< 2 Corinthians 3 >
1 Are we beginning again to commend ourselves? We do not need, as do some, letters of commendation to you or from you, do we?
আমরা কি আবার নিজেদের প্রশংসা করা শুরু করেছি? কিংবা, কিছু মানুষের মতো, তোমাদের কাছে আমাদেরও সুপারিশ-পত্রের প্রয়োজন বা তোমাদের কাছ থেকে তা নিতে হবে?
2 You are our letter, written in our hearts, known and read by everyone;
তোমরাই তো আমাদের পত্র, আমাদের হৃদয়ে লিখিত পত্র, যা প্রত্যেকেই জানে ও পড়ে।
3 being revealed that you are a letter of Messiah, served by us, written not with ink, but with the Spirit of the living God; not in tablets of stone, but in tablets that are hearts of flesh.
তোমরা দেখাও যে, আমাদের পরিচর্যার ফলস্বরূপ তোমরা খ্রীষ্টের কাছ থেকে লিখিত পত্র, যা কালি দিয়ে নয়, কিন্তু জীবন্ত ঈশ্বরের আত্মা দিয়ে, পাথরের ফলকে নয়, কিন্তু মানুষের হৃদয়-ফলকে লেখা হয়েছ।
4 Such confidence we have through Messiah toward God;
ঈশ্বরের প্রতি এ ধরনের বিশ্বাসই খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের আছে।
5 not that we are sufficient of ourselves, to account anything as from ourselves; but our sufficiency is from God;
এরকম নয় যে, নিজেদের যোগ্যতায় আমরা কিছু করতে পারি বলে দাবি করি। আমাদের যোগ্যতা ঈশ্বর থেকেই আসে।
6 who also made us sufficient as servants of a new covenant; not of the letter, but of the Spirit. For the letter kills, but the Spirit gives life.
তিনিই আমাদের এক নতুন নিয়মের পরিচারকরূপে যোগ্য করে তুলেছেন—যা অক্ষরে নয়, কিন্তু আত্মায় লিখিত হয়েছে, কারণ অক্ষর মৃত্যুতে শেষ হয়, কিন্তু পবিত্র আত্মা জীবন প্রদান করেন।
7 But if the service of death, written engraved on stones, came with glory, so that the children of Israel could not look steadfastly on the face of Moses for the glory of his face; which was passing away:
যে পরিচর্যা মৃত্যু নিয়ে এসেছিল, যা পাথরের উপরে লিপিতে উৎকীর্ণ ছিল, তা যদি এমন মহিমার সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিল যে, ইস্রায়েলীরা স্থিরদৃষ্টিতে মোশির মুখমণ্ডলের দিকে তাঁর মহিমার জন্য তাকাতে পারছিল না, যদিও সেই মহিমা ক্রমেই নিষ্প্রভ হচ্ছিল,
8 won't service of the Spirit be with much more glory?
তাহলে আত্মার পরিচর্যা কি আরও বেশি মহিমাদীপ্ত হবে না?
9 For if the service of condemnation has glory, the service of righteousness exceeds much more in glory.
যে পরিচর্যা মানুষকে অভিযুক্ত করে, তা যদি এমন মহিমাদীপ্ত হয়, তাহলে যে পরিচর্যা ধার্মিকতা নিয়ে আসে, তা আরও কত না বেশি মহিমাদীপ্ত হবে!
10 For truly that which has been made glorious has not been made glorious in this respect, by reason of the glory that surpasses.
প্রকৃতপক্ষে, যা ছিল মহিমাময়, তা বর্তমানের বহুগুণে শ্রেষ্ঠতর মহিমার তুলনায় কোনো মহিমাই নয়।
11 For if that which passes away was with glory, much more that which remains is in glory.
আবার যা ক্রমশ নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছিল, তা যদি মহিমার সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিল, তাহলে যা স্থায়ী, তার মহিমা আরও কত না মহত্তর হবে!
12 Having therefore such a hope, we use great boldness of speech,
সেই কারণে, আমাদের এরকম প্রত্যাশা আছে বলেই আমরা এরকম অতি সাহসী হয়েছি।
13 and not as Moses, who put a veil on his face, that the children of Israel would not look steadfastly on the end of that which was passing away.
আমরা মোশির মতো নই; তিনি তাঁর মুখের উপরে আবরণ দিতেন যেন, যে মহিমার কিরণ ম্লান হয়ে আসছিল, ইস্রায়েল-সন্তানদের দৃষ্টি শেষ পর্যন্ত তা থেকে সরিয়ে রাখতে পারেন।
14 But their minds were hardened, for until this very day at the reading of the old covenant the same veil remains, because in Messiah it passes away.
কিন্তু তাদের মনকে কঠিন করা হয়েছিল, কারণ পুরোনো নিয়মের পাঠে আজও পর্যন্ত সেই আবরণ থেকেই গেছে। তা অপসারিত করা হয়নি, কারণ কেবলমাত্র খ্রীষ্টেই তা অপসারিত করা যায়।
15 But to this day, when Moses is read, a veil lies on their heart.
এমনকি, আজও অবধি যখন মোশির বিধান পাঠ করা হয়, একটি আবরণ তাদের অন্তরকে আবৃত করে রাখে।
16 But whenever one turns to the Lord, the veil is taken away.
কিন্তু যখনই কেউ প্রভুর প্রতি ফিরে আসে, সেই আবরণ অপসারিত করা হয়।
17 Now the Lord is the Spirit and where the Spirit of the Lord is, there is liberty.
এখন প্রভুই সেই আত্মা, আর যেখানে প্রভুর আত্মা থাকেন সেখানেই স্বাধীনতা থাকে।
18 But we all, with unveiled face looking as in a mirror the glory of the Lord, are transformed into the same image from glory to glory, even as from the Lord, the Spirit.
আর আমরা সকলে, যারা অনাবৃত মুখমণ্ডলে প্রভুর মহিমা দর্পণের মতো প্রতিফলিত করছি, আমরা তাঁরই প্রতিমূর্তিতে ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া মহিমায় রূপান্তরিত হচ্ছি, যে মহিমা প্রভু, যিনি আত্মা, তাঁর কাছ থেকে আসে।