Romans 2
1 Wherefore, inexcusable, thou art, O man, whoever judgest; for, wherein thou judgest some one else, thyself, thou dost condemn, —for, the very things, thou dost practise, who art judging:
তোমাদের মনে হতে পারে যে তোমরা তাদের বিচার করতে পারো কিন্তু তোমাদের অজুহাত দেওয়ার মতো কিছু নেই, কারণ যে বিষয়ে তুমি অন্যদের বিচার করো সেই বিষয়ে তুমি নিজেকেই অপরাধী করে তুলছ, কারণ তোমরা যারা বিচার করো, তোমরাও একই কাজ করে থাকো।
2 We know, however, that, the sentence of God, is according to truth against them who, such things as these, do practise.
এখন, আমরা জানি যে, যারা এই ধরনের আচরণে লিপ্ত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার সত্যের উপরে ভিত্তি করে হয়।
3 And reckonest thou this, O man—who dost judge them who such things do practise, and yet art doing the same, that, thou, shalt escape the sentence of God?
তাহলে, তোমরা যখন নিছক মানুষ হয়ে তাদের উপরে শাস্তি ঘোষণা করো অথচ নিজেরাও একই কাজ করো, তখন কি মনে হয় যে তোমরা ঈশ্বরের ন্যায়বিচার এড়াতে পারবে?
4 Or, the riches of his kindness, and forbearance, and long-suffering, dost thou despise, —not knowing that, the kindness of God, unto repentance, is leading thee?
অথবা তোমরা কি তাঁর দয়া, সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যের ঐশ্বর্যের প্রতি অবজ্ঞা করছ, একথা না বুঝে যে ঈশ্বরের করুণা তোমাদের অনুতাপের পথে নিয়ে যায়?
5 But, according to thy hardness, and [thine] impenitent heart, art treasuring up for thyself anger, in a day of anger and revelation of the righteous judgment of God, —
কিন্তু তোমাদের একগুঁয়ে ও অনুতাপহীন হৃদয়ের কারণে, তোমরা নিজেদেরই উপরে ঈশ্বরের সেই ক্রোধ প্রকাশ করার দিনের জন্য ঈশ্বরের ক্রোধ জমা করছ, যেদিন তাঁর ধর্মময় ন্যায়বিচার প্রকাশিত হবে।
6 Who will render unto each one according to his works: —
ঈশ্বর “প্রত্যেক মানুষকে তার কাজ অনুযায়ী পুরস্কার দেবেন।”
7 Unto them, on the one hand, who, by way of endurance in good work, are seeking, glory, honour and incorruption, life age-abiding, (aiōnios g166)
যারা নিরবচ্ছিন্ন সৎকর্মের দ্বারা মহিমা, সমাদর ও অক্ষয়তা অনুসরণ করে তিনি তাদের অনন্ত জীবন দেবেন। (aiōnios g166)
8 Unto them, on the other hand, who are of contention, and are not yielding unto the truth, but are yielding unto unrighteousness, anger and wrath,
কিন্তু যারা স্বার্থচেষ্টা করে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে এবং মন্দের অনুসারী হয়, তাদের উপরে ক্রোধ ও রোষ নেমে আসবে।
9 tribulation and anguish—against every soul of man who worketh out what is base, both of Jew first and of Greek, —
যারা দুষ্কর্ম করে তাদের প্রত্যেকের উপরে কষ্ট-সংকট ও দুঃখযন্ত্রণা হবে: প্রথমে ইহুদিদের, পরে অইহুদিদের;
10 But glory and honour and peace—unto every one who worketh what is good, both unto Jew first and unto Greek:
কিন্তু যারাই সৎকর্ম করে, তাদের প্রত্যেকজন লাভ করবে গৌরব, সম্মান ও শান্তি: প্রথমে ইহুদিরা, পরে অইহুদিরাও।
11 For there is no respect of persons with God; —
কারণ ঈশ্বরের কাছে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই।
12 For, as many as without law sinned, without law, also shall perish, and, as many as within law sinned, through law, shall be judged;
বিধান ছাড়া যতজন পাপ করে, বিধান ছাড়াই তারা ধ্বংস হবে। আবার বিধানের অধীনে থেকে যারা পাপ করে, তাদের বিচার বিধান অনুসারেই হবে।
13 For, not the hearers of law, are righteous with God, but, the doers of law, shall be declared righteous;
কারণ, যারা বিধান শুধু শোনে, তারা যে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধার্মিক বলে গণ্য হয়, তা নয়, কিন্তু যারা বিধান পালন করে, তারাই ধার্মিক বলে ঘোষিত হবে।
14 For, whensoever the nations which have not law, by nature, the things of the law, may be doing, the same, not having law, unto themselves, are a law, —
বাস্তবিক ক্ষেত্রে অইহুদিদের কাছে বিধান না থাকলেও, তারা যখন স্বাভাবিকভাবে বিধানসম্মত আচরণ করে, তখন তাদের কাছে বিধান না থাকলেও তারা নিজেরাই নিজেদের বিধান হয়ে ওঠে,
15 Who, indeed, shew the work of the law written in their hearts, their conscience therewith bearing witness, and, between one another, their reasonings accusing—or, even excusing, them: —
তারা দেখায় যে, ঈশ্বরের বিধান তাদের হৃদয়ে লেখা আছে, কারণ তাদের বিবেকও সেই সাক্ষ্য বহন করে এবং তাদের চিন্তাভাবনা কখনও কখনও তাদের অভিযুক্ত করে আবার কখনও কখনও তাদের পক্ষসমর্থন করে।
16 In the day on which God judgeth the secrets of men according to my glad-message through Christ Jesus.
আর আমি সুসমাচারের এই বার্তা প্রচার করি—সেইদিন আসছে যেদিন ঈশ্বর, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে, মানুষের সব গুপ্ত বিষয় বিচার করবেন।
17 If, however, thou, art taking the name of Jew, and resting thyself upon law, and boasting in God,
এখন তুমি, যদি নিজেকে ইহুদি বলে অভিহিত করে থাকো; তুমি যদি বিধানের উপরে আস্থা রেখে থাকো এবং ঈশ্বরের সঙ্গে তোমার সম্পর্কের কারণে দম্ভপ্রকাশ করো;
18 And art taking note of his will, and testing the things that differ—when receiving oral instruction out of the law,
যদি তুমি তাঁর ইচ্ছা জেনে থাকো এবং যেহেতু বিধানের দ্বারা নির্দেশিত হয়েছ, তাই যা কিছু উৎকৃষ্ট, সেগুলির অনুমোদন করে থাকো;
19 Art persuaded, moreover, that, thou thyself, art—a guide of the blind, a light of them that are in darkness,
যদি তুমি নিশ্চিতরূপে উপলব্ধি করেছ যে, তুমিই অন্ধের একজন পথপ্রদর্শক, যারা অন্ধকারে আছে, তাদের পক্ষে এক জ্যোতিস্বরূপ,
20 A trainer of the simple, a teacher of babes, having the forming of knowledge and truth in the law, —
মূর্খদের জ্ঞানদাতা, শিশুদের শিক্ষাদাতা, কারণ বিধানের মাধ্যমে জ্ঞান ও সত্যের পূর্ণরূপ তুমি দেখেছ—
21 Thou, therefore, that art teaching someone else, thyself, art thou not teaching? Thou that proclaimest—Do not steal! Art thou, stealing?
তুমি অপরকে শিক্ষা দিয়ে থাকো তবে কেন নিজেকে শিক্ষা দিচ্ছ না? তুমি চুরি না করার শিক্ষা দাও, কিন্তু তুমি কি চুরি করো?
22 That sayest—Do not commit adultery! Art thou, committing adultery? That abhorrest sacrilege, Art thou, robbing temples?
তুমি বলে থাকো, লোকেরা যেন ব্যভিচার না করে, অথচ তুমি নিজে কি ব্যভিচার করছ? তুমি যে প্রতিমাদের ঘৃণা করো, তুমি কি মন্দির লুট করছ?
23 That in law dost boast, Through the transgression of the law, art thou dishonouring God?
তুমি বিধানের জন্য গর্ব করে থাকো, অথচ নিজে কি বিধান ভেঙে ঈশ্বরের অবমাননা করছ?
24 For the name of God, because of you, is defamed among the nations, —even as it is written.
যেমন লেখা আছে, “তোমাদেরই কারণে অইহুদিদের মধ্যে ঈশ্বরের নাম নিন্দিত হচ্ছে।”
25 For, circumcision, indeed, profiteth—if, law, thou be practising; but, if thou be a transgressor of law, thy circumcision, hath become, uncircumcision
তুমি যদি বিধান পালন করো, তাহলে সুন্নত হয়ে লাভ আছে। কিন্তু তুমি যদি বিধান মান্য না করো, তাহলে তুমি এমন মানুষ হয়েছ, যেন তোমার সুন্নতই হয়নি।
26 If then, the uncircumcision, be guarding the righteous requirement of the law, shall not, his uncircumcision, as circumcision be reckoned?—
যাদের সুন্নত হয়নি, তারা যদি বিধানের নির্দেশ পালন করে, তাহলে তারা কি সুন্নতপ্রাপ্ত বলে গণ্য হবে না?
27 And the uncircumcision by nature, completing the law, shall judge, thee, who, notwithstanding letter and circumcision, art a transgressor of law!
যে ব্যক্তি শারীরিকরূপে সুন্নতপ্রাপ্ত নয় অথচ বিধান পালন করে, সে তোমাকে অপরাধী সাব্যস্ত করবে, কারণ তোমার কাছে লিখিত বিধি থাকা ও সুন্নত হওয়া সত্ত্বেও তুমি বিধান অমান্য করেছ।
28 For, not he who is one in appearance, is a Jew, nor is, that which is such in appearance in flesh, circumcision;
কোনো ব্যক্তি বাহ্যিকরূপে ইহুদি হলে সে ইহুদি নয়, আবার সুন্নতও নিছক বাহ্যিক ও শরীরে কৃত কোনও কাজ নয়।
29 But, he who is one in secret, is a Jew, —and, [that is], circumcision, which is of the heart, in spirit, not in letter, —whose, praise, is not of men, but of God.
না, অন্তরে যে ইহুদি হয় সেই প্রকৃত ইহুদি; আবার প্রকৃত সুন্নত হল হদয়ের সুন্নত, তা আত্মার দ্বারা হয়, লিখিত বিধির দ্বারা নয়। এ ধরনের মানুষের প্রশংসা মানুষের কাছ থেকে নয়, কিন্তু ঈশ্বর থেকে হয়।
