< Job 3 >
1 After this Job has opened his mouth, and reviles his day.
তারপর, ইয়োব মুখ খুললেন ও নিজের জন্মদিনকে অভিশাপ দিলেন।
2 And Job answers and says:
তিনি বললেন:
3 “Let the day perish in which I am born, And the night that has said: A man-child has been conceived.
“আমার জন্মদিনটি বিলুপ্ত হোক, আর সে রাত যা বলেছিল, ‘একটি ছেলে এসেছে গর্ভে!’
4 That day—let it be darkness, Do not let God require it from above, Nor let light shine on it.
সেদিনটি—অন্ধকারাচ্ছন্ন হোক; ঊর্ধ্বস্থ ঈশ্বর যেন সেদিনের বিষয়ে চিন্তিত না হন; কোনও আলো যেন তাকে আলোকিত না করে।
5 Let darkness and death-shade redeem it, Let a cloud dwell on it, Let them terrify it as the most bitter of days.
আরও একবার আঁধার ও ঘন তমসা তাকে অধিকার করুক; এক মেঘ তাকে ঢেকে দিক; কালিমা তাকে আচ্ছন্ন করুক।
6 That night—let thick darkness take it, Let it not be united to days of the year, Let it not come into the number of months.
সেরাতটি—ঘন অন্ধকারে কবলিত হোক; বছরের দিনগুলিতে সেটি সংযুক্ত না হোক তা অন্য কোনও মাসে গণিত না হোক।
7 Behold! That night—let it be barren, Let no singing come into it.
সেরাতটি বন্ধ্যা হোক; কোনও আনন্দধ্বনি তাতে শোনা না যাক।
8 Let the cursers of day mark it, Who are ready to wake up Leviathan.
যারা দিনগুলিকে শাপ দেয়, তারা সেদিনটিকে শাপ দিক, যারা লিবিয়াথনকে জাগাতে প্রস্তুত হয়ে আছে।
9 Let the stars of its twilight be dark, Let it wait for light, and there is none, And let it not look on the eyelids of the dawn.
সেদিনের প্রভাতি তারা অন্ধকারময় হোক; বৃথাই তা দিবালোকের জন্য অপেক্ষা করুক আর ভোরের প্রথম আলোকরশ্মি না দেখুক,
10 Because it has not shut the doors Of the womb that was mine! And hide misery from my eyes.
কারণ আমার দু-চোখ থেকে কষ্ট লুকাতে তারা আমার জন্য গর্ভের দুয়ার বন্ধ করেনি।
11 Why do I not die from the womb? I have come forth from the belly and gasp!
“জন্মের সময় আমি মরলাম না কেন, আর গর্ভ থেকে বেরোনোর সময়ই বা আমি মরলাম না কেন?
12 Why have knees been before me? And what [are] breasts, that I suck?
জানুগুলি কেন আমাকে গ্রহণ করল আর স্তনগুলিই বা কেন আমার যত্ন নিল?
13 For now, I have lain down, and am quiet, I have slept—then there is rest to me,
তবে তো এখন আমি শান্তিতে শায়িত থাকতাম; ঘুমিয়ে থাকতাম ও নিতাম বিশ্রাম
14 With kings and counselors of earth, These building ruins for themselves.
সেই রাজা ও শাসকদের সাথে, যারা নিজেদের জন্য সেই স্থানগুলি নির্মাণ করেছিলেন যা ধ্বংসস্তূপ হয়ে পড়ে আছে,
15 Or with princes—they have gold, They are filling their houses [with] silver.
সেই অধিপতিদের সাথে, যাদের কাছে সোনা ছিল, যারা তাদের বাড়িগুলি রুপোয় পরিপূর্ণ করেছিলেন।
16 (Or I am not as a hidden abortion, As infants—they have not seen light.)
অথবা কেন আমাকে জমিতে লুকানো হয়নি অজাত এক শিশুর মতো, এক সদ্যজাত শিশুর মতো যে কখনও দিনের আলো দেখেনি?
17 There the wicked have ceased troubling, And there the wearied rest in power.
সেখানে দুষ্টেরা আন্দোলন থেকে ক্ষান্ত হয়, আর সেখানে শ্রান্তজনেরা বিশ্রাম পায়।
18 Together prisoners have been at ease, They have not heard the voice of an exactor,
বন্দিরাও তাদের স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করে; তারা আর ক্রীতদাস-চালকের চিৎকার শোনে না।
19 Small and great [are] the same there. And a servant [is] free from his lord.
ছোটো ও বড়ো—সবাই সেখানে আছে, আর ক্রীতদাসেরা তাদের প্রভুদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।
20 Why does He give light to the miserable, and life to the bitter soul?
“কেন দুর্দশাগ্রস্তকে আলো দেওয়া হল, আর কেন তিক্তপ্রাণকে জীবন দেওয়া হল,
21 Who are waiting for death, and it is not, And they seek it above hid treasures.
যারা কামনা করে সেই মৃত্যু যা তাদের কাছে আসে না, যারা তা গুপ্তধনের চেয়েও বেশি করে খোঁজে,
22 Who are glad—to joy, They rejoice when they find a grave.
কবরে গিয়ে যারা আহ্লাদিত হয় আর যারা মহানন্দে উল্লসিত হয়?
23 To a man whose way has been hidden, And whom God shuts up?
কেন সেই মানুষকে যার পথ গুপ্ত জীবন দেওয়া হয়, যাকে ঈশ্বর ঘেরাটোপের মধ্যে রেখেছেন?
24 For before my food, my sighing comes, And my roarings [are] poured out as waters.
কারণ দীর্ঘশ্বাস আমার দৈনিক খাদ্য হয়েছে; আমার গভীর আর্তনাদ জলের মতো ঝরে পড়ে।
25 For I feared a fear and it meets me, And what I was afraid of comes to me.
আমি যে ভয় করেছিলাম তাই হয়েছে; যে আশঙ্কা করেছিলাম তাই ঘটেছে।
26 I was not safe—nor was I quiet—Nor was I at rest—and trouble comes!”
আমার শান্তি নেই, বিরাম নেই; বিশ্রাম নেই, শুধু অশান্তি আছে।”