< Mark 10 >

1 And having risen from there, He comes to the coasts of Judea, through the other side of the Jordan, and again multitudes come together to Him, and as He had been accustomed, again He was teaching them.
যীশু সেই জায়গা ছেড়ে যিহূদিয়াতে ও যর্দ্দন নদীর অন্য পারে এলেন; এবং তাঁর কাছে আবার লোক আসতে লাগলো এবং তিনি নিজের নিয়ম অনুসারে আবার তাদেরকে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
2 And the Pharisees, having come near, questioned Him if it is lawful for a husband to put away a wife, tempting Him,
তখন ফরীশীরা পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে এসে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলো একজন স্বামীর তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া কি উচিত?
3 and He answering said to them, “What did Moses command you?”
তিনি তাদের উত্তর দিলেন, মোশি তোমাদেরকে কি আদেশ দিয়েছেন?
4 And they said, “Moses permitted to write a bill of divorce, and to put away.”
তারা বলল, ত্যাগপত্র লিখে নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দেবার অনুমতি মোশি দিয়েছেন।
5 And Jesus answering said to them, “For the stiffness of your heart he wrote you this command,
যীশু তাদেরকে বললেন, তোমাদের মন কঠিন বলেই মোশি এই আদেশ লিখেছেন;
6 but from the beginning of the creation God made them a male and a female;
কিন্তু সৃষ্টির প্রথম থেকে ঈশ্বর পুরুষ ও স্ত্রী করে তাদের বানিয়েছেন;
7 on this account will a man leave his father and mother, and will cleave to his wife,
এই জন্য মানুষ তার বাবা ও মাকে ত্যাগ করে নিজের স্ত্রীতে আসক্ত হবে।
8 and they will be—the two—for one flesh, so that they are no longer two, but one flesh;
“আর তারা দুইজন এক দেহ হবে, সুতরাং তারা আর দুই নয়, কিন্তু এক দেহ।”
9 what God therefore joined together, do not let man separate.”
অতএব ঈশ্বর যাদেরকে এক করেছেন মানুষ যেন তাদের আলাদা না করে।
10 And in the house His disciples again questioned Him of the same thing,
১০শিষ্যেরা ঘরে এসে আবার সেই বিষয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন।
11 and He says to them, “Whoever may put away his wife, and may marry another, commits adultery against her;
১১তিনি তাদেরকে বললেন, যে কেউ নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে অন্য স্ত্রীকে বিয়ে করে, সে তার সঙ্গে ব্যভিচার করে;
12 and if a woman may put away her husband, and is married to another, she commits adultery.”
১২আর স্ত্রী যদি নিজের স্বামীকে ছেড়ে অন্য আর একজন পুরুষকে বিয়ে করে, তবে সেও ব্যভিচার করে।
13 And they were bringing to Him children that He might touch them, and the disciples were rebuking those bringing them,
১৩পরে লোকেরা কতগুলো শিশুকে যীশুর কাছে আনলো, যেন তিনি তাদেরকে ছুতে পারেন কিন্তু শিষ্যরা তাদের ধমক দিলেন।
14 and Jesus having seen, was much displeased, and He said to them, “Permit the children to come to Me, and do not forbid them, for of such is the Kingdom of God;
১৪যখন যীশু তা দেখে রেগে গেলেন, আর শিষ্যদের কে বললেন, শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও, বারণ করো না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এই রকম লোকদেরই।
15 truly I say to you, whoever may not receive the Kingdom of God as a child—he may not enter into it”;
১৫আমি তোমাদের সত্য বলছি, যে কেউ শিশুর মতো হয়ে ঈশ্বরের রাজ্য গ্রহণ না করে, তবে সে কখনই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
16 and having taken them in His arms, having put [His] hands on them, He was blessing them.
১৬পরে যীশু শিশুদের কোলে তুলে নিলেন ও তাদের মাথার উপরে হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন।
17 And as He is going forth into the way, one having run and having kneeled to Him, was questioning Him, “Good Teacher, what may I do that I may inherit continuous life?” (aiōnios g166)
১৭পরে যখন তিনি আবার বের হয়ে পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, একজন লোক দৌড়ে এসে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন হে সৎগুরু, অনন্ত জীবন পেতে হোলে আমাকে কি কি করতে হবে? (aiōnios g166)
18 And Jesus said to him, “Why do you call Me good? No one [is] good except one—God;
১৮যীশু তাকে বললেন, আমাকে সৎ কেন বলছো? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ সৎ নয়।
19 you have known the commands: You may not commit adultery, You may not murder, You may not steal, You may not bear false witness, You may not defraud, Honor your father and mother.”
১৯তুমি আদেশগুলি জান, “মানুষ খুন করো না, ব্যভিচার করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না, ঠকিও না, তোমার বাবা মাকে সম্মান করো”।
20 And he answering said to Him, “Teacher, all these I have kept from my youth.”
২০সেই লোকটি তাঁকে বলল, হে গুরু, ছোট্ট বয়স থেকে এই সব নিয়ম আমি মেনে আসছি।
21 And Jesus having looked on him, loved him, and said to him, “One thing you lack: go away, whatever you have—sell, and give to the poor, and you will have treasure in Heaven, and come, follow Me, having taken up the cross.”
২১যীশু তার দিকে ভালবেসে তাকালেন এবং বললেন, একটি বিষয়ে তোমার অভাব আছে, যাও, তোমার যা কিছু আছে, বিক্রি করে গরিবদের দান কর, তাতে স্বর্গে তুমি ধন পাবে; আর এস, আমাকে অনুসরণ কর।
22 And he—gloomy at the word—went away sorrowing, for he was having many possessions.
২২এই কথায় সেই লোকটি হতাশ হয়ে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।
23 And Jesus having looked around, says to His disciples, “How hardly will they who have riches enter into the Kingdom of God!”
২৩তারপর যীশু চারিদিকে তাকিয়ে নিজের শিষ্যদের বললেন, যারা ধনী তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা অনেক কঠিন!
24 And the disciples were astonished at His words, and Jesus again answering says to them, “Children, how hard it is to those trusting on riches to enter into the Kingdom of God!
২৪তাঁর কথা শুনে শিষ্যরা অবাক হয়ে গেলো; কিন্তু যীশু আবার তাদের বললেন, সন্তানেরা যারা ধন সম্পত্তিতে নির্ভর করে, তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা অনেক কঠিন!
25 It is easier for a camel to enter through the eye of the needle, than for a rich man to enter into the Kingdom of God.”
২৫ঈশ্বরের রাজ্যে ধনী মানুষের ঢোকার থেকে সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সোজা।
26 And they were astonished beyond measure, saying to themselves, “And who is able to be saved?”
২৬তখন তারা খুব অবাক হয়ে বললেন, “তবে কে রক্ষা পেতে পারে?”
27 And Jesus, having looked on them, says, “With men it is impossible, but not with God; for all things are possible with God.”
২৭যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন এটা মানুষের কাছে অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে অসম্ভব নয়, কারণ ঈশ্বরের কাছে সবই সম্ভব।
28 And Peter began to say to Him, “Behold, we left all, and we followed You.”
২৮তখন পিতর তাঁকে বললেন, দেখুন, আমরা সব কিছু ছেড়ে আপনার অনুসরণকারী হয়েছি।
29 And Jesus answering said, “Truly I say to you, there is no one who left house, or brothers, or sisters, or father, or mother, or wife, or children, or fields, for My sake, and for the good news’,
২৯যীশু বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এমন কেউ নেই, যে আমার জন্য ও আমার সুসমাচার প্রচারের জন্য তার ঘরবাড়ি, ভাই বোনদের, মা বাবাকে, ছেলে-মেয়েকে, জমিজায়গা ছেড়েছে কিন্তু এই পৃথিবীতে থাকাকালীন সে তার শতগুণ কি ফিরে পাবে না;
30 who may not receive a hundredfold now in this time, houses, and brothers, and sisters, and mothers, and children, and fields, with persecutions, and in the age that is coming, continuous life; (aiōn g165, aiōnios g166)
৩০সে তার ঘরবাড়ি, ভাই, বোন, মা, ছেলেমেয়ে ও জমিজমা, সবই ফিরে পাবে এবং আগামী দিনের অনন্ত জীবন পাবে। (aiōn g165, aiōnios g166)
31 and many first will be last, and the last first.”
৩১কিন্তু অনেকে এমন লোক যারা প্রথম, তারা শেষে পড়বে এবং যারা শেষের, তারা প্রথম হবে। যীশু তৃতীয় বার নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন।
32 And they were in the way going up to Jerusalem, and Jesus was going before them, and they were amazed, and following they were afraid. And having again taken the Twelve, He began to tell them the things about to happen to Him:
৩২একদিনের তারা, যিরূশালেমের পথে যাচ্ছিলেন এবং যীশু তাদের আগে আগে যাচ্ছিলেন, তখন শিষ্যরা অবাক হয়ে গেল; আর যারা পিছনে আসছিল, তারা ভয় পেলো। পরে তিনি আবার সেই বারো জনকে নিয়ে নিজের ওপর যা যা ঘটনা ঘটবে, তা তাদের বোলতে লাগলেন।
33 “Behold, we go up to Jerusalem, and the Son of Man will be delivered to the chief priests, and to the scribes, and they will condemn Him to death, and will deliver Him to the nations,
৩৩তিনি বললেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাচ্ছি, আর মনুষ্যপুত্র প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের হাতে সমর্পিত হবেন, তারা তাঁকে মৃত্যুদন্ডের জন্য দোষী করবে এবং অইহূদির হাতে তাঁকে তুলে দেবে।
34 and they will mock Him, and scourge Him, and spit on Him, and kill Him, and the third day He will rise again.”
৩৪আর তারা তাঁকে ঠাট্টা করবে, তাঁর মুখে থুথু দেবে, তাঁকে চাবুক মারবে ও মেরে ফেলবে; আর তিনদিন পরে তিনি আবার বেঁচে উঠবেন।
35 And there come near to Him James and John, the sons of Zebedee, saying, “Teacher, we wish that whatever we may ask for ourselves, You may do for us”;
৩৫পরে সিবদিয়ের দুই ছেলে যাকোব ও যোহন, তাঁর কাছে এসে বললেন, হে গুরু আমাদের ইচ্ছা এই, আমরা আপনার কাছে যা চাইবো, আপনি তা আমাদের জন্য করবেন।
36 and He said to them, “What do you wish Me to do for you?”
৩৬তিনি বললেন, তোমাদের ইচ্ছা কি? তোমাদের জন্য আমি কি করব?
37 And they said to Him, “Grant to us that, one on Your right hand and one on Your left, we may sit in Your glory”;
৩৭তারা উত্তরে বলল, আমাদেরকে এই আশীর্বাদ করুন, আপনি যখন রাজা ও মহিমান্বিত হবেন তখন আমদের একজন আপনার ডান দিকে, আর একজন আপনার বাম দিকে বসতে পারি।
38 and Jesus said to them, “You have not known what you ask; are you able to drink of the cup that I drink of, and with the immersion that I am immersed with—to be immersed?”
৩৮যীশু তাদের বললেন, তোমরা কি চাইছ তোমরা তা জানো না। আমি যে পেয়ালায় পান করি, তাতে কি তোমরা পান করতে পার এবং আমি যে বাপ্তিষ্মের বাপ্তিষ্ম নেই, তাতে কি তোমরা বাপ্তিষ্ম নিতে পার?
39 And they said to Him, “We are able”; and Jesus said to them, “Of the cup indeed that I drink of, you will drink, and with the immersion that I am immersed with, you will be immersed;
৩৯তারা বলল পারি। যীশু তাদেরকে বললেন, আমি যে পেয়ালায় পান করি, তাতে তোমরা পান করবে এবং আমি যে বাপ্তিষ্মের বাপ্তিষ্ম নেই, তাতে তোমরাও বাপ্তিষ্ম নেবে;
40 but to sit on My right and on My left is not Mine to give, but—to those for whom it has been prepared.”
৪০কিন্তু যাদের জন্য জায়গা তৈরী করা হয়েছে, তাদের ছাড়া আর কাউকেও আমার ডান পাশে কি বাম পাশে বসতে দেওয়ার আমার অধিকার নেই।
41 And the ten having heard, began to be much displeased at James and John,
৪১এই কথা শুনে অন্য দশ জন যাকোব ও যোহনের উপর রেগে যেতে লাগলো।
42 but Jesus having called them near, says to them, “You have known that they who are considered to rule the nations exercise lordship over them, and their great ones exercise authority on them;
৪২কিন্তু যীশু তাদেরকে কাছে ডেকে বললেন, তোমরা জান, অইহূদিদের ভিতরে যারা শাসনকর্ত্তা বলে পরিচিত, তারা তাদের মনিব হয় এবং তাদের ভেতরে যারা মহান, তারা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করে।
43 but not so will it be among you; but whoever may will to become great among you, he will be your minister,
৪৩তোমাদের মধ্যে সেরকম নয়; কিন্তু তোমাদের মধ্য যে কেউ মহান হতে চায়, সে তোমাদের সেবক হবে।
44 and whoever of you may will to become first, he will be servant of all;
৪৪এবং তোমাদের মধ্য যে কেউ প্রধান হতে চায়, সে সকলের দাস হবে।
45 for even the Son of Man did not come to be ministered to, but to minister, and to give His life [as] a ransom for many.”
৪৫কারণ মনুষ্যপুত্র জগতে সেবা পেতে আসেনি, কিন্তু অপরের সেবা করতে এসেছে এবং মানুষের জন্য নিজের জীবন মুক্তির মূল্য হিসাবে দিতে এসেছেন।
46 And they come to Jericho, and as He is going forth from Jericho with His disciples and a great multitude, a son of Timaeus—Bartimaeus the blind—was sitting beside the way begging,
৪৬পরে তাঁরা যিরীহোতে এলেন। আর যীশু যখন নিজের শিষ্যদের ও অনেক লোকের সঙ্গে যিরীহো থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তীময়ের ছেলে বরতীময় নামে একজন অন্ধ ভিখারী পথের পাশে বসেছিল।
47 and having heard that it is Jesus the Nazarene, he began to cry out, and to say, “The Son of David—Jesus! Deal kindly with me”;
৪৭সে যখন নাসরতীয় যীশুর কথা শুনতে পেলো, তখন চেঁচিয়ে বলতে লাগলো হে যীশু, দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।
48 and many were rebuking him that he might keep silent, but the more abundantly he cried out, “Son of David, deal kindly with me.”
৪৮তখন অনেক লোক চুপ করো চুপ করো বলে তাকে ধমক দিল; কিন্তু সে আরও জোরে চেঁচাতে লাগলো, হে দায়ূদ-সন্তান, আমার ওপর দয়া করুন।
49 And Jesus having stood, He commanded him to be called, and they call the blind man, saying to him, “Take courage, rise, He calls you”;
৪৯তখন যীশু থেমে বললেন, ওকে ডাক; তাতে লোকেরা সেই অন্ধকে ডেকে বলল, সাহস কর, ওঠ, যীশু তোমাকে ডাকছেন।
50 and he, having cast away his garment, having risen, came to Jesus.
৫০তখন সে নিজের কাপড় ফেলে লাফ দিয়ে উঠে যীশুর কাছে গেল।
51 And answering, Jesus says to him, “What do you will I may do to you?” And the blind man said to Him, “Rabboni, that I may see again”;
৫১যীশু তাকে বললেন, তুমি কি চাও? আমি তোমার জন্য কি করব? অন্ধ তাঁকে বলল, হে গুরুদেব, আমি দেখতে চাই।
52 and Jesus said to him, “Go, your faith has saved you”: and immediately he saw again, and was following Jesus in the way.
৫২যীশু তাকে বললেন, চলে যাও, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করল। তাতে সে তক্ষুনি দেখতে পেল এবং পথ দিয়ে তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগলো।

< Mark 10 >