< Matthew 25 >

1 [Jesus continued by saying, “I will tell you something else about the time when I return from] heaven as king [MET]. [What will happen to many people who say that they know me will be] like [what happened to] ten virgins who took their lanterns and went to the place where they would meet a bridegroom [and go to his wedding celebration].
“সেই সময়ে স্বর্গরাজ্য হবে এমন দশজন কুমারীর মতো, যারা তাদের প্রদীপ হাতে নিয়ে বরের সঙ্গে মিলিত হতে গেল।
2 Five of the virgins were foolish and five of them were wise.
তাদের মধ্যে পাঁচজন ছিল নির্বোধ ও পাঁচজন ছিল বুদ্ধিমতী।
3 The [virgins] who were foolish took their lanterns, but they did not take any [extra olive] oil [for] the lantern.
নির্বোধ কুমারীরা তাদের প্রদীপ নিল, কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো তেল নিল না।
4 But the [virgins] who were wise took oil in their flasks as well as in their lanterns.
কিন্তু বুদ্ধিমতী কুমারীরা প্রদীপের সঙ্গে পাত্রে করে তেলও নিল।
5 The bridegroom was delayed, [and it became late at night]. So all the virgins became sleepy and fell asleep.
বর আসতে দেরি করল, ফলে তারা সকলে ঢুলতে ঢুলতে ঘুমিয়ে পড়ল।
6 In the middle of the night someone [woke them up by] shouting, ‘Hey! The bridegroom [is arriving]! Go outside and meet him!’
“মধ্যরাত্রে এক উচ্চ রব শোনা গেল: ‘দেখো, বর এসেছেন! তোমরা তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য বেরিয়ে এসো!’
7 So all the virgins got up and trimmed their lantern wicks [so that they would burn properly].
“তখন সব কুমারী উঠে তাদের প্রদীপ সাজিয়ে নিল।
8 The foolish virgins said to the wise ones, ‘Give us some of your [olive] oil, because our lanterns are about to go out!’
নির্বোধ কুমারীরা বুদ্ধিমতীদের বলল, ‘তোমাদের তেল থেকে আমাদের কিছু দাও; আমাদের প্রদীপগুলি নিভে যাচ্ছে।’
9 The wise virgins replied, ‘[No, because] there might not be enough oil for our lanterns and for yours. Go to a store and buy some for yourselves!’
“তারা উত্তর দিল, ‘না, তোমাদের ও আমাদের জন্য হয়তো পর্যাপ্ত হবে না। বরং যারা তেল বিক্রি করে তাদের কাছে গিয়ে তোমরা নিজেদের জন্য কিছু তেল কিনে আনো।’
10 But while [the foolish virgins] were going to buy [some oil], the bridegroom arrived. So the [wise virgins], who were ready, went with the bridegroom to the wedding hall [where the bride was waiting]. Then the door was closed {someone closed the door [of that hall]}.
“তারা তেল কেনার জন্য যখন পথে যাচ্ছে, এমন সময় বর এসে পৌঁছালেন। যে কুমারীরা প্রস্তুত ছিল, তারা তাঁর সঙ্গে বিবাহ আসরে প্রবেশ করল। আর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল।
11 Later, the rest of the virgins came [to the hall] and they called [to the bridegroom], ‘Sir, open [the door] for us!’
“পরে অন্য কুমারীরাও এসে পৌঁছাল। তারা বলল, ‘প্রভু! প্রভু! আমাদের জন্যও দরজা খুলে দিন!’
12 But he said [to them], ‘The truth is that I do not know you, so I [will not open the door for you]!’”
“কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আমি তোমাদের চিনি না।’
13 [Then Jesus continued by saying], “So, in order that [this will not happen to you], keep expecting [that I will return], because you do not know when [MTY] [it will be].”
“সেই কারণে সজাগ থেকো, কারণ তোমরা সে দিন বা ক্ষণ জানো না।
14 “[When I return from heaven as king, I will deal with those who say that they have been serving me like] a man who was about to go on a long journey dealt with his servants. He called them together and gave them each some of his wealth [to invest and gain more money for him].
“আবার, এ হবে এমন এক ব্যক্তির মতো, যিনি বিদেশ ভ্রমণে বের হলেন। তিনি তার দাসদের ডেকে তাদের হাতে তার সম্পত্তির ভার দিলেন।
15 He gave them money according to their ability [to take care of it]. [For example], he gave one servant 5,000 dollars, he gave another servant 2,000 dollars, and he gave another servant 1,000 dollars. Then he left on his journey.
একজনকে তিনি পাঁচ তালন্ত অর্থ দিলেন, অপর একজনকে দুই তালন্ত ও আরও একজনকে এক তালন্ত, যার যেমন ক্ষমতা, সেই অনুযায়ী দিলেন। তারপর তিনি ভ্রমণে চলে গেলেন।
16 The servant who had received 5,000 dollars went immediately and used that money to gain 5,000 dollars more.
যে মানুষটি পাঁচ তালন্ত নিয়েছিল, সে তক্ষুনি গিয়ে তার অর্থ বিনিয়োগ করল ও আরও পাঁচ তালন্ত লাভ করল।
17 Similarly, the servant who had [received] 2,000 dollars gained two [thousand dollars] more.
একইভাবে, যে দুই তালন্ত নিয়েছিল, সে আরও দুই তালন্ত লাভ করল।
18 But the servant who had received one [thousand dollars] went and dug a hole in the ground and hid the money there [to keep it safe].
কিন্তু যে এক তালন্ত নিয়েছিল, সে ফিরে গেল, মাটিতে গর্ত খুঁড়ল ও তার মনিবের অর্থ লুকিয়ে রাখল।
19 After a long time the servants’ boss returned. He [called them together to] find out what they had done with his money.
“দীর্ঘ সময় পরে, ওই দাসদের মনিব ফিরে এলেন ও তাদের সঙ্গে হিসেব নিকেশ করতে চাইলেন।
20 The servant who had received 5,000 dollars brought two [bags, each containing] 5,000 dollars. He said, ‘Boss, you gave me 5,000 dollars to take care of. Look, I have gained 5,000 more!’
যে পাঁচ তালন্ত নিয়েছিল, সে আরও পাঁচ তালন্ত নিয়ে এসে বলল, ‘প্রভু, আপনি আমার হাতে পাঁচ তালন্ত দিয়েছিলেন। দেখুন, আমি আরও পাঁচ তালন্ত লাভ করেছি।’
21 His boss replied, ‘[You are a very] good and faithful servant! [You have] done [very] well! You have faithfully handled a small [amount of money], so I will put you in charge of a lot of things. Come and be happy with me!’
“তার মনিব উত্তর দিলেন, ‘বেশ করেছ, উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস! তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত থেকেছ; আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করব। এসো, তোমার মনিবের আনন্দের অংশীদার হও!’
22 The servant who had [received] 2,000 dollars also came and said, ‘Boss, you gave me 2,000 dollars to take care of. Look, I have gained 2,000 more!’
“যে দুই তালন্ত নিয়েছিল, সেও এসে বলল, ‘প্রভু, আপনি আমাকে দুই তালন্ত দিয়েছিলেন; দেখুন, আমি আরও দুই তালন্ত লাভ করেছি।’
23 His boss replied, ‘You are a [very] good and faithful servant! You have done very well! You have faithfully handled a small [amount of money], so I will put you in charge of a lot of things. Come and be happy with me!’
“তার মনিব উত্তর দিলেন, ‘বেশ করেছ, উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস! তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত থেকেছ; আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করব। এসো, তোমার মনিবের আনন্দের অংশীদার হও!’
24 Then the servant who had received 1,000 dollars came. He said, ‘Boss, I [was afraid of you]. I knew that you are a man who does not do foolish things with his money. [You even] take [from others money] that does not really belong to you, [like a farmer who] harvests [grain from another man’s field] where he did not even plant [the seeds].
“তখন যে এক তালন্ত অর্থ নিয়েছিল, সে এসে উপস্থিত হল। সে বলল, ‘প্রভু, আমি জানি, আপনি এক কঠোর প্রকৃতির মানুষ, যেখানে বীজ বোনেননি, সেখানে কাটেন এবং যেখানে বীজ ছড়াননি, সেখানেই সংগ্রহ করেন।
25 So because I was afraid [of what you would do to me if I did not make a profit from my business], I went out and hid your 1,000 dollars in the ground [to keep it safe]. Here, this is [the money] that belongs to you!’
তাই আমি ভীত হয়ে, আপনার তালন্ত মাটিতে লুকিয়ে রেখেছিলাম। এই দেখুন, আপনার যা, তা ফিরে পেলেন।’
26 His boss replied, ‘You wicked, lazy servant! (You knew that I take [from others money] that does not really belong to me, [like a farmer who] harvests [grain from another man’s field] where I did not even plant [the seeds]!/Did you not know that I [take from others money that does not really belong to me, like a farmer] who harvests [grain from another man’s field] where I did not even plant [the seeds]?) [RHQ]
“তার মনিব উত্তর দিলেন, ‘দুষ্ট ও অলস দাস! তুমি তো জানতে যে, আমি যেখানে বুনিনি, সেখানেই কাটি ও যেখানে বীজ ছড়াইনি, সেখানেই সংগ্রহ করি?
27 So then, you should have put my money [on deposit] in a bank, so that when I returned I would get it back with the interest [it earned]!’
তাহলে মহাজনদের কাছে তুমি আমার অর্থ গচ্ছিত রাখতে পারতে, যেন আমি ফিরে এসে তা সুদসমেত ফেরত পেতাম।
28 [Then the boss said to his other servants], ‘Take the 1,000 dollars from him, and give it to [the servant] who has the 10,000 dollars!
“‘অতএব, তোমরা ওই তালন্তটি তার কাছ থেকে নিয়ে নাও এবং যার দশ তালন্ত আছে তাকে দিয়ে দাও।
29 To those who [use well what] they have [received, God] will give more, and they will have plenty. But from those who [do] not [use well what they have received], even what they [already] have will be taken away.
কারণ যার কাছে আছে, তাকে আরও দেওয়া হবে ও তার অনেক হবে। যার কাছে নেই, তার কাছে যা আছে, তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে।
30 Furthermore, throw that worthless servant outside, into the darkness, where he will be [with those who are] wailing and gnashing their teeth [because they are in much pain].’”
আর তোমরা সেই অকর্মণ্য দাসকে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও, যেখানে কেবলই রোদন ও দন্তঘর্ষণ হবে।’
31 “When I, the one who came from heaven, come again, I will be very radiant and [bring] all my angels with me. Then I will sit as a king on my wonderful throne [to judge people].
“মনুষ্যপুত্র যখন তাঁর মহিমায়, তাঁর সমস্ত দূতদের সঙ্গে নিয়ে আসবেন, তিনি স্বর্গীয় মহিমায় তাঁর সিংহাসনে উপবেশন করবেন।
32 People from all nations [MTY] will be gathered in front of me {[The angels] will gather in front of me people from all nations}. Then I will separate them, one from another, as a shepherd separates his sheep from his goats.
সমস্ত জাতিকে তাঁর সামনে উপস্থিত করা হবে। তিনি লোকেদের, একজন থেকে অপরজনকে পৃথক করবেন, যেভাবে মেষপালক ছাগদের মধ্য থেকে মেষদের পৃথক করে।
33 I will put [the righteous people] on my right and [the unrighteous ones on my left, as a] shepherd puts sheep [on one side] and goats [on the other side].
তিনি মেষদের তাঁর ডানদিকে ও ছাগদের তাঁর বাঁদিকে রাখবেন।
34 Then I will say to those on my right, ‘You people who have been blessed by my Father {whom my Father has blessed}, come! From the time he created the world, he has been preparing to allow you to [receive the blessings that he will give to all those] who let him rule their lives. [Now is the time for] you to receive [those blessings]
“তখন রাজা তাঁর ডানদিকের লোকদের বলবেন, ‘আমার পিতার আশিস ধন্য তোমরা এসো; জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, তোমরা তার অধিকারী হও।
35 [They belong to you], because you gave me something to eat when I was hungry. (OR, [They belong to you]. It is as though you gave me something to eat when I was hungry.) You gave me something to drink when I was thirsty. When I was a stranger [in your town], you invited me [to stay] in [your houses].
কারণ আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তোমরা আমাকে খাবার দিয়েছিলে; আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম, তোমরা আমাকে পান করতে দিয়েছিলে; আমি অপরিচিত ছিলাম, তোমরা আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলে;
36 When I needed clothes [MTY], you gave me some. When I was sick, you took care of me. When I was in prison, you came to visit me.’
আমার পোশাকের প্রয়োজন ছিল, তোমরা পোশাক দিয়েছিলে; আমি অসুস্থ ছিলাম, তোমরা আমার দেখাশোনা করেছিলে; আমি কারাগারে ছিলাম, তোমরা আমাকে দেখতে গিয়েছিলে।’
37 Then the righteous people will reply, ‘Lord, when were you hungry and we saw you and gave you something to eat? When were you thirsty and we gave you something to drink?
“ধার্মিক ব্যক্তিরা তখন তাঁকে উত্তর দেবে, ‘প্রভু, আমরা কখন আপনাকে ক্ষুধার্ত দেখে আহার দিয়েছিলাম, বা তৃষ্ণার্ত দেখে পান করতে দিয়েছিলাম?
38 When were you a stranger [in our town] and we invited you [to stay] in [our houses]? When did you need clothes and we gave you some?
কখনই-বা আপনাকে অপরিচিত দেখে ভিতরে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলাম, বা পোশাকহীন দেখে পোশাক দিয়েছিলাম?
39 When were you sick or in prison and we went to visit you?’ [We do not remember doing any of these things for you].
কখনই-বা আপনাকে অসুস্থ বা কারাগারে দেখে আপনার কাছে গিয়েছিলাম?’
40 I will reply, ‘The truth is that whatever you did for any one of your fellow believers, even an unimportant one, [it was as though] you did it for me.’
“রাজা উত্তর দেবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যখন তোমরা আমার এই ভাইবোনদের মধ্যে নগণ্যতম কারও প্রতি এরকম করেছিলে, তখন তা আমারই প্রতি করেছিলে।’
41 Then I will say to those on my left, ‘You people who have been cursed [by God] {whom God has cursed}, leave me! Go into the eternal fire that God has prepared for (the devil/Satan) and his angels! (aiōnios g166)
“তারপরে তিনি তাঁর বাঁদিকের লোকদের বলবেন, ‘অভিশপ্ত তোমরা, আমার কাছ থেকে দূর হয়ে অনন্ত অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হও, যা দিয়াবল ও তার দূতদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। (aiōnios g166)
42 [It is right for you to go there], because you did not give me anything to eat when I was hungry. You did not give me anything to drink when I was thirsty.
কারণ আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তোমরা আমাকে কিছুই খেতে দাওনি; আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম, তোমরা আমাকে পান করার জন্য কিছু দাওনি;
43 You did not invite me into [your homes] when I was a stranger [in your town]. You did not give me any clothes when I needed them [MTY]. You did not take care of me when I was sick or in prison.’
আমি অপরিচিত ছিলাম, তোমরা আমাকে আশ্রয় দাওনি; আমার পোশাকের প্রয়োজন দেখেও আমাকে পোশাক দাওনি; আমি অসুস্থ ও কারাগারে ছিলাম, তোমরা আমার দেখাশোনা করোনি।’
44 They will answer, ‘Lord, when were you hungry or thirsty or a stranger or needing clothes or sick or in prison, and we did not help you?’
“তারাও উত্তর দেবে, ‘প্রভু, আমরা কখন আপনাকে ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত, অপরিচিত বা পোশাকহীন, অসুস্থ বা কারাগারে দেখে সাহায্য করিনি?’
45 I will reply, ‘The truth is that whenever you did not do anything to help any one of [my people], [even if they were] unimportant people, [it was as though] you did not do anything [to help] me.’
“তিনি উত্তর দেবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আমার এই নগণ্যতম জনেদের কোনো একজনের প্রতি যখন তা করোনি তখন তা তোমরা আমার প্রতিই করোনি।’
46 Then those people [on my left] will go away to the place where [they] will be punished {[God] will punish them} eternally, but the righteous people will go to where they will live forever [with God].” (aiōnios g166)
“তারপর তারা চিরন্তন শাস্তির উদ্দেশ্যে যাবে, কিন্তু ধার্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করবে।” (aiōnios g166)

< Matthew 25 >