Job 16
1 But Job answered and said:
১তারপর ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
2 Of such things as these I have heard enough! Miserable comforters are ye all!
২“আমি এরকম অনেক শুনেছি; তোমরা সবাই দুঃখদায়ক সান্ত্বনাকারী।
3 Will there ever be an end to words of wind? What stirreth thee up, that thou answerest?
৩অর্থহীন কথার কি কোন শেষ আছে? তোমাদের কি হয়েছে যে তোমরা এরকম উত্তর দিচ্ছ?
4 I also might speak like you, If ye were now in my place; I might string together words against you, And shake my head at you.
৪আমিও তোমাদের মত কথা বলতে পারি যেমন তোমরা কর; যদি তোমাদের প্রাণ আমার প্রাণের জায়গায় থাকত, তাহলে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে কথা সংগ্রহ করতে এবং জুড়তে পারতাম এবং উপহাস করে তোমাদের কাছে আমার মাথা নাড়তাম।
5 I would strengthen you with my mouth, And the consolation of my lips should sustain you.
৫আহা, আমি আমার মুখের কোথায় কেমন করে তোমাদের উত্সাহিত করব! আমার মুখের সান্ত্বনা কিভাবে তোমাদের দুঃখ হালকা করবে!
6 If I speak, my grief is not assuaged; And if I forbear, it doth not leave me.
৬যদি আমি কথা বলি, আমার কষ্ট কমবে না; যদি আমি কথা বলা বন্ধ রাখি, আমার কি উপকার হয়?
7 For now He hath quite exhausted me; Thou hast desolated all my house!
৭কিন্তু এখন, ঈশ্বর, তুমি আমায় ক্লান্ত করেছ; তুমি আমার সমস্ত পরিবারকে ধ্বংস করেছ।
8 Thou hast seized hold of me, and this is a witness against me; My leanness riseth up and testifieth against me to my face.
৮তুমি আমায় বেঁধেছ, যা নিজেই আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে; আমার শরীরের দুর্বলতা আমার বিরুদ্ধে উঠেছে এবং এটা আমার মুখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
9 His anger teareth my flesh, and pursueth me; He gnasheth upon me with his teeth; My adversary sharpeneth his eyes upon me.
৯ঈশ্বর তাঁর ক্রোধে আমায় ছিন্ন ভিন্ন করেছেন এবং আমাকে নির্যাতন করেছেন; তিনি আমার বিরুদ্ধে দাঁত ঘর্ষণ করেছেন; আমার শত্রু তার তীক্ষ্ন চোখ আমার ওপর রেখেছে যেন সে আমায় ছিঁড়ে ফেলবে।
10 They gape for me with their mouths; In scorn they smite me on the cheek; With one consent they assemble against me.
১০লোকেরা আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলে হ্যাঁ করে; তারা আমার গালে থাপ্পড় মেরেছে নিন্দাপূর্ণ ভাবে; তারা আমার বিরুদ্ধে একসঙ্গে জোড় হয়েছে।
11 God hath given me a prey to the unrighteous, And delivered me into the hands of the wicked.
১১ঈশ্বর আমায় অধার্মিকদের হাতে দেন এবং পাপীদের হাতে আমায় ফেলে দেন।
12 I was at ease, but he hath crushed me; He hath seized me by the neck, and dashed me in pieces; He hath set me up for his mark.
১২আমি শান্তিতে ছিলাম এবং তিনি আমায় ভেঙে ফেললেন। সত্যি, তিনি আমায় ঘাড় ধরে নিয়ে গেছেন এবং আমায় ছুঁড়ে ফেলে টুকরো টুকরো করেছেন; তিনি আবার আমায় তাঁর লক্ষ হিসাবে রেখেছেন।
13 His archers encompass me around; He pierceth my reins, and doth not spare; He poureth out my gall upon the ground.
১৩তাঁর ধনুকধারীরা আমায় ঘিরে রেখেছে; ঈশ্বর আমার যকৃত ভেদ করেছেন এবং আমায় দয়া করেন নি; তিনি মাটিতে আমার পিত্ত ঢালেন।
14 He breaketh me with breach upon breach; He rusheth upon me like a warrior.
১৪তিনি আমার দেওয়াল বার বার ভেঙ্গেছেন; তিনি যোদ্ধার মত আমার দিকে দৌড়ে আসেন।
15 I have sewed sackcloth upon my skin, And thrust my horn into the dust.
১৫আমি আমার চামড়ার উপরে চট বুনেছি; আমি আমার শিং মাটিতে কলুষিত করেছি।
16 My face is red with weeping, And upon my eyelids is deathlike darkness.
১৬আমার মুখ কেঁদে লাল হয়েছে; মৃত্যুছায়া আমার চোখের উপরে আছে
17 Yet is there no injustice in my bands. And my prayer hath been pure.
১৭যদিও আমার হাতে কোন হিংস্রতা নেই এবং আমার প্রার্থনা বিশুদ্ধ।
18 O earth! cover not thou my blood, And let there be no hiding-place for my cry!
১৮পৃথিবী, আমার থেকে অন্যায় কে লুকিয়ো না; আমার কান্না যেন বিশ্রামের জায়গা না পায়।
19 Yet even now, behold, my witness is in heaven, And he who knoweth me is on high.
১৯এমনকি এখনো, দেখ, আমার সাক্ষী স্বর্গে আছে; যিনি আমার হয়ে সাক্ষী দেবেন উর্ধে থাকেন।
20 My friends have me in derision, But my eye poureth out tears unto God.
২০আমার বন্ধুরা আমায় উপহাস করে, কিন্তু আমার চোখের জল পড়ে ঈশ্বরের কাছে।
21 O that one might contend for a man with God, As a man contendeth with his neighbor!
২১আমি চাই সেই সাক্ষী যেন এই ব্যক্তির জন্য ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করে, যেমন একজন মানুষ তার প্রতিবেশীর প্রতি করে!
22 For when a few years shall have passed, I shall go the way whence I shall not return.
২২কারণ যখন কিছু বছর পার হয়, আমি একটা জায়গায় যাব যেখান থেকে আমি আর ফিরব না।”
