< 1 Rois 22 >

1 On resta trois ans sans qu’il y eût guerre entre la Syrie et Israël.
তিন বছর অরাম ও ইস্রায়েলের মধ্যে কোনও যুদ্ধ হয়নি।
2 La troisième année, Josaphat, roi de Juda, descendit auprès du roi d’Israël.
কিন্তু তৃতীয় বছরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজার সাথে দেখা করতে গেলেন।
3 Le roi d’Israël dit à ses serviteurs: Savez-vous que Ramoth en Galaad est à nous? Et nous ne nous inquiétons pas de la reprendre des mains du roi de Syrie!
ইস্রায়েলের রাজা তাঁর কর্মকর্তাদের বললেন, “তোমরা কি জানো না যে রামোৎ-গিলিয়দ আমাদেরই, আর তাও আমরা অরামের রাজার হাত থেকে সেটি পুনরাধিকার করার জন্য কিছুই করছি না?”
4 Et il dit à Josaphat: Veux-tu venir avec moi attaquer Ramoth en Galaad? Josaphat répondit au roi d’Israël: Nous irons, moi comme toi, mon peuple comme ton peuple, mes chevaux comme tes chevaux.
তাই তিনি যিহোশাফটকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার সাথে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে উত্তর দিলেন, “আমি, আপনারই মতো, আমার প্রজারাও আপনার প্রজাদেরই মতো, তথা আমার ঘোড়াগুলি আপনার ঘোড়াগুলির মতোই।”
5 Puis Josaphat dit au roi d’Israël: Consulte maintenant, je te prie, la parole de l’Éternel.
কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এও বললেন, “প্রথমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিন।”
6 Le roi d’Israël assembla les prophètes, au nombre d’environ quatre cents, et leur dit: Irai-je attaquer Ramoth en Galaad, ou dois-je y renoncer? Et ils répondirent: Monte, et le Seigneur la livrera entre les mains du roi.
অতএব ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের—প্রায় চারশো জনকে—একত্রিত করলেন, এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, নাকি বিরত থাকব?” “যান,” তারা উত্তর দিয়েছিল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি মহারাজের হাতে তুলে দেবেন।”
7 Mais Josaphat dit: N’y a-t-il plus ici aucun prophète de l’Éternel, par qui nous puissions le consulter?
কিন্তু যিহোশাফট জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর এমন কোনও ভাববাদী আর নেই, যাঁর কাছে আমরা খোঁজখবর নিতে পারব?”
8 Le roi d’Israël répondit à Josaphat: Il y a encore un homme par qui l’on pourrait consulter l’Éternel; mais je le hais, car il ne me prophétise rien de bon, il ne prophétise que du mal: c’est Michée, fils de Jimla. Et Josaphat dit: Que le roi ne parle pas ainsi!
ইস্রায়েলের রাজা, যিহোশাফটকে উত্তর দিলেন, “আরও একজন ভাববাদী আছেন, যার মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর কাছে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, যেহেতু সে কখনোই আমার বিষয়ে ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু সবসময় খারাপ ভাববাণীই করে। সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়।” “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন। “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন।
9 Alors le roi d’Israël appela un eunuque, et dit: Fais venir de suite Michée, fils de Jimla.
তখন ইস্রায়েলের রাজা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে বললেন, “এক্ষুনি গিয়ে যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে আনো।”
10 Le roi d’Israël et Josaphat, roi de Juda, étaient assis chacun sur son trône, revêtus de leurs habits royaux, dans la place à l’entrée de la porte de Samarie. Et tous les prophètes prophétisaient devant eux.
রাজপোশাক পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট, দুজনেই শমরিয়ার সিংহদুয়ারের কাছে খামারবাড়িতে তাদের সিংহাসনে বসেছিলেন, এবং ভাববাদীরা সবাই তাদের সামনে ভাববাণী করে যাচ্ছিল।
11 Sédécias, fils de Kenaana, s’était fait des cornes de fer, et il dit: Ainsi parle l’Éternel: Avec ces cornes tu frapperas les Syriens jusqu’à les détruire.
ইত্যবসরে কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় লোহার দুটি শিং তৈরি করল এবং সে ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘অরামীয়রা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এগুলি দিয়েই আপনি তাদের গুঁতাবেন।’”
12 Et tous les prophètes prophétisaient de même, en disant: Monte à Ramoth en Galaad! Tu auras du succès, et l’Éternel la livrera entre les mains du roi.
অন্যান্য সব ভাববাদীও একই ভাববাণী করল। “রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন এবং বিজয়ী হোন,” তারা বলল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
13 Le messager qui était allé appeler Michée lui parla ainsi: Voici, les prophètes, d’un commun accord, prophétisent du bien au roi; que ta parole soit donc comme la parole de chacun d’eux! Annonce du bien!
যে দূত মীখায়কে ডাকতে গেল, সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই কোনও আপত্তি না জানিয়ে রাজার পক্ষে সফলতার ভাববাণী করছে। আপনার কথাও যেন তাদেরই মতো হয়, এবং আপনিও সুবিধাজনক কথাই বলুন।”
14 Michée répondit: L’Éternel est vivant! J’annoncerai ce que l’Éternel me dira.
কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, সদাপ্রভু আমাকে যা বলেছেন, আমি তাঁকে শুধু সেকথাই বলতে পারব।”
15 Lorsqu’il fut arrivé auprès du roi, le roi lui dit: Michée, irons-nous attaquer Ramoth en Galaad, ou devons-nous y renoncer? Il lui répondit: Monte! Tu auras du succès, et l’Éternel la livrera entre les mains du roi.
তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর রাজামশাই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করব, কি না?” “আক্রমণ করে জয়ী হোন,” তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ সদাপ্রভু মহারাজের হাতে সেটি তুলে দেবেন।”
16 Et le roi lui dit: Combien de fois me faudra-t-il te faire jurer de ne me dire que la vérité au nom de l’Éternel?
রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে দিয়ে শপথ করাব যে তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্যিকথা ছাড়া আর কিছুই বলবে না?”
17 Michée répondit: Je vois tout Israël dispersé sur les montagnes, comme des brebis qui n’ont point de berger; et l’Éternel dit: Ces gens n’ont point de maître, que chacun retourne en paix dans sa maison!
তখন মীখায় উত্তর দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, ইস্রায়েলীরা সবাই পাহাড়ের উপর পালকবিহীন মেষের পালের মতো হয়ে আছে, এবং সদাপ্রভু বলেছেন, ‘এই লোকজনের কোনও মনিব নেই। শান্তিতে যে যার ঘরে ফিরে যাক।’”
18 Le roi d’Israël dit à Josaphat: Ne te l’ai-je pas dit? Il ne prophétise sur moi rien de bon, il ne prophétise que du mal.
ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে সে আমার বিষয়ে কখনও ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু শুধু খারাপ ভাববাণীই করে?”
19 Et Michée dit: Écoute donc la parole de l’Éternel! J’ai vu l’Éternel assis sur son trône, et toute l’armée des cieux se tenant auprès de lui, à sa droite et à sa gauche.
মীখায় আরও বললেন, “এজন্য সদাপ্রভুর এই বাক্য শুনুন: আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং স্বর্গের জনতা তাঁর চারদিকে, তাঁর ডানদিকে ও বাঁদিকে দাঁড়িয়ে আছে।
20 Et l’Éternel dit: Qui séduira Achab, pour qu’il monte à Ramoth en Galaad et qu’il y périsse? Ils répondirent l’un d’une manière, l’autre d’une autre.
সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মরতে যাওয়ার জন্য কে আহাবকে প্ররোচিত করবে?’ “তখন কেউ একথা, কেউ সেকথা বলল।
21 Et un esprit vint se présenter devant l’Éternel, et dit: Moi, je le séduirai. L’Éternel lui dit: Comment?
শেষে, একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমি তাকে লোভ দেখাব।’
22 Je sortirai, répondit-il, et je serai un esprit de mensonge dans la bouche de tous ses prophètes. L’Éternel dit: Tu le séduiras, et tu en viendras à bout; sors, et fais ainsi!
“কিন্তু কীভাবে? সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন। “‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা হব,’ সে বলল। “‘তাকে লোভ দেখাতে তুমি সফল হবে,’ সদাপ্রভু বললেন। ‘যাও, ওরকমই করো।’
23 Et maintenant, voici, l’Éternel a mis un esprit de mensonge dans la bouche de tous tes prophètes qui sont là. Et l’Éternel a prononcé du mal contre toi.
“তাই এখন সদাপ্রভু আপনার এইসব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা দিয়েছেন। সদাপ্রভু আপনার জন্য বিপর্যয়ের বিধান দিয়েছেন।”
24 Alors Sédécias, fils de Kenaana, s’étant approché, frappa Michée sur la joue, et dit: Par où l’esprit de l’Éternel est-il sorti de moi pour te parler?
তখন কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরেছিল। “সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসা আত্মা তোর সাথে কথা বলার জন্য কোন পথে আমার কাছ থেকে গেলেন?” সে জিজ্ঞাসা করল।
25 Michée répondit: Tu le verras au jour où tu iras de chambre en chambre pour te cacher.
মীখায় উত্তর দিলেন, “সেদিনই তুমি তা জানতে পারবে, যেদিন তুমি ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকাবে।”
26 Le roi d’Israël dit: Prends Michée, et emmène-le vers Amon, chef de la ville, et vers Joas, fils du roi.
ইস্রায়েলের রাজা তখন আদেশ দিলেন, “মীখায়কে নগরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দাও
27 Tu diras: Ainsi parle le roi: Mettez cet homme en prison, et nourrissez-le du pain et de l’eau d’affliction, jusqu’à ce que je revienne en paix.
এবং তাদের বোলো, ‘রাজা একথাই বলেছেন: একে জেলখানায় রেখে দাও এবং যতদিন না আমি নিরাপদে ফিরে আসছি, ততদিন একে রুটি ও জল ছাড়া আর কিছুই দিয়ো না।’”
28 Et Michée dit: Si tu reviens en paix, l’Éternel n’a point parlé par moi. Il dit encore: Vous tous, peuples, entendez!
মীখায় ঘোষণা করলেন, “আপনি যদি নিরাপদে কখনও ফিরে আসেন, তবে জানবেন, সদাপ্রভু আমার মাধ্যমে কথা বলেননি।” পরে তিনি আরও বললেন, “ওহে লোকজন, তোমরা সবাই আমার কথাগুলি মনে গেঁথে রাখো!”
29 Le roi d’Israël et Josaphat, roi de Juda, montèrent à Ramoth en Galaad.
অতএব ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে চলে গেলেন।
30 Le roi d’Israël dit à Josaphat: Je veux me déguiser pour aller au combat; mais toi, revêts-toi de tes habits. Et le roi d’Israël se déguisa, et alla au combat.
ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাক পরে থাকুন।” এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধে গেলেন।
31 Le roi de Syrie avait donné cet ordre aux trente-deux chefs de ses chars: Vous n’attaquerez ni petits ni grands, mais vous attaquerez seulement le roi d’Israël.
ইত্যবসরে অরামের রাজা তাঁর রথের বত্রিশজন সেনাপতিকে আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া, ছোটো বা বড়ো, কোনো লোকের সাথে যুদ্ধ করবে না।”
32 Quand les chefs des chars aperçurent Josaphat, ils dirent: Certainement, c’est le roi d’Israël. Et ils s’approchèrent de lui pour l’attaquer. Josaphat poussa un cri.
রথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিল, “ইনিই নিশ্চয় ইস্রায়েলের রাজা।” তাই তাঁকে আক্রমণ করার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু যিহোশাফট যখন চিৎকার করে উঠেছিলেন,
33 Les chefs des chars, voyant que ce n’était pas le roi d’Israël, s’éloignèrent de lui.
রথের সেনাপতিরা যখন দেখেছিল যে তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তারা তাঁর পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
34 Alors un homme tira de son arc au hasard, et frappa le roi d’Israël au défaut de la cuirasse. Le roi dit à celui qui dirigeait son char: Tourne, et fais-moi sortir du champ de bataille, car je suis blessé.
কিন্তু কেউ একজন আন্দাজে ধনুক চালিয়ে ইস্রায়েলের রাজার দেহে যেখানে বর্মের ঘেরাটোপ ছিল না, সেখানেই আঘাত করে বসেছিল। রাজামশাই তাঁর রথের সারথিকে বললেন, “রথের মুখ ঘুরিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে নিয়ে যাও। আমি আহত হয়েছি।”
35 Le combat devint acharné ce jour-là. Le roi fut retenu dans son char en face des Syriens, et il mourut le soir. Le sang de la blessure coula dans l’intérieur du char.
সারাদিন ধরে তুমুল যুদ্ধ চলেছিল, এবং অরামীয়দের দিকে মুখ করে রাজামশাইকে তাঁর রথে ঠেস দিয়ে খাড়া করে রাখা হল। তাঁর ক্ষতস্থান থেকে ঝরে পড়া রক্তে রথের মেঝে ভেসে গেল, এবং সেই সন্ধ্যায় তিনি মারা গেলেন।
36 Au coucher du soleil, on cria par tout le camp: Chacun à sa ville et chacun dans son pays!
সূর্য যখন অস্ত যাচ্ছিল, তখন সৈন্যদলে এই হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছিল, “প্রত্যেকে নিজের নিজের নগরে ফিরে যাও। প্রত্যেকে নিজের নিজের দেশে ফিরে যাও!”
37 Ainsi mourut le roi, qui fut ramené à Samarie; et on enterra le roi à Samarie.
অতএব রাজামশাই মারা গেলেন ও তাঁর দেহ শমরিয়ায় আনা হল, এবং লোকেরা তাঁকে সেখানেই কবর দিয়েছিল।
38 Lorsqu’on lava le char à l’étang de Samarie, les chiens léchèrent le sang d’Achab, et les prostituées s’y baignèrent, selon la parole que l’Éternel avait prononcée.
তারা শমরিয়ার একটি পুকুরে রথটি ধুয়েছিল (যেখানে বারবণিতারা স্নান করত), আর সদাপ্রভুর ঘোষিত কথানুসারে কুকুরেরা তাঁর রক্ত চেটে খেয়েছিল।
39 Le reste des actions d’Achab, tout ce qu’il a fait, la maison d’ivoire qu’il construisit, et toutes les villes qu’il a bâties, cela n’est-il pas écrit dans le livre des Chroniques des rois d’Israël?
আহাবের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, এছাড়াও তিনি যা যা করলেন, যে প্রাসাদ তিনি তৈরি করলেন ও হাতির দাঁত দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন, এবং যেসব নগর তিনি সুরক্ষিত করলেন—তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
40 Achab se coucha avec ses pères. Et Achazia, son fils, régna à sa place.
আহাব তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে অহসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
41 Josaphat, fils d’Asa, régna sur Juda, la quatrième année d’Achab, roi d’Israël.
ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চতুর্থ বছরে আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদায় রাজা হলেন।
42 Josaphat avait trente-cinq ans lorsqu’il devint roi, et il régna vingt cinq ans à Jérusalem. Sa mère s’appelait Azuba, fille de Schilchi.
যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা। তিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
43 Il marcha dans toute la voie d’Asa, son père, et ne s’en détourna point, faisant ce qui est droit aux yeux de l’Éternel. Seulement, les hauts lieux ne disparurent point; le peuple offrait encore des sacrifices et des parfums sur les hauts lieux.
সবকিছুতেই তিনি তাঁর বাবা আসার পথে চলেছিলেন এবং সেগুলি থেকে সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করলেন। অবশ্য প্রতিমাপূজার উঁচু উঁচু স্থানগুলি সরানো হয়নি, এবং লোকজন তখনও সেগুলিতে পশুবলি উৎসর্গ করে যাচ্ছিল ও ধূপও জ্বালিয়ে যাচ্ছিল।
44 Josaphat fut en paix avec le roi d’Israël.
ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গেও যিহোশাফটের শান্তি বজায় ছিল।
45 Le reste des actions de Josaphat, ses exploits et ses guerres, cela n’est-il pas écrit dans le livre des Chroniques des rois de Juda?
যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা অর্জন করলেন ও তাঁর সামরিক উজ্জ্বল সব কীর্তি—তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
46 Il ôta du pays le reste des prostitués, qui s’y trouvaient encore depuis le temps d’Asa, son père.
তাঁর বাবা আসার রাজত্বকালে দেবদাসদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পরেও দেশে যেসব দেবদাস থেকে গেল, যিহোশাফট তাদেরও দূর করে দিলেন।
47 Il n’y avait point de roi en Édom: c’était un intendant qui gouvernait.
ইদোমে তখন কোনও রাজা ছিল না; একজন প্রাদেশিক শাসনকর্তা সেখানে শাসন চালাচ্ছিলেন।
48 Josaphat construisit des navires de Tarsis pour aller à Ophir chercher de l’or; mais il n’y alla point, parce que les navires se brisèrent à Étsjon-Guéber.
ইত্যবসরে ওফীর থেকে সোনা আনার জন্য যিহোশাফট বাণিজ্যতরির এক নৌবহর তৈরি করলেন, কিন্তু সেগুলির আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি—কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি সমুদ্রে ডুবে গেল।
49 Alors Achazia, fils d’Achab, dit à Josaphat: Veux-tu que mes serviteurs aillent avec les tiens sur des navires? Et Josaphat ne voulut pas.
সেই সময় আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকজন আপনার লোকজনের সাথে সমুদ্রে পাড়ি দিক,” কিন্তু যিহোশাফট এতে রাজি হননি।
50 Josaphat se coucha avec ses pères, et il fut enterré avec ses pères dans la ville de David, son père. Et Joram, son fils, régna à sa place.
পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই সাথে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
51 Achazia, fils d’Achab, régna sur Israël à Samarie, la dix-septième année de Josaphat, roi de Juda. Il régna deux ans sur Israël.
যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরতম বছরে আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি দুই বছর ইস্রায়েলে রাজত্ব করলেন।
52 Il fit ce qui est mal aux yeux de l’Éternel, et il marcha dans la voie de son père et dans la voie de sa mère, et dans la voie de Jéroboam, fils de Nebath, qui avait fait pécher Israël.
সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন, কারণ তিনি তাঁর বাবা, মা, ও নবাটের ছেলে সেই যারবিয়ামের পথেই চলেছিলেন, যারা ইস্রায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন।
53 Il servit Baal et se prosterna devant lui, et il irrita l’Éternel, le Dieu d’Israël, comme avait fait son père.
তিনি তাঁর বাবার মতোই বায়ালের সেবা ও পুজো করলেন, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।

< 1 Rois 22 >