< John 3 >

1 Now there was a man of the Pharisees named Nicodemus, a ruler of the Jewish people.
ফরীশীদের মধ্যে নীকদীম নামে একজন মানুষ ছিলেন; তিনি একজন ইহূদি সভার নেতা।
2 This man came to him at night, and said to him, "Rabbi, we know that you are a teacher come from God, for no one can do these signs that you do, unless God is with him."
এই মানুষটি রাত্রিতে যীশুর কাছে এসে তাঁকে বললেন, রব্বি, আমরা জানি যে আপনি একজন গুরু এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন; কারণ আপনি এই যে সব আশ্চর্য্য কাজ করছেন তা ঈশ্বর সঙ্গে না থাকলে কেউ করতে পারে না।
3 Jesus answered him, "Truly, truly, I tell you, unless one is born again he cannot see the kingdom of God."
যীশু উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, কারুর নতুন জন্ম না হওয়া পর্যন্ত সে ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পারে না।
4 Nicodemus said to him, "How can anyone be born when he is old? Can he enter a second time into his mother's womb, and be born?"
নীকদীম তাঁকে বললেন, মানুষ যখন বুড়ো হয় তখন কেমন করে তার আবার জন্ম হতে পারে? সে তো আবার মায়ের গর্ভে ফিরে গিয়ে দ্বিতীয়বার জন্ম নিতে পারে না, সে কি তা পারে?
5 Jesus answered, "Truly, truly, I tell you, unless one is born of water and Spirit he cannot enter into the kingdom of God.
যীশু উত্তর দিলেন, আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, যদি কেউ জল এবং আত্মা থেকে না জন্ম নেয় তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না।
6 That which is born of the flesh is flesh. That which is born of the Spirit is spirit.
যা মানুষ থেকে জন্ম নেয় তা মাংসিক এবং যা আত্মা থেকে জন্ম নেয় তা আত্মাই।
7 Do not be surprised that I said to you, 'You must be born again.'
তোমাদের অবশ্যই নতুন জন্ম হতে হবে এই কথা আমি বললাম বলে তোমরা বিষ্মিত হয়ো না।
8 The wind blows where it wants to, and you hear its sound, but do not know where it comes from and where it is going. So is everyone who is born of the Spirit."
বাতাস যে দিকে ইচ্ছা করে সেই দিকে বয়ে চলে। তুমি শুধু তার শব্দ শুনতে পাও কিন্তু কোন দিক থেকে আসে অথবা কোন দিকে চলে যায় তা জান না; আত্মা থেকে যারা জন্ম নেয় প্রত্যেক জন সেই রকম।
9 Nicodemus answered and said to him, "How can these things be?"
নীকদীম উত্তর করে তাঁকে বললেন, এ সব কেমন ভাবে হতে পারে?
10 Jesus answered him, "Are you the teacher of Israel, and do not understand these things?
১০যীশু তাঁকে উত্তর দিয়ে বললেন, তুমি একজন ইস্রায়েলের গুরু, আর তুমি এখনো এ সব বুঝতে পারছ না?
11 Truly, truly, I tell you, we speak that which we know, and testify of that which we have seen, but you do not accept our testimony.
১১সত্য, সত্যই, আমরা যা জানি তাই বলছি এবং যা দেখেছি তারই সাক্ষ্য দিই। আর তোমরা আমাদের সাক্ষ্য গ্রাহ্য কর না।
12 If I told you earthly things and you do not believe, how will you believe if I tell you heavenly things?
১২আমি যদি জাগতিক বিষয়ে তোমাদের বলি এবং তোমরা বিশ্বাস না কর, তবে যদি স্বর্গের বিষয়ে বলি তোমরা কেমন করে বিশ্বাস করবে?
13 And no one has ascended into heaven, but he who descended out of heaven, the Son of Man, who is in heaven.
১৩আর স্বর্গে কেউ ওঠেনি শুধুমাত্র যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিলেন তিনি ছাড়া, আর তিনি হলেন মনুষ্যপুত্র।
14 And as Moses lifted up the serpent in the wilderness, even so must the Son of Man be lifted up,
১৪আর মোশি যেমন মরূপ্রান্তে সেই সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, ঠিক তেমনি মানবপুত্রকেও উঁচুতে অবশ্যই তুলতে হবে,
15 so that everyone who believes in him may have life without end. (aiōnios g166)
১৫সুতরাং যারা সবাই তাঁতে বিশ্বাস করবে তারা অনন্ত জীবন পাবে। (aiōnios g166)
16 For this is how God loved the world: he gave his only Son, so that everyone who believes in him will not perish but have life without end. (aiōnios g166)
১৬কারণ ঈশ্বর জগতকে এত ভালবাসলেন যে, নিজের একমাত্র পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। (aiōnios g166)
17 For God did not send his Son into the world to judge the world, but that the world should be saved through him.
১৭কারণ ঈশ্বর জগতকে দোষী প্রমাণ করতে পুত্রকে জগতে পাঠাননি কিন্তু জগত যেন তাঁর মাধ্যমে পরিত্রান পায়।
18 The one who believes in him is not judged, but the one who does not believe has been judged already, because he has not believed in the name of the only Son of God.
১৮যে তাঁতে বিশ্বাস করে তাকে দোষী করা হয় না। যে বিশ্বাস না করে তাকে দোষী বলে আগেই ঠিক করা হয়েছে কারণ সে অদ্বিতীয় ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করে নি।
19 This is the judgment, that the light has come into the world, and people loved the darkness rather than the light, because their works were evil.
১৯বিচারের কারণ হলো এই যে, পৃথিবীতে আলো এসেছে এবং মানুষেরা আলো থেকে অন্ধকার বেশি ভালবেসেছে, কারণ তাদের কর্মগুলি ছিল মন্দ।
20 For everyone who does evil hates the light, and does not come to the light, so that his works will not be exposed.
২০কারণ প্রত্যেকে যারা মন্দ কাজ করে তারা আলোকে ঘৃণা করে এবং তাদের সব কর্ম্মের দোষ যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য তারা আলোর কাছে আসে না।
21 But the one who does the truth comes to the light, that his works may be revealed, that they have been done in God."
২১যদিও, যে সত্য কাজ করে সে আলোর কাছে আসে, যেন তার সব কাজ ঈশ্বরের ইচ্ছামত করা হয়েছে বলে প্রকাশ পায়।
22 After these things, Jesus came with his disciples into the land of Judea. He stayed there with them, and was baptizing.
২২তারপরে যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা যিহূদিয়া দেশে গেলেন, আর তিনি সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকলেন এবং বাপ্তিষ্ম দিতে লাগলেন।
23 Now John also was baptizing in Aenon near Salim, because there was much water there. They came, and were baptized.
২৩আর যোহনও শালীম দেশের কাছে ঐনোন নামে একটি জায়গায় বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন, কারণ সেই জায়গায় অনেক জল ছিল। আর মানুষেরা তাঁর কাছে আসতো এবং বাপ্তিষ্ম নিত।
24 For John was not yet thrown into prison.
২৪কারণ তখনও যোহনকে জেলখানায় পাঠানো হয়নি।
25 Now a dispute arose between John's disciples with a Jew about purification.
২৫তখন একজন ইহূদির সঙ্গে বিশুদ্ধ হওয়ার বিষয় নিয়ে যোহনের শিষ্যদের তর্ক বিতর্ক হল।
26 And they came to John, and said to him, "Rabbi, he who was with you beyond the Jordan, to whom you have testified, look, he is baptizing, and everyone is coming to him."
২৬তারা যোহনের কাছে গিয়ে তাঁকে বলল রব্বি, যিনি যর্দ্দনের অপর পারে আপনার সঙ্গে ছিলেন এবং যাঁর সমন্ধে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, দেখুন তিনি বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন এবং সবাই তাঁর কাছে যাচ্ছে।
27 John answered, "No one can receive anything, unless it has been given to him from heaven.
২৭যোহন উত্তর দিয়ে বললেন, স্বর্গ থেকে যতক্ষণ না মানুষকে কিছু দেওয়া হয়েছে ততক্ষণ তা ছাড়া সে আর কিছুই পেতে পারে না।
28 You yourselves bear me witness that I said, 'I am not the Christ,' but, 'I have been sent before him.'
২৮তোমরা নিজেরাই আমার সাক্ষী যে, আমি বলেছি আমি সেই খ্রীষ্ট নই, কিন্তু আমি বলেছি তাঁর আগে আমাকে পাঠানো হয়েছে।
29 He who has the bride is the bridegroom; but the friend of the bridegroom, who stands and hears him, rejoices greatly because of the bridegroom's voice. So this joy of mine is now complete.
২৯যার কাছে কনে আছে সেই বর; কিন্তু বরের বন্ধু যে দাঁড়িয়ে বরের কথা শুনে, সে তাঁর গলার আওয়াজ শুনে খুব আনন্দিত হয়; ঠিক সেইভাবে আমার এই আনন্দ পূর্ণ হল।
30 He must increase, but I must decrease.
৩০তিনি অবশ্যই বড় হবেন, আমি অবশ্যই ছোট হব।
31 He who comes from above is above all. He who is from the earth belongs to the earth, and speaks of the earth. He who comes from heaven is above all.
৩১যিনি উপর থেকে আসেন, তিনি সব কিছুর প্রধান; যে পৃথিবী থেকে আসেন সে পৃথিবীর এবং সে পৃথিবীর জিনিষেরই কথাই বলে; যিনি স্বর্গ থেকে আসেন, তিনি সব কিছুর প্রধান।
32 What he has seen and heard, of that he testifies; and no one receives his witness.
৩২তিনি যা কিছু দেখেছেন ও শুনেছেন, তারই সাক্ষ্য দিচ্ছেন, আর তাঁর সাক্ষ্য কেউ গ্রহণ করে না।
33 He who has received his witness has set his seal to this, that God is true.
৩৩যে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে, সে নিশ্চিত করেছে যে ঈশ্বর সত্য।
34 For he whom God has sent speaks the words of God; for he does not give the Spirit by measure.
৩৪কারণ ঈশ্বর যাকে পাঠিয়েছেন তিনি ঈশ্বরের বাক্য বলেন; কারণ ঈশ্বর আত্মা মেপে দেন না।
35 The Father loves the Son, and has given all things into his hand.
৩৫পিতা পুত্রকে ভালবাসেন এবং সব কিছুই তাঁর হাতে দিয়েছেন।
36 Whoever believes in the Son has everlasting life, but whoever refuses to believe in the Son won't see life, but the wrath of God remains on him." (aiōnios g166)
৩৬যে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করেছে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে; কিন্তু যে কেউ পুত্রকে না মেনে চলে সে জীবন দেখতে পাবে না কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তার উপরে থাকবে। (aiōnios g166)

< John 3 >