< Mark 5 >

1 And they came over to the other side of the sea, into the country of the Gadarenes.
পরে তাঁরা সমুদ্রের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে পৌঁছালেন।
2 And when he had come out of the boat, immediately there met him out of the tombs a man with an unclean spirit,
তিনি নৌকা থেকে বের হলেন তখনি একজন লোক কবরস্থান থেকে তাঁর সামনে আসলো, তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল।
3 Who had [his] dwelling among the tombs; and no man could bind him, no, not with chains:
সে কবর স্থানে বাস করত এবং কেউ তাকে শিকল দিয়েও আর বেঁধে রাখতে পারত না।
4 For he had been often bound with fetters and chains, and the chains had been plucked asunder by him, and the fetters broken in pieces: neither could any [man] tame him.
লোকে বার বার তাকে বেড়ি ও শিকল দিয়ে বাঁধত, কিন্তু সে শিকল ছিঁড়ে ফেলত এবং বেড়ি ভেঙে টুকরো টুকরো করত; কেউ তাকে সামলাতে পারত না।
5 And always, night and day, he was on the mountains, and in the tombs, crying, and cutting himself with stones.
আর সে রাত দিন সবদিন কবরে কবরে ও পর্বতে পর্বতে চিৎকার করে বেড়াত এবং ধারালো পাথর দিয়ে নিজেই নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করত।
6 But when he saw Jesus afar off, he ran and worshiped him,
সে দূর হতে যীশুকে দেখে দৌড়ে আসল এবং তাঁকে প্রণাম করল,
7 And cried with a loud voice, and said, What have I to do with thee, Jesus, [thou] Son of the Most High God? I adjure thee by God, that thou torment me not.
খুব জোরে চেঁচিয়ে সে বলল, হে যীশু, মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সঙ্গে আমার দরকার কি? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিয়ে বলছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।
8 (For he said to him, Come out of the man, [thou] unclean spirit.)
কারণ যীশু তাকে বলেছিলেন, হে মন্দ আত্মা, এই মানুষটির থেকে বের হয়ে যাও।
9 And he asked him, What [is] thy name? And he answered, saying, My name [is] Legion: for we are many.
তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? সে উত্তর দিল, আমার নাম বাহিনী, কারণ আমরা অনেকে আছি।
10 And he besought him much that he would not send them away out of the country.
১০পরে সে অনেক কাকুতি মিনতি করল, যেন তিনি তাদের সেই এলাকা থেকে বের না করে দেন।
11 Now there was there nigh to the mountains a great herd of swine feeding.
১১সেই জায়গায় পাহাড়ের পাশে এক শূকরের পাল চরছিল।
12 And all the demons besought him, saying, Send us into the swine, that we may enter into them.
১২আর ভূতেরা মিনতি করে বলল, ঐ শূকর পালের মধ্যে ঢুকতে দিন এবং আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।
13 And forthwith Jesus gave them leave. And the unclean spirits went out, and entered into the swine: and the herd ran violently down a steep place into the sea (they were about two thousand) and were choked in the sea.
১৩তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই মন্দ আত্মারা বের হয়ে শূকরের পালের মধ্যে ঢুকলো; তাতে সেই শূকরপাল খুব জোরে দৌড়িয়ে ঢালু পাড় দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে ডুবে মরল। সেই পালে কমবেশি দুই হাজার শূকর ছিল।
14 And they that fed the swine fled, and told [it] in the city, and in the country. And they went out to see what it was that was done.
১৪যারা সেই শূকর গুলিকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গিয়ে শহরে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংবাদ দিল। তখন কি ঘটেছে, দেখবার জন্য লোকেরা আসলো;
15 And they come to Jesus, and see him that was possessed with the demon, and had the legion, sitting, and clothed, and in his right mind: and they were afraid.
১৫তারা যীশুর কাছে আসলো এবং যখন দেখল যে লোকটা ভূতগ্রস্ত সেই লোকটা কাপড় চোপড় পরে সুস্থ মনে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
16 And they that saw [it] told them how it befell him that was possessed with the demon, and [also] concerning the swine.
১৬আর ঐ ভূতগ্রস্ত লোকটীর ও শূকর পালের ঘটনা যারা দেখেছিল, তারা লোকদেরকে সব বিষয় বলল।
17 And they began to pray him to depart out of their borders.
১৭যারা সেখানে এসেছিল তারা নিজেদের এলাকা থেকে চলে যেতে তাঁকে অনুরোধ করতে লাগল।
18 And when he had come into the boat, he that had been possessed with the demon prayed him that he might be with him.
১৮পরে তিনি যখন নৌকায় উঠেছেন, এমন দিন সেই ভূতগ্রস্ত লোকটি এসে তাঁকে অনুরোধ করল, যেন তাঁর সঙ্গে যেতে পারে।
19 Yet Jesus suffered him not, but saith to him, Go home to thy friends, and tell them how great things the Lord hath done for thee, and hath had compassion on thee.
১৯কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি দিলেন না, বরং বললেন, তুমি বাড়িতে তোমার আত্মীয়দের কাছে যাও এবং ঈশ্বর তোমার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন ও তোমার জন্য যে দয়া করেছেন, তা তাদেরকে গিয়ে বল।
20 And he departed, and began to publish in Decapolis how great things Jesus had done for him. And all [men] wondered.
২০তখন সে চলে গেল, যীশু তার জন্য যে কত বড় কাজ করেছিলেন, তা দিকাপলিতে প্রচার করতে লাগল; তাতে সবাই আশ্চর্য্য হয়ে গেল।
21 And when Jesus had passed over again in a boat to the other side, much people gathered to him: and he was nigh to the sea.
২১পরে যীশু নৌকায় আবার পার হয়ে ওপর পারে আসলে তাঁর কাছে বহু মানুষের ভিড় হল; তখন তিনি সমুদ্রতীরে ছিলেন।
22 And behold, there cometh one of the rulers of the synagogue, Jairus by name; and when he saw him, he fell at his feet,
২২আর সমাজের মধ্য থেকে যায়ীর নামে একজন নেতা এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন।
23 And besought him greatly, saying, My little daughter lieth at the point of death: [I pray thee], come and lay thy hands on her, that she may be healed; and she will live.
২৩এবং অনেক মিনতি করে বললেন, আমার মেয়েটী মরে যাওয়ার মত হয়েছে, আপনি এসে তার ওপরে আপনার হাত রাখুন, যেন সে সুস্থ হয়ে বেঁচে উঠে।
24 And [Jesus] went with him; and many people followed him, and thronged him.
২৪তখন তিনি তাঁর সঙ্গে গেলেন; তখন অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল ও তাঁর চারপাশে ঠেলাঠেলি করছিল।
25 And a certain woman who had an issue of blood twelve years,
২৫আর একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল,
26 And had suffered many things from many physicians, and had spent all that she had, and was not relieved, but rather grew worse,
২৬অনেক চিকিত্সকের মাধ্যমে বহু কষ্টভোগ করেছিল এবং তার যা টাকা ছিল সব ব্যয় করেও সুস্থতা পায়নি, বরং আরও অসুস্থ হয়েছিল।
27 When she had heard of Jesus, came in the crowd behind, and touched his garment.
২৭সে যীশুর সমন্ধে শুনেছিল ভিড়ের মধ্যে যখন তিনি হাঁটছিলেন তখন তাঁর পিছন দিক থেকে এসে তাঁর কাপড় স্পর্শ করলো।
28 For she said, If I may touch but his clothes, I shall be whole.
২৮কারণ সে বলল, আমি যদি কেবল ওনার কাপড় ছুঁতে পারি, তবেই সুস্থ হব।
29 And immediately the fountain of her blood was dried up; and she felt in [her] body that she was healed of that infirmity.
২৯যখন সে ছুঁলো, তখনই তার রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে গেল এবং নিজের শরীর বুঝতে পারল যে ঐ যন্ত্রণাদায়ক রোগ হতে সে সুস্থ হয়েছে।
30 And Jesus, immediately knowing in himself that virtue had gone out of him, turned him about in the throng, and said, Who touched my clothes?
৩০সঙ্গে সঙ্গে যীশু নিজে মনে জানতে পারলেন যে, তাঁর থেকে শক্তি বের হয়ে গেছে, তাই ভিড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, কে আমার কাপড় ছুঁয়েছে?
31 And his disciples said to him, Thou seest the multitude thronging thee, and sayest thou, Who touched me?
৩১তাঁর শিষ্যেরা বললেন, আপনি দেখেছেন, মানুষেরা ঠেলাঠেলি করে আপনার গায়ের ওপরে পড়ছে, আর আপনি বলছেন, কে আমাকে ছুঁলো?
32 And he looked around, to see her that had done this thing.
৩২কিন্তু কে এটা করেছিল, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখলেন।
33 But the woman fearing and trembling, knowing what was done in her, came and fell down before him, and told him all the truth.
৩৩সেই স্ত্রীলোকটী জানত তার জন্য কি ঘটেছে, সে কারণে সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁর সামনে এসে শুয়ে পড়ল এবং সব সত্যি ঘটনা তাঁকে বলল।
34 And he said to her, Daughter, thy faith hath made thee whole; go in peace, and be healed of thy infirmity.
৩৪তখন তিনি তাকে বললেন, মেয়ে, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করল। শান্তিতে চলে যাও এবং স্বাস্থ্যবান হও ও তোমার রোগ হতে উদ্ধার কর।
35 While he was yet speaking, there came from the ruler of the synagogue's [house certain] who said, Thy daughter is dead: why troublest thou the Master any further?
৩৫তিনি যখন এই কথা তাকে বলছেন, এমন দিন সমাজঘরের নেতা যায়ীরের বাড়ি থেকে লোক এসে তাঁকে বলল, আপনার মেয়ে মারা গেছে। গুরুকে আর কেন জ্বালাতন করছ?
36 As soon as Jesus heard the word that was spoken, he saith to the ruler of the synagogue, Be not afraid, only believe,
৩৬কিন্তু যীশু তাদের কথা শুনতে পেয়ে সমাজঘরের নেতাকে বললেন, ভয় করো না, শুধুমাত্র বিশ্বাস কর।
37 And he suffered no man to follow him, save Peter, and James, and John the brother of James.
৩৭আর তিনি পিতর, যাকোব এবং যাকোবের ভাই যোহন, এই তিনজন ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে যেতে দিলেন না।
38 And he cometh to the house of the ruler of the synagogue, and seeth the tumult, and them that wept and wailed greatly.
৩৮পরে তাঁরা সমাজের নেতার বাড়িতে আসলেন, আর তিনি দেখলেন, সেখানে অনেকে মন খারাপ করে বসে আছে এবং লোকেরা খুব চিত্কার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে।
39 And when he had come in, he saith to them, Why make ye this tumult, and weep? the damsel is not dead, but sleepeth.
৩৯তিনি ভিতরে গিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা চিত্কার করে কাঁদছ কেন? মেয়েটি তো মরে যায় নি, ঘুমিয়ে রয়েছে।
40 And they derided him: but when he had put them all out, he taketh the father and the mother of the damsel, and them that were with him, and entereth in where the damsel was lying.
৪০তখন তারা তাঁকে ঠাট্টা করল; কিন্তু তিনি সবাইকে বের করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা ও মাকে এবং নিজের শিষ্যদের নিয়ে, যেখানে মেয়েটি ছিল সেই ঘরের ভিতরে গেলেন।
41 And he took the damsel by the hand, and said to her, Talitha cumi: which is, being interpreted, Damsel (I say to thee) arise.
৪১পরে তিনি মেয়েটির হাত ধরে তাকে বললেন, টালিথা কুমী; অনুবাদ করলে এর মানে হয়, খুকুমনি, তোমাকে বলছি, ওঠ।
42 And forthwith the damsel arose, and walked; for she was [of the age] of twelve years. And they were astonished with a great astonishment.
৪২সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি তখনি উঠে বেড়াতে লাগল, কারণ তার বয়স বারো বছর ছিল। এতে তারা খুব অবাক ও বিস্মিত হল।
43 And he charged them strictly that no man should know it; and commanded that something should be given her to eat.
৪৩পরে তিনি তাদেরকে কড়া আজ্ঞা দিলেন, যেন কেউ এটা জানতে না পারে, আর তিনি মেয়েটিকে কিছু খাবার দেবার জন্য বললেন।

< Mark 5 >