< Job 21 >
1 Mais Job répondit, et dit:
পরে ইয়োব উত্তর দিলেন:
2 Ecoutez attentivement mon discours, et cela me tiendra lieu de consolations de votre part.
“আমার কথা মন দিয়ে শোনো; এই হোক সেই সান্ত্বনা যা তোমরা আমাকে দিতে পারো।
3 Supportez-moi, et je parlerai, et après que j'aurai parlé, moquez-vous.
আমি কথা বলার সময় তোমরা একটু সহ্য করো, ও আমি কথা বলার পর, তোমরা আমাকে বিদ্রুপ কোরো।
4 Pour moi, mon discours s'adresse-t-il à un homme? si cela était, comment mon esprit ne défaudrait-il pas?
“আমার অভিযোগ কি কোনও মানুষের বিরুদ্ধে? আমি কেন অধৈর্য হব না?
5 Regardez-moi, et soyez étonnés, et mettez la main sur la bouche.
আমার দিকে তাকাও ও তোমরা অবাক হয়ে যাবে; তোমাদের মুখে হাত চাপা দাও।
6 Quand je pense à [mon état], j'en suis tout étonné, et un tremblement saisit ma chair.
একথা চিন্তা করে আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই; আমার শরীর কেঁপে ওঠে।
7 Pourquoi les méchants vivent-ils, [et] vieillissent, et même pourquoi sont-ils les plus puissants?
দুষ্টেরা কেন বেঁচে থাকে, কেন তারা বৃদ্ধ হয় ও তাদের ক্ষমতা বাড়ে?
8 Leur race se maintient en leur présence avec eux, et leurs rejetons s'élèvent devant leurs yeux.
তাদের চারপাশে তারা তাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত হতে দেখে, তাদের চোখের সামনেই তাদের বংশধরেরা প্রতিষ্ঠিত হয়।
9 Leurs maisons jouissent de la paix loin de la frayeur; la verge de Dieu n'est point sur eux.
তাদের ঘরগুলি নিরাপদ ও ভয়মুক্ত; ঈশ্বরের লাঠি তাদের উপরে পড়ে না।
10 Leur vache conçoit, et n'y manque point; leur jeune vache se décharge de son veau, et n'avorte point.
তাদের ষাঁড়গুলি বংশবৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হয় না; তাদের গাভীগুলি বাছুরের জন্ম দেয় ও তাদের গর্ভস্রাব হয় না।
11 Ils font sortir devant eux leurs petits, comme un troupeau de brebis, et leurs enfants sautent.
তারা তাদের সন্তানদের মেষপালের মতো বাইরে পাঠায়; তাদের শিশুসন্তানেরা নেচে বেড়ায়।
12 Ils sautent au son du tambour et du violon, et se réjouissent au son des orgues.
তারা খঞ্জনি ও বীণা বাজিয়ে গান গায়; তারা বাঁশির সুরে মাতোয়ারা হয়।
13 Ils passent leurs jours dans les plaisirs, et en un moment ils descendent au sépulcre. (Sheol )
সমৃদ্ধশালী হয়ে দিনযাপন করে ও শান্তিতে কবরে চলে যায়। (Sheol )
14 Cependant ils ont dit au [Dieu] Fort: Retire-toi de nous; car nous ne nous soucions point de la science de tes voies.
তবুও তারা ঈশ্বরকে বলে, ‘আমাদের ছেড়ে দাও! তোমার পথ জানার কোনো ইচ্ছাই আমাদের নেই।
15 Qui est le Tout-puissant que nous le servions? et quel bien nous reviendra-t-il de l'avoir invoqué?
সর্বশক্তিমান কে, যে আমাদের তাঁর সেবা করতে হবে? তাঁর কাছে প্রার্থনা করে আমাদের কী লাভ হবে?’
16 Voilà, leur bien n'est pas en leur puissance. Que le conseil des méchants soit loin de moi!
কিন্তু তাদের শ্রীবৃদ্ধি তাদের নিজেদের হাতে নেই, তাই দুষ্টদের পরিকল্পনা থেকে আমি দূরে সরে দাঁড়াই।
17 Aussi combien de fois arrive-t-il que la lampe des méchants est éteinte, et que l'orage vient sur eux! [Dieu] leur distribuera leurs portions en sa colère.
“তবুও দুষ্টদের প্রদীপ কতবার নিভে যায়? কতবার তাদের উপরে চরম দুর্দশা নেমে আসে, ক্রোধের বশবর্তী হয়ে ঈশ্বর তাদের এই পরিণতি ঘটান?
18 Ils seront comme la paille exposée au vent, et comme la balle qui est enlevée par le tourbillon.
কতবার তারা বাতাসের সামনে পড়া খড়ের মতো, ও প্রবল বাতাস দ্বারা তুষের মতো উড়ে যায়?
19 Dieu réservera aux enfants du méchant la punition de ses violences, il la leur rendra, et il le saura.
বলা হয়, ‘দুষ্টদের প্রাপ্য শাস্তি ঈশ্বর তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত করে রাখেন।’ তিনিই দুষ্টদের পাপের প্রতিফল দেন, যেন তারা নিজেরাই তা ভোগ করে!
20 Ses yeux verront sa ruine, et il boira [le calice de] la colère du Tout-puissant.
তাদের নিজেদের চোখই তাদের সর্বনাশ দেখুক; তারা সর্বশক্তিমানের ক্রোধ পান করুক।
21 Et quel plaisir aura-t-il en sa maison, laquelle il laisse après soi, puisque le nombre de ses mois aura été retranché?
কারণ তাদের জন্য নির্ধারিত মাসগুলি শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাদের ছেড়ে যাওয়া পরিবারগুলির কী হবে সে বিষয়ে তারা কি আদৌ চিন্তা করে?
22 Enseignerait-on la science au [Dieu] Fort, à lui qui juge ceux qui sont élevés?
“কেউ কি ঈশ্বরকে জ্ঞান শিক্ষা দিতে পারে, যেহেতু তিনি উচ্চতমেরও বিচার করেন?
23 L'un meurt dans toute sa vigueur, tranquille et en repos;
কেউ কেউ পূর্ণ প্রাণশক্তি থাকাকালীনই মারা যায়, যখন সে পুরোপুরি নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে থাকে,
24 Ses vaisseaux sont remplis de lait, et ses os sont abreuvés de moëlle.
তার শরীর যথেষ্ট পুষ্ট থাকে, অস্থিও মজ্জা-সমৃদ্ধ অবস্থায় থাকে।
25 Et l'autre meurt dans l'amertume de son âme, et n'ayant jamais fait bonne chère.
অন্য কেউ আবার প্রাণের তিক্ততা নিয়েই মারা যায়, কখনও ভালো কোনো কিছুর স্বাদ না পেয়েই মারা যায়।
26 Et néanmoins ils sont couchés également dans la poudre, et les vers les couvrent.
পাশাপাশিই তারা ধুলোয় পড়ে থাকে, ও কীটপতঙ্গ তাদের উভয়কেই ঢেকে রাখে।
27 Voilà, je connais vos pensées, et les jugements que vous formez contre moi.
“আমি বেশ ভালোই জানি তোমরা কী ভাবছ, যেসব ফন্দি এঁটে তোমরা আমার প্রতি অন্যায় করবে, আমি সেগুলিও জানি।
28 Car vous dites: Où est la maison de cet homme si puissant, et où est la tente dans laquelle les méchants demeuraient?
তোমরা বলছ, ‘সেই মহামান্যের বাড়িটি কোথায়, সেই তাঁবুগুলি কোথায়, যেখানে দুষ্টেরা বসবাস করত?’
29 Ne vous êtes-vous jamais informés des voyageurs, et n'avez-vous pas appris par les rapports qu'ils vous ont faits,
তোমরা কি কখনও পথিকদের জিজ্ঞাসা করোনি? তোমরা কি তাদের বিবরণ বিবেচনা করোনি—
30 Que le méchant est réservé pour le jour de la ruine, pour le jour que les fureurs sont envoyées?
যে দুষ্টেরা চরম দুর্দশাময় দিনের হাত থেকে নিষ্কৃতি পায়, ক্রোধের দিনের হাত থেকেও তারা মুক্তি পায়?
31 [Mais] qui le reprendra en face de sa conduite? et qui lui rendra le mal qu'il a fait?
কে তাদের মুখের উপরে তাদের আচরণের নিন্দা করবে? কে তাদের কৃতকর্মের প্রতিফল তাদের দেবে?
32 Il sera néanmoins porté au sépulcre, et il demeurera dans le tombeau.
তাদের কবরে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, ও তাদের সমাধিতে পাহারা বসানো হয়।
33 Les mottes des vallées lui sont agréables; et tout le monde s'en va à la file après lui, et des gens sans nombre marchent au-devant de lui.
উপত্যকার মাটি তাদের কাছে মিষ্টি লাগে; প্রত্যেকে তাদের অনুগামী হয়, ও অসংখ্য জনতা তাদের আগে আগে যায়।
34 Comment donc me donnez-vous des consolations vaines, puisqu'il y a toujours de la prévarication dans vos réponses?
“অতএব তোমরা কীভাবে তোমাদের আবোল-তাবোল কথা দিয়ে আমাকে সান্ত্বনা দেবে? তোমাদের উত্তরে মিথ্যাভাষণ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই!”