2 Samuel 12
1 The Lord sent Nathan to see David. When he got there, he said, “Once there were two men living in the same town. One was rich, and one was poor.
১পরে সদাপ্রভু দায়ূদের কাছে নাথনকে পাঠালেন৷ আর তিনি তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললেন, “একটি নগরে দুইজন লোক ছিল; তাদের মধ্যে একজন ধনী, আর একজন গরিব৷
2 The rich man had many thousands of sheep and cattle,
২ধনী ব্যক্তির অনেক ভেড়া পাল ও গরুর পাল ছিল৷
3 but the poor man didn't have anything but one small ewe lamb that he had bought. He cared for it, and it grew up with him and his children. It would eat from his plate and drank from his cup. It slept on his lap and was like a daughter to him.
৩কিন্তু সেই গরিবের কিছুই ছিল না, শুধু একটি বাচ্চা ভেড়া ছিল, সে তাকে কিনে পুষছিল; আর সেটা তার সঙ্গে ও তার সন্তানদের সঙ্গে থেকে বেড়ে উঠছিল; সে তার খাবার খেত ও তারই পাত্রে পান করত, আর তার বুকের মধ্যে ঘুমাত ও তার মেয়ের মত ছিল৷
4 One day the rich man had a visitor. He didn't want to take one of his own sheep or cattle to feed his visitor. He took the poor man's lamb instead to prepare a meal for his visitor.”
৪পরে ঐ ধনীর ঘরে একজন পথিক এল, তাতে বাড়িতে আসা অতিথির জন্য খাবার তৈরী করার জন্য সে নিজের ভেড়ার পাল ও গরুর পাল থেকে কিছু নিতে দুঃখ পেল, কিন্তু সেই গরিবের বাচ্চা ভেড়াটি নিয়ে, যে অতিথি এসেছিল, তার জন্য তা দিয়ে রান্না করল৷”
5 David became absolutely furious with what that man did, and angrily told Nathan. “As the Lord lives, the man who did this should be put to death!
৫তাতে দায়ূদ সেই ধনীর প্রতি প্রচণ্ড রেগে গেলেন; তিনি নাথনকে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যে ব্যক্তি এমন কাজ করেছে, সে মৃত্যুর সন্তান;
6 He must repay that lamb with four of his own for doing this, for being so heartless.”
৬সে কিছু দয়া না করে এ কাজ করেছে, এই জন্য সেই বাচ্চা ভেড়াটির চার গুণ ফিরিয়ে দেবে৷”
7 “You are that man!” Nathan told David. “This is what the Lord, the God of Israel, says: I anointed you king of Israel, and I saved you from Saul.
৭তখন নাথন দায়ূদকে বললেন, “আপনিই সেই ব্যক্তি৷ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি তোমাকে ইস্রায়েলের উপরে রাজপদে অভিষিক্ত করেছি এবং শৌলের হাত থেকে উদ্ধার করেছি;
8 I gave your master's house to you and placed your master's wives in your lap. I gave you the kingdom of Israel and Judah, and if that hadn't been enough, I would have given you so much more.
৮আর তোমার প্রভুর বাড়ি তোমাকে দিয়েছি ও তোমার প্রভুর স্ত্রীদেরকে তোমার বুকে দিয়েছি এবং ইস্রায়েলের ও যিহূদার বংশ তোমাকে দিয়েছি; আর তা যদি অল্প হতো, তবে তোমাকে আরও অনেক বস্তু দিতাম৷’
9 So why have you treated what Lord said with contempt by doing evil in his sight? You killed Uriah the Hittite with the sword and stole his wife—you killed him using the sword of the Ammonites.
৯তুমি কেন সদাপ্রভুর বাক্য তুচ্ছ করে তাঁর চোখে যা খারাপ, তাই করেছ? তুমি হিত্তীয় ঊরিয়কে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করিয়েছ ও তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের স্ত্রী করেছ, অম্মোনীয়দের তরোয়াল দিয়ে ঊরিয়কে মেরে ফেলেছ৷
10 So your descendants will always face the sword that kills because you treated me with contempt and stole Uriah's wife.
১০অতএব তরোয়াল কখনো তোমার বংশকে ছেড়ে যাবে না; কারণ তুমি আমাকে তুচ্ছ করে হিত্তীয় ঊরিয়ের স্ত্রীকে নিয়ে নিজের স্ত্রী করেছ৷
11 This is what the Lord says: I'm going to bring disaster in you from your own family. I will take your wives before your very eyes and give them to someone else, and he will sleep openly with your wives where everyone can see.
১১সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তোমার বংশ থেকেই তোমার বিরুদ্ধে অমঙ্গল উত্পন্ন করব এবং তোমার সামনে তোমার স্ত্রীদেরকে নিয়ে তোমার আত্মীয়কে দেব; তাতে সে এই সূর্য্যের সামনে তোমার স্ত্রীদের সঙ্গে শয়ন করবে৷’
12 You did it all in secret, but I will do it openly where everyone in all of Israel can see.”
১২যেহেতু তুমি গোপনে এই কাজ করেছ, কিন্তু আমি সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে ও সূর্য্যের সামনে এই কাজ করব৷”
13 David said to Nathan, “I have sinned against the Lord.” “The Lord has forgiven your sins. You're not going to die,” Nathan replied.
১৩তখন দায়ূদ নাথনকে বললেন, “আমি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি৷” নাথন দায়ূদকে বললেন, “সদাপ্রভুও আপনার পাপ দূর করলেন, আপনি মরবেন না৷
14 “But because by doing this you have treated the Lord with complete contempt, the son you have will die.”
১৪কিন্তু এই কাজ দ্বারা আপনি সদাপ্রভুর শত্রুদেরকে নিন্দা করবার বড় সুযোগ দিয়েছেন, এই জন্য আপনার যে ছেলেটি জন্মেছে সে অবশ্য মরবে৷”
15 Then Nathan went home. The Lord made the child that Uriah's wife had borne to David become very sick.
১৫পরে নাথন নিজের ঘরে চলে গেলেন৷ আর সদাপ্রভু ঊরিয়ের স্ত্রীর গর্ভে জন্মানো দায়ূদের ছেলেটাকে আঘাত করলে সে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল৷
16 David pleaded with God on behalf of the boy. He fasted, went to his bedroom, and spent the night lying in sackcloth on the ground.
১৬পরে দায়ূদ ছেলেটার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন, আর দায়ূদ উপোস করলেন, ভিতরে প্রবেশ করে পুরো রাত মাটিতে পড়ে থাকলেন৷
17 His senior officials approached him and tried to help him up from the ground, but he didn't want to, and he refused their appeals to eat.
১৭তখন তাঁর বাড়ির প্রাচীনেরা উঠে তাঁকে ভূমি থেকে তুলবার জন্য তাঁর কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন, কিন্তু তিনি রাজি হলেন না এবং তাঁদের সঙ্গে আহারও করলেন না৷
18 On the seventh day the child died. But David's officials were scared to tell him that the child was dead, for they said to each other, “Look, while the child was still alive, we talked with him, and he refused to listen to us. How on earth can we tell him the child is dead? He may do something really bad!”
১৮পরে সপ্তম দিনের ছেলেটা মরল; তাতে ছেলেটা মরেছে, এই কথা দায়ূদকে বলতে তাঁর দাসেরা ভয় পেল, কারণ তারা বলল, “দেখো ছেলেটা জীবিত থাকতে আমরা তাঁকে বললেও তিনি আমাদের কথা শোনেন নি; এখন ছেলেটা মরেছে, এ কথা কেমন করে তাঁকে বলব? বললে তিনি নিজের ক্ষতি করবেন৷”
19 But David saw his officials were whispering among themselves, he realized that the child was dead. So he asked his officials, “Did the child die?” “Yes, he died,” they replied.
১৯কিন্তু দাসেরা কানাকানি করছে দেখে দায়ূদ বুঝলেন, ছেলেটা মারা গেছে; দায়ূদ নিজের দাসদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ছেলেটা কি মারা গিয়েছে? তারা বলল মারা গিয়েছে৷”
20 David got up from the ground, washed and put on scented oils, and changed his clothes. Then he went to the house of the Lord and worshiped. Afterwards he went back home, and asked for some food. So they served him a meal which he ate.
২০তখন দায়ূদ ভূমি থেকে উঠে স্নান করলেন, তেল মাখলেন ও পোশাক পরিবর্তন করলেন এবং সদাপ্রভুর ঘরে প্রবেশ করে প্রণাম করলেন; পরে নিজের ঘরে এসে আদেশ করলে তারা তাঁর সামনে খাবার জিনিস রাখল; আর তিনি ভোজন করলেন৷
21 “Why are you acting like this?” his officials asked him. “While the child was still alive, you fasted and cried aloud, but now that he's dead, you get up and eat.”
২১তখন তাঁর দাসরা তাঁকে বলল, “আপনি এ কেমন কাজ করলেন? ছেলেটা জীবিত থাকতে আপনি তার জন্য উপোস ও কাঁদছিলেন, কিন্তু ছেলেটা মারা যাবার পরই উঠে খাবার খেলেন৷”
22 David replied, “While the child was still alive, I fasted and cried aloud, for I thought to myself, ‘Who knows? Maybe the Lord will be gracious to me and let him live.’
২২তিনি বললেন, “ছেলেটা জীবিত থাকতে আমি উপোস ও কান্না করছিলাম; কারণ ভেবেছিলাম, কি জানি, সদাপ্রভু আমার প্রতি দয়া করলে ছেলেটা বাঁচতে পারে৷”
23 But now that he's dead, what's the point for me to go on fasting? Can I bring him back again? One day I will die and go to him, but he will never come back to me.”
২৩কিন্তু এখন সে মারা গেছে, তবে আমি কি জন্য উপোস করব? আমি কি তাকে ফিরিয়ে আনতে পারি? আমি তার কাছে যাব, কিন্তু সে আমার কাছে ফিরে আসবে না৷
24 David consoled his wife Bathsheba, and he made love to her. She gave birth to a son, and named him Solomon. The Lord loved the child,
২৪পরে দায়ূদ নিজের স্ত্রী বৎশেবাকে সান্ত্বনা দিলেন ও তার কাছে গিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করলেন এবং সে ছেলের জন্ম দিলে, দায়ূদ তার নাম শলোমন রাখলেন; আর সদাপ্রভু তাকে প্রেম করলেন৷
25 so he sent a message through Nathan the prophet to name him Jedidiah, because the Lord loved him.
২৫আর তিনি নাথন ভাববাদীকে পাঠালেন, আর তিনি সদাপ্রভুর জন্য তার নাম যিদীদীয় রাখলেন৷
26 At this time Joab had been fighting against the Ammonite town of Rabbah, and had captured the royal fortress.
২৬ইতিমধ্যে যোয়াব অম্মোন সন্তানদের রব্বা নগরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে রাজনগর দখল করলেন৷
27 Joab sent messengers to David to tell him, “I have attacked Rabbah and I have also captured its water supply.
২৭তখন যোয়াব দায়ূদের কাছে দূতদেরকে পাঠিয়ে বললেন, “আমি রব্বার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জলনগর দখল করেছি৷
28 So please call up the rest of the army, besiege the town, and capture it. Otherwise I will capture the city, and I will get the credit.”
২৮এখন আপনি অবশিষ্ট লোকদেরকে জড়ো করে নগরের কাছে শিবির স্থাপন করুন, সেটা দখল করুন, নাহলে কি জানি, আমি ঐ নগর দখল করলে তার উপরে আমারই নামের জয়গান হবে৷”
29 So David called up the rest of the army and marched on Rabbah. He attacked it and captured it.
২৯তখন দায়ূদ সমস্ত লোককে জড়ো করলেন ও রব্বাতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা দখল করলেন৷
30 He took the crown from the head of their king, and it was placed on David's head. It weighed a talent of gold and was decorated with precious stones. David took a large amount of plunder from the town.
৩০আর তিনি সেখানকার রাজার মাথা থেকে তার মুকুট কেড়ে নিলেন; তাতে এক তালন্ত পরিমাণ সোনা ও মণি ছিল; আর তা দায়ূদের মাথায় অর্পিত হল এবং তিনি ঐ নগর থেকে অনেক লুট করা জিনিস বার করে আনলেন৷
31 David took the inhabitants and forced them to work with saws, iron picks, and axes, and he also made them work making bricks. He did the same in all the Ammonite towns. Then David and the whole Israelite army returned to Jerusalem.
৩১আর দায়ূদ সেখানকার লোকদের বের করে এনে করাতের, লোহার মই ও লোহার কুড়ালের মুখে রাখলেন এবং ইটের পাঁজার মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করালেন৷ তিনি অম্মোনীয়দের সমস্ত নগরের প্রতি এইরকম করলেন৷ পরে দায়ূদ ও সমস্ত লোক যিরূশালেমে ফিরে গেলেন৷
