Nehemiah 2
1 In the month of Nisan, in the twentieth year of King Artaxerxes' reign, when the wine was brought in for him, I picked it up and gave it to the king. I had never before appeared before him looking sad,
১অর্তক্ষস্ত রাজার রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাসে রাজার সামনে আঙ্গুর রস থাকাতে আমি সেই আঙ্গুর রস নিয়ে রাজাকে দিলাম। তার আগে আমি তাঁর সামনে কখনও দুঃখিত হইনি।
2 so the king asked me, “Why are you looking so sad, even though you don't seem to sick? You must be really upset.” I was absolutely terrified,
২রাজা আমাকে বললেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি, তবে মুখ কেন দুঃখিত দেখাচ্ছে? এ তো মনের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” তখন আমি খুব ভয় পেলাম।
3 but I replied to the king, “Long live the king live! How can I help being sad? The city where my forefathers are buried is in ruins, and its gates have been burned down.”
৩আর আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ দীর্ঘজীবী হোন। আমি কেন দুঃখিত হব না? যে শহর আমার পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, তা ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে গেছে।”
4 “So what do you want?” the king asked me. I prayed to the God of heaven, and answered the king,
৪তখন রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম।
5 “If it pleases Your Majesty, and if you are happy with me, I request you send me to Judah, to the city where my forefathers are buried, so I can rebuild it.”
৫আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশী হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি আমাকে যিহূদায়, আমার পূর্বপুরুষদের কবরের শহরে, যেতে অনুমতি দিন, যেন আমি তা তৈরী করি।”
6 The king, with the queen sitting beside him, asked me, “How long will your journey take, and when will you come back?” The king agreed to send me, and I told him how long I would be gone.
৬তখন রাজা-রাণীও তাঁর পাশে বসে ছিলেন-আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে? আর কবে ফিরে আসবে?” এই ভাবে রাজা খুশি হয়ে আমাকে বিদায় দিলেন, আর আমি তার কাছে দিন জানালাম।
7 I also asked him, “If it pleases Your Majesty, let letters be provided to give to the governors west of the Euphrates, so that they will allow me to pass safely until I reach Judah.
৭আর আমি রাজাকে বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়, তবে নদীর পারের শাসনকর্তারা যেন যিহূদায় আমার না আসা পর্যন্ত আমার যাওয়ায় সাহায্য করেন, এই জন্য তাঁদের নামে আমাকে চিঠি দিতে আদেশ দিক।
8 May I also have a letter for Asaph, warden of the king's forest, so he can give me timber to make beams for the gates of Temple fortress, for the city walls, and for the house I will live in.” Because my gracious God was upon me, the king gave me what I asked.
৮আর মন্দিরের পাশে অবস্থিত দুর্গের দরজার ও শহরের দেওয়ালের ও আমার ঘরে ঢোকার দরজার কড়িকাঠের জন্য রাজার বন রক্ষক আসফ যেন আমাকে কাঠ দেন, এই জন্য তাঁর নামেও একটি চিঠি দিতে আদেশ দিক।” তাতে আমার উপরে আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমাকে সে সমস্ত দিলেন।
9 Then I went to the governors of the province west of the Euphrates and gave them the king's letters. The king also sent a military escort of cavalry with me.
৯পরে আমি নদীর পারে অবস্থিত শাসনকর্ত্তাদের কাছে এসে রাজার চিঠি তাঁদেরকে দিলাম। রাজা সেনাপতিদেরকে ও ঘোড়াচালকদেরকে আমার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন।
10 But when Sanballat the Horonite and Tobiah the Ammonite official heard about this, they were upset. For them this was a total disaster—that someone had arrived to help out the Israelites.
১০আর হোরোণীয় শহরবাসী সন্বল্লট ও অম্মোনীয় দাস টোবিয় যখন খবর পেল, তখন ইস্রায়েলীয়দের সাহায্যের জন্য একজন যে লোক এসেছে, এটা বুঝতে পেরে তারা খুব অসন্তুষ্ট হল।
11 I arrived in Jerusalem and rested for three days.
১১আর আমি যিরূশালেমে এসে সেই জায়গায় তিন দিন থাকলাম।
12 Then I got up during the night and went out with just a few men. I didn't explain to anyone what my God had put in my head to do for Jerusalem. I only took one horse to ride.
১২পরে আমি ও আমার সঙ্গী কিছু লোক, আমরা রাতে উঠলাম; কিন্তু যিরূশালেমের জন্য যা করতে ঈশ্বর আমার মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন, তা কাউকেও বলিনি এবং আমি যে পশুর ওপরে চড়েছিলাম, সেটা ছাড়া আর কোনো পশু আমার সঙ্গে ছিল না।
13 So I rode in the dark through the Valley Gate toward the Spring of the Serpent and the Refuse Gate, and I inspected Jerusalem's walls that had been knocked over and the gates that had been burned down.
১৩আমি রাতে উপত্যকার দরজা দিয়ে বের হয়ে নাগকুয়ো ও সার দরজা পর্যন্ত গেলাম এবং যিরূশালেমের ভাঙ্গা দেওয়াল ও আগুনে পুড়ে যাওয়া দরজা সব দেখলাম।
14 Then I continued on to the Fountain Gate and the King's Pool, but we couldn't get through as there wasn't enough room to pass.
১৪আর উনুই দরজা ও রাজার পুকুর পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু সেই জায়গায় আমার বাহন পশুর যাবার জায়গা ছিল না।
15 So I went up along the valley in the dark and inspected the wall. Then I returned, going back through the Valley Gate.
১৫তখন আমি রাতে স্রোতের ধার দিয়ে উপরে উঠে দেওয়াল দেখলাম, আর ফিরে উপত্যকার দরজা দিয়ে ঢুকলাম, পরে ফিরে আসলাম।
16 Those in charge of the city had no idea where I had gone or what I was doing, because I hadn't yet told the Jews, priests, nobles, or officials or any others about the construction plans.
১৬কিন্তু আমি কোন জায়গায় গেলাম, কি করলাম, তা শাসনকর্তারা জানত না এবং সেই দিন পর্যন্ত আমি ইহুদীদের কি যাজকদের কি প্রধান লোকদেরকে শাসনকর্তাদেরকে কি অন্য কর্মচারীদেরকে কাউকেও তা বলি নি।
17 Then I said to them, “Look at the trouble we're in! Jerusalem is a heap of rubble, and its gates have been burned down. Come on, let's rebuild the wall of Jerusalem, so that we won't be so ashamed any more.”
১৭পরে আমি তাদেরকে বললাম, “আমরা কেমন খারাপ অবস্থায় আছি, তা তোমরা দেখছ; যিরূশালেম ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে আছে; এস, আমরা যিরূশালেমের দেওয়াল তৈরী করি, যেন আর মর্যাদাহীন না থাকি।”
18 Then I explained to them how good God had been to me, and what the king had told me. “Let's get on with the rebuilding,” they replied, and they set to work enthusiastically.
১৮পরে আমার উপরে বিস্তারিত ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাতের কথা এবং আমার প্রতি বলা রাজার কথা তাদেরকে জানালাম। তাতে তারা বলল, “চল, আমরা উঠে গিয়ে গাঁথি।” এই ভাবে তারা সেই ভাল কাজের জন্য নিজের নিজের হাত শক্তিশালী করল।
19 But when Sanballat the Horonite, Tobiah the Ammonite official, and Geshem the Arab got to hear about it, they mocked and taunted us, asking, “What are you up to? Are you rebelling against the king?”
১৯কিন্তু হোরোণীয় সন্বল্লট, অম্মোনীয় দাস টোবিয় ও আরবীয় গেশম্ এই কথা শুনে আমাদের বিদ্রূপ ও উপহাস করে বলল, “তোমরা এ কি কাজ করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?”
20 But I replied, telling them, “The God of heaven, he will make sure we're successful. We, his servants, will begin rebuilding, but Jerusalem doesn't belong to you, and you have no authority over it or claim to it.”
২০তখন আমি উত্তরে তাদেরকে বললাম, “যিনি স্বর্গের ঈশ্বর, তিনিই আমাদেরকে সফল করবেন; অতএব তাঁর দাস আমরা উঠে গাঁথব; কিন্তু যিরূশালেমে তোমাদের কোনো অংশ কি অধিকার কি স্মৃতিচিহ্ন নেই।”
