< Isaïe 45 >
1 Ainsi dit l’Éternel à son oint, à Cyrus, dont j’ai tenu la droite pour soumettre devant lui des nations; … et je délierai les reins des rois, pour ouvrir les deux battants devant lui afin que les portes ne soient pas fermées:
“সদাপ্রভু তাঁর অভিষিক্ত জন কোরস সম্পর্কে এই কথা বলেন, আমি তার ডান হাত ধরে আছি, যেন সব জাতিকে তার সামনে নত করি এবং সব রাজার রণসাজ খুলে ফেলি, যেন তার সামনে সব দরজা উন্মুক্ত হয়, যেন কোনও দুয়ার বন্ধ না থাকে।
2 Moi, j’irai devant toi, et j’aplanirai les choses élevées; je briserai les portes d’airain, et je casserai les barres de fer;
আমি তোমার আগে আগে যাব এবং সব পাহাড়-পর্বতকে সমভূমি করব; আমি পিতলের সব দুয়ার ভেঙে ফেলব ও লোহার সব অর্গল কেটে দেব।
3 et je te donnerai les trésors des ténèbres et les richesses des lieux cachés; afin que tu saches que moi, l’Éternel, qui t’ai appelé par ton nom, je suis le Dieu d’Israël.
আমি অন্ধকারে রাখা সব ঐশ্বর্য তোমাকে দেব, দেব সেইসব সম্পদ, যেগুলি গুপ্ত স্থানে রাখা আছে, যেন তুমি জানতে পারো যে, আমিই সদাপ্রভু, আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যিনি তোমার নাম ধরে ডাকেন।
4 À cause de mon serviteur Jacob, et d’Israël, mon élu, je t’ai appelé par ton nom, je t’ai donné un nom, et tu ne me connaissais pas.
আমার দাস যাকোব ও আমার মনোনীত ইস্রায়েলের কারণে, আমি তোমার নাম ধরে তোমাকে ডাকি ও তুমি আমাকে না জানলেও আমি তোমাকে সম্মানের উপাধি দিয়েছি।
5 Moi, je suis l’Éternel, et il n’y en a point d’autre; il n’y a point de Dieu si ce n’est moi. Je t’ai ceint, et tu ne me connaissais pas; …
আমিই সদাপ্রভু, অন্য আর কেউ নয়; আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই। তুমি আমাকে না জানা সত্ত্বেও আমি তোমাকে শক্তিশালী করব।
6 afin qu’ils sachent, depuis le lever du soleil et depuis le couchant, qu’il n’y en a point hors moi. Moi, je suis l’Éternel, et il n’y en a pas d’autre,
যেন সূর্যোদয়ের স্থান থেকে তার অস্তস্থান পর্যন্ত, লোকেরা জানতে পারে যে, আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমিই সদাপ্রভু, আর কেউ নয়।
7 – [moi] qui ai formé la lumière et qui ai créé les ténèbres; qui fais la prospérité, et qui crée le malheur: moi, l’Éternel, je fais toutes ces choses.
আমিই আলো গঠন ও অন্ধকার সৃষ্টি করি, আমি সমৃদ্ধি নিয়ে আসি ও বিপর্যয় সৃষ্টি করি; আমি সদাপ্রভুই এই সমস্ত কাজ করি।
8 Cieux, distillez d’en haut, et que les nuages fassent ruisseler la justice; que la terre s’ouvre, et que, à la fois, le salut se produise et la justice germe! Moi, l’Éternel, je l’ai créé.
“ঊর্ধ্বাকাশ, তুমি ধার্মিকতা বর্ষণ করো; মেঘমালা তা নিচে বর্ষণ করুক। পৃথিবীর ভূমি উন্মুক্ত হোক, অঙ্কুরিত হোক পরিত্রাণ, তার সঙ্গে ধার্মিকতা বৃদ্ধি পাক; আমি সদাপ্রভু তা সৃষ্টি করেছি।
9 Malheur à celui qui conteste avec celui qui l’a formé! Qu’un tesson [conteste] avec des tessons de la terre…! L’argile dira-t-elle à celui qui la forme: Que fais-tu? – et ton œuvre: Il n’a pas de mains?
“ধিক্ সেই লোককে যে তার নির্মাতার সঙ্গে বিবাদ করে, যার কাছে সে মাটির খাপরাগুলির মধ্যে একটি খাপরা মাত্র। মাটি কি কুমোরকে বলতে পারে, ‘তুমি কী তৈরি করছ?’ তোমার কর্ম কি বলতে পারে, ‘তোমার কোনো হাত নেই?’
10 Malheur à celui qui dit à son père: Qu’as-tu engendré? et à sa mère: Qu’as-tu enfanté?
ধিক্ সেই মানুষ, যে তার বাবাকে বলে, ‘তুমি কী জন্ম দিয়েছ?’ কিংবা তার মাকে বলে, ‘তুমি কী প্রসব করেছ?’
11 Ainsi dit l’Éternel, le Saint d’Israël, et celui qui l’a formé: Enquérez-vous de moi touchant les choses à venir; commandez-moi à l’égard de mes fils et à l’égard de l’œuvre de mes mains.
“সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন, যিনি তার স্রষ্টা, তিনি এই কথা বলেন, ভাবীকালে যা ঘটবে, আমার সন্তানদের প্রসঙ্গে তোমরা কি প্রশ্ন করছ, অথবা, আমার হাতের কাজ সম্পর্কে তোমরা আমাকে আদেশ দিচ্ছ?
12 Moi, j’ai fait la terre, et j’ai créé l’homme sur elle; c’est moi, ce sont mes mains qui ont étendu les cieux, et j’ai ordonné toute leur armée.
আমি পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছি, তার উপরে সৃষ্টি করেছি সমস্ত মানুষ। আমার নিজের হাত আকাশমণ্ডলকে প্রসারিত করেছে, আমি তাদের নক্ষত্রবাহিনীকে বিন্যস্ত করেছি।
13 Moi, je l’ai suscité en justice, et je rendrai droites toutes ses voies: lui, bâtira ma ville, et renverra libres mes captifs, sans prix et sans présent, dit l’Éternel des armées.
আমি আমার ধার্মিকতায় সাইরাসকে তুলে ধরব: আমি তার সব পথ সরল করব। সে আমার নগর পুনর্নির্মাণ করবে এবং আমার নির্বাসিতদের মুক্ত করে দেবে, কিন্তু কোনো মূল্য বা পুরস্কারের জন্য নয়, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন।”
14 Ainsi dit l’Éternel: Le travail de l’Égypte et le gain de l’Éthiopie et des Sabéens, hommes de haute taille, passeront vers toi et seront à toi. Ils marcheront après toi; ils passeront enchaînés, et se prosterneront devant toi; ils te supplieront, [disant]: Certainement Dieu est au milieu de toi; il n’y en a pas d’autre, point d’autre Dieu…
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “মিশরের সমস্ত উৎপন্ন দ্রব্য ও কূশের পণ্যসামগ্রী, আর সেই দীর্ঘকায় সবায়িয়েরা, তারা তোমার কাছে আসবে এবং তারা তোমারই হবে; তারা তোমার পিছনে ক্লান্ত পায়ে আসবে, শৃঙ্খলিত অবস্থায় তোমার কাছে আসবে। তারা তোমার সামনে প্রণত হবে এবং এই কথা বলে তোমার কাছে অনুনয় করবে, ‘ঈশ্বর নিশ্চয়ই তোমার সঙ্গে আছেন, তিনি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই।’”
15 Certes, tu es un Dieu qui te caches, le Dieu d’Israël, le sauveur…
ও ঈশ্বর এবং ইস্রায়েলের পরিত্রাতা, সত্যিই তুমি নিজেকে লুকিয়ে রাখো।
16 Ils auront honte, et seront aussi tous confus; ils s’en iront ensemble avec confusion, les fabricateurs d’idoles.
যারা প্রতিমা নির্মাণকারী, তারা সকলেই লজ্জিত ও অপমানিত হবে, তারা একসঙ্গে অপমানিত হয়ে বিদায় নেবে।
17 Israël sera sauvé par l’Éternel d’un salut éternel; vous n’aurez pas honte et vous ne serez pas confus, aux siècles des siècles.
কিন্তু সদাপ্রভু চিরস্থায়ী পরিত্রাণের দ্বারা ইস্রায়েলের পরিত্রাণ করবেন; তোমরা অনন্তকালেও আর কখনও লজ্জিত বা অপমানিত হবে না।
18 Car ainsi dit l’Éternel qui a créé les cieux, le Dieu qui a formé la terre et qui l’a faite, celui qui l’a établie, qui ne l’a pas créée [pour être] vide, qui l’a formée pour être habitée: Moi, je suis l’Éternel, et il n’y en a point d’autre.
কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনি ঈশ্বর; যিনি পৃথিবীকে আকার দিয়ে নির্মাণ করেছেন, তিনি তার প্রতিষ্ঠা করেছেন; তিনি তা শূন্য রাখার জন্য সৃষ্টি করেননি, কিন্তু তা বসতিস্থান হওয়ার জন্যই গঠন করেছেন। তিনি বলেন, “আমি সদাপ্রভু, আর অন্য কেউই নয়।
19 Je n’ai pas parlé en secret, dans un lieu ténébreux de la terre; je n’ai pas dit à la semence de Jacob: Cherchez-moi en vain. Je suis l’Éternel parlant justice, déclarant ce qui est droit.
আমি গোপনে কথা বলিনি, কোনো অন্ধকারময় দেশের কোনো প্রান্ত থেকে; আমি যাকোবের বংশধরদের বলিনি, ‘বৃথাই আমার অন্বেষণ করো।’ আমি সদাপ্রভু, আমি সত্যিকথা বলি; যা ন্যায়সংগত, সেকথাই ঘোষণা করি।
20 Rassemblez-vous et venez, approchez-vous ensemble, réchappés des nations! – Ils n’ont point de connaissance, ceux qui portent le bois de leur image taillée et présentent leur supplication à un dieu qui ne sauve pas.
“তোমরা একসঙ্গে জড়ো হও ও এসো; বিভিন্ন দেশ থেকে পলাতকেরা, তোমরা সমবেত হও। তারা অজ্ঞ, যারা কাঠের মূর্তি বয়ে নিয়ে বেড়ায়, যারা সেই দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করে, যারা রক্ষা করতে পারে না।
21 – Déclarez, et faites-[les] approcher! Oui, qu’ensemble ils consultent! Qui a fait entendre cela d’ancienneté? Qui l’a déclaré dès longtemps? N’est-ce pas moi, l’Éternel? Et hors moi il n’y a pas de Dieu; – de Dieu juste et sauveur, il n’y en a point si ce n’est moi.
কী ঘটবে তা ঘোষণা করো, উপস্থাপিত করো— তারা সবাই একসঙ্গে মন্ত্রণা করুক। কে পূর্ব থেকে একথা বলেছে, কে সুদূর অতীতকালে তা ঘোষণা করেছে? আমি সদাপ্রভু, তা কি করিনি? আর আমি ছাড়া অন্য কোনো ঈশ্বর নেই, আমিই ধর্মময় ঈশ্বর ও পরিত্রাতা; আমি ছাড়া আর কেউ নেই।
22 Tournez-vous vers moi, et soyez sauvés, vous, tous les bouts de la terre; car moi, je suis Dieu, et il n’y en a pas d’autre.
“ওহে পৃথিবীর প্রান্তনিবাসী সকলে, আমার দিকে ফেরো ও পরিত্রাণ পাও; কারণ আমিই ঈশ্বর, আর কেউ নয়।
23 J’ai juré par moi-même, la parole est sortie de ma bouche [en] justice, et ne reviendra pas, que devant moi tout genou se ploiera, [par moi] toute langue jurera.
আমি নিজেই শপথ নিয়েছি, সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে আমার মুখ তা উচ্চারণ করেছে, এমন এক বাণী যা প্রত্যাহৃত হবে না: প্রত্যেকের জানু আমার সামনে পাতিত হবে; আমার নামে সমস্ত জিভ শপথ করবে।
24 En l’Éternel seul, dira-t-on, j’ai justice et force. C’est à lui qu’on viendra, et tous ceux qui s’irritent contre lui auront honte.
তারা আমার বিষয়ে বলবে, ‘কেবলমাত্র সদাপ্রভুতেই আছে ধার্মিকতা ও শক্তি।’” যারাই তাঁর বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ হয়েছে, তারা তাঁর কাছে এসে লজ্জিত হবে।
25 En l’Éternel sera justifiée et se glorifiera toute la semence d’Israël.
কিন্তু সদাপ্রভুতে ইস্রায়েলের সমস্ত বংশধর ধার্মিক গণিত হবে ও গৌরব লাভ করবে।