen; und sie hat ihn in Brand gesteckt, aber er nahm es nicht zu Herzen.
তাই তিনি তাঁর প্রজ্বলিত ক্রোধ, যুদ্ধের হিংস্রতা তাদের উপরে ঢেলে দিয়েছেন। তা তাদের আগুনের শিখায় আবৃত করল, তবুও তারা বুঝতে পারল না; তা তাদের গ্রাস করল, তবুও তারা শিক্ষা নিল না।