< John 4 >

1 When therefore the Lord knew how the Pharisees had heard that Jesus made and baptized more disciples than John,
যীশু জানতে পারলেন যে ফরিশীরা শুনেছে, যীশুর শিষ্যসংখ্যা যোহনের চেয়েও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তিনি তাদের বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন—
2 (Though Jesus himself baptized not, but his disciples, )
অবশ্য যীশু নিজে বাপ্তিষ্ম দিতেন না, তাঁর শিষ্যেরাই দিতেন।
3 He left Judæa, and departed again into Galilee.
তিনি যিহূদিয়া ত্যাগ করে আর একবার গালীলে ফিরে গেলেন।
4 And he must needs go through Samaria.
কিন্তু শমরিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছিল।
5 Then cometh he to a city of Samaria, which is called Sychar, near to the parcel of ground that Jacob gave to his son Joseph.
যেতে যেতে তিনি শমরিয়ার শুখর নামক একটি গ্রামে এসে উপস্থিত হলেন। যাকোব তাঁর পুত্র যোষেফকে যে জমি দান করেছিলেন, সেই স্থানটি তারই নিকটবর্তী।
6 Now Jacob’s well was there. Jesus therefore, being wearied with [his] journey, sat thus on the well: [and] it was about the sixth hour.
সেই স্থানে যাকোবের কুয়ো ছিল। পথশ্রান্ত যীশু কুয়োর পাশে বসলেন। তখন প্রায় দুপুরবেলা।
7 There cometh a woman of Samaria to draw water: Jesus saith unto her, Give me to drink.
এক শমরীয় নারী জল তুলতে এলে, যীশু তাকে বললেন, “আমাকে একটু জল খেতে করতে দেবে?”
8 (For his disciples were gone away unto the city to buy meat.)
(তাঁর শিষ্যেরা তখন খাবার কিনতে নগরে গিয়েছিলেন।)
9 Then saith the woman of Samaria unto him, How is it that thou, being a Jew, askest drink of me, which am a woman of Samaria? for the Jews have no dealings with the Samaritans.
শমরীয় নারী তাঁকে বলল, “আপনি একজন ইহুদি, আর আমি এক শমরীয় নারী। আপনি কী করে আমার কাছে খাওয়ার জন্য জল চাইছেন?” (কারণ ইহুদিদের সঙ্গে শমরীয়দের সামাজিক সম্পর্ক ছিল না।)
10 Jesus answered and said unto her, If thou knewest the gift of God, and who it is that saith to thee, Give me to drink; thou wouldest have asked of him, and he would have given thee living water.
উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “তুমি যদি ঈশ্বরের দানের কথা জানতে, আর জানতে, কে তোমার কাছে খাওয়ার জন্য জল চাইছেন, তাহলে তুমিই তাঁর কাছে চাইতে আর তিনি তোমাকে জীবন্ত জল দিতেন।”
11 The woman saith unto him, Sir, thou hast nothing to draw with, and the well is deep: from whence then hast thou that living water?
সেই নারী তাঁকে বলল, “মহাশয়, আপনার কাছে জল তোলার কোনো পাত্র নেই, কুয়োটিও গভীর। এই জীবন্ত জল আপনি কোথায় পাবেন?
12 Art thou greater than our father Jacob, which gave us the well, and drank thereof himself, and his children, and his cattle?
আমাদের পিতৃপুরুষ যাকোবের চেয়েও কি আপনি মহান? তিনি আমাদের এই কুয়ো দান করেছিলেন। তিনি নিজেও এর থেকে জল খেতেন, আর তার পুত্রেরা ও তার পশুপাল এই জলই খেতো।”
13 Jesus answered and said unto her, Whosoever drinketh of this water shall thirst again:
যীশু উত্তর দিলেন, “যে এই জল খাবে, সে আবার তৃষ্ণার্ত হবে,
14 But whosoever drinketh of the water that I shall give him shall never thirst; but the water that I shall give him shall be in him a well of water springing up into everlasting life. (aiōn g165, aiōnios g166)
কিন্তু আমি যে জল দান করি, তা যে খাবে, সে কোনোদিনই তৃষ্ণার্ত হবে না। প্রকৃতপক্ষে, আমার দেওয়া জল তার অন্তরে এক জলের উৎসে পরিণত হবে, যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উথলে উঠবে।” (aiōn g165, aiōnios g166)
15 The woman saith unto him, Sir, give me this water, that I thirst not, neither come hither to draw.
সেই নারী তাঁকে বলল, “মহাশয়, আমাকে সেই জল দিন, যেন আমার পিপাসা না পায় এবং জল তোলার জন্য আমাকে এখানে আর আসতে না হয়।”
16 Jesus saith unto her, Go, call thy husband, and come hither.
তিনি তাকে বললেন, “যাও, তোমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে এসো।”
17 The woman answered and said, I have no husband. Jesus said unto her, Thou hast well said, I have no husband:
সে উত্তর দিল, “আমার স্বামী নেই।” যীশু তাকে বললেন, “তুমি ঠিকই বলেছ যে, তোমার স্বামী নেই।
18 For thou hast had five husbands; and he whom thou now hast is not thy husband: in that saidst thou truly.
প্রকৃত সত্য হল, তোমার পাঁচজন স্বামী ছিল আর এখন যে পুরুষটি তোমার সঙ্গে আছে, সে তোমার স্বামী নয়। তুমি যা বলেছ তা সম্পূর্ণ সত্য।”
19 The woman saith unto him, Sir, I perceive that thou art a prophet.
সেই নারী বলল, “মহাশয়, আমি দেখছি, আপনি একজন ভাববাদী।
20 Our fathers worshipped in this mountain; and ye say, that in Jerusalem is the place where men ought to worship.
আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই পর্বতে উপাসনা করতেন, কিন্তু আপনারা, যাঁরা ইহুদি, দাবি করেন যে, জেরুশালেমেই আমাদের উপাসনা করতে হবে।”
21 Jesus saith unto her, Woman, believe me, the hour cometh, when ye shall neither in this mountain, nor yet at Jerusalem, worship the Father.
যীশু তাকে বললেন, “নারী, আমার কথায় বিশ্বাস করো, এমন সময় আসছে যখন তোমরা এই পর্বতে অথবা জেরুশালেমে পিতার উপাসনা করবে না।
22 Ye worship ye know not what: we know what we worship: for salvation is of the Jews.
তোমরা শমরীয়েরা জানো না, তোমরা কী উপাসনা করছ; আমরা জানি, আমরা কী উপাসনা করি, কারণ ইহুদিদের মধ্য থেকেই পরিত্রাণ উপলব্ধ হবে।
23 But the hour cometh, and now is, when the true worshippers shall worship the Father in spirit and in truth: for the Father seeketh such to worship him.
কিন্তু এখন সময় আসছে বরং এসে পড়েছে, যখন প্রকৃত উপাসকেরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে, কারণ পিতা এরকম উপাসকদেরই খোঁজ করেন।
24 God [is] a Spirit: and they that worship him must worship [him] in spirit and in truth.
ঈশ্বর আত্মা, তাই যারা তাঁর উপাসনা করে, তাদেরকে আত্মায় ও সত্যে উপাসনা করতে হবে।”
25 The woman saith unto him, I know that Messias cometh, which is called Christ: when he is come, he will tell us all things.
তখন সেই নারী তাঁকে বলল, “আমি জানি মশীহ” (যাঁকে খ্রীষ্ট বলা হয়), “আসছেন। তিনি এসে আমাদের কাছে সবকিছু ব্যাখ্যা করবেন।”
26 Jesus saith unto her, I that speak unto thee am [he.]
যীশু তাকে বললেন, “তোমার সঙ্গে কথা বলছি যে আমি, আমিই সেই খ্রীষ্ট।”
27 And upon this came his disciples, and marvelled that he talked with the woman: yet no man said, What seekest thou? or, Why talkest thou with her?
ঠিক এসময় শিষ্যেরা ফিরে এসে যীশুকে এক নারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখে বিস্মিত হলেন। কিন্তু একথা কেউ জিজ্ঞাসা করলেন না, “আপনি কী চাইছেন?” বা “আপনি ওর সঙ্গে কেন কথা বলছেন?”
28 The woman then left her waterpot, and went her way into the city, and saith to the men,
তখন জলের পাত্র ফেলে রেখে সেই নারী নগরে ফিরে গিয়ে লোকদের বলল,
29 Come, see a man, which told me all things that ever I did: is not this the Christ?
“একজন মানুষকে দেখবে এসো। আমি এতদিন যা করেছি, তিনি সবকিছু বলে দিয়েছেন। তিনিই কি সেই খ্রীষ্ট নন?”
30 Then they went out of the city, and came unto him.
নগর থেকে বেরিয়ে তারা যীশুর কাছে আসতে লাগল।
31 In the mean while his disciples prayed him, saying, Master, eat.
এই অবসরে তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে মিনতি করলেন, “রব্বি, কিছু খেয়ে নিন।”
32 But he said unto them, I have meat to eat that ye know not of.
কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “আমার এমন খাবার আছে, যার কথা তোমরা কিছুই জানো না।”
33 Therefore said the disciples one to another, Hath any man brought him [ought] to eat?
তাঁর শিষ্যেরা তখন পরস্পর বলাবলি করলেন, “কেউ কি তাঁকে কিছু খাবার এনে দিয়েছে?”
34 Jesus saith unto them, My meat is to do the will of him that sent me, and to finish his work.
যীশু বললেন, “যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা পালন করা ও তাঁর কাজ শেষ করাই আমার খাবার।
35 Say not ye, There are yet four months, and [then] cometh harvest? behold, I say unto you, Lift up your eyes, and look on the fields; for they are white already to harvest.
তোমরা কি বলো না, ‘আর চার মাস পরেই ফসল কাটার সময় আসবে?’ আমি তোমাদের বলছি, তোমরা চোখ মেলে মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখো। ফসল কাটার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।
36 And he that reapeth receiveth wages, and gathereth fruit unto life eternal: that both he that soweth and he that reapeth may rejoice together. (aiōnios g166)
এমনকি, যে ফসল কাটছে, সে এখনই তার পারিশ্রমিক পাচ্ছে এবং এখনই সে অনন্ত জীবনের ফসল সংগ্রহ করছে, যেন যে কাটছে, আর যে বুনছে—দুজনেই উল্লসিত হতে পারে। (aiōnios g166)
37 And herein is that saying true, One soweth, and another reapeth.
তাই ‘একজন বোনে, অপরজন কাটে,’ এই কথাটি সত্য।
38 I sent you to reap that whereon ye bestowed no labour: other men laboured, and ye are entered into their labours.
আমি তোমাদের এমন ফসল সংগ্রহ করতে পাঠিয়েছি, যার জন্য তোমরা পরিশ্রম করোনি। অন্যেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে, আর তোমরা তাদের শ্রমের ফসল সংগ্রহ করেছ।”
39 And many of the Samaritans of that city believed on him for the saying of the woman, which testified, He told me all that ever I did.
“আমি এতদিন যা করেছি, তিনি তার সবকিছু বলে দিয়েছেন,” নারীটির এই সাক্ষ্যের ফলে সেই নগরের বহু শমরীয় যীশুকে বিশ্বাস করল।
40 So when the Samaritans were come unto him, they besought him that he would tarry with them: and he abode there two days.
তাই শমরীয়েরা তাঁর কাছে এসে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য তাঁকে মিনতি করলে, তিনি সেখানে দু-দিন থাকলেন।
41 And many more believed because of his own word;
তাঁর বাণী শুনে আরও অনেকেই তাঁকে বিশ্বাস করল।
42 And said unto the woman, Now we believe, not because of thy saying: for we have heard [him] ourselves, and know that this is indeed the Christ, the Saviour of the world.
তারা সেই নারীকে বলল, “শুধু তোমার কথা শুনে এখন আর আমরা বিশ্বাস করছি না, আমরা এখন নিজেরা শুনেছি এবং আমরা জানি যে, এই ব্যক্তিই প্রকৃতপক্ষে জগতের উদ্ধারকর্তা।”
43 Now after two days he departed thence, and went into Galilee.
দু-দিন পরে তিনি গালীলের উদ্দেশে যাত্রা করলেন।
44 For Jesus himself testified, that a prophet hath no honour in his own country.
(যীশু স্বয়ং উল্লেখ করেছিলেন যে, ভাববাদী তার নিজের নগরে সম্মানিত হন না।)
45 Then when he was come into Galilee, the Galilæans received him, having seen all the things that he did at Jerusalem at the feast: for they also went unto the feast.
তিনি গালীলে উপস্থিত হলে গালীলীয়রা তাঁকে স্বাগত জানাল। নিস্তারপর্বের সময় তিনি জেরুশালেমে যে সমস্ত কাজ করেছিলেন, তারা তা দেখেছিল, কারণ তারাও সেখানে গিয়েছিল।
46 So Jesus came again into Cana of Galilee, where he made the water wine. And there was a certain nobleman, whose son was sick at Capernaum.
গালীলের যে কানা নগরে তিনি জলকে দ্রাক্ষারসে রূপান্তরিত করেছিলেন, তিনি আর একবার সেখানে গেলেন। সেখানে এক উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী ছিলেন, যাঁর পুত্র কফরনাহূমে অসুস্থ ছিল।
47 When he heard that Jesus was come out of Judæa into Galilee, he went unto him, and besought him that he would come down, and heal his son: for he was at the point of death.
তিনি যখন শুনতে পেলেন, যীশু যিহূদিয়া থেকে গালীলে এসেছেন, তিনি যীশুর কাছে গিয়ে অনুনয় করলেন, যেন তিনি এসে তার মৃতপ্রায় পুত্রকে সুস্থ করেন।
48 Then said Jesus unto him, Except ye see signs and wonders, ye will not believe.
যীশু তাকে বললেন, “তোমরা চিহ্ন ও বিস্ময়কর কিছু না দেখলে কি কখনোই বিশ্বাস করবে না।”
49 The nobleman saith unto him, Sir, come down ere my child die.
রাজকর্মচারী বললেন, “মহাশয়, আমার ছেলেটির মৃত্যুর পূর্বে আসুন।”
50 Jesus saith unto him, Go thy way; thy son liveth. And the man believed the word that Jesus had spoken unto him, and he went his way.
যীশু উত্তর দিলেন, “যাও, তোমার ছেলে বেঁচে থাকবে।” সেই ব্যক্তি যীশুর কথা বিশ্বাস করে চলে গেলেন।
51 And as he was now going down, his servants met him, and told [him], saying, Thy son liveth.
তিনি তখনও পথে, এমন সময় তার পরিচারকেরা এসে তাকে সংবাদ দিল যে, তার ছেলেটি বেঁচে আছে।
52 Then enquired he of them the hour when he began to amend. And they said unto him, Yesterday at the seventh hour the fever left him.
“কখন থেকে ছেলেটির অবস্থার উন্নতি ঘটল,” তার এই প্রশ্নের উত্তরে তারা বলল, “গতকাল বেলা একটায় তার জ্বর ছেড়েছে।”
53 So the father knew that [it was] at the same hour, in the which Jesus said unto him, Thy son liveth: and himself believed, and his whole house.
বালকটির পিতা তখন বুঝতে পারলেন, ঠিক ওই সময়েই যীশু তাকে বলেছিলেন, “তোমার ছেলে বেঁচে থাকবে।” এর ফলে তিনি ও তার সমস্ত পরিজন বিশ্বাস করলেন।
54 This [is] again the second miracle [that] Jesus did, when he was come out of Judæa into Galilee.
যিহূদিয়া থেকে গালীলে আগমনের পর যীশু এই দ্বিতীয় চিহ্নকাজটি সম্পন্ন করলেন।

< John 4 >